চট্টগ্রাম
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, শিশুসহ নিহত ২
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুতুপালং এলাকাস্থ লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।
স্থানীয় বাসিন্দা শামিশুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী আহত হন। তাকে সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে তেলের দোকানে আগুন, ৮ দোকান পুড়ে ছাই
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানূর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৫৪৯টি শেল্টার সম্পুর্ণ পুড়ে গেছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য ৬টি শেল্টার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৬৩টি শেল্টার।
তার দেওয়া তথ্যমতে, বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার ১৯৭টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর নিহতদের মধ্যে একজন শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৬ জন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোট পরিবারের সংখ্যা ৮৮৫।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন বলেন, একটি বসতঘরে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। সেই আগুন ক্যাম্পের আশপাশের বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসন ও স্থানীয়রাসহ উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন।
ওসি বলেন, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বোতাম কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
২ ঘণ্টা আগে
জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: তদন্ত কমিটি গঠন
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে জাহাজে ডাকাতিকালে সাত খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতদের লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সময় একথা জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইউএনবিকে বলেন, ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল সিদ্দিককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আরও থাকছেন কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধি।
এই কমিটি আমাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন।
আরও পড়ুন: জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’
এর আগে, সোমবার বিকেলে ওই চর থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
নিহত জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া (৫৫) ফরিদপুর জেলা সদরের জোয়াইর গ্রামের মৃত আনিছ বিশ্বাসের ছেলে। লস্কর শেখ সবুজ (৩৫) মাস্টারের আপন ভাগ্নে, তিনি একই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে।
সুকানি আমিনুল মুন্সী নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ইটনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। লস্কর মো. মাজেদুল (১৬) মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার মো. আনিছুর রহমানের ছেলে। একই উপজেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬) দাউদ হোসেনের ছেলে।
এছাড়া ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন (৪০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহোরদিয়া ১১ নলি গ্রামের মৃত আবেদ মোল্লার ছেলে এবং বাবুর্চি কাজী রানা (২৪) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামের কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
২ ঘণ্টা আগে
জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের নির্জন ইশানবালা চরে মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজ এমভি আল-বাকেরাহর মাস্টার ও সুকানিসহ সাতজন খুনের ঘটনাটি ডাকাতির কারণে ধটেছে বলে ধারণা করা হলেও নিহতদের স্বজনদের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা লাশ শনাক্তের জন্য আসা শোকাহত স্বজনদের সঙ্গে কথা বললে তারা এমন দাবি করেন।
এর আগে, সোমবার বিকেলে ওই চর থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দীন সুমন ইউএনবিকে বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এদিন সকাল ১০টার পর থেকে লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। সেখানে নিহতদের অধিকাংশের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। ময়নাতদন্তের পর পুলিশের উপস্থিতিতে লাশগুলো তারা গ্রহণ করেন।
এ সময় জাহাজের নিহত লস্কর শেখ সবুজের (৩৫) ভাই সাদিকুর রহমান বলেন, ‘জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া আমার মামা। তার মাধ্যমেই আমার ভাই সবুজ কাজে আসেন। এক দিন আগেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। যে মর্মান্তিক ঘটনায় আমার ভাই হত্যার শিকার হয়েছে, আমি চাই এমন ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে। এই জাহাজে থাকা প্রত্যেকটি হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। ঘটনাটি যাতে করে কেউ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা না করে, আমি এটিও দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
একই দাবি জানিয়ে জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়ার ভাই আউয়াল হোসেন বলেন, ‘এই মাসেই আমার ভাইয়ের চাকরির মেয়াদ শেষ হতো। ১ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তার, কিন্তু আল্লাহ উনাকে আগেই...’ বলে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি।
আউয়াল বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়ার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু এই ঘটনার পরে সব পরিকল্পনাই শেষ হয়ে গেল।’
হত্যার শিকার আমিনুল মুন্সীর বড় ভাই মো. হুমায়ুন বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা ডাকাতি শুনলেও খুনের দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ প্রত্যেক নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত। যারা হত্যার শিকার হয়েছেন সবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রই জাহাজে পাওয়া গেছে। এমনকি জাহাজে থাকা ৫ জনকে উদ্ধারের সময় তাদের শোয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
নিহত জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া (৫৫) ফরিদপুর জেলা সদরের জোয়াইর গ্রামের মৃত আনিছ বিশ্বাসের ছেলে। লস্কর শেখ সবুজ (৩৫) মাস্টারের আপন ভাগ্নে, তিনি একই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে।
সুকানি আমিনুল মুন্সী নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ইটনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। লস্কর মো. মাজেদুল (১৬) মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার মো. আনিছুর রহমানের ছেলে। একই উপজেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬) দাউদ হোসেনের ছেলে।
এছাড়া ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন (৪০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহোরদিয়া ১১ নলি গ্রামের মৃত আবেদ মোল্লার ছেলে এবং বাবুর্চি কাজী রানা (২৪) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামের কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, নিহত ৭ পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের থেকে থানায় মামলাও হবে।
আরও পড়ুন: মোংলায় পশুর চ্যানেলে ২ জাহাজের সংঘর্ষ, জেলে নিখোঁজ
১০ মিনিট আগে
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় কুমিল্লায় আটক ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তারা আটক হন।
তবে এখন পর্যন্ত আব্দুল হাই কানু মিয়ার পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আরাফাতুল ইসলাম।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (আরাফাতুল ইসলাম ও চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এ টি এম আক্তারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চনার নিন্দা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রহমত উল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মিডিয়াতে ঘটনাটি দেখছি; এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এদিকে ঘটনার দিন বিকালে নিরাপত্তাজনিত কারণে বাড়ি ছেড়ে ফেনীতে চলে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সেখানেই ছেলের বাসায় রয়েছেন তিনি।
পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে চৌদ্দগ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চনার নিন্দা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
রবিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে লাঞ্ছিত করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সোমবার বলেন, ‘চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের মানহানির ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে প্রেস উপসচিব জানন, আব্দুল হাই হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
১ দিন আগে
চাঁদপুরে পদ্মায় দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ
চাঁদপুরে পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লঞ্চ দুটি হলো-কীর্তনখোলা ১০ ও এমভি প্রিন্স আওলাদ ১০।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চাঁদপুরের পদ্মা নদীর হরিনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিআইডব্লিউটিয়ের বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, দুর্ঘটনার পর কীর্তনখোলা ১০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরলেও প্রিন্স আওলাদ লঞ্চ পার্শ্ববর্তী চরে নোঙর করতে বাধ্য হয়। পরে প্রিন্স আওলাদের যাত্রীদের নিয়ে আরেকটি লঞ্চ এমভি শুভরাজ বরিশাল নৌবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘যাত্রী হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুই লঞ্চের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রিন্স আওলাদের যাত্রীদের অন্য একটি লঞ্চের মাধ্যমে বরিশাল আনা হচ্ছে।’
দুর্ঘটনা কবলিত প্রিন্স আওলাদের যাত্রী হিরামনি উকিল রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমাদের আরেকটি লঞ্চে তুলে দিয়েছে। এই লঞ্চে খাবার নেই। যাত্রীদের কাছ থেকে নতুন করে ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে আছেন যাত্রীরা।’
বরিশাল সদর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত একটি লঞ্চের যাত্রীদের অন্য লঞ্চে বরিশাল আনা হচ্ছে। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই।’
২ দিন আগে
চাঁদপুরে অটোরিকশায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইকবাল ও শাহাদাত নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বদরপুর রাস্তার মাথায় ওয়াপদা সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন ও ইকবাল খান। ইকবাল মুলপাড়া কারিগরি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
আরও পড়ুন: অপরিকল্পিত খাল খননে ঝিনাইদহে হুমকির মুখে ফসলি জমি
আহতদের স্বজনরা জানান, ইকবাল ও শাহাদাত মোটরসাইকেলে করে একতা বাজার থেকে মুন্সিরহাট যাচ্ছিলেন। পথে বদরপুর রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি অটোরিকশায় তাদের মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন তারা। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইকবালকে মৃত ঘোষণা করেন। আর শাহাদাতকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সগির মিয়া দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ইকবালের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। আর শাহাদাতের লাশ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
২ দিন আগে
পলাতক ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে অবিচ্ছিন্ন ডিসচার্জ সার্টিফিকেটধারী (সিডিসি) পলাতক ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নৌ আদালত।
নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (পরিদর্শন শাখা) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা নাবিকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নাবিকরা হলেন- মো. সোহানুর রহমান, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মোস্তফা কামাল, ইসকান্দার মিজি, মো. সানাউল্লাহ, মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান, মো. আব্দুল কুদ্দুস, আমিনুল ইসলাম, ওপি হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ শেখ আলম, মো. মেহেদী হাসান, মো. আল আমিন, মো. ইমাম হোসেন, এনামুল হক, মো. ইমরুল হোসেন এবং মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
বিজ্ঞপ্তিতে কেউ যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত নাবিকদের সম্পর্কে অবগত থাকেন তাহলে আশপাশের থানায় অথবা নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
৩ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত ২০
খাগড়াছড়িতে পর্যটকবাহী বাস উল্টে ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পুনর্বাসনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পর্যটকবাহী বাসটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে। তারা ঢাকা ট্যুর গ্রুপের অ্যারেঞ্জমেন্টে গোমতি গোল্ডেন এক্সপ্রেসের একটি বাসে সাজেক পর্যটন স্পটের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা পুনর্বাসনে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মাঝখানে বাস উল্টে যায়। এতে ২০ জন আহত হন। তারা সবাই রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মীর মোশাররফ হোসেন জানান, ভোরে ২০ জনের মতো দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ২/১ ছাড়া কেউ বড় ধরনের আহত হননি। আশাকরি এখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া যাবে। দ্রুত নিজ নিজ বাড়িতে চলে যেতে পারবেন।
পুলিশ খবর পেয়ে বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
৫ দিন আগে
কক্সবাজারে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে পেকুয়া এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের ধনিয়াকাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা রাজশান এলাকার সারমিন আক্তার (২৯), হাটাহাজারী এলাকার ফিরোজ আহমদ (৪৫) তারা দুজনে স্বামী-স্ত্রী। এছাড়াও টইটং ইউনিয়নের ধন্যাকাটা আবদুল্লাহপাড়া নতুনপাড়ার মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক মনিরুল মান্নান (২২)। অপরজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা জানান, লাশ উদ্ধার এবং গাড়িগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৫ দিন আগে