বাংলাদেশে
প্রেমের সম্পর্ক: আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এলেন মার্কিন নারী
কথায় আছে, ‘ভালোবাসার টানে কাছে আনে।’ ঠিক একইভাবে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে এক আমেরিকান বংশোদ্ভুত নারী চাঁদপুর সদরের রালদিয়া গ্রামে এসে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল ও চায়ের কাপে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নতুন দম্পতিকে এক নজর দেখার জন্য বিয়ে বাড়িতে অনেকে ভীড় করছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে ভারতীয় নারী বাংলাদেশে
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়নের রালদিয়া গ্রামের প্রধানিয়া বাড়িতে আমেরিকান মেয়ে জন্স জিইনাবচনের সাথে মো.কামাল উদ্দিন প্রধানিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
এ সময় শাহাদাত হোসেন ও নববধূ জনস্ জিইনাবচন বলেন, আমাদের ভালোবাসা বহু বছরের। তাই, আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আমাদের আগামী দিনগুলো যেন সুখের হয় তার জন্য আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষার উপায় ও করণীয়
প্রচন্ড গরম ও বৃষ্টি মৌসুমের কারণে করোনা মহামারির সাথে পাল্লা দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু জ্বর। এ সপ্তাহের প্রথম দিকেই ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ছয় জন ডেঙ্গু রোগী। সরকারি প্রতিবেদন মতে, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৯৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এমন চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় আপনার নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য সতর্ক থাকা জরুরী।
কীভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে
প্রথম দিন থেকেই প্রচণ্ড জ্বরের সাথে প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়, চোখের পেছনে ব্যথা হয়, শরীর ব্যথা করে, এবং চামড়া লাল হয়ে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে বমিও হয়।
ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের অনুচক্রিকার মাত্রা বিপজ্জনক হারে কমে যায়। এতে দাঁত, ত্বকের নিচে, নাক প্রভৃতি স্থানে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জ্বর সাধারণত টানা ৫–৬ দিন থাকে। আবার কখনো অপেক্ষাকৃত কম সময় ধরে জ্বরের পরই হঠাৎ জটিল আকার ধারণ করে।
আরও পড়ুন: সাইক্লিং, দৌড় কিংবা সাঁতার: ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
কখনো আবার চামড়ায় দানা বা গায়ে ব্যথার পরিবর্তে কাশি, বমি হওয়া, পাতলা পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বের হয়। বিভিন্ন অঙ্গ নষ্ট যেমন কিডনি, যকৃত, মায়োকার্ডাইটিস হয়। বুক ও পেটে পানি জমার মতো জটিলতা দেখা দেয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে অসময়ে ঋতুস্রাব বা রক্তক্ষরণ, বুকে ও পেটে পানি আসা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়।
ডেঙ্গু জ্বরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এ অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরের স্বাভাবিক জটিলতার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও হয়।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়
যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ এডিস মশার কারণে হয়, তাই এই সংক্রমণ রোধে এডিস মশার বংশ নির্বংশ করা দরকার। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তাই ঘরে সাজানো ফুলদানি, ছাদ-বাগানের টবে, অব্যবহৃত কৌটা, রান্নাঘরের হাউজ, বাথরুম, অ্যাকুয়ারিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে এবং মুখ খোলা পানির ট্যাংকিসহ যেকোনো জায়গায় জমে থাকা পানি তিন থেকে পাঁচ দিন পরপর ফেলে দিন। এতে করে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস হবে। পাত্রের গায়ে মশার ডিম লেগে থাকতে পারে বিধায় পাত্রটি ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন।
এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ালেও রাতের উজ্জ্বল আলোতেও এরা কামড়াতে পারে। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি টাঙানোর পাশাপাশি সম্ভব হলে ঘরের দরজা ও জানালায় নেট লাগিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: কিভাবে বাড়িতেই ভেজাল দুধ শনাক্ত করবেন
দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরের ভেতর কর্পূর জ্বালিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর দেখবেন মশা একদম নেই। প্রয়োজনে মশা নিরোধক স্প্রে, লোশন, ক্রিম, কয়েল ম্যাট ব্যবহার করুন। হাফ-হাতা বা হাফ-প্যান্টের বদলে ফুল-হাতা বা ফুল-প্যান্ট পরুন। এতে করে শরীর মশার কামড়ের জন্য কম উন্মুক্ত থাকবে।
তুলসীগাছ মশা তাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে বলে বিভিন্ন দেশে মশা নিধনে গাপ্পি ব্যবহার করা হয়।
শুধু ভেতরেই নয়, বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জলাশয়, রাস্তার আইল্যান্ডে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো ফুলের টব, গাছপালা ইত্যাদি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। বৃষ্টির ফলে এগুলোতে যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বাড়ির আশেপাশে মশা নিধনের ওষুধ ছিটান।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
ডেঙ্গু জ্বরে বিচলিত না হয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, শরীর মুছে নিন, বিশ্রাম নিন এবং মাথায় পানি দিন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই। জ্বরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় বিধায় প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরলজাতীয় খাবার, যেমন- ফলের জুস, শরবত ইত্যাদি পান করুন। জ্বর প্রথম দিন থেকেই জটিল আকার ধারণ করলে সাথে সাথে ডাক্তারের সরণাপন্ন হন।
আরও পড়ুন: ইকিগাই: জাপানিদের সুস্থ জীবনের রহস্য!
কিছু ব্যাপারে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে।
* ডেঙ্গু জ্বর হলেই রোগীকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
* ডেঙ্গু হওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে।
আসলে রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে তখন জরুরি ভিত্তিতে প্লাটিলেট দিতে হয়। আর বারবার বমির কারণে যদি কোনো রোগীর পানি পানের অবস্থা না থাকে, তখন শিরাপথে স্যালাইন দেয়া লাগে।
শেষাংশ
ডেঙ্গু জ্বর সহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে প্রথমেই প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন। তাছাড়া বৃহৎ পরিসরে প্রতিরোধ গড়ে তুললে যে কোনো জরুরী অবস্থা থেকে আপনি নিজেকে ও নিজের পরিবারকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
ইউনেস্কো ২০০৫ কনভেনশনের আন্তর্জাতিক কমিটিতে বাংলাদেশ নির্বাচিত
ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য শীর্ষক ২০০৫ কনভেনশনের আন্তর্জাতিক কমিটিতে ২০২১-২০২৫ মেয়াদে প্রথমবারের নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
গত ১-৪ জুন ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্রের ৮ম সাধারণ সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে এশিয়া ও প্যসিফিক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ২৪ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২ সদস্য রাষ্ট্র পরবর্তী ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশসহ ফ্রান্স, নরওয়ে, জর্জিয়া, সার্বিয়া, কিউবা, জামাইকা, ভিয়েতনাম, বুরুন্ডি, মাদাগাস্কার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিন আন্তর্জাতিক এই কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়।
ইউনেস্কোতে সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রের কর্মকান্ড সমন্বিত হয় ২০০৫ কনভেনশনের মাধ্যমে। যেহেতু “সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার” প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ বিষয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নেতৃত্বের অবস্থানে এসেছে, তাই এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক কমিটিতে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
আরও পড়ুন: সম্পর্ককে উন্নয়নের সহযোগিতায় রূপান্তরের প্রত্যয় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নির্বাচিত হবার পর, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী ইমতিয়াজ হোসেন ২০০৫ কনভেনশনের সকল সদস্য রাষ্ট্রকে বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ২০০৫ কনভেনশনের বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনার সম্ভাব্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে দিন-দিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ওই জেলাগুলোর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জটিল পরিস্থিতি সামাল দেবার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সেবার অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে, তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ওই সকল জেলাগুলোতে প্রশাসন লকডাউন এবং দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ না করে সময় নষ্ট করছেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের উচিৎ সীমান্তবর্তী জেলা হতে পাশের জেলাগুলোতে যেন করোনা সংক্রমণ না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নেয়া। এর পাশাপাশি, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, অক্সিজেনসহ অন্যান্য কোভিড চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ বৃদ্ধি করা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা: আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ কোটি ১৫ লাখে
মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর, নওগাঁ এবং নাটোর জেলাতে ব্যাপক হারে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, এসকল জেলার কয়েকটিতে ভারতফেরত বাংলাদেশিদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে ভারতের করোনার যে ধরন, তাতে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি প্রায় ৪০৬ জনকে এক মাসে আক্রান্ত করতে পারে।
তবে, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন দেয়ার ক্ষমতা দিলেও, এখন পর্যন্ত শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন দেয়া হয়েছে।
যশোর
দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর জেলার বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিনই প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন বাংলাদেশি দেশে প্রবেশ করছেন। ইতোমধ্যেই ভারতফেরত এই যাত্রীদের মধ্যে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।
বর্তমানে যশোরে করোনা শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সাতক্ষীরা
যদিও জেলার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচল স্থগিত করা হয়েছে, কিন্তু সাতক্ষীরায় বর্তমান করোনা শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ। এই জেলাটিতে মাত্র ৩৫ টি আইসোলেশন বেড এবং ৮৮টি সাধারণ বেড রয়েছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্তা থাকলেও, জেলার সদর হাসপাতালে এই সুবিধা নেই।
কুষ্টিয়া
ভারতের সাথে কুষ্টিয়া জেলার দীর্ঘ ৪৫ কি.মি. সীমান্ত থাকায় এখানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। গত ১০দিনে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ। কুষ্টিয়ায় মাত্র ১১৫ টি আইসোলেশন বেড রয়েছে।
নওগাঁ
বৃহস্পতিবারের পাওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ১৯৭ জনের করোনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৩৪.১ শতাংশ।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর জেলাগুলোতেও আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে করোনা রোগী।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত বেড়েছে
প্রস্তুতি
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর করোনা মোকাবিলা প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সীমান্তঘেষা জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার দিন-দিন বাড়ছেই।
তিনি জানান, জেলা পর্যায়ে এবং মেডিকেল কলেজগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় করোনা সংক্রমণ হলে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বলেন, সরকারের উচিৎ এখনই সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে প্রস্তুত রাখা।
তিনি সতর্ক করে জানান, এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত করা না গেলে পরবর্তীতে যেকোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে।
করোনা মোকাবিলায় জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানান, উপদেষ্টা কমিটি সরকারকে সীমান্তবর্তী ও ঝুঁকিপূর্ণ আট জেলায় লকডাউন দেয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু এখনও সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি।
যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার প্রতি জোর দেন এই বিশেষজ্ঞ।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর তুলনায় ভাসানচর অনেক উন্নত: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, কক্সবাজারে অবস্থিত বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তুলনায় ভাসানচর অনেক উন্নত ও সুবিধাসম্পন্ন। এছাড়া এখানে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে যাবেন জাতিসংঘের সফররত ২ শীর্ষ কর্মকর্তা
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেনের সাথে ইউএনএইচসিআরের দুই প্রতিনিধির বৈঠকের পর একথা জানান তারা। এসময় সংস্থাটির সহকারী হাই কমিশনার রউফ মাজো বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ভাসানচরে দারুণ কাজ করেছে। কক্সবাজারের রোহিাঙ্গা ক্যাম্পগুলোর তুলনায় ভাসানচরের পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি এবং উন্নত।’
সহকারী হাইকমিশনার রউফ জানান, বাংলাদেশ সরকারের পাশে আছি এবং সবসময়ই সরকারের সাথে কাজ করবো। কক্সবাজারের মতো, প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের যেকোনও জায়গাতেই ইউএনএইচসিআর কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সিওপি২৬ সভাপতি অলোক শর্মা ২ দিনের সফরে ঢাকায়
সংস্থাটির অপর সুরক্ষা বিষয় হাই কমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস্ বলেন, ‘আমরা এখানে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করতে চাই এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’
তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জাতিসংঘের লক্ষ্য।
সিওপি২৬ সভাপতি অলোক শর্মা ২ দিনের সফরে ঢাকায়
সিওপি২৬ সভাপতি অলোক শর্মা ২ দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। আগামী নভেম্বরে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গ্লাসগো সম্মেলনকে সামনে রেখে ঢাকা সফর করছেন তিনি।
বুধবার সকাল ৯:২০ মিনিটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাকে বরণ করে নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম।
সিওপি২৬ প্রধান বুধবার সকালে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করবেন। পরবর্তীতে দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেনের সাথে আলোচনায় বসবেন।
এছাড়া দুপুর ২টায় যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক জলবায়ু শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে সিওপি২৬ সভাপতির। আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সমস্যা নিরসনে করণীয় নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
এছাড়া দুপুর ৩টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যৌথ সংবাদ বিবৃতি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন অলোক শর্মা।
এবার ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন
দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালো সরকার।
রবিবার সপ্তাহের শুরুর দিনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে গত ২৩ মে নতুন দু’টি নির্দেশনা দিয়ে চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরেকদফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: এবার ‘লকডাউন’ বাড়লো ৩০ মে পর্যন্ত
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে পারবে।
এছাড়া খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা ও রেস্টুরেন্টে বসেই খাবার খাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৯৮ লাখ
চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। পরে আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, এরপর আবাও বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।
আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সিলেট
ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠেছে সিলেট। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি দিয়ে শুরু হয়েছে রবিবারের দিন শুরু হয় সিলেটবাসীল। আগের দিন চার ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার ভূমিকম্পের পর আজ রবিবার ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে সিলেটে ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবীদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, রবিবার ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৮। যার উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২০৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। অর্থাৎ এই ভূমিকম্পটিরও উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা।
আরও পড়ুন: রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প
এদিকে, ভোরে ভূমিকম্প হওয়ায় ঘুমের কারণে অনেকেই টের পাননি ভূমিকম্প। যারা টের পেয়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে বহুতল বাসা-বাড়ি থেকে নিচে নেমে আসেন। আগের দিন চারবার ভূমিকম্প হওয়ায় আজকের ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কটা ছিল একটু বেশি।
এদিকে শনিবারের ভূমিকম্পে সিলেট শহরের দু’টি ভবন হেলে পড়ে। শনিবার সকালে ভূমিকম্পের পর নগরীর পাঠানটুলা দর্জিবাড়ি মোহনা আবাসিক এলাকার বি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্পে দু’টি ৬ তলা ভবন একটি অপরটির দিকে অন্তত দুই ফুট হেলে পড়ে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আরেক দফা ভূমিকম্প
খবর পেয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহাগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ শনিবার রাতে ভবন দু’টি পরিদর্শন করেন। এসময় সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী আংশুমান ভট্টাচার্য্য, রাজু উদ্দিন আহমদ ও লিপু সিংহ ভবন দুটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। পরে ভবন দু’টিতে বসবাসকারী লোকজনকে দ্রুত অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
শনিবার সিলেটে চার দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: আগামী অর্থ বছরে প্রায় ৬৭ শতাংশ হারে বাড়ছে
আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৬৬.৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে লক্ষণীয় মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি হতে চলেছে।
তবে আসছে বাজেটে এই ভাতার বৃদ্ধির কারণে বরাদ্দ তেমন একটা বাড়ছে না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন তালিকায় পূর্বের প্রায় ২৩.২৭ শতাংশ নাম বাতিল হওয়ায় নতুন করে অধিক বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
এই খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩২’শ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বছর প্রতি ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ফেব্রুয়ারিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। আসছে অর্থবছর থেকেই নতুন ভাতা প্রদান শুরু হবে।
আরও পড়ুন: অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার আবাসন নির্মাণ করবে সরকার
ওই সময় পর্যন্ত সরকারের নথিভুক্ত ২ লাখ ৫ হাজার ২০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো মাসিক ৩০ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
এদিকে সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারগুলো মাসিক ৩৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া বীর উত্তমদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ২০ হাজার টাকা, বীর প্রতিকদের ১৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: লাকসামে অর্থের বিনিময়ে ৪৮ জন ‘অমুক্তিযোদ্ধা’কে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ
মাসিক ভাতার পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনা খরচে চিকিৎসা সেবাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।
স্কুল, কলেজ খুলছে ১৩ জুন: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী জুন মাসের ১৩ তারিখ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনা পরিস্থিতির যদি অবনতি না হয়, সেক্ষেত্রে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখার কার্যক্রম শুরু করবে সরকার।
বুধবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘অবস্থার উন্নতি হলে সরকার ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে করোন পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইউনিভার্সিটি গ্যান্টস্ কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হবে পঞ্চম শ্রেণী এবং ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের জন্য। এছাড়া অন্যান্য শ্রেণীর সপ্তাহে একদিন ক্লাস হবে। তবে ধীরে ধীরে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সকলকে স্বাস্থ্যসচেতন হবার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘একদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা দাবি জানাচ্ছেন, আরেক দিকে আপনারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি করছেন। দুটো বিষয় এক সাথে চলতে পারে না।’
মন্ত্রী জানান, করোনা মোকাবিলায় জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ও করোনা আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকায় সরকার স্কুল-কলেজ খোলার কথা বিবেচনা করছে। তবে পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল-কলেজ খোলা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হাসান এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ঈদ পরবর্তী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, সরকার আবারও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১২ জনু পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে।
সর্বশেষ চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
করোনা পরিস্থিতি
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ১২ হাজার ৪৫৮ জনে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৯৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন মারা গেছেন এবং ১হাজার ৬৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৯.১১ শতাংশ। নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৭৯ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৭ শতাংশ।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস
এদিকে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও দেশে চলে এসেছে বলে জানা গেছে। করোনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের পাশাপাশি এখন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।’