চট্টগ্রাম
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকসহ নিহত ৫
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শ্রমিকসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা-কচুয়া সড়কের দাউদকান্দি উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকায় বাসের ধাক্কায় ট্রাক্টর উল্টে দুই শ্রমিক মারা যান।
এছাড়া একই দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার এক যাত্রী মারা যান।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
এদিকে আহত যাত্রী ও চালকদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দুপুরের দিকে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন– জিয়ানা আক্তার ও জাহানারা বেগম। এই দুর্ঘটনায় নিহতরা সবাই বাসরা গ্রামের বাসিন্দা।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৌশিক আহমেদ বলেন, সকাল ৭টার দিকে শায়েস্তানগরের কাছে আরাফা পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় ট্রাক্টর উল্টে দুই শ্রমিক মারা যান।
নিহতরা হলেন- উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বোরহান ও জামালপুরের সদর উপজেলার সৈয়দ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী।
অন্যদিকে দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অনির্বাণ পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী ডলি আক্তার মারা যান।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হেলাল বলেন, লাশগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
১ দিন আগে
১২ বছর ধরে সংস্কার হয়নি কুমিল্লার দুলালপুর-বালিনা সড়ক
সাম্প্রতিক বন্যায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার দুলালপুর-বালিনা সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক ভেঙে খাল ও পুকুরে বিলীন হওয়ায় এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর-বালিনা সড়কটি পাশের দেবিদ্বার উপজেলার সংযোগ সড়ক। উপজেলা সদরের সঙ্গে দুলালপুর ও শিদলাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়ক। প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই গুরুত্বপূর্ণ ইটের সলিংয়ের সড়কটির সমস্ত জায়গাজুড়ে খানাখন্দ, ছোট-বড় গর্ত অতিক্রম করেই ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ এ দুই উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তবে এবারের বন্যার পানিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১২ বছরেও এ সড়ক মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির পাশে দুটি বড় পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের নিজস্ব কোনো পাড় নেই। সড়কটিকে পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। যার ফলে এবারের বন্যায় সড়ক ভেঙে পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এ সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এই দুই কিলোমিটার সড়ক আগে থেকেই সংস্কারের অভাবে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্ত হয়ে ছিল। গেল বন্যায় সড়কটি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে পোমকাড়া, পূর্ব পোমকাড়া, পশ্চিম পোমকাড়া, বেড়াখলা, বালিনা, দুলালপুর,সিঙ্গারচাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলার ফাতেহাবাদ, সুবিল, ১০ গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে কয়েক বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যার পর এ দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
১ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে চুমকি রাণী হত্যা, ১ সন্দেহভাজন আটক
খাগড়াছড়িতে ছুরিকাঘাতে চুমকি রাণী দাশ (৪৫) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মো রাসেল (২২) নামে এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার খাগড়াছড়ি শহরের অপর্ণা চৌধুরী পাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে চুমকি দাশকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩৬ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ৩
এ সময় ভিকটিমের গলার হার ও কানের দুল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
নিহত চুমকি দাশ একই এলাকার তপন কান্তি দাশের স্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবেশী সিএনজি চালক মো. রাসেল চুমকি দাশের ছেলে প্রান্ত দাশের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন আগে ৯০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায় প্রান্তের সঙ্গে রাসেলের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
হত্যার আগে রাসেল চুমকি দাশের সঙ্গে কথা বলতে তার বাসায় গিয়েছিল।
চুমকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) একটি মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
২ দিন আগে
কুমিল্লার অলি-গলি-সড়কে অবৈধ তোরণ, যান চলাচলে বিঘ্ন
কুমিল্লা নগরীর সড়ক ও অলি-গলিতে নির্মাণ করা হয়েছে নানা ধরনের তোরণ। অনুমোদনহীন এসব তোরণের কারণে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। রাজনৈতিক, ধর্মীয়, ক্রীড়া চক্র, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায় থেকেও তৈরি হচ্ছে এসব তোরণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল ফটকের সামনে রয়েছে একটি মাদরাসার মাহফিল ও রাজনৈতিক তোরণ। কান্দিরপাড় জামে মসজিদের সামনে সড়ক দুই ভাগ করে বিশাল তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। টমচমব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় সড়কে আছে আরও চারটি তোরণ। ঝাউতলা গ্রামীণফোন গলির সরু সড়কে এক প্রতিষ্ঠানের ভর্তি উৎসবের তোরণ।
ছাতিপট্টি ও চকবাজার সড়কে হঠাৎ করে নির্মাণ করা হয়েছে নানা রং, বেরঙের তোরণ। গাংচর এলাকার উপসড়কে বিয়ে, মাহফিল, ওরস ও পূজার তোরণ থাকে প্রায় পুরো বছর।
সমাজকর্মী আলী আকবর মাছুম বলেন, ‘কুমিল্লা শহরের সড়ক অনেক ছোট। এখানে বড় বাস, ছোট গাড়ি সব চলাচল করে। এসব সড়ক তোরণের জন্য উপযুক্ত না। বাঁশ আর কাপড়ের তৈরি এসব তোরণ পাকা সড়কে খুঁটি গেড়ে বসানো হয় না। যেকোনো সময় বড় বিপদও হতে পারে। সবার উচিত নগর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। নগর কর্তৃপক্ষেরও আইনের বাস্তবায়নে কঠোর হওয়া দরকার, এটা আমার মতামত।’
নগরীর তালপুকুর পাড়ের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কুমিল্লায় জ্যামের বহু কারণ। এর অন্যমত কারণ হলো যত্রতত্র সড়কে তোরণ নির্মাণ। সড়ক নির্মাণ হয়েছে পরিবহণ চলাচলের জন্য, তোরণ বানানোর জন্য নয়। শুধু ট্রাফিক চাইলে জ্যাম মুক্ত কুমিল্লা করতে পারবে না। চালক, যাত্রী, নগরবাসী সবাই সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’
এ নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম বলেন, আইনে স্পষ্ট বলা আছে, তোরণ নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের পূর্ব অনুমতি নিতে হবে। যা অনেকে মানছে না। অবৈধ তোরণ, পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণের কাজ চলমান। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ। ধারাবাহিকভাবে সব অবৈধ তোরণ অপসারণ করা হবে।
২ দিন আগে
বাবাকে না পেয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া স্কুলছাত্র রাফির জামিন
বাবা না পেয়ে 'অস্ত্রসহ' তুলে নিয়ে যাওয়া স্কুলছাত্র তাউসিফুল করিম রাফির (১৪) জামিন মঞ্জুর করেছেন কক্সবাজারের একটি আদালত।
কারাগারে যাওয়ার ৯ দিন পর বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক জিল্লুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ভুক্তভোগী তাউসিফুল করিম রাফি টেকনাফ হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহ পাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।
রাফির আইনজীবী আয়াসুল রহমান বলেন, ‘রাফি শিশু হওয়ায় আদালত জামিন দিয়েছেন।’
গত ২৬ নভেম্বর ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের বাড়িতে অভিযান চালায় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযানের সময় রেজাউল করিম পালিয়ে যান। তখন তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে রাফিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
তবে পুলিশের দাবি রাফিকে তারা অস্ত্রসহ আটক করে।
৩ দিন আগে
সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ফলে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
আঞ্চলিক এই দলের গোলাগুলির ১ জন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দুই অঞ্চলিক দল দফায় দফায় গোলা বর্ষণ করেছে। তবে আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক জনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল জেলা প্রশাসন
সাজেকে আটকা পড়া চালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে।
দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকালে কোনো পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।
রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে আজ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মাসেরও বেশি সময় পর খুলে দেওয়া হলো সাজেক পর্যটন কেন্দ্র
৪ দিন আগে
সেনাসদস্যদের দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে: সেনাপ্রধান
দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখন থেকে নবীন কর্মকর্তাদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হলো।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের যে কোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। সামরিক চেতনামূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে অধীনস্তদের সামনে নিজেদের উদাহরণ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন কর্মকর্তাদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: ‘হল অব ফেমে’ অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শৃঙ্খলা প্রধান চালিকা শক্তি। এখানে সকল নির্ধারিত নিয়ম প্রথা ও অনুশাসন পরিচালিত হয়ে থাকে। যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিবেকের দারস্ত হবে। তোমরা ভুলে যাবে না তোমাদের গড়ে তুলতে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের অনেক অবদান রয়েছে।
৮৭তম বিএমএ'র দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৫৯তম বিএমএ বিশেষ কোর্স থেকে ২৪ জন নারীসহ ২৩১ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।
সকাল ৯টায় ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে শুরু হয় কুচকাওয়াজ।
প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সকালে সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান- জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্টেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট।
এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে মা-বাবা-অভিভাবকরা নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকতাদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ২১৩ জন ও ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্স থেকে ১৪ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট অফিসার ও ৪ জন ট্রেইনি অফিসার কমিশন লাভ করেছেন। কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০৭ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
৫ দিন আগে
মেঘনা নদী থেকে ৮ ড্রেজার জব্দ, গ্রেপ্তার ১৬
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে আটটি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ড্রেজার পরিচালনায় থাকা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান খানের নেতৃত্বে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সদস্যরা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- জামাল হোসেন, মো. রাসেল গাজী, আজিজুল হাওলাদার, ইকবাল হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. মোতালেব, মো. মামুন, তোফাজ্জল, জাহিদুল ইসলাম, আবদুল হান্নান, আমির হোসেন, ইসমাইল, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও নাজমুল। এদের সবার বাড়ি চাঁদপুরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে বলে জানা গেছে।
মো. আল-ইমরান খান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নৌ-পুলিশের সহযোগিতা সোমবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বালু উত্তোলনকালে আটটি ড্রেজার হাতেনাতে জব্দ করা হয় এবং ড্রেজার পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম এস ইকবাল জানান, ড্রেজার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থপনা আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে। জব্দ হওয়া ড্রেজার চাঁদপুর নৌ থানা হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
৫ দিন আগে
চাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সোহেল ও ইমরান নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) চাঁদপুর সদরের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়ে সোহেলের। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমরানকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হলে রবিবার (১ ডিসেম্বর) রতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে সরকারের কার্যক্রম শুরু
সোহেল খান ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি গ্রামের খান বাড়ির ছেলে এবং মো. ইমরান একই এলাকার মৃত লিটন খানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, তারা দুজনে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ভ্যানগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে লেগে উল্টে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই সোহেলের মৃত্যু হয় এবং ইমরান গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, সোহেলকে আনার আগেই মৃত্যু হয়। আর আহত ইমরানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী ইউএনবিকে বলেন, সোহেলের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি বিটিআরসি
৬ দিন আগে
চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সেকান্দর মামুন নামের এক প্রবাসী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি চত্বর এলাকায় সংঘর্ষটি হয়।
মামুন সরফভাটার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ৩০ নভেম্বর সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই এলাকার লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় মামুনের ওপর হামলা হলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি।
আহতদের মধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাহেদ বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মামুনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রের আঘাতে মামুনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান চালছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে লাটাহাম্বারের চাপায় প্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
৬ দিন আগে