নদী
সুনামগঞ্জে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরের যাদুকাটা, চলতি নদীসহ সব নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ঘোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কয়েক জায়গায় নদীর তীর ডুবে গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
আরও পড়ুন: নদী শুকিয়ে যাওয়ায় কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে
তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে এখনো হাওরে পানি কম থাকায় বন্যার সম্ভবনা নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা থাকায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের আগুনঝরা নদীর বুকে ‘ত্রিকোণ দ্বীপ’, পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর খোলামুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ জুন) সকালে তার লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পুলিশ।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থী ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (১৫)। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাহিম তার মায়ের একমাত্র সন্তান।
বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ১০ বছর আগে মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে মায়ের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর বাগানবাড়ি নয়াগাঁও এলাকায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: গোসলে নেমে করতোয়া নদীতে ডুবে কৃষকের মৃত্যু
মা সাবিনা ইয়াসমিন স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১০ জুন) সকালে স্বজনরা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নৌপুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের মামা রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, শুক্রবার সকালে বাসা থেকে চুল কাটার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
সোহাগ আরও জানান, চুল কাটা শেষে আজিমপুরে মাহিমের এক বন্ধুর দাদির মিলাদে যাওয়ার জন্য তার মাকে রাজি করায়। কিন্তু সেখানে যে যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোন চেক করে আমার ভাগ্নের সহপাঠী সামিরের সঙ্গে দেখা করার তথ্য পাই। কিন্তু সে মাহিমের সঙ্গে দেখা করার কথা অস্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজ করেছি। আজ ভোরে খোলামুড়া ঘাট এলাকায় গেলে এক পথচারীর মাধ্যমে নদীতে লাশ ভেসে থাকার খবর পাই৷ পরে গিয়ে আমার ভাগ্নে মাহিমের লাশ ভাসতে দেখি। তার শরীর ও মুখে অনেক কাদা লাগানো।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বলেন, শনিবার সকালে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তেরর জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে শরীর কাদা লাগানো ছিলো। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: রানীশংকৈলে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
যমুনার চোরাবালিতে ডুবে দিনাজপুর মেডিকেল ছাত্রের মৃত্যু
কীর্তনখোলা নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার
বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে সদর নৌ-পুলিশ। রবিবার (১৪ মে) সকালে নগরীর চাঁদমারি এলাকার কীর্তনখোলা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ব্যক্তি কালাচাঁদ কুমার দাস (৫০) নগরীর ৮ নং ওয়ার্ড বাজার রোড এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, সকালে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ভোলায় ২ দিন নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী অভয়াশ্রমে র্দীঘ দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নদীতে নেমেছেন জেলেরা।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষে হওয়ার পর গত ২ দিন নদীতে জেলেরা কাঙিক্ষত মাছ পাচ্ছে না। ফলে প্রায় খালি হাতেই ফিরছেন তারা।
তবে জেলেদের আশা আগামী পূর্ণিমার পর হয়তো তাদের জালে ধরা পড়বে প্রত্যাশিত পরিমাণের ইলিশ।
আরও পড়ুন: রামগতিতে ৪ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, আটক ৯
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় দুই মাসের জন্য ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ৯০ কিলোমিটার মেঘনা নদী ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম ১০০ কিলোমিটার তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ৩০ এপ্রিল রবিবার মধ্যরাত থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে নদীতে নেমেছেন ভোলার সাত উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলে। তাদের আশা ছিল দুই মাসের অভিযান শেষে নদীতে প্রচুর মাছ পাবেন।
আর তাতে গত দুই মাসের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। ফিরে পাবেন স্বচ্ছলতা। কিন্তু জালে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছেনা।
ভোলার তুলাতুলি মাছ ঘাটের জেলেরা জানান, নদীতে সারাদিন জাল ফেলে দুই-চারটি যা মাছ ধরা পড়েছে তা আকারে ছোট। কোনো কোনো জেলে সামান্য মাছ পেলেও তা বিক্রি করে তেল খরচও উঠছেনা।
এতে তারা হতাশায় পড়েছেন। তবে মাছ কম পড়ায় দাম বেশ চড়া।
অন্যদিকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় লোকসান গুণতে হয়েছে। এবার নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ মাছ শিকার করলে জমজমাট হবে তাদের ব্যবসা।
এ ছাড়াও বিগত দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে নিবেন তারা। কিন্তু মাছ কম পাওয়ায় তারা হতাশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে
ইলিশা মাছ ঘাটের মৎস্য ব্যাপারী শাহাবুদ্দিন জানান, মঙ্গলবার মাছের পরিমাণ আরও কমে গেছে। এতে তারা বিপাকে রয়েছে। সামান্য মাছ পাওয়া গেলেও তার দাম অনেক বেশি।
এদিকে এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা ও মাঝারি সাইজের সাত থেকে আট হাজার টাকা দরে।
মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত দুই মাসে ভোলার সাত উপজেলায় ৪০৩টি অভিযান পরিচালনা করে ৩৬২জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। ৪৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০৩ জন জেলেকে ছয় লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আটককৃত বাকিরা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন জানান, তাদের দুই মাসের অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া ইলিশ মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে।
তিনি আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে জেলেরা প্রচুর মাছ শিকার করে দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে আবার ঘুড়ে দাঁড়াবেন।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
পদ্মায় গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে রাজশাহী নগরীর কাজলার ফুলতলা পদ্মা নদী থেকে মাহিম রহমানের (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মাহিম রাজশাহী নগরীর কাজল সুইটের মোড় এলাকার মুশফিকুর রহমানের ছেলে। সে রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকার কমেলা হক ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: গোসলে নেমে করতোয়া নদীতে ডুবে কৃষকের মৃত্যু
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার লতিফুর বারি জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মাহিম, সিথিল, আবিরসহ কয়েকজন বন্ধু নগরীর ফুলতলা এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। তাদের মধ্যে মাহিম সাঁতার জানতেন না।
তিনি আরও বলেন যে গোসলের এক পর্যায়ে মাহিম পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় তার বন্ধুরা চেষ্টা করেও তাকে পানি থেকে তুলতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাহিমের লাশ উদ্ধার করে।
নগরীর মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাহিমের লাশ উদ্ধার করেছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
রাজশাহীর পদ্মায় ২ সন্তানসহ গোসলে নেমে মায়ের মৃত্যু, বাবা নিখোঁজ
কীর্তনখোলা নদীতে নিখোঁজ সেই শিশুর লাশ উদ্ধার
কীর্তনখোলা নদীতে গোসল করতে নেমে মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজ হওয়া শিশু ইয়াসিন মোল্লার (১১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে নগরীর মোহাম্মদপুর চর সংলগ্ন নদীতে লাশটি ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
ইয়াসিন নগরীর পলাশপুর ৮ নম্বর গুচ্ছগ্রামের বেল্লাল মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদী থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল।
এই ঘটনায় বরিশাল সদর নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল।
নিহতের বাবা বেল্লাল জানান, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তাই নিহতের বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন অনুযায়ী ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ওসি মুকুল আরও জানান, গুচ্ছগ্রামের ঘেরের পাড় থেকে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়েছিল ইয়াসিন।
লাশটি ভেসে উঠলে তা দেখে আবুল প্যাদা নামে এক জেলে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবনের লিফট থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
মোংলা বন্দরে ড্রেজার থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে একটি ড্রেজারে কাজ করা সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নদীতে পড়ে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বন্দরের ৫ নম্বর জেটি–সংলগ্ন পশুর নদে শনিবার বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ড্রেজারের পাখায় জড়ানো অবস্থায় ওই লাশটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
নিহত নাঈম দেওয়ান (২৮) নামের ওই শ্রমিকের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে সারবোঝাই কার্গো জাহাজডুবি
মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আরদেশ আলী বলেন, বন্দরের জেটিতে ভাড়ায় নিয়োজিত এ জেড কোম্পানির ‘সিএসডি বোখারি’ নামের একটি ড্রেজারে শ্রমিকের কাজ করতেন নাঈম। বিকালে ড্রেজারের পাখা পরিষ্কার করছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ পাখা খুলে তাঁর শরীরের ওপর পড়ে। পাখার আঘাতে তিনি পানিতে পড়ে যান। এরপর অনেক খোঁজ চালিয়েও নাঈমকে না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ড্রেজারের পাখায় জড়ানো অবস্থায় নাঈমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ড্রেজারের শ্রমিকের মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে লাইটার জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ৩
মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ ইঞ্জিন, ৮ কোচ
মাগুরায় নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর নদী থেকে মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে খুলনার ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল।
মৃত মাদরাসা ছাত্র ইয়ামিন শেখ (১২) মধুখালী উপজেলার গাজনা এলাকার রাজ্জাক শেখের ছেলে। সে মহম্মদপুর উপজেলার দাতিয়াদহ গ্রামের মামা মুনসুর ফকিরের বাড়িতে লেখাপড়া করত।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদহ গ্রামের মোল্লার ঘাট এলাকায় মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় সে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুর থেকে পরিবার ও স্থানীয়রা নদীতে জাল টেনে ইয়ামিনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু না পেয়ে আজ (শুক্রবার) দুপুর ১২টায় খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল সন্ধান চালায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বাবা স্কুলে পড়াতে চাইলেও মা চেয়েছিলেন ছেলে মাদরাসায় পড়বে। তাই মামাবাড়িতে রেখে মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় ইয়ামিনকে। ভর্তির এক দিন পর মধুমতি নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় সে।
নিখোঁজ ইয়ামিন শেখের মামা মুনসুর ফকির বলেন, বুধবার ভাগনে ইয়ামিনকে বাবুখালী আদর্শ দাখিল মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বাড়ির পাশে মধুমতি নদীতে গোসল করতে নামে ইয়ামিন। একপর্যায়ে সে পানিতে ডুবে যায়।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. মোস্তাইন আলী বলেন, খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আধা ঘণ্টা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিত্রা নদী থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
অজু করতে গিয়ে লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যাত্রী নিখোঁজ
ফজরের নামাজের জন্য লঞ্চের পেছনের দিকে ওজু করতে গিয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে এক যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর কোড়ালীয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ পূবালী-৫ দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বীজ ভান্ডার-সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদী অতিক্রমকালে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ব্রিজের সঙ্গে লঞ্চের ধাক্কায় নিহত ৩
নিখোঁজ সাইফুল বিশ্বাস (২৬) রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের হানিফ বিশ্বাসের ছেলে।
এদিকে নিখোঁজের ৬ ঘন্টায়ও সন্ধান না মেলায় স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ছে।
নিখোঁজ সাইফুলের বড় ভাই বাদশা বিশ্বাস জানান, আমরা তরমুজ বিক্রি করে ঢাকা থেকে লঞ্চে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে অজু করতে গিয়ে লঞ্চের পেছন দিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। ঘটনার ৬ ঘন্টা পার হলেও এখনও তার কোন খোঁজ মেলেনি। বাড়ির সবাই খুব কান্নাকাটি করছে। প্রশাসনের কাছে উদ্ধার অভিযান জোরদার করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, রাঙ্গাবালীর নিখোঁজ যাত্রীকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। এছাড়া এ বিষয়ে দশমিনা থানা পুলিশের সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফতুল্লা লঞ্চঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারের চালক নিহত
চাঁদপুরে লঞ্চে ছুরিকাঘাতে যাত্রী নিহত, আটক ৮
নিকলীতে নদীর পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় নদীর পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সিংপুর এলাকায় ধনু নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহমুদুল হাসান (৬) উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতারকান্দি গ্রামের হাদিস মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধানখেতের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে হেঁটে ধনু নদীর পাড়ে চলে যায় মাহমুদুল হাসান। এক পর্যায়ে পা পিছলে নদীতে পড়ে যায় সে। এ সময় একই এলাকার আরেক শিশু ঘটনাটি দেখতে পেয়ে মাহমুদুলের বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহমুদুলের লাশ উদ্ধার করে।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু