কারাদণ্ড
মাগুরায় ভুয়া ডাক্তারকে ১ বছরের কারাদণ্ড
মাগুরা শহরের পিয়ারলেস প্রাইভেট হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার সময় এক ভুয়া ডাক্তারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মোতাহার হোসেন আলী (৩৬) যশোর জেলার ঘোপরোড এলাকার খোরশেদ আলীর ছেলে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. মো. শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে পিয়ারলেস প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পাই অভিযুক্ত মোতাহার হোসেন আলট্রাসনোগ্রাফি করছেন। এ সময় মেডিকেল বিষয়ক নানা প্রশ্ন করলে তিনি সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তিনি দাবি করেন বরিশাল মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করেছেন। পরে তার কাগজপত্র দেখাতে বললে তিনি বৈধ বিএমডিসি সার্টিফিকেটসহ সঠিক কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
সিভিল সার্জন বলেন, অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াছিন কবীর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা হাজতে পাঠান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৪ খুন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫
মাগুরায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে কথিক চিকিৎসককে জরিমানা ও কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে কথিত চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা ও ২ মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে র্যাব-১২’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. খাইরুল ইসলাম (২৯) উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে ৪ জনের জরিমানা
র্যাব-১২’র সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কেয়া হসপিটাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় র্যাব-১২’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় হসপিটালে চিকিৎসা দেয়ার সময় একজন কথিত চিকিৎসকে হাতে-নাতে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মওদুদ আহম্মেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক লাখ টাকা জরিমানা ও ২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: বাগেরহাটে একজনের জেল, ৪৯ জনের জরিমানা
এরপর আটক কথিত চিকিৎসককে উল্লাপাড়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কে এম আহসানুল হক ও র্যাব-১২’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান এ অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেয়ার কথা বলে প্রতারণা, একজনের কারাদণ্ড
বরিশাল সদর উপজেলার ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অপরাধে খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রবিবার (১৭ অক্টোবর) ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এই কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খলিলুর সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের বারইকান্দি ও পতাং গ্রামে গিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন খলিল। এরপর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থেকে যাদের বাড়ি প্রয়োজন তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেন। এরপর ঘর না দিয়ে টাকা উত্তোলনকারীদের ঘুরাতে থাকেন। পরে ঘর না পাওয়ায় টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগীরা। কিন্তু তিনি টালবাহানা শুরু করেন এবং ঘুরাতে থাকেন। এর মধ্যে একজনকে চেক দিলে সেই চেক ব্যাংকে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তখন তারা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর বিরল দৃষ্টান্ত
রবিবার টাকা দেয়ার কথা বলে খলিলকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড নথুল্লাবাদে আসতে বলা হয়। সেখানে আসলে তাকে ধরে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা’র নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বরিশাল সদরের ভূমি কর্মকর্তা নিশাত তামান্না। তিনি জানান, খলিলুর রহমান কোনভাবেই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সাথে জড়িত নন, তিনি যাদের কথা বলেছেন তাও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি যে এ প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা নিয়েছেন তা প্রমাণিত হয়েছে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতারক খলিল এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। এই অপরাধে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১২ জেলের কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ ধরার দায়ে ১২ জেলেকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেইসাথে অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১৫ হাজার মিটার কারেন্টজাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান এ কারাদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার: আটক ৩
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ১২ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং উদ্ধারকৃত মাছ স্থানীয় মাদরাসা ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ অভিযানে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
উল্লেখ্য, ইলিশ মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে গত ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিটে বিএনপি প্রধান হাসপাতালে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন তাঁর মিডিয়া উইং এর সদস্য শায়রুল কবির খান।
পরে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছেন খালেদার মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। সেখানে বিএনপি প্রধানের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান তিনি।
জাহিদ বলেন, ‘ডা. শাহাবউদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডই তাঁর চিকিৎসা দিবে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি বাবরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা না দিলে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে বাবরকে।
পড়ুন: খুলনায় কোকেনের মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই থেকে বাবর এ মামলায় কারাগারে আছেন। ফলে অনেক আগেই সাজার ওই সময় পার করে ফেলেছেন তিনি। যদিও ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় রয়েছে বাবরের ওপর।
এর আগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি বাবরের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপ সহকারী সচিব রূপক কুমার সাহা বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিএনপি জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ২০০৭ সালের ২৮ মে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পুলিশ সদস্য স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রাম আদালতে বোমা হামলা: ‘বোমা’ মিজানের মৃত্যুদণ্ড
গাজীপুরে মাকে খুনের দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মা’কে কুপিয়ে খুন করার দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান খান ওরফে সাজু (৪৬) গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন কাঁচারস গ্রামের আমছের আলী খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিকেলে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কাটার সময় শাহজাহানকে বাঁধা দেন তার বাবা আমছের আলী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজাহান গালিগালাজ করতে থাকে। ঘটনার সময় স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান শাহজাহানের মা আনোয়ারা বেগম। এসময় হাতে থাকা দা দিয়ে শাহজাহান তার মায়ের গলা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আনোয়ারা বেগম।
আরও পড়ুন: সুপারি চুরির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক খুন
এ ঘটনায় আনোয়ারা বেগমের ভাই (শাহজাহানের মামা) হাশেম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে শাহজাহান একই বছরের ২ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। তদন্ত ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অপর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মোট ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামি শাহজাহান খান ওরফে সাজুকে দোষী সাব্যস্ত করে মামলার রায় প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমতাজ বেগম।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চাঁদপুরে ১০ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ১০ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে এ সময় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জেলেদের এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের লালপুর ও খেরুদিয়া এলাকার নাছির হোসেন (৩০), সফিকুল ইসলাম (২০), আব্দুস সুক্কুর গাজী (২০), খোকন বেপারী (২৩), ফারুক দর্জি (৩০), মনির হাওলাদার (২০), মো. ফারুক খান (৩২), মো. নাছির (২৯), আউয়াল হাওলাদার (৬৩) ও গোলাম মো. রাসেল (২৩)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলের কারাদণ্ড
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম অভিযানে মেঘনা নদী থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। ওই সময় ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টচার্য বলেন, আটক জেলেদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার পর জেল হাজতে পাঠানো হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং নৌকা দুটি কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ভোলায় ১১ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় সম্পদ ইলিশ প্রজনন রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খুলনায় কথিক চিকিৎসককে কারাদণ্ড
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তন্ময় অধিকারী (২৭) নামে এক কথিত চিকিৎসককে আটক করে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাব।
সোমবার রাতে উপজেলার ডুমুরিয়া বাজারে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াদুদ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
র্যাব জানায়, গত বছর তৎকালিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জিব দাশ ওই কথিক চিকিৎসককে ভুয়া চিকিৎসা দেয়া ও প্রেসক্রিপশনে শিশু ও মহিলা বিশেষজ্ঞ লেখায় ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে চেম্বার বন্ধ করে দেন। পরে সঞ্জিব দাশ বদলি হয়ে গেলে তন্ময় আবারও ডুমুরিয়া বাজারের মনোয়ারা সুপার মার্কেটে চেম্বার খুলে রোগী দেখা শুরু করে। কয়েক মাস আগে এক অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান সহকারি কমিশনার ভূমি মো. মনিরুজ্জামান তন্ময়কে সতর্ক করে দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
কিন্তু তন্ময় অধিকারী চেম্বার পরিবর্তন করে ডুমুরিয়া থানা সড়কের রাজ মেডিকেল হলের নামে চেম্বারের ঠিকানায় রোগী দেখতে থাকেন। র্যাব ৬ এর গোয়েন্দা ইউনিট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করে সত্যতা পায়। সেই সূত্র ধরে সোমবার অভিযানের মা্যেমে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
খুলনায় অনুমোদনহীভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা এবং সনদ না থাকা সত্ত্বেও ডা. শব্দ ব্যবহার করার অপরাধে এক ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত পূর্ব রূপসা বাজারের অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক মো. এবিএম আতাউর রহমান (৪৫) মৃত ওয়াজোদ আলীর ছেলে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি দল এই অভিযান চালায়।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাব রেজিস্ট্রার নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
র্যাব জানায়, খুলনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় র্যাব খুলনা জেলার রুপসা থানাধীন ৩নং নৈহাটী ইউনিয়নের বাঘমারা সাকিনস্থ পূর্ব রুপসা বাজারে মেসার্স মাদারীপুর মেডিকেল হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এসময় অনুমোদনহীভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা এবং সনদ না থাকা সত্ত্বেও ডা. শব্দ ব্যবহার করে চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে এবিএম আতাউর রহমান এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
পড়ুন: অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্যের গাড়িচালকের ৩০ বছর কারাদণ্ড
কলেজছাত্র হত্যা: ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন