মধ্যপ্রাচ্য
গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত
মধ্য গাজা উপত্যকার শুহাদা আল-নুসেইরাত স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৯ শিশুসহ অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আরও ৫২ জনের বেশি আহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস।
এক বিবৃতিতে মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, স্কুলটিতে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে; তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নুসেইরাত এলাকায় একটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের ভেতরে তৎপর হামাস জঙ্গিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
‘শুহাদা আল-নুসেইরাত স্কুল নামে পরিচিত একটি কম্পাউন্ডের ভেতরে থাকা কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারটি আইডিএফ সেনা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হচ্ছিল।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলায় ১২০০ জনের মৃত্যু ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারের অভিযান শুরু করে। চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৪২ হাজার ৮৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা দোহায় ফের আলোচনায় বসতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে আল থানি জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর।
তবে আলোচনার দিন-তারিখ স্পষ্ট না করে তিনি বলেন, ‘(যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) কীভাবে অগ্রগতি অর্জন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলও দোহা সফর করবে।’
‘হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করেছেন’ উল্লেখ করে আল থানি বলেন, 'গত কয়েকদিনে তাদের সঙ্গে আমাদের কয়েকটি বৈঠক হয়েছে, কিন্তু (তাদের সঙ্গে) আলোচনা কীভাবে এগোবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৪৮
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আশা করছি, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো শিগগিরই একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসবে।’
সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিকল্প খুঁজছি। (আলোচনায়) হামাস আসবে কি না, তা আমরা এখনও নির্ধারণ করিনি। তবে উভয়পক্ষকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করাই হবে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ।’
২ ঘণ্টা আগে
অ্যারোস্পেস কোম্পানিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করেছে তুরস্ক
আঙ্কারায় তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের (টিইউএসএএস) সদর দপ্তরে হামলা চালানো দুই সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, পুরুষ ও নারী মিলে দুজন ব্যক্তি এ হামলা চালায়। তারা দুজনই নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সদস্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইয়ারলিকায়া জানান, পুরুষ হামলাকারীর নাম আলী ওরেক, যার সাংকেতিক নাম রোজগের এবং নারী হামলাকারীর নাম মাইন সেভজিন আলসিসেকেক।
আরও পড়ুন: তুরস্কে অ্যারোস্পেস কোম্পানিতে হামলায় নিহত ৪, আহত ১৪
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও বিস্ফোরক দিয়ে চালানো ওই হামলায় পাঁচজন নিহত ও ২২ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আটজন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনটিভি।
হামলার পর দেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে তুরস্ক।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলের নিশ্চিত করেছেন, সামরিক বাহিনী উত্তর ইরাকে পিকেকের ২৯টি এবং উত্তর সিরিয়ায় ১৮টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানে মোট ৫৯ জন ‘সন্ত্রাসীকে’ নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন উচ্চপদস্থ সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত পিকেকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে।
২ ঘণ্টা আগে
আরও এক হিজবুল্লাহ নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
বৈরুতে বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান হাশেম সাফিয়েদ্দিন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
তিন সপ্তাহ আগে তার ওপর হামলা করা হয় বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
বৈরুতের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা হামলায় সাফিয়েদ্দিন নিহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহর প্রধান ভূগর্ভস্থ গোয়েন্দা সদর দপ্তর যে ভবনে অবস্থিত সেখানে ওই হামলা চালানো হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলার সময় হিজবুল্লাহর ২৫ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ওই ভবনে উপস্থিত ছিলেন। তারা বেঁচে আছেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: লেবাননে বাড়ছে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি
সাফিয়েদ্দিন সাবেক হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর চাচাতো ভাই। সেপ্টেম্বরে নাসরুল্লাহকে হত্যা করার পর সাফিয়েদ্দিনকেই তার উত্তরসূরি বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
সাফিয়েদ্দিন হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ সামরিক-রাজনৈতিক সংস্থা শুরা কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন, যা গোষ্ঠীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি নির্ধারণ করে থাকে।
সাফিয়েদ্দিনের হত্যাকাণ্ডের ঘোষণার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হারজি হালেভি বলেন, ‘আমরা নাসরুল্লাহ, তার উত্তরসূরি ও হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছি। ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে ওঠা যে কারও কাছে কীভাবে পৌঁছানো যায়, তা আমরা জানি।’
অবশ্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ ঘোষণার বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করেনি।
১ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬
লেবাননের সরকারি বার্তাসংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বালবেকের কেন্দ্রস্থলের নবী ইনাম এলাকার ওই বাড়িতে একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে লেবাননের রেড ক্রস।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
এদিকে, সোমবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাবর্ষণের সময় তারা একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবরের পর দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে এটি গোষ্ঠীটির নবম ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা।
পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সোমবার ইসরায়েলের বেইত হিলেলের মোশাভে ইসরায়েলি আর্টিলারি অবস্থানসহ একাধিক স্থানে রকেট হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
২ দিন আগে
লেবাননে বাড়ছে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি
লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহতের সংখ্যা এবং বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার আগে ওই ব্যাংকের শাখাগুলোর এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার ফলে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
রবিবার রাতে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিমান হামলায় ইউএনএফপিএর (ইউএন পপুলেশন ফান্ড) নারী ও মেয়েদের জন্য তৈরি করা একটি নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রসহ একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে বৈরুত, বেকা ও মাউন্ট লেবাননে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ প্রসূতি সেবাকেন্দ্রসহ ইউএনএফপিএর ১০টি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাতে ২৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। বাস্তুচ্যুত এবং সংঘাতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ।
লেবাননজুড়ে জাতিসংঘ ও তার মানবিক সহযোগীরা সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে ওসিএইচএ।
সোমবার জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও ওসিএইচএর সহায়তায় বালবেক প্রদেশের জাবুলে শহরে ছয় ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী আসে। গত সেপ্টেম্বরের পর লেবাননে এই প্রথম ত্রাণ সামগ্রী এলো। রেডি-টু-ইট খাবারের পাশাপাশি দুই মাসের জন্য ১০০০ লোকের জন্য পর্যাপ্ত খাবার নিয়ে এসেছে এই ট্রাকগুলো।
এছাড়া জাবুলে শহরের তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে পানির বোতল, তোশক, কম্বল, প্রাথমিক চিকিৎসা ও হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়েছে ইউনিসেফ।
লেবাননে প্রায় ১১০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এরই মধ্যে ৯০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় ক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ওসিএইচএ।
বৈরুত ও মাউন্ট লেবাননে সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুতির ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, গত এক বছরে লেবাননের অভ্যন্তরে আট লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে লেবানন থেকে ৪ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে এবং ১৭ হাজার মানুষ ইরাকে গিয়েছে।
২ দিন আগে
লেবাননে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসরায়েলের হামলা
লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আল কার্দ আল হাসানের শাখাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
স্থানীয় আল-জাদিদ টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বৈরুতের দক্ষিণে চিয়াহতে ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দিনের শুরুতেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি হুমকি দিয়ে জানিয়েছিলেন, হিজবুল্লাহর আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৪৮
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাগারি বলেন, 'আমরা শিগগিরই অনেকগুলো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাব।’
তিনি আরও বলেন, হিজবুল্লাহকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে চালানো অভিযানের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে জানায়, তারা হিজবুল্লাহর অর্থের উৎসগুলো ধ্বংস করে দিতে চায়। এজন্য আল কার্দ আল হাসান অ্যাসোসিয়েশনে ওপর হামলা চালানো হবে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ স্থাপনা ত্যাগ করতে এবং এর থেকে ‘কমপক্ষে ৫০০ মিটার’ দূরে চলে যেতে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণে আল কার্দ আল হাসান নামে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষিণ বৈরুতে যেখানে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈরুতে বিমান হামলায় নিহত ২২, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপরও ইসরায়েলের গুলি
৩ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া শহরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার বেইত লাহিয়ার কয়েকটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে আরও কয়েক ডজন আহত বা নিখোঁজ রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
এই হামলার জন্য ইসরায়েল, মার্কিন প্রশাসন এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ সম্পূর্ণভাবে দায়ী বলে মন্তব্য করেছে হামাস।
এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেন, উপত্যকা জুড়ে যুদ্ধ চলতে থাকায় শুক্রবার আরও ২০ হাজার মানুষ উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে লাজারিনি বলেন, সর্বশেষ অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি দেখা গেছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আদ্রেই জাবালিয়া থেকে শত শত বেসামরিক লোককে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় জাবালিয়ায় অভিযান চালিয়ে ১৬২তম ডিভিশন বেশকিছু জঙ্গিকে নির্মূল করেছে এবং বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলায় ১২০০ জনের মৃত্যু ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারের অভিযান শুরু করে। চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৪২ হাজার ৫১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৪ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৪৮
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৪৪৮ জন। আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৭১।
লেবাননের মন্ত্রী পরিষদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত ও ১৩৫ জন আহত হয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকায় ৮২টি জায়গায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েল।
বিশেষ করে দক্ষিণ লেবাননে হামলার মাত্রা বেড়েছে। লেবাননে ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন’ শুরুর পর থেকে এই এলাকায় ১০ হাজার ৪১৫ বার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত জন্য ১ হাজার ৯৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০১টি এরই মধ্যে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা অতিক্রম করেছে।
ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭২ জন সিরীয় নাগরিক এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫ জন লেবাননের নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে লেবাননের জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৪ দিন আগে
নেতানিয়াহুর বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর সিজারিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবন লক্ষ্য করে একটি ড্রোন ছোড়া হয়েছে।
শনিবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই সময় নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সেখানে ছিলেন না। পাশাপাশি ড্রোন হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির দপ্তর।
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা রাশিয়ার
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড্রোনটি সিজারিয়ার একটি বাড়িতে আঘাত হানে।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, একইসঙ্গে ইসরায়েলে ঢোকার সময় আরও দুটি ড্রোন সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।
ড্রোন উৎক্ষেপণের পর মধ্য ইসরায়েলের গ্লিলোট ঘাঁটিতে বিমান প্রতিরক্ষা সাইরেন শোনা যায়। সেখানে অভিজাত সাইবার গোয়েন্দা দল ‘ইউনিট ৮২০০’ এর কার্যালয় অবস্থিত।
৫ দিন আগে