ব্যবসা-বাণিজ্য
২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
চলতি আগস্টের প্রথম ২৫ দিনে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই সময়ে বাংলাদেশি প্রবাসীরা সরকারি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এক দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
জুলাই মাসে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। সেসময় বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে পরিজনদের জন্য আরও বেশি অর্থ পাঠায়।
গত অর্থবছরের আগস্টে প্রবাসীরা এক দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
ক্রমবর্ধমান আমদানি বিলের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যেও বেসরকারি খাতের অনেক ব্যাংক এখন সরকারি খাতের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স দেশে আনছে।
বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের চেয়ে বেশি হারে ডলার কিনছে, যা তাদের বেশি রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে সহায়তা করছে।
১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক ৩৫৬.২৩ মিলিয়ন ডলার, অগ্রণী ব্যাংক ১১০.১২ মিলিয়ন ডলার এবং সিটি ব্যাংক ১০৯.৪৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
পূবালী ব্যাংক ৫ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৯৫ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার এবং রূপালী ব্যাংক ৯৩ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানি জন্য স্ক্যানার বসানো হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য স্ক্যানার বসানোর কার্যক্রম চলমান আছে। বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানি জন্য স্ক্যানার বসানো হবে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী আটক, ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
রবিবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে যাতে স্ক্যানার বসানো না হয়, এখানে যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া না লাগে সেজন্য সংঘবদ্ধ চক্র জোরালো ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের ডিজিটাল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যা যা করণীয় তা করা হবে। শুধু চট্গ্রাম বন্দর নয়, মোংলা বন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও স্ক্যানার বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে চুক্তি অনুসারে তাদের দেশের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে এবং সেখান থেকে সড়ক পথে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে মালামাল যেতে পারবে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের জাহাজের ট্রায়াল রান হয়েছে। আরও ট্রায়াল হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও আপগ্রেড করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে। অধিক জাহাজ বাড়ার চাপ সামাল দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এস আর ও হয়ে গেলে নিয়মিতভাবে ভারতীয় জাহাজ আসা শুরু করবে।
ভারতের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে পণ্য ভারতের অন্যান্য রাজ্যের পাঠানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছি। আমরা সবসময় মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর বিদেশ নীতি হলো-সকলের সাথে বন্ধুত্ব। সে অনুযায়ি আমরা মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল অপারেশন এবং লজিস্টিকস সাপোর্টে ইউএই’র আগ্রহ প্রকাশ
চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ভোমরা স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ
ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের দাবিকৃত লেবার বিল দিতে রাজি না হওয়ায় ও শ্রমিক কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে স্থলবন্দরে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা জানান, শনিবার অযৌক্তিক দাবিতে হঠাৎ করে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। শনিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে বন্দরে আসা একটি ফলবাহী ট্রাক থেকে কিছু পণ্য অন্য ট্রাকে লোড করছিলেন আন্দোলন না মানা কিছু শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা। এ সময় অপর পক্ষের শ্রমিকরা তাদের ওপর হামলা করেন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দু’জন সদস্য গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার সঠিক বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা কলম বিরতির ঘোঘণা দিয়েছি।
ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের এক পক্ষের নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা পণ্য খালাস বাবদ ট্রাক প্রতি ১২শ টাকা দাবি করে গতকাল কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা আমাদের কিছু শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি ট্রাক থেকে নিজেরাই পণ্য খালাস শুরু করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের বাধা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এজাজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, প্রতি ট্রাক পণ্য খালাসে লেবার বিল বাবদ ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়। তবে শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা ১১শ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছি। ৪টি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে ২টি সংগঠন এটি মেনে নিয়ে গতকাল কাজ শুরু করে। কিন্তু অপর দুটি সংগঠনের শ্রমিকরা ১২শ টাকা দাবি করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে গতকাল বিকালে হঠাৎ করে কিছু শ্রমিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, শনিবার বিকালে বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করে কর্মরত এক পক্ষের শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয় অন্য পক্ষ। ওই ঘটনায় আজ সকাল থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন:বেশি পারিশ্রমিকের চেয়ে ভালো কাজের গুরুত্ব সবসময় বেশি: সুনেরাহ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
ট্রেসেবিলিটি ও রকেট্রি বিষয়ক উদ্ভাবনী আইডিয়ার খোঁজে প্রতিযোগিতা শুরু
কৃষি, চামড়া ও ওষুধ শিল্পখাতে উৎপাদিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য শনাক্তকরণ ও সঠিক সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতে এবং দেশে রকেট্রি গবেষণায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
এটুআই এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘ট্রেসেবিলিটি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ এবং ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত আগ্রহী উদ্ভাবকেরা স্ব স্ব আইডিয়ার প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ দুই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআইয়ের পলিসি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী এবং বেসিসের সহসভাপতি আবু দাউদ খান। এটুআই প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
‘ট্রেসেবিলিটি চ্যালেঞ্জ ২০২২’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় কৃষি, চামড়া ও ওষুধ শিল্পখাতের সাপ্লাই চেইনে জড়িত প্রান্তিক পর্যায়ের অংশীজনদের খুঁজে বের করা এবং এর প্রতিটি পর্যায়ের সম্ভাব্য ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে একীভূত করা যায় এমন পদ্ধতির সন্ধান করা হবে।
যাতে খামার থেকে ভোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছানোর পরিবহন ব্যবস্থার গতিবিধি চিহ্নিতকরণ, অনুসরণ ও শনাক্তকরণ ছাড়াও পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া, মেয়াদোত্তীর্ণসহ সব প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করা সম্ভব হয়। যা ভবিষ্যতে নিরাপদ খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান হয়ে উঠবে।
এই ট্রেসেবিলিটি প্রতিযোগিতায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি অথবা বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক তাদের উদ্ভাবনী সমাধান প্রস্তাবনা আকারে জমা দিতে পারবেন।
অন্যদিকে, রকেট্রি এর প্রতি আগ্রহীদের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করা ও উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে চালু হল ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’। মডেল রকেটের নকশা তৈরি, নির্মাণ এবং উৎক্ষেপণের জন্য নিরাপদ ইকোসিস্টেম তৈরির উদ্দেশ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। যা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের শিক্ষার্থীদের মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী করে তুলবে।
বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এটুআই ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, ‘ব্লকচেইন ও অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনবান্ধব উদ্ভাবনী আইডিয়ার মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাতের উন্নয়নে দেশীয় উদ্ভাবকেরা তাদের প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মহাকাশ গবেষণা এবং ট্রেসেবিলিটি উন্নয়নে দেশীয় উদ্ভাবকদের কাছ থেকে আসা আইডিয়াগুলোর সফল বাস্তবায়ন করতে পারলে ভবিষ্যতে এখাতে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো। এছাড়াও আগামী দিনে নতুন নতুন খাতে এটুআই এধরনের আরও প্রতিযোগিতার আয়োজন অব্যাহত রাখবে, যেখানে দেশের তরুণ উদ্ভাবকেরা তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে আসবেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এটুআইয়ের পলিসি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী বলেন, ‘এধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে আগামীর বাংলাদেশকে বিশ্বমানের প্রযুক্তি তৈরিতে সহায়তা করবে। উদ্ভাবনী আইডিয়া বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে এটুআই পূর্বের চেয়ে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবে। দেশের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের পাশাপাশি একাডেমিয়ার অংশগ্রহণে এমন প্রতিযোগিতা ব্লকচেইন ভিত্তিক মৌলিক কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্পখাতের উন্নয়নে উদ্ভাবনী আইডিয়া বিশ্ববাজারে দেশীয় শিল্পের নতুন বাজার তৈরি করতে সক্ষম হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে আগামীর বিশ্ব সহজ থেকে সহজতর হবে। এ প্রেক্ষাপটে উদ্ভাবনকে অভ্যাসে পরিবর্তনের কাজ করছে এটুআই। উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে পণ্যের ট্রেসেবিলিটি নিশ্চিত করা গেলে মজুদদারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের পাশাপাশি অ্যাকাডেমিয়া, নাগরিক, বাজারকে একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে উদ্ভাবনকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া উদ্ভাবনের প্যাটেন্টের বিষয়েও এটুআই সার্বিক সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন:গ্রামাঞ্চলে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকবে: কৃষিসচিব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার জনাব একেএম এনায়েতুল কবির, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসিম মঞ্জুয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এটুআইয়ের ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট নাঈম আশরাফী এবং দুটি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার ধারণাপত্র উপস্থাপন এবং সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন এটুআই ইনোভেশন ল্যাবের হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল।
অনুষ্ঠানটি সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন বেসিসের পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু। এছাড়া অনলাইন এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই ও বেসিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং উদ্ভাবক যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন:কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
৮ লাখের বেশি কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা
সরকার চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) আট লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে বিদেশে পাঠানোর এবং পাঁচ লাখ ২০ হাজার কর্মীকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এছাড়াও, বৈদেশিক চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে আরও বেশি কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিতে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ সেন্টার চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একটি সরকারি নথি অনুসারে, কর্মীদের দক্ষতা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া ও বিদেশে তাদের আরও ভাল চাকরি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এই লক্ষ্যে, কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মেরিন প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সব ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গত অর্থবছর (২০২১-২২) থেকে জাতীয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা ফ্রেমওয়ার্ক (এনটিভিকিউএফ) এর অধীনে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: দুর্বল ১০ ব্যাংককে রক্ষায় চুক্তি হচ্ছে
বিদেশের শ্রমবাজারে তাদের (বাংলাদেশি শ্রমিকদের) আয় বাড়ানোর জন্য রিকগনিশন অব প্রায়োর লার্নিং (আরপিএল) কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ৪৩টি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে (টিটিসি) বিদেশি ভাষা শেখানোর কোর্স চালু রয়েছে।
এ ছাড়া, অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনার জন্য তিনটি নতুন অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে- ‘এমপ্লয়ি কানেক্টিভিটি রিপোর্টিং সিস্টেম’, ‘অনলাইন গ্রিভেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ ও ‘রিক্রুটিং এজেন্সি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএআইএমএস)’।
প্রবাসী শ্রমিক ও বিদেশ থেকে ফেরত শ্রমিক উভয়ের কল্যাণে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
নিয়মিতভাবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সেক্টরটিকে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল করা হয়েছে। যেমন- কর্মচারী নিয়োগের জন্য পেশাদার ডাটাবেস তৈরি করা; মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভিসা ফরম যাচাই করা; অভিযোগ গ্রহণের জন্য পৃথক পোর্টাল এবং ‘জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’ (বিএমইটি) এর স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম।
দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃসংহতকরণের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম চলছে এবং তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সহজ শর্তে বিনিয়োগ ঋণ প্রদান, প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান এবং প্রতিবন্ধী প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরে আসার সময় চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
সারাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অনুপ্রাণিত করার জন্য পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ৩৬.১০ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে, ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স থেকে আয় কিছুটা কমেছে।
আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে প্রণোদনার হার ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট থেকে ২.৫ শতাংশ করেছে।
এছাড়া সরকার পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্সের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে রেমিটেন্স পাঠানো ব্যক্তিদের উপার্জনের নথি জমা দেয়ার বাধ্যতামূলক বিধান প্রত্যাহার করেছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে শিগগিরই রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক অবস্থায় ফিরে আসবে।
২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসা দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছিল।
এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি দেশের বাইরে বসবাস করছেন এবং কাজ করছেন, যার বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যে বাস করেন। তৈরি পোশাক রপ্তানির পর এটি দেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রাপ্তির খাত।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত বছরই তারা ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে।
বিএমইটি এর মতে, শুধুমাত্র ২০১৯ সালে, সাত লাখেরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে কর্মসংস্থানের সন্ধানে দেশ ছেড়েছেন এবং ৭৩ শতাংশেরও বেশি রেমিট্যান্স উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলভুক্ত দেশসমূহ থেকে পাঠানো হয়েছিল।
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ সরাসরি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য একটি লাইফলাইন হিসেবে কাজ করে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের পরামর্শ মতে, শিক্ষা ও দক্ষতার উন্নতিতে বিনিয়োগ করা উচিত। যাতে স্বল্প-দক্ষ অভিবাসী শ্রমিকেরা আরও বেশি উপার্জন করতে পারে এবং ঋণের চক্র ভেঙে বাইরে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে কাতারের বিনিয়োগ চায় ঢাকা
দুর্বল ১০ ব্যাংককে রক্ষায় চুক্তি হচ্ছে
দেশের পতনমুখী দশটি ব্যাংককে রক্ষায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষরে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে বিভিন্ন অনিয়ম, ঋণ খেলাপি, তারল্য সংকট, অব্যাবস্থাপনা ও অর্থ সরিয়ে নেয়ার তথ্য উঠে আসে ওই ব্যাংকগুলোতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শকরা তাদের প্রতিবেদনে ব্যাংকগুলোর পতনের বিষয়ে সতর্ক করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুল রউফ তালুকদার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে দুর্বল দশটি ব্যাংকের সঙ্গে তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি সম্পন্ন করতে ডেপুটি গভর্নরকে নিযুক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে বিবি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে ‘সমঝোতা চুক্তি’(এমওইউ) সাক্ষর করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কার্যকর পরিকল্পনা মাফিক সরাসরি এই ব্যাংকগুলোকে তদারকি করবেন এবং সংকট থেকে উত্তরণে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় দিবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চারটি নির্দেশকের আলোকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শনাক্ত করেছে- এরমধ্যে বিনিয়োগ পরিচালনা করতে না পারা, মূলধনের ঘাটতি, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার এবং নিয়ম মেনে চলা। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যাংকের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এর আগে সোনালি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বিশেষায়িত দুটি ব্যাংক- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক- এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবুও প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এমনি পরিস্থিতিতে আরও দশটি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিজিএমের মৃত্যু
ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
দেশে কাতারের বিনিয়োগ চায় ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন এবং বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ কামনা করেন।
রবিবার কাতারের শ্রমমন্ত্রী আলী বিন সাঈদ বিন আল সামিক আল মাররি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করার সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় কাতারের শ্রমমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, তার দেশ সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করবে।
আরও পড়ুন:ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ও ক্যাপিটেক পদ্মা পিএফ শরীয়াহ’র ১৫% ও ১২.৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, চাদ ও সুদানে মধ্যস্থতার জন্য কাতারের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাতার সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা কামনা করেন।
কাতারের শ্রমমন্ত্রী করোনা মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।
মোমেন অভ্যন্তরীণ ও বিদেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দক্ষতা উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত উদ্যোগ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে কাতার সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
কাতারের মন্ত্রী কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি কাতারের অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
কাতারের মন্ত্রী আরও বলেন, কাতার আগামী দিনে চিকিৎসা, হসপিটালিটি, ড্রাইভিং ও আইটি খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও স্বল্প দক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে চায়।
আরও পড়ুন:খেলাপি ঋণ রেকর্ড এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা: বিবি
দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লি. এর নতুন নাম ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি
দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান ‘ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড’- তাদের নাম পরিবর্তন করে ‘ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি’- করেছে।
গত এপ্রিল মাসে শেয়ারহোল্ডারগণ বিশেষ এক সভায় কোম্পানির নিবন্ধিত নাম ‘ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড’-পরিবর্তন করে ‘ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি’-করার প্রস্তাবটিতে সম্মতি প্রদান করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিষয়টির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী নাসিমুল বাতেন বলেন ‘ডিবিএইচ এর ব্র্যান্ড ইকুইটির কারণে নতুন এই নাম গ্রাহকদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি আরও সুনির্দিষ্ট করবে এবং প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে তা আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।’
প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ২৫ বছর ডিবিএইচ দেশের আবাসন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা ও রাজশাহীতে কোম্পানির শাখা আছে এবং এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি গৃহঋণ বিতরণ করেছে। ডিবিএইচ দেশের একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে টানা ১৭ বছর সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘ট্রিপল এ’ অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কপোরেশনের মূলধন ও সুযোগ বৃদ্ধিতে বিল পাস
লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ‘নগদ’ এর মধ্যে চুক্তি সই
খেলাপি ঋণ রেকর্ড এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা: বিবি
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে রেকর্ড এক লাখ ২৫ কোটি টাকা।
বড় ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে কিস্তি শিথিল করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের মধ্যেও খেলাপি ঋণের পরিমাণে এই রেকর্ড হলো।
বিবির অস্থায়ী তথ্য অনুসারে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১১ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা এবং শ্রেণিবদ্ধ ঋণের পরিমাণ মোট এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।
বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলি ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে, যার মধ্যে এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা খেলাপি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর অর্থ ৮.৯৬ শতাংশ ঋণ শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে যা দেশে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।
এছাড়া ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুন মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৯০ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘খেলাপিদের জন্য বিশেষ ছাড় বন্ধ না হলে খেলাপি ঋণ কমবে না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, খেলাপিরা এখন ভাবছে ঋণ না দিলে ভবিষ্যতে আরও ছাড় পাব। এই কারণে, যতদিন অব্যাহতি থাকবে, এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।’
মির্জা আজিজ বলেন, ‘খেলাপি ঋণ কমানোর একমাত্র উপায় সুবিধা বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া।’
তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, ‘বাস্তবে, এটি এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার অনেক বেশি। কারণ কিছু তথ্য যোগ করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ঋণ খেলাপি বৃদ্ধি নিয়ে আইএমএফ’র উদ্বেগ
দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীরা ২.০৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ সবচেয়ে বেশি।
ব্যাংকার ও সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই মাসে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদে সাধারণত প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়দের কাছে অতিরিক্ত টাকা পাঠান।
বিবির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
সরকার রেমিট্যান্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। এখন ডলারের দাম বেশি বলেও জানান তিনি।
‘এছাড়া, গত মাসে ঈদুল আজহা ছিল, পরিবারের ঈদ উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপন করতে প্রবাসীরা অর্থ পাঠিয়েছেন। এসব কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে,’ বলেন সিরাজুল।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
করোনা মহামারির ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির কারণে বিমান চলাচলের পাশাপাশি বৈশ্বিক চলাচলের বিধিনিষেধের মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে।
এরপর এরপর ২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আয় ২১.০৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
এই খাতের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোয় উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রেমিটেন্স অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সূত্র জানায়, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী বৈধ কাগজপত্রের অভাবের কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন না।
ফলে তাদের আয় বাংলাদেশে স্বজনদের কাছে পাঠানোর জন্য অবৈধ হুন্ডি ও অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান