মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে খুলনার ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল।
মৃত মাদরাসা ছাত্র ইয়ামিন শেখ (১২) মধুখালী উপজেলার গাজনা এলাকার রাজ্জাক শেখের ছেলে। সে মহম্মদপুর উপজেলার দাতিয়াদহ গ্রামের মামা মুনসুর ফকিরের বাড়িতে লেখাপড়া করত।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদহ গ্রামের মোল্লার ঘাট এলাকায় মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় সে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুর থেকে পরিবার ও স্থানীয়রা নদীতে জাল টেনে ইয়ামিনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু না পেয়ে আজ (শুক্রবার) দুপুর ১২টায় খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল সন্ধান চালায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বাবা স্কুলে পড়াতে চাইলেও মা চেয়েছিলেন ছেলে মাদরাসায় পড়বে। তাই মামাবাড়িতে রেখে মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় ইয়ামিনকে। ভর্তির এক দিন পর মধুমতি নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় সে।
নিখোঁজ ইয়ামিন শেখের মামা মুনসুর ফকির বলেন, বুধবার ভাগনে ইয়ামিনকে বাবুখালী আদর্শ দাখিল মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বাড়ির পাশে মধুমতি নদীতে গোসল করতে নামে ইয়ামিন। একপর্যায়ে সে পানিতে ডুবে যায়।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. মোস্তাইন আলী বলেন, খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আধা ঘণ্টা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।