মধ্যপ্রাচ্য
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়াল
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গত ১০ অক্টোবর সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও এই সংখ্যা বাড়ছে। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, আর ইতোমধ্যে ধ্বংস্তুপে পরিণত হওয়া গাজা থেকে আরও মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা এখন ৭০ হাজার ১০০।
এদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল।
ওই হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, ৮ ও ১১ বছর বয়সী দুই শিশুর মরদেহ সেখানে আনা হয়। স্থানীয় বেনি সুহাইলায় শরণার্থীদের একটি স্কুলের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হয় ওই দুই ভাই।
তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করে ‘সন্দেহজনক কার্যক্রম’ চালাচ্ছিল এবং সৈন্যদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল—এমন দুই ব্যক্তিকে তারা হত্যা করেছে। বিবৃতিতে শিশুদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া দক্ষিণে পৃথক একটি ঘটনায় তারা আরও একজনকে হত্যা করেছে বলেও উল্লেখ করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ১০ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে নিহত বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয় আলাদা করে উল্লেখ করে না।
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গকারী যোদ্ধারাই তাদের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই পরস্পরকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। শনিবার আবারও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ বন্ধে চাপ প্রয়োগ করতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়ার পর এই সংঘাত শুরু হয়।
তবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতের মাঝে যুদ্ধবিরতি বা অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে প্রায় সব জিম্মি বা তাদের মরদেহ ইসরায়েলে ফেরত গেলেও এখনো দুই জিম্মির মরদেহ (এক ইসরায়েলি ও এক থাই নাগরিক) ফেরত আসেনি। শনিবার রাতে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে আবারও তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছে ইসরায়েলিরা।
৪ দিন আগে
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৬ শতাধিক মৃত্যু, আহত ১৫০০
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের কুনার প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।
স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) এক বিৃবতিতে তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে কুনার প্রদেশে ৬১০ জন এবং পাশের নানগারহার প্রদেশে ১২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দেড় হাজারের বেশি মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দূরত্ব এবং সেখানে পৌঁছানোর অসুবিধার কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বিবিসির এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর থেকে অন্তত আরও তিনটি কম্পন অনভূত হয়েছে। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।
স্থানীয়রা জানান, ভূমিকম্পকেন্দ্রের কাছাকাছি ভূমিধস হয়েছে। এতে অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং উদ্ধারকারীদের জন্য সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে রাশিয়া, জাপানে সুনামি; দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে সতর্কতা জারি
তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, কুনার প্রদেশের নুর গাল, সাওকি, ওয়াতপুর, মানোগি এবং চাপা দারা জেলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, নিহত ও আহতদের সংখ্যা চূড়ান্ত নয়, কারণ কর্মকর্তারা এখনো অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ভূমিধসের কারণে সাওকি জেলার দেওয়া গুল এবং নূর গুল জেলার মাজার দারা যাওয়ার সড়কগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উদ্ধারকারী দলগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, দুঃখের বিষয়, রোববার রাতের ভূমিকম্পে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় কিছু প্রদেশে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তা এবং বাসিন্দারা উদ্ধার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত আছেন। বাসিন্দাদের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
৯৪ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় হুতি প্রধানমন্ত্রী নিহত
ইসরায়েলি বিমান হামলায় হুতি বিদ্রোহীদের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাওয়ি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আহমেদ আল-রাহাওয়িসহ হুতি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন মন্ত্রী ও কর্মকর্তা আহত হয়েছেন জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটড প্রেস (এপি)।
পরে শনিবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে হুতি সরকারের পক্ষ থেকেও এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের পরিচালিত সরকারের বার্ষিক কার্য মূল্যায়নের জন্য আয়োজিত একটি কর্মশালায় এ হামলা চালানো হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে, বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এই হামলার ‘প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেছেন ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মুহাম্মদ আব্দুল করিম আল-গামারি।
বৃহস্পতিবার হুতি-সমর্থিত একটি টেলিভিশন চ্যানেলে গাজায় চলমান পরিস্থিতি ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে গোষ্ঠীটির নেতা আবদুল মালিক আল-হুথির পূর্বে রেকর্ড করা একটি ভাষণ প্রচার করা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়েই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হুতিদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাধারণত এ ধরনের ভাষণ একত্র হয়ে দেখতেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটড প্রেস (এপি)।
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের আবইয়ান প্রদেশের বাসিন্দা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন আল-রাহাওয়ি। ২০১৪ সালে হুতিরা সানা ও দেশটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের একটি বড় অংশ দখল করলে তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেন। এরপর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে হুতি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আল-রাহাওয়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিন উপজাতীয় নেতা এপিকে জানিয়েছেন, সানার দক্ষিণাঞ্চলের বেইত বাওস গ্রামে একটি ভিলায় হুতি নেতাদের বৈঠক চলাকালে ওই হামলা চালায় ইসরায়েল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী সানা এলাকায় ‘হুতি সন্ত্রাসী সরকারের একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে। পরে শনিবারে আরেক বিবৃতিতে আল-রাহাওয়িসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা। নিহত হুতি নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে হুতি-নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানির স্থাপনা ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েল। ২৪ আগস্টের ওই হামলার তিন দিন আগে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল হুতি বিদ্রোহীরা।
মূলত, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে চলাচলকারী ইসরায়েলি ও পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছিল হুতিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইয়েমেনে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯৪ ফিলিস্তিনি নিহত
এরপর এপ্রিলে ইয়েমেনে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় দেশটির সাবা প্রদেশে মার্কিন হামলায় অন্তত ৬৮ জন নিহত ও ৪৭ জন আহত হন।
পরে মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সমঝোতা চুক্তি করে হুতিরা। ওই চুক্তির আওতায়, আকাশপথে হামলা বন্ধের বিনিময়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ করার কথা জানায় তারা।
তবে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন হুতি বিদ্রোহীরা।
৯৫ দিন আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি
গাজায় ৬০ দিনের নতুন যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করতে আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে হামাস।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৭ আগস্ট) কাতার ও মিসর যে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল, সেটি গ্রহণ করেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাস।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ সদস্য বাছেম নাইম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীদের নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস। এর মধ্য দিয়ে গাজার মানুষ সহিংসতা থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়ছে, নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুযায়ী, ৬০ দিনের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মির প্রায় অর্ধেককে দুই দফায় মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেবে ইসরায়েল। একইসঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনাও চলবে বলে জানিয়েছে মিসরের একটি সূত্র।
হামাসের সম্মতির বিষয়টি ইসরায়েলি সরকারও অবগত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির দুই কর্মকর্তা। তবে তারা সিএনএনকে বলেন, সব জিম্মির মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, গাজার পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার শর্তেই কোনো চুক্তি যাবে তেল আবিব।
এমন একটি সময়ে এই প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি এল, যখন গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তির জন্য রোববার সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এসব বিক্ষোভ হামাসের দর কষাকষির অবস্থানকে আরও শক্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জেলেনস্কি চাইলে মুহূর্তেই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন: ট্রাম্প
কাতার ও মিসরের নতুন প্রস্তাবটি গতকাল সোমবার ইসরায়েলের কাছে উপস্থাপনের কথা ছিল। তবে ইসরায়েল আর কোনো আংশিক চুক্তিতে আগ্রহী নয় বলে জানান নেতানিয়াহু।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধ কেবল তখনই শেষ হবে, যখন হামাস একসঙ্গে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে, নিরস্ত্র হবে এবং গাজার সামরিকীকরণ শেষ করতে সম্মত হবে। হামাসের সম্মতির খবর প্রকাশ হওয়ার পর এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাস তীব্র চাপে রয়েছে।’
এদিকে, সম্প্রতি সম্পূর্ণ গাজা উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। গাজায় প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে এই অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।
গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়।
তবে দীর্ঘমেয়াদে দখলে রাখার পরিকল্পনা নেই জানিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা গাজাকে নিজেদের দখলে রাখতে চাই না। আমরা সেখানে একটি নিরাপত্তা বলয় চাই।’
তবে এই পরিকল্পনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনাহারে একের পর এক মৃত্যু ঘটে চলেছে। এ পরিস্থিতি যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধবিরতি আরও ৯০ দিন বাড়ালেন ট্রাম্প
গত জুলাই মাসে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন করে আলোচনা শুরু করতে নতুন এই প্রস্তাব এনেছে কাতার ও মিসর।
সিএনএন বলছে, মিসর ও কাতারের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবটি গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া দুই পর্যায়ের কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে। তার প্রস্তাবের ৯৮ শতাংশই সর্বশেষ প্রস্তাবে বজায় রাখা হয়েছে। ইসরায়েল ওই প্রস্তাবে আগেই সম্মতি দিয়েছিল। মধ্যস্থতাকারীরা হামাসকে প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে চাপ দিয়েছেন।
হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, প্রস্তাবে ১০ জন জীবিত জিম্মি এবং ১৮ জনের মরদেহ হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। এর বিনিময়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি এবং ১৫ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ৬০ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া সব অপ্রাপ্তবয়স্ক ও নারী বন্দিকেও মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক কূটনীতিক বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নয়ন বিবেচনায় উইটকফকে কায়রোয় আসার আমন্ত্রণ জানাবে মধ্যস্থতাকারীরা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই দফা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-মুক্তির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
১০৭ দিন আগে
বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করে ফেলবে, আশঙ্কা সমালোচকদের
অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের এক বিতর্কিত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের কট্টরপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ। তবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের অধিবাসী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা ভুখণ্ডটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) স্মোত্রিচ বলেন, পশ্চিম তীরে বিতর্কিত একটি বসতি স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ এই পরিকল্পনা অনুমোদন পেতে পারে বলে জানান তিনি।
এমন একটি সময়ে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী এই পরিকল্পনার কথা সামনে আনলেন, যখন অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
স্মোত্রিচ বলেন, তাদের প্রকল্পটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিতে পারে।
বিতর্কিত দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা
আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র বিরোধিতার মুখে প্রায় দুই দশক ধরে পূর্ব জেরুজালেম তথাকথিত ‘ই-ওয়ান’ প্রকল্পের কাজ স্থগিত রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ ও বেথেলহেমের সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
শহর দুটির মধ্য আকাশপথে দুরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। তবে ই-ওয়ান প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই দুই শহরের বাসিন্দারা সরাসরি যাতায়াতের সুযোগ হারাবেন। তখন একাধিক চেক পয়েন্ট অতিক্রম করে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে হবে। এতে যাত্রাপথে কয়েক ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লেগে যাবে।
আরও পড়ুন: গাজার ‘পূর্ণ দখল’ প্রস্তাব ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
স্মোত্রিচ বলেন, ‘প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণার কবর রচনা হবে। কারণ, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কিছুই নেই এবং স্বীকৃতি দেওয়ার মতোও কেউ নেই।’
যদি কেউ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায় তাহলে এই ভূমি থেকে তাদের জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১০৯ দিন আগে
শান্তিচুক্তির দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ, আটক ৩২
গাজায় শান্তিচুক্তি ও বন্দিমুক্তির দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে আন্দোলন তীব্র হয়েছে। রবিবার (১৭ আগস্ট) আন্দোলনকারীরা দেশব্যাপী ধর্মঘট পালন করেছেন। এ সময় যানবাহন চলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়; ৩২ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে বন্দি ব্যক্তি ও নিহতদের পরিবারের দুইটি সংগঠন ‘দ্য ডে অব স্টপেজ’ শীর্ষক এই কর্মসূচি আয়োজন করে। কয়েক সপ্তাহ আগে হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের ভিডিও প্রকাশ করেছিল। এদিকে ইসরায়েল গাজা পূর্ণ দখলে সামরিক অভিযান শুরুর পরিকল্পনা জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা করছেন, আবার সংঘাত শুরু হলে হামাসের হাতে থাকা ৫০ জন বন্দির জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তবে অনেকের ধারণা, বন্দিদের মধ্যে মাত্র ২০ জন বেঁচে আছেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘আমরা বন্দিদের মৃতদেহের ওপর যুদ্ধ জিতব না’ সহ নানা স্লোগান দেন।
রবিবার পুরো ইসরায়েলজুড়ে বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলনকারীরা রাজনৈতিক নেতাবৃন্দের বাড়ির সামনে, সামরিক সদর দপ্তর ও প্রধান মহাসড়কগুলোতে সমবেত হন। তারা রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে দেন, এতে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বেশ কিছু হোটেল, রেস্টোরেন্ট ও সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি গোয়েন্দা প্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইসরায়েলের পুলিশ জানিয়েছে, দেশব্যাপী এই কর্মসূচি থেকে ৩২ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে। হামাসের বন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া আরবেল ইয়েহুদ নামের একজন আন্দোলনকারী বলেন, সামরিক চাপ বন্দিদের মুক্তি দেয় না। বরং এটি তাদের আরও মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তাদের ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় শান্তিচুক্তিতে বসা।
তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান নিকট ভবিষ্যতে হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বন্দিদের দ্রুত মুক্তির দাবি করলেও তিনি বিরোধী দলগুলোর চাপের মধ্যে রয়েছেন। নিজের জোটের মধ্যে বিদ্রোহের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বিব্রত। নেতানিয়াহুর মন্ত্রিপরিষদের অতি ডানপন্থী সদস্যরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, তারা হামাসের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি সমর্থন করবেন না।
গাজায় আগ্রাসন শুরুর প্রস্ততি চলছে
এদিকে, ইসরায়েলে আন্দোলনকারীরা যুদ্ধবিরতির দাবি জানালেও গাজার শহর ও অন্যান্য জনবহুল এলাকায় আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ)।
গাজায় মানবিক সাহায্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান কোগাট জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ পুনরায় শুরু হবে। তবে গাজা থেকে বাসিন্দাদের ‘বাধ্যতামূলক সরানোর’ পরিকল্পনা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত
২০২৩ সালে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে আইডিএফ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজায় ৬১ হাজার ৮৯৭ জন নিহত হয়েছে, তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু। রবিবার গাজায় পুষ্টিহীনতার কারণে দুটি শিশু মারা গেছে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৭।
১০৯ দিন আগে
নতুন চুক্তি, সিরিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দেবে তুরস্ক
সিরিয়ার সঙ্গে নতুন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে তুরস্ক। এই চুক্তির আওতায় দেশটিকে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও লজিস্টিক সহায়তা দেবে আঙ্কারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এ তথ্য জানান তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে, সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসের গুলের এবং সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা। এর পরপরই এই সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
গত মাসে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও সেই সুযোগে ইসরায়েলের হস্তক্ষেপের পর নিজ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তুরস্কের সহায়তা চেয়েছিল সিরিয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুরস্কের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, চুক্তির আওতায় সিরিয়ার সঙ্গে নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভাগ করবে আঙ্কারা। সেই সঙ্গে সিরিয়ার সক্ষমতা জোরদারে সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্র ব্যবস্থা ও লজিস্টিক উপকরণ সরবরাহ করে সহায়তা করবে তুরস্ক।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও দক্ষিণ সিরিয়ায় সংঘাতে সহস্রাধিক প্রাণহানি
গত ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরকার গঠিত হয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ চলা দেশটি পরিচালনা করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে সরকার।
সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণ প্রদেশের সোয়েইদাতে একদিকে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বেদুইন জাতিগোষ্ঠীর সংঘর্ষ, অন্যদিকে দ্রুজ সংখ্যালঘুর যোদ্ধাদের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হন।
শুরু থেকে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে সমর্থন করে আসছিল তুরস্ক। এমনকি বুধবার (১৩ আগস্ট) সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নষ্ট না করতে ইসরায়েল ও কুর্দি যোদ্ধাদের সতর্ক করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। পাশাপাশি দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্প্রতিষ্ঠা করতে তুরস্কের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আঙ্কারায় সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিদান আরও বলেন, মার্চে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত হওয়ার কথা থাকলেও মার্কিন মিত্র ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) সেই চুক্তির বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা করছে।
এদিকে, এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর হাসাকেতে একটি সম্মেলন আয়োজন করেন সিরিয়ার বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। সেখানে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নৃগোষ্ঠীগত বহুমতকে নিশ্চিত করে একটি বিকেন্দ্রীভূত দেশ গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ণের আহ্বান জানানো হয়।
তবে এই সম্মেলনের নিন্দা জানিয়েছে দামেস্ক। এমনকি বহুদিন ধরে নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও জুলাইয়ের শেষের দিকে এসডিএফের সঙ্গে প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকও বাতিল করে সিরিয়া সরকার।
১১১ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে একটি তাঁবুতে হামলা চালালে তারা নিহত হন।
আলনজাজিরার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিকরা হলেন— সংবাদদাতা আনাস আল-শরিফ ও মোহাম্মেদ কুরেইকেহ, ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মেদ নৌফাল এবং মোয়ামেন আলিয়া। এ হামলায় পাঁচ সাংবাদিকসহ মোট সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
হামলার সময় তারা হাসপাতালের মূল গেইটের কাছে সাংবাদিকদের জন্য তৈরি করা একটি তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডটি ছিলো প্রেস ফ্রিডমের ওপর আরেকটি স্পষ্ট ও পূর্বপরিকল্পিত হামলা।
এই হামলার কিছুক্ষণ পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাংবাদিক আনাস আল-শরিফকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে। ওই সাংবাদিক হামাসের সন্ত্রাসী সেলের প্রধান হয়ে কাজ করতেন বলে দাবি করেছে তারা। এমনকি তিনি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের ওপর রকেট হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি গোয়েন্দা প্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
এদিকে সাংবাদিকদের ওপরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক সুরক্ষা কমিটি (সিপিজে) বলেছে, আল-শরীফের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল।
সিপিজের প্রধান নির্বাহী জোডি গিন্সবার্গ বিবিসিকে বলেন, ইসরোয়েলের বহু পুরনো কৌশল এটি। যখনই তারা কোনো সাংবাদিককে হত্যা করে, এরপর দাবি তোলে ওই সাংবাদিক সন্ত্রাসী ছিলেন। যদিও এসব দাবির পক্ষে খুব কমই প্রমাণ হাজির করে তারা।
আল-জাজিরার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ মোয়াওয়াদ বলেন, আল-শরীফ একজন সুপরিচিত সাংবাদিক ছিলেন। গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে, তা বিশ্ববাসীর জানার জন্য একমাত্র কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশ করে স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল। ফলে অনেক গণমাধ্যমই স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়েছে।
মোয়াওয়াদ জানান, তারা তাদের তাঁবুতেই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কাভার করছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো গাজার ভেতর থেকে যে কোনো চ্যানেলের সংবাদ পরিবেশন বন্ধ করে দিতে চায় ইসরায়েলি সরকার।
নিহত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে এক্সে (সাবেক টুইটার) আল-শরীফ লিখেছেন, গাজা নগরীর পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল। তার শেষ ভিডিওতে ইসরায়েলের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে অন্ধকার আকাশ মুহূর্তের জন্য কমলা আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে।
বিবিসির যাচাই করে নিশ্চিত করা হামলার পরের দুটি ভয়াবহ ভিডিওতে দেখা যায়, নিহতদের মরদেহ বহন করছেন কয়েকজন।
কারও কারও মুখে শোনা যায় কুরেইকেহ-এর নাম। আর একজন মিডিয়া ভেস্ট পরা ব্যক্তি বলেন, মৃতদেহগুলোর একটি আল-শরীফের।
আরও পড়ুন: শাসক পরিবর্তনে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
এর আগেও গাজায় আল-জাজিরার সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পরে তারার হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেছেন। গত বছরের আগস্টে নিজ গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন সাংবাদিক আল গোল।
সিপিজের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত মাসে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যাপারে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতি দেয় বিবিসি, রয়টার্স, এপি ও এএফপি।
১১৫ দিন আগে
গাজার ‘পূর্ণ দখল’ প্রস্তাব ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সম্পূর্ণ গাজা উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
শুক্রবার ( ৮ আগস্ট) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা যায়। গাজায় প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে এই অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) গাজা দখল অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করবে। এটি গাজা পূর্ণ দখল অভিযানের প্রথম ধাপ হিসেবে ধরা হচ্ছে, যা কয়েকমাস পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিএননের খবর অনুযায়ী, আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বাসিন্দাদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
গাজার ভবিষ্যৎ কী?
এর আগে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়।
তবে দীর্ঘমেয়াদে দখলে রাখার পরিকল্পনা নেই জানিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা গাজাকে নিজেদের দখলে রাখতে চাই না। আমরা সেখানে একটি নিরাপত্তা বলয় চাই।’
নেতানিয়াহু জানান, তিনি গাজার শাসনভার আরব বাহিনীর হাতে তুলে দিতে চান, যারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না। গাজাবাসীকে এই ব্যবস্থা ভালো জীবন দেবে বলে মনে করেন তিনি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, হামাসকে সরানো এবং গাজার মানুষকে মুক্ত করে সমগ্র উপত্যকাকে বেসামরিক শাসনের আওতায় আনতেই আমরা গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে ইচ্ছুক।’
পড়ুন: শাসক পরিবর্তনে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
গাজা দখলের পরিকল্পনায় জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতাদের তীব্র সমালোচনা
এদিকে, জাতিসংঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা ইসরায়েলের নতুন এই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের এই সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের গাজায় গণহত্যা ঠেকানোর আদেশের অবমাননা হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই পরিকল্পনাকে ‘মারাত্মক ভুল’ আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার’ আহ্বান জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের এমন পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
১১৮ দিন আগে
শাসক পরিবর্তনে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
ইসরায়েল পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, তবে দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখতে চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে সরিয়ে গাজার শাসনভার আরব বাহিনীর হাতে তুলে দিতে চান তিনি।
তবে এমন পদক্ষেপের বাস্তবায়ন ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি, বাস্তুচ্যুতি ও গাজায় এখন পর্যন্ত আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেন তিনি।
গাজা পুরোপুরি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, হামাসকে সরানো এবং গাজার মানুষকে মুক্ত করে সমগ্র উপত্যকাকে বেসামরিক শাসনের আওতায় আনতেই আমরা গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে ইচ্ছুক।’
‘আমরা গাজাকে নিজেদের দখলে রাখতে চাই না। আমরা সেখানে একটি নিরাপত্তা বলয় চাই।’
নেতানিয়াহু জানান, তিনি গাজার শাসনভার আরব বাহিনীর হাতে তুলে দিতে চান যারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না। গাজাবাসীকে এই ব্যবস্থা ভালো জীবন দেবে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অনুমোদন পাওয়ার আশা করছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো। তবে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার যেকোনো প্রস্তাবে পূর্ণ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেতে হবে। তবে রবিবারের আগে তেল আবিববের পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক হবার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করবে না হামাস
এদিকে, গত ২২ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে নেতানিয়াহুর নতুন এই পরিকল্পনার খবর আসার পর গাজায় বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে থাকা মাইসা আল-হেইলা নামে এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘দখল করার মতো কিছুই আর বাকি নেই। গাজা বলে কিছু আর অবশিষ্ট নেই।’
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, গাজায় দুই ধাপের একটি অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সেখানকার প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মধ্য গাজায় বেসামরিক অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে এই পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২–এর তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি দখল নিয়ে আশঙ্কায় থাকা সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে এই প্রস্তাবকে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের বদলে সীমিত অভিযান হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবার কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হামাসকে আলোচনায় ফেরাতে চাপ সৃষ্টি করা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা খোলা চোখে ভিয়েতনাম মডেলের দিকে এগোচ্ছি।’
এদিকে, ইসরায়েলের এই পরিকল্পনাকে যুদ্ধবিরতি আলোচনার বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছে হামাস।
হামাস কর্মকর্তা ওসামা হামদান আল জাজিরাকে বলেছেন, গাজা শাসনের জন্য গঠিত যেকোনো বাহিনীকে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত ‘দখলদার বাহিনী’ হিসেবেই গণ্য করবে।
এই পরিকল্পনার বিষয়ে জর্ডানের এক সরকারি সূত্র জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিরা যা চাইবে, আরব দেশগুলো তাতেই সম্মতি দেবে। তাছাড়া গাজার নিরাপত্তা ‘বৈধ ফিলিস্তিনি প্রতিষ্ঠানের’ দ্বারাই পরিচালিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমরা ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছি: ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর আর্তনাদ
নেতানিয়াহু এমন এক সময়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন, যখন গাজা যুদ্ধ থামাতে এবং সেখানে আরও মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি ইতোমধ্যে ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা।
এমন পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকা নিয়ে নেতানিয়াহুর নতুন এই পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, তা-ই এখন দেখার বিষয়।
১১৮ দিন আগে