সিনেমা
ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই: ফারুকী
প্রায় চার বছর আগে ‘শনিবারের পাখি’ নির্মাণ করেছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সিনেমার চিত্রনাট্য গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা অবলম্বনে তৈরি। নির্মাণ শেষ হলে সিনেমাটি সেন্সরের জমা দিলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এমনকি সেন্সর বোর্ড ‘শনিবারের বিকেল’কে নিষিদ্ধ করে।
তবে থেমে যাননি ফারুকী। এ নিয়ে আপিল করেছিলেন তিনি। সেই সময় পেরিয়েছে প্রায় ৩ বছর। এখনও তার কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে ‘শনিবারের বিকেল’-এর মুক্তি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমা সংশ্লিষ্ট অনেকেই পোস্ট করেছেন।
(৭ আগস্ট) ফারুকী তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসের এক অংশে লেখেন, ‘আমরা ফুল, পাখি, লতা, পাতা নিয়া ছবি বানাইলে ঠিক আছে! এমন কিছু বানানো যাবে না যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়। কিন্তু আমিতো চিরকাল সেইসব গল্পই বলে আসছি যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়, সেটা প্রেমের গল্পই হোক আর রাজনীতির গল্পই হোক। আমি তো অন্য কিছু পারি না। তাহলে পাখি সব যে রব করবে, সেটা কি নতুন সুরে করতে হবে? নতুন সুর শিখতে হবে?’
ফারুকী আরো কয়েকটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ‘শনিবারের বিকেল’ প্রসঙ্গে তুলে এনেছে। তিনি (৮ আগস্ট) লিখেছেন, ‘আমার কত রাত গেছে অনিদ্রায়। কত দিন গেছে ক্ষমতাবানদের দুয়ারে হাত মুছতে মুছতে। কত দুপুর গেছে রাগে অন্ধ হয়ে। কত বছর গেছে নিজের চিৎকার নিজেই গিলে ফেলে। ধন্যবাদ, হে রাষ্ট্র! ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই। সুতরাং, ঠিকই আছে।’
ফারুকী তার নির্মিত কয়েকটি সিনেমার কথা উল্লেখ করে আরো লেখেন, ‘তোমাকে ধন্যবাদ, আমাকে ঠিকঠাক সাইজ করার জন্য। ব্যাচেলরের সময় তুমি ভাবছো আমার ছবি সমাজ নষ্ট করে ফেলবে! মেড ইন বাংলাদেশে ভাবছো এই ছবি দেশ ধ্বংস করবে! সুতরাং দেড় বছর সেন্সর জেলে রাখছো! ঠিকই আছে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলারের জন্য সেন্সরের জেলটা একটা বোধ হয় কম হয়ে গেছিলো। অপরাধ বিবেচনায় ঐ ছবি আটকে রাখা উচিত ছিলো তিন বছর। যাই হোক শনিবার বিকেলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। উঠতে বসতে এইভাবে পিটিয়ে ছাল তোলার জন্য কৃতজ্ঞ।’
স্ট্যাটাসের শেষে ফারুকী লেখেন, ‘কিন্তু এইভাবে বোধ হয় পুরোপুরি হবে না। কারন একটা ছবি ভাবা হয়ে গেলে তো সেটা দুনিয়াতে এগজিস্ট করে গেলো। বানানো হলে তো আরো শক্ত ভাবে এগজিস্ট করলো। আজ হোক কাল হোক সেটা তো দেখে ফেলবে মানুষ। তাই বলি কি এমন কিছু একটা করো যাতে ভাবনাটাও বন্ধ করে দেয়া যায়। এমন ওষুধ আবিষ্কার করো, হে রাষ্ট্র, যাতে কারো মনে ক্ষোভ জন্ম না নেয়! কারন সম্মিলিত ক্ষোভের চেয়ে বিধ্বংসী কোনো অস্ত্র নাই! আরো খেয়াল রাখতে হবে ক্রমাগত চাপে এই ক্ষোভ যেনো ঘৃণায় রূপ না নেয়। কারন কে না জানে ঘৃণার চেয়ে বড় কোনো মারনাস্ত্র নাই।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবারের বিকেল’-এ অভিনয় করেন বাংলাদেশ থেকে জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী। এছাড়াও রয়েছেন ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি ও ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানি।
পড়ুন: ২৫০ বছর ধরে ‘কারাগার’-এ চঞ্চল চৌধুরী
লুঙ্গি পরা দর্শক সামান আলী সরকারকে আমন্ত্রণ জানাল স্টার সিনেপ্লেক্স
লুঙ্গি পরা দর্শক সামান আলী সরকারকে আমন্ত্রণ জানাল স্টার সিনেপ্লেক্স
সামান আলি সরকার লুঙ্গি পরে ‘পরান’ সিনেমা দেখতে হাজির হয়েছিলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের মিরপুর সনি স্কয়ার শাখায়। এ কারণে তার কাছে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়নি। যদিও পরবর্তীতে হল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।এবার সামান আলি সরকারকে তার পরিবারসহ স্টার সিনেপ্লেক্স আমন্ত্রণ জানায়। মিরপুরে সনি স্কয়ার শাখায় তারা 'পরান' সিনেমাটি উপভোগ করেন। তাদের ছবি প্রকাশ হয়েছে প্রেক্ষগৃহটির ফেসবুক পেইজে। যেখানে তারা লিখেছে, সম্পূর্ণ স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবারের পক্ষ থেকে সামান আলি সরকার এবং তাঁর পরিবারকে আমাদের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। আপনাকে খুশি করতে পেরে আমরা আনন্দিত।বিষয়টি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, প্রকৃত অর্থে, স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে দর্শকদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে এমন কোন নিয়ম-নীতি নেই। আমরা মনে করি, সকলেরই সিনেমা দেখার অধিকার রয়েছে। এখানে কোন বৈষম্য নেই। দর্শকদের সিনেমা দেখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাএবং সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে সুন্দর ও আনন্দময় করতে আমরা সবসময় সচেষ্ট।তিনি আরও লেখেন, পোশাক দর্শকদের একান্তই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। এক্ষেত্রে আমাদের কোন বিধি-নিষেধ নেই। তাই লুঙ্গি পরে আসা দর্শকের টিকেট না পাওয়ার ঘটনাটি নিতান্তই ভুল বোঝাবুঝির ফলাফল, যা আমাদের জন্য বিব্রতকর ও দুঃখজনক। আমরা এরইমধ্যে উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে উনাকে ও উনার পরিবারসহ স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবি দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। উনি আমাদের কথা রেখেছেন ও আজ সন্ধ্যায় তিনি তার পরিবারসহ স্টার সিনেপ্লেক্সের মিরপুর সনি স্কয়ার শাখায় ‘পরাণ’ ছবিটি দেখছেন।এই ঘটনার কথা প্রকাশের পর 'পরান' সিনেমার নায়ক-নায়িকা ও পরিচালকসহ অনেকেই এর প্রতিবাদ করেছেন। এমনকি বিদ্যা সিনহা মিম ও শরিফুল রাজ দর্শক সামান আলি সরকারের সঙ্গে সিনেমাটি দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: লুঙ্গি পরা দর্শকটির সঙ্গে ‘পরান’ দেখবেন মিম
‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
লুঙ্গি পরা দর্শকটির সঙ্গে ‘পরান’ দেখবেন মিম
লুঙ্গি পরে এক দর্শক ‘পরান’ সিনেমা দেখতে হাজির হয়েছিলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের মিরপুরে সনি স্কয়ার শাখায়। এ কারণে তার কাছে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়নি।
খবরটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেন ‘পরান’-এর নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। তিনি দর্শকের ছবিটি প্রকাশ করেন লেখেন, ‘এই বৃদ্ধ বাবার সন্ধান দিতে পারবেন কেউ? আমাকে শুধু ইনবক্সে তার নাম্বার বা ঠিকানা ম্যানেজ করে দিন প্লিজ। আমি নিজে তার সাথে বসে পরাণ দেখব। আমরা ছবিটা দেখব, বাবা-মেয়ে গল্প করব। আমাকে কেউ একটু যোগাড় করে দেন প্লিজ। উনি লুঙ্গি পড়েই পরাণ দেখবে আমার টিম সহ।’
অন্যদিকে এমন ঘটনায় দুঃপ্রকাশ করেছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা জানাতে চাই, আমরা গ্রাহকদের সাথে কোনো কিছুর উপর ভিত্তি করে বৈষম্য করি না। আমাদের সংস্থায় এমন কোনো নিয়ম বা নীতি নেই যা একজন ব্যক্তিকে লুঙ্গি পরার কারণে টিকিট কেনার অধিকারকে অস্বীকার করবে। আমরা জানাতে চাই, আমাদের সিনেমা হলে সবাই নিজেদের পছন্দের সিনেমা দেখার জন্য সবসময় স্বাগতম।’
তারা আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ঘটনাটি সম্ভবত একটি দুর্ভাগ্যজনক ভুল বোঝাবুঝির ফলাফল। আমরা এই ঘটনাটি ঘটতে দেখে গভীরভাবে দুঃখিত এবং আমাদের নজরে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা, স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবার, আমাদের গ্রাহকদের সেরা সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই ভদ্রলোককে তার পরিবারের সাথে আমাদের সনি স্কয়ার শাখায় ‘পরাণ’ দেখার জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাই।
স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, তার ঘটনার তদন্ত্য করছে। এমন ঘটনা যেন কখনও না ঘটে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
ভিডিও নিয়ে বিতর্কের জবাব দিলেন তুষি
অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
বাংলাদেশি নির্মাতা আহমেদ তাহসিন শামস নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দেহস্টেশান’ মুক্তি পেয়েছে আন্তর্জাতিক ওটিটি প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে। জুলাই থেকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের জন্য মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
নির্মাতা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের দর্শকদের জন্যও উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।
সামাজিক বিয়োগাত্মক ঘরানার চলচ্চিত্রটিতে একজন যৌনকর্মী ও তার সন্তানের জীবন সংগ্রাম ও সমাজ বাস্তবতায় তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে যাত্রার পরিণতির চিত্রও ফুটে উঠেছে।
চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী মৌমিতা মিত্র। আরও রয়েছেন বাংলাদেশের শাহাদাত হোসাইন, প্রয়াত এস এম মোহসিন, হোসাইন মোহাম্মদ বেলাল, আহমেদ রানা, মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, ফারহানা ইভা, সৈকত সিদ্দিকি প্রমুখ।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি না পেলেও চলচ্চিত্রটির গান ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ইউটিউবে। চলচ্চিত্রটিতে ব্যবহৃত গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী, তানজির তুহিন, শামায়লা বেহরোজ রহমান, নশিন শর্মিলি। সংগীত পরিচালনা করেছেন নীল কামরুল।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে নির্মাতা আহমেদ তাহসিন শামস বলেন, নীরিক্ষাধর্মী সিনেমাটি গল্প, চরিত্রায়ণ ও অভিনয়শিল্পীদের সংলাপে চরিত্রের অস্তিত্ব সংকটটি ফুটিয়ে তুলেছি কিছুটা উত্তরাধুনিকরূপে। যৌনকর্মীদের জীবনের বিষন্নতা ফুটিয়ে তুলতেই এর রং রাখা হয়েছে সাদা কালো। আমাদের দেশীয় বাস্তবতায় প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের কথা ভাবিনি। তাই এটি মুক্তি পেল আন্তর্জাতিক এ প্লাটফর্মটিতে। আশা করছি বিশ্ব চলচ্চিত্রের দর্শকদের পাশাপাশি দেশের দর্শকরাও চলচ্চিত্রটি শিগগিরই উপভোগ করবেন।
অভিনেত্রী মৌমিতা মিত্র মনে করেন, আমার চরিত্রটি এমন যে সে কখনো স্নেহময়ী মা, পতিতা এবং বড় বোন। প্রতিটি চরিত্রই এত স্বতন্ত্র ছিল যে, বিশ্বাসযোগ্যভাবে চরিত্র ফুটিয়ে তোলা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবেই চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিককালে ইউটিউবে ঝড় তোলা জনপ্রিয় সব বাংলা নাটক
ভিডিও নিয়ে বিতর্কের জবাব দিলেন তুষি
‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমার জোয়ারকে আরও উত্তাল করে দিয়েছে ‘হাওয়া’। মুক্তির আগে থেকেই এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার শুরু হয় সিনেমার 'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি দিয়ে।
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ সিনেমার এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এরফান মৃধা শিবলু। যদিও তা ছিল পুরোটাই কাকতালীয়। 'সাদা সাদা কালা কালা' গানের কারিগর হাশিম মাহমুদ। ইউএনবির সঙ্গে শিবলুর সাক্ষাতকারের প্রসঙ্গে শুরু হলো এই মানুষকে নিয়েই।
আরও পড়ুন: অনেকবার বাধার মুখে পড়েছি কিন্তু হাল ছাড়িনি: বান্নাহ
শিবলু বলেন, 'সাদা সাদা কালা কালা' এখন গণমানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেও এটি কিন্তু অনেক আগেই এক কনসার্টে গেয়েছেন। তখন আমি অল্প বয়সী। টিএসসির এক কনসার্টে হাশেম ভাই কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ছাড়া গানটি গেয়েছিলেন। হাশিম ভাইকে আমি চিনি অনেক দিন। বিখ্যাত হওয়ার মানসিকতা তার কখনও ছিল না। তার ইচ্ছা প্রকৃতির মধ্যে ঘুরে বেড়ানো, মানুষের সঙ্গে মেশা। খুবই সরল মানুষ হাশিম ভাই।
গানটি সিনেমায় যুক্ত করার যেই পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন, তার শুরু থেকে শেষ অবদি ছিলেন এরফান মৃধা শিবলু। যেহেতু সিনেমার গল্প সমুদ্র ও জেলেদের নিয়ে গড়ে উঠেছে, তাই এক ফিশিং বোটে তিন দিনের জন্য গভীর সমুদ্রে পরিচালক সুমনের সঙ্গে যান শিবলু। দেখেন ৫০ ফুট একটি নৌকায় ২০-২৫ জন জেলে থাকেন। সেখানেই মাইজ ভাণ্ডারির একটি নৌকা ছিল, তাতে হারমোনিয়াম দেখতে পান তারা। যেখান থেকে একটি গানের পরিকল্পনা আসে নির্মাতার মাথায়। সেখান থেকেই নির্বাচিত হয় হাশিম মাহমুদের গানটি।
'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি হাশিম মাহমুদের কণ্ঠেই রেকর্ড করা কথা ছিল শুরুতে। কিন্তু তার অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। গানটি পরবর্তীতে তৈরি প্রসঙ্গে শিবলু বলেন, গানটি নির্বাচনের পর সুমন ভাই সঙ্গীতায়োজনের দায়িত্ব দেন ইমন চৌধুরীকে। আর এর সঙ্গে বলেন দেন যে গানটিতে যেন খমক ছাড়া আর কোনো বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার না করা হয়। সেই চিন্তা থেকে ইমন যুক্ত করেন মাছ ধরার ট্রলারে অনেক ধরনের জিনিসপত্র। তেলের ড্রাম, প্লাস্টিক বল, মগ, বাঁশ, লাঠি ও টিনের অনেক কিছু দিয়ে সাউন্ড তৈরি করে গানে ব্যবহার করা হয়েছে। আর এর অন্যতম কারিগর মিঠুন চাকরা।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা
'সাদা সাদা কালা কালা' দিয়ে অনেকদিন পর সিনেমার কোনো গান এতটা আলোচনায় এসেছে। তবে অনেকের ধারণা এর পেছনে সিনেমাটির প্রচারণা ধরন। কিন্তু এমনটা একদম মনে করেন না এরফান মৃধা শিবলু।
শিবলু বলেন, আমি শুরুতে বলেছি এই গান দিয়ে বহু বছর আগে টিএসসির কনসার্টে মানুষের মন জয় করেছেন। আসলে গানটিই এমন। এছাড়া হাশিম ভাইয়ের লেখা এই গানের কথা-সুর খুবই সরল। এছাড়া গানটির সঙ্গীতায়োজনও ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। রিদম এতটাই সহজ যে, কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই কণ্ঠে তুলে ফেলতে পারেন।
'সাদা সাদা কালা কালা' গাওয়ার পাশাপাশি সিনেমায় গানটির দৃশ্যে ছিলেন এরফান মৃধা শিবলু। তবে একটি বিষয় হয়তো অনেকের অজানা, পুরো সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পেছনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
গানটি প্রসঙ্গে শেষ কথা বলতে গিয়ে শিবলু আবারও বলেন হাশিম মাহমুদকে নিয়ে। জানান, গানের এই গুণী কারিগরকে আবারও ফিরে পেতে চান তারা। তাকে সুস্থ করে তুলতে নিজেদের উদ্যোগও রয়েছে। এমন একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলোয় আরও আলোকিত হওয়া যে এখনও বাকি।
‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
গত কয়েক বছর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে যে হতাশার বাতাস বইছিল তা অনেকটা কেটে যায় এ বছর রোজার ঈদের মধ্য দিয়ে। অনেকদিন পর বাংলা সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ ফিরে আসে। কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পরান’ দিয়ে উন্মাদনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
ঈদের রেশ কাটতেই দর্শক মেতে ওঠে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ নিয়ে। বাংলা সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে এমন উন্মাদনা চোখে পড়ল বহু বছর পর। সারা দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘হাওয়া’। আর প্রথম দিনেই সব শো হাউজফুল।
মুক্তির প্রথম দিন সিনেমা হলে ঘুরছেন ‘হাওয়া’র কলাকুশলিরা। দুপুরে শো দেখতে স্টার সিনেপ্লেক্সে উপস্থিত হয় চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন, সোহেল রানা মন্ডল সহ সংশ্লিষ্ট অনেকে।
দেশব্যাপী এমন উন্মাদনার জন্য দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান চঞ্চল চৌধুরী।
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এই সফলতা পুরোটা দর্শকদের ভালোবাসা। সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে হাউজফুলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটা আসলে চিন্তাতেও ছিলা না। প্রথম দিনই আমাদের সময়টাকে এতো সুন্দর করে দিয়েছেন।’
চঞ্চল আরও বলেন, ‘কাজটি করতে আমরা কতটা কষ্ট করেছি সিনেমাটি দেখলে দর্শক বুঝবেন। সেই কষ্টের কাজটি দর্শক স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে দেখছেন। এর চাইতে বড় কোনো পাওয়া আর হয় না। বাংলা সিনেমার পাশে এভাবে দর্শক থাকলে আমরা আরও এগিয়ে যাব।’
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও সিনেমাটি নিয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাসের কথা সাংবাদিকদের জানান ‘হাওয়া’ টিমের অনেকে।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
সত্য ঘটনা অবলম্বে ‘তনয়া’
বলিউড: ক্যাটরিনা কাইফ ও ভিকি কৌশলকে হত্যার হুমকি!
বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অন্যতম অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ ও তার স্বামী- অভিনেতা ভিকি কৌশলকে ইনস্টাগ্রামে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছে।এরপরই এই সেলিব্রিটি দম্পতি পুলিশের কাছে নিজেদের জীবনের সুরক্ষা চেয়েছেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘দুই অভিনেতার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছি।’
গত বছরের ডিসেম্বরে গাঁটছড়া বাঁধেন ক্যাটরিনা ও ভিকি কৌশল।
বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনো অতিথিকে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া না হলেও সন্ধ্যায় নব দম্পতি হিসেবে তার ও ভিকির প্রথম ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন ক্যাটরিনা।
ছবি শেয়ার করে ক্যাটরিনা লেখেন, ‘সব কিছুর জন্য আমাদের হৃদয়ে শুধু ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা যা আমাদের এই মুহূর্তে নিয়ে এসেছে। একসঙ্গে এ নতুন যাত্রা শুরু করায় আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই।’
আরও পড়ুন: অবশেষে বিয়ে করলেন ক্যাটরিনা-ভিকি
হংকং-এ জন্মগ্রহণকারী ক্যাটরিনা কাইফ মডেল হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। এই অভিনেত্রী ২০০৩ সালে অ্যাকশন ফিল্ম ‘বুম’- দিয়ে তার বলিউড যাত্রা শুরু করেন, যদিও ছবিটি ফ্লপ হয়েছিল। দুই বছর পর তিনি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়ুন কিয়া’- নামের রোমান্টিক কমেডি ঘরানার ছবি দিয়ে বাণিজ্যিক ধারায় সাফল্য অর্জন করেন।
এরপর তার হিট ছবির তালিকায় আছে- ‘নমস্তে লন্ডন’ (২০০৭), ‘নিউ ইয়র্ক’ (২০০৯), ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’ (২০০৯),‘রাজনীতি’ (২০১০), ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ (২০১১), ‘এক থা টাইগার’ (২০১২), ‘ধুম ৩’ (২০১৩) ও ‘ব্যাং ব্যাং’ (২০১৪)।
ক্যাটরিনার অন্যান্য সর্বোচ্চ আয়কারী বলিউড ছবি হল ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ এবং ২০১৯ সালে ‘ভারত’। এই দুই ছবিতেই তার সহ-অভিনেতা ছিলেন সালমান খান।
তার শেষ অ্যাকশন ছবি ছিল ‘সূর্যবংশী’,এ ছবিতে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন অক্ষয় কুমার ও অজয় দেবগন।
অন্যদিকে, অ্যাকশন ডিরেক্টর শাম কৌশল ও তার স্ত্রী বীনার ঘরে জন্মগ্রহণকারী ভিকি ২০১২ সালে ক্রাইম ড্রামা ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’-চলচ্চিত্রে নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপের সহকারী পরিচালক হিসেবে বলিউডে পা রাখেন।
মূল চরিত্র হিসেবে তার প্রথম কাজ ছিল ২০১৫ সালে প্রচারিত নাটক ‘মাসান’।
কিন্তু ভিকি ২০১৮ সালে ‘রাজি’ ও ‘সঞ্জু’-র মতো দুটি হিট ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে লাইমলাইটে আসেন।
এর এক বছর পর অ্যাকশন ফিল্ম ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ একজন সামরিক অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: ক্যাটরিনার বিয়েতে প্রাক্তন প্রেমিক সালমান ও রণবীরকে 'নিমন্ত্রণ করা হয়নি'
বলিউড: আইসোলেশন জীবনে স্যোশাল মিডিয়ায় সরব ক্যাটরিনা
বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা
বিয়ে করেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। পারিবারি সম্মতিতে গত ২৭ মে পাত্র আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঢাকাই সিনেমার এই তারকা। পূর্ণিমা নিজেই গণমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আশফাকুর রহমান রবিন দেশের একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পড়াশোনা করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে এই দম্পতি রাজধানীতে একসঙ্গে থাকছেন।
আরও পড়ুন: ফের শাকিব-পূজা জুটি
জানা গেছে, কাজের মধ্য দিয়েই পূর্ণিমা ও রবিনের পরিচয়। পরবর্তীতে বন্ধুত্বে রূপ নেয় তাদের সম্পর্ক। সেখান থেকে প্রেম এবং অবশেষে বিয়ে।
২৭ মে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে পরিবারের অনেকের বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে খবরটি বাইরে প্রকাশ করেননি পূর্ণিমা। তবে শেষ পর্যন্ত ভক্তদের সঙ্গে নিজের সুখবরটি ভাগাভাগি করে নেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
তাছাড়া সবকিছু ঠিক থাকলে বছরের শেষে পূর্ণিমা ও রবিনের বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সত্য ঘটনা অবলম্বে ‘তনয়া’
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে ইমরাউল রাফাত নির্মাণ করেছেন চরকি ফ্লিক ‘তনয়া’। ২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় মুক্তি পাবে কনটেন্টটি। তনয়া মূলত একটি মেয়ের সমাজ বাস্তবতার ভয়ংকর প্রভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাওয়ার গল্প। নাম চরিত্রে দেখা যাবে মাখনুন সুলতানা মাহিমাকে।
‘তনয়া’ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মাখনুন সুলতানা মাহিমা বলেন, ‘প্রথমে তনয়া-র গল্প শুনেই আমি খুব অবাক হয়েছি এটা ভেবে যে, এটা একটা সত্যি ঘটনা। একটা মেয়ের জীবনে এরকম অঘটন ঘটে গেছে। বর্তমানে কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা খুব সহজেই জাজ করে ফেলি। কিন্তু সেই ঘটনার সত্যটা আমরা কেউ যাচাই করতে যাই না।’
পরিচালক ইমরাউল রাফাত বলেন, ‘তনয়া-র গল্পটা একটা আড্ডায় শোনা। পরিচিত একজনের কাছ থেকে। হঠাৎ করেই আমি পুরো গল্পটা শুনতে আগ্রহী হই। আমরা নরমালি যে ফরম্যাটে যাই, একটা গল্প লিখে রাখা, কোথাও প্রোপজাল হিসেবে জমা দেয়া; এই গল্পের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি। গল্পটা মাথাতেই ছিল।’
ইমরাউল রাফাত আরও বলেন, ‘ঘটনাচক্রে চরকির সঙ্গে গল্পটা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে সত্য ঘটনা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার জন্য সব সময় ভালো। কারণ জীবনঘনিষ্ঠ অনেক কিছু পাওয়া যায়। বাবু ভাই ও মাহিমাসহ যারা অভিনয় করেছেন, সবাই দুর্দান্ত কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে আমার টিমের সবাই অনেক চেষ্টা করেছেন কনটেন্টটি ভালোভাবে শেষ করার। সেক্ষেত্রে তনয়া আমার খুব কাছের একটা প্রডাকশন।’
‘তনয়া’-তে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, এস এস জায়ান, শামীমা নাজনীনসহ আর অনেককেই।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি
এবার ঈদের শাকিব খান অভিনীত কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। তবে সেই অপূর্ণতা কিছুটা হলেও ঘুচলো নিউইয়র্কে এই ঢালিউড তারকার ‘গলুই’ মুক্তি দিয়ে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এস এ হক অলিক।
আজ (১৫ জুলাই) থেকে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্সে চলবে ‘গলুই’। ২১ জুলাই পর্যন্ত চারটি করে মোট ২৮টি শো দেখানো হবে। এছাড়া মাসব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি। আর এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত চিত্রনায়ক। অন্যদিকে সিনেমার পরিচালক এরই মধ্যে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘গলুই’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন খোরশেদ আলম খসরু।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘গলুই’ পরিবেশনা করছে বায়োস্কোপ ফিল্মস। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাবা রুবনা রশিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে শাকিবের অনেক ভক্ত অনুরাগী রয়েছেন, কিন্তু এর আগে এখানে তার কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। আমাদের প্রত্যাশা বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা থিয়েটারে এসে ‘গলুই’ দেখবেন।
সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘গলুই’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন খোরশেদ আলম খসরু। গত রোজার ঈদে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন শাকিব খান ও পূজা চেরী। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আলি রাজ, আজিজুল হাকিমসহ আরও অনেকে।
পড়ুন: মেহজাবিন 'আ্যম্বুলেন্স চালক'!
রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল