মধ্যপ্রাচ্য
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: পশ্চিমতীরে দখলদারদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট
অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের গ্রামগুলোতে ঢুকে বসতবাড়ি, দোকানপাট, গাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইহুদিরা। এসময়ে গাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিনের শেষভাগে পশ্চিমতীরে হানা দিয়ে সহিংসতায় মেতে ওঠে তারা।এরআগে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আরোপ করা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলা ও সংঘাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ইসরাইলকে উদারভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবারও তাকে ঘিরে যেসব সহযোগী রয়েছেন, তাদের সবারই ফিলিস্তিনে ইসরাইলের অবৈধ বসতিস্থাপনে সমর্থন রয়েছে।নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ট্রাম্পকে ব্যাপক প্রশংসায় ভাসান দখলদার নেতারা। বছরখানেক আগে অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের ওপর যখন বাইডেন নিষেধাজ্ঞা দেন, তখন গাজা যুদ্ধঘিরে ব্যাপক সহিংসতা চলছিল। পরে মৌলবাদী ও কট্টরপন্থি ইসরাইলিদেরও নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এমন খবর দিয়েছে।বাইডেনের নিষেধাজ্ঞাকে ভয়াবহ বিদেশি হস্তক্ষেপ আখ্যায়িত করে ইসরাইলের প্রতি অবিচল ও আপসহীন সমর্থন দেওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মোট্রিচ।পশ্চিমতীরের ৩০ লাখ বাসিন্দাকে এমনিতেই ইসরাইলের প্রকাশ্য সামরিক শাসনের অধীনে বসবাস করতে হচ্ছে। ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডকে ইসরাইলের সঙ্গে একীভূত করতে চান বেজালের মতো উগ্রপন্থি ইসরাইলিরা।তারা গাজা উপত্যকায়ও অবৈধ বসতি নির্মাণ করতে চান। ইসরাইলিদের এই দখলদারিত্বকে অবৈধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। পশ্চিমতীরে পাঁচ লাখ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী আছে, যারা ইসরাইলের নাগরিক।জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান সদস্য এলিস স্টেফ্যানিককে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কংগ্রেসের শুনানিতে তিনি বলেন, ইসরাইলকে বাইবেল অধিকার দিয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করতে।জিনসাফুত ও আল-ফুনদুক এলাকার কর্মকর্তারা বলেন, গেল সোমবার ফিলিস্তিনিদের অন্তত দুটি গ্রামে হানা দিয়ে বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে এবং তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে মুখোশপরা কয়েক ডজন অবৈধ বসতিস্থাপনকারী।তাদের হামলায় আহত ১২ ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসা দিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, ‘হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।’গাজাযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিমতীরে ইসরাইলিদের সহিংসতা বেড়েছে। তবে এসবের সঙ্গে ট্রাম্পের অভিষেকের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা; তা পরিষ্কার না। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জেনিন শরণার্থী শিবিরে প্রাণঘাতী অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল।জিনসাফুত গ্রামের কাউন্সিল প্রধান জালাল বশির বলেন, ‘মুখোশধারীরা তিনটি বাড়ি, একটি নার্সারি ও একটি কাঠমিস্ত্রির দোকানে হামলা চালিয়েছে। এগুলো সবই গ্রামের প্রধান সড়ক লাগোয়া অবস্থিত।আল-ফুন্দুক গ্রামের স্থানীয় কাউন্সিলের প্রধান লাওয়ি তায়েম বলেন, কয়েক ডজন দখলদার এসে গুলি করেছে, পাথর ছুড়েছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছ এবং দোকান ও বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে।‘তারা মাস্ক পরা ছিল, আর হাতে ছিল অগ্নিসংযোগের সরঞ্জামাদি। হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল অনেক বেশি এবং নজিরবিহীন।’
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে রবিবার: কাতার
আগামী রবিবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা একটি চুক্তি অনুমোদন করায় গাজায় যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত হয়। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি সহজ করা। একইসঙ্গে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে দুপক্ষের মধ্যে চলা প্রাঘাতী ও বিধ্বংসী এ যুদ্ধের অবসান।
ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক করে সরকার যুদ্ধবিরতির সময় নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী
সাধারণত জরুরি অবস্থা দেখা না দিলে সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় ইসরায়েলি সরকারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর গত বুধবার প্রাথমিকভাবে তা ঘোষণা করা হয়।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শেষ মুহূর্তের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে হামাসের জটিলতাকে দায়ী করে এটি চূড়ান্ত করতে আরও নেন। এরপর শুক্রবার ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা চুক্তিটি অনুমোদনের সুপারিশ করে এটি এগিয়ে নেয়।
চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গাজায় আটক তিন ইসরায়েলি নারী ও ৯৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ররিবার মুক্তি দেওয়া হবে।
চ্যানেল১২ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন যে, তার দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরাইলে ফের অস্ত্র সরবরাহ শুরু হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা যদি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে না পারি, তবে যুদ্ধের জন্য আমাদের কাছে অতিরিক্ত সরঞ্জাম থাকবে না।’
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুথি
এদিকে চুক্তি লঙ্ঘন না করতে ট্রাম্প ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিলেও দেশটির দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ এই চুক্তির বিরোধিতা এবং চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দাবি করেছেন।
চুক্তি অনুযায়ী এ সময়ে হামাস প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। চুক্তির পূর্ণ শর্তাবলীর প্রতি তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করার একদিন পর শুক্রবার হামাস এ কথা জানায়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৮৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মানুষ বিভিন্ন মৌলিক সহায়তা পেতে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়াদের মধ্যে ৯৪ জন এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যুদ্ধের আগে অপহৃত চার ইসরায়েলি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: জিম্মিদের মুক্ত করতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের
৩ দিন আগে
জিম্মিদের মুক্ত করতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের
দীর্ঘ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর গাজা উপত্যকায় আটক জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি সরকার। স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এই চুক্তিতে দেশটির মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৪ জন মন্ত্রী পক্ষে এবং ৮ জন বিপক্ষে ভোট দেন।
রবিবার(১৯ জানুয়ারি) থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গাজায় আটক তিন ইসরায়েলি নারী ও ৯৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ররিবার মুক্তি দেওয়া হবে।
চ্যানেল১২ এর একটিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৈঠকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরাইলে বন্ধ থাকা অস্ত্র সরবরাহ শুরু হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা যদি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে না পারি, তবে যুদ্ধের জন্য আমাদের কাছে অতিরিক্ত সরঞ্জাম থাকবে না।’ এদিকে চুক্তি লঙ্ঘন না করতে ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্প।
শুক্রবার ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি জিম্মিদের উদ্ধারে চুক্তির পক্ষে ভোট দেওয়ার পর মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হয়।
দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ এই চুক্তির বিরোধিতা করেছেন এবং চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পরে গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দাবি করেন।
চুক্তি অনুযায়ী এসময়ে হামাস প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
চুক্তির পূর্ণ শর্তাবলীর প্রতি তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করার একদিন পর শুক্রবার হামাস এ কথা জানায়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর একটি অভূতপূর্ব আন্তঃসীমান্ত হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করতে অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলে হামাসের ওেই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। আর ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয়েছিল।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৮৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মানুষ বিভিন্ন চাহিদার সহায়তা পেতে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়াদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যুদ্ধের আগে অপহৃত চার ইসরায়েলি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
সূত্র: সিনহুয়া ও অন্যান্য নিউজ এজেন্সি
আরও পড়ুন: গাজায় ১৫ মাসের বিয়োগান্তক উপাখ্যান শেষে যুদ্ধবিরতির বার্তা
৪ দিন আগে
গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুথি
মঙ্গলবার ভোরে মধ্য ইসরায়েলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এসময় সতর্কতামূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলিরা বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। হামাসের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছানো সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় যখন ইসরায়েলি বাহিনী রাতভর ও মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়, ঠিক তখনি হুথিদের এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে একাধিক বাধা দেওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়ে বলেছে যে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘সম্ভবত প্রতিহত করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: হামাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
ক্ষেপণাস্ত্র বা এর ধ্বংসাবশেষ থেকে কেউ আহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা বিভাগ ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় কিছু লোক আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরায়েলি আকাশসীমায় ঢোকার আগেই একটি ক্ষেপণাস্ত্রও প্রতিহত করা হয় বলে জানিয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনের রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণকারী ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ইসরায়েল ও প্রায় ১০০টি বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীরা এখনও সর্বশেষ হামলার দায় স্বীকার করেনি। যা তারা কখনও কখনও কয়েক ঘণ্টা বা দিন দেরি করে।
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় দুই নারী, তাদের চার সন্তান (এক মাস থেকে ৯ বছর বয়সী) এবং এক অনাগত শিশুসহ ছয়জন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এক নারী দুই সন্তানের জননী এবং অন্যজন তার ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে নিহত হয়েছেন।
দেইর আল-বালাহর আল আকসা মার্টারস হাসপাতাল লাশগুলো গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী
১ সপ্তাহ আগে
আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী
নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালামকে লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য সোমবার (১৩ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের ঘোষণা দেন।
প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের পরিচালিত বাধ্যতামূলক পরামর্শ গ্রহণের সময় ১২৮টি সংসদীয় ভোটের মধ্যে সালাম ৮৪টি ভোট পেলে তাকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আউন সালামকে তলব করে তাকে এই দায়িত্ব দেন। তবে সালাম বর্তমানে বিদেশে আছেন এবং মঙ্গলবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
লেবাননের প্রচলিত রাজনৈতিক রীতিনীতির অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পদে ঐতিহ্যগতভাবে একজন সুন্নি মুসলমান আসীন থাকেন। আর প্রেসিডেন্ট সর্বদা একজন ম্যারোনাইট খ্রিস্টান এবং সংসদীয় স্পিকার একজন শিয়া মুসলিম।
১৯৫৩ সালে একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণকারী সালাম একজন সুন্নি মুসলিম। লেবাননের ১৯৭৫-১৯৯০ সালে লেবাননের গৃহযুদ্ধের আগে তার চাচা সায়েব সালাম দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তার চাচাতো ভাই তাম্মাম সালাম ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একই পদে ছিলেন।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ১০৫ বাংলাদেশি
সালাম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে দুটি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে লেবাননের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ১৪ মাস ধরে চলা সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে সালামকে এই নিয়োগ দেওয়া হলো।
সংঘাত-পরবর্তী পুনর্গঠন ছাড়াও দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটসহ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
১ সপ্তাহ আগে
হামাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
দক্ষিণ গাজায় হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হুসাম শাহওয়ানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ গাজার একটি মানবিক অঞ্চলে রাতভর ড্রোন হামলা চলাকালে তিনি নিহত হন বলে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
খান ইউনিসের একটি মানবিক অঞ্চলে থাকা অবস্থায় শাহওয়ানকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ২৯
ওই হামাস নেতা ছাড়াও বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা সিটির পশ্চিমে আল-আইয়ুন ও আল-লাবাবিদি স্টেশনের আশপাশে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, খান ইউনিসের কেন্দ্রস্থলে একটি ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খান ইউনিস পৌর ভবনের ভেতরে অবস্থিত হামাসের কমান্ড সেন্টারে অবস্থান করা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে (ইসরায়েলি) বিমান বাহিনী।
অপরদিকে, হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খান ইউনিসের পশ্চিমে মাওয়াসি এলাকায় (শরণার্থী) তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এই হামলায় গাজার পুলিশ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহমুদ সালাহ ও হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসাম শাহওয়ান নিহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা করে। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
বৃহস্পতিবার গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৫৮১ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের অর্ধের বেশি নারী ও শিশু।
২ সপ্তাহ আগে
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
নতুন বছরের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তিনটি ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বুধবার (২ জানুয়ারি) স্থানীয় কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন।
উত্তর গাজার বিচ্ছিন্ন এলাকা জাবালিয়ার একটি বাড়িতে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটেছে। গেল প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে উপকূলীয় অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাবালিয়া। অক্টোবরের শুরুর দিক থেকে সেখানে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর এপির।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক নারী ও চারটি শিশুসহ জাবালিয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করছে।
আরও পড়ুন: গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত
আল-আকসা মার্টায়ারস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আরেক ইসরাইলি হামলায় এক নারী ও একটি শিশু নিহত হয়েছে।
একটি শিশুর মরদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘আপনারা কী নতুন বছর উদযাপন করছেন? উপভোগ করুন, যখন আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছি। গেল দেড় বছর ধরে আমাদের ওপর দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, রাতে বুরেইজ এলাকা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা করা হয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে সেই জবাব দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় হামলাটি চালানো হয়েছে খান ইউনিসে। এতে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় নাসের হাসপাতাল ও ইউরোপীয় হাসপাতালে তাদের মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ২০০ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরাইলিকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এছাড়া আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃতদের মধ্যে প্রায় ১০০ ইসরাইলি এখনো গাজায় বন্দি আছেন ও তিনজন নিহত হয়েছেন।
এরপর থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৫ জন নিহত
২ সপ্তাহ আগে
বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী আহত হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস দেশ ছেড়েছেন।
হামলার পর সরিয়ে নেওয়া আহত কর্মীর কথা উল্লেখ করে তেদ্রোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা এখন জর্দানে রয়েছি। সেখানে তাকে আরও চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) টেড্রোস ও জাতিসংঘের অন্য কর্মকর্তারা যখন ইয়েমেন ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
হুথিদের হাতে আটক জাতিসংঘের ১৩ কর্মীর মুক্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিতে দেশটিতে যাওয়া টেড্রোস এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সব জায়গায় বেসামরিক নাগরিক ও মানবতাবাদীদের ওপর হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের মূলে লিঙ্গ বৈষম্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ইরানি অস্ত্র চোরাচালানে ব্যবহৃত হুথিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বিমান হামলায় হতাহতের কথা জানিয়ে বলেছে, এতে বিমানবন্দর ও অন্যান্য স্থানের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পুরো পরিমাণ এবং হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
৩ সপ্তাহ আগে
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ কর্মকর্তা নিহত, আহত ১০
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় দেশটির বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তারতুস প্রদেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল রহমান।
স্থানীয় আল-ওয়াতান সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে মন্ত্রী হামলাকারীদের সাবেক আসাদ সরকারের 'অংশ' বলে বর্ণনা করেছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত কর্মকর্তারা নিরাপত্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা দেশটিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
বুধবার, আলেপ্পোতে আলাউয়ি উপাসকদের দ্বারা সম্মানিত একটি মাজারে কথিত হামলার একটি ভিডিও প্রচারিত হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং জবাবদিহির আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা।
বেশ কয়েকটি প্রধানত আলাউয়ি অঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রদায়ের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে নতুন কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মীয় প্রতীক রক্ষায় যথেষ্ট কাজ করছে না।
এদিকে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই ধরনের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ছিল এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে, পতিত সরকারের অবশিষ্টাংশগুলো বিভেদ ছড়াতে সাম্প্রদায়িক উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় এক সপ্তাহে নিহত অন্তত ৩৭০: জাতিসংঘ
৩ সপ্তাহ আগে
গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত
গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গাজার দারাজ তুফাহ জেলার শাবান আল-রইস ও আল-কারামা স্কুলে এ হামলা চালানো হয়।
স্কুল দুটিতে হামলার দায় স্বীকার করে ইসরায়েল বলেছে, ওই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ভেতরে কমান্ড সেন্টার পরিচালনা করত হামাস। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি তারা।
হামলার পর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি গাধার গাড়িতে করে এক ব্যক্তির মাথাবিহীন লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হতাহতদের স্থানীয় আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া দুই হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স।
ইসরায়েলি হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার পর হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বর্তমানে গাজা সিটিতে আশ্রয় নিয়েছে।
১ মাস আগে