বরিশাল
বরিশালে সমাবেশস্থলসহ আশেপাশের এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই বন্ধ
বরিশালে সমাবেশস্থলসহ আশেপাশের এলাকায় অনিবার্য কারণে মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে গতি কমে গেছে ওয়াইফাই সার্ভিসের।
শনিবার সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ও ওয়াইফাই’র গতি কম থাকার কথা জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাড়বে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, লাগাতার লোডশেডিং, দুর্নীতি-দুঃশাসন, লুটপাট, মামলা-হামলা, গুম, হত্যা, জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শনিবার বেলা ১১ টায় বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় মহাসমাবেশেও বক্তারা একথা জানিয়েছেন।
বরিশালের স্থানীয় দৈনিকের গণমাধ্যমকর্মী নুরুল আমিন বলেন, সকাল থেকে মোবাইলের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। ফলে কোন ছবিও অফিসে পাঠাতে পারেননি। দুপুরে ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছবি পাঠাতে হয়েছে, তবে তাতেও ধীরগতি। যদিও এ বিষয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আদনান জানান, তিনি সকাল থেকেই মুঠোফোনে ডাটার মাধ্যমে ইন্টারনেট পাচ্ছেন না। তবে বাসায় ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেট পাচ্ছেন।
নগরের সাগরদী এলাকা বাসিন্দা সাদিয়া আক্তার বলেন, সকালে বাসায় ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেট পেলেও বাসা থেকে বের হয়ে মুঠোফোনে ডাটায় আর ইন্টারনেট আর পাননি।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বরিশালের পথে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা
বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে ড্রামে করে নদী পার!
বরিশালে সকল ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ থাকায় সমাবেশে যোগ দিতে ড্রামে করে নদী পার হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দুপুর পৌনে ৩টায় ড্রামের ওপর ভেসে নেতাকর্মীরা বরিশাল খেয়াঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে সমাবেশস্থলে আসেন তারা।
আরও পড়ুন: বরিশাল নগরীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী
ড্রামে ভেসে আসা মো. রনি বলেন, সব কিছু বন্ধ করছে যাতে সমাবেশস্থলে আসতে না পারি। তাই ড্রামের ওপর ভেসে বরিশালে এসেছি। সমাবেশ সফল করতেই হবে আমাদের।
আরেক সমর্থক শাওন বলেন, গণতন্ত্র মুক্ত করার আন্দোলনে কোনো ছাড় নয়। একজনকে কীর্তণখোলা নদী সাঁতরে আসতে দেখেছি। আমরা কোনো উপায় না পেয়ে ড্রামের ওপর ভাসতে ভাসতে আসছি সাত জন।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন চলবে।
এদিকে সমাবেশ শুরু হওয়ার পরও অনেক নেতাকর্মী নদী পথে সমাবেশস্থলে এসেছেন বিভিন্ন উপায়ে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বরিশালের পথে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা
বিএনপির সমাবেশস্থলের পাশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পাহারায় আনসার সদস্য মোতায়েন
বরিশাল পৌর নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপি'র সমাবেশস্থলের পাশে অবস্থিত স্থায়ী মঞ্চ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত ম্যুরাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন তিন শিফটে ৬০জন আনসার সদস্য মোতায়েন করেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ম্যুরালটির চারপাশে বাঁশের ব্যারিকেট দিয়ে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়।
আনসার ও ভিডিপির প্লাটুন কমান্ডার জসিম উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা ম্যুরাল পাহারা দিচ্ছেন।
শনিবার বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ৫ম বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি।
সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নগরীতে এসেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভেঙে ২ সাংবাদিক আহত
বরিশাল নগরীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী
বরিশালে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বরিশালের পথে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা
বরিশাল নগরীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় শনিবার সকালে দলটির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরের নয়জন আহত হয়েছেন।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি শাখার নেতা ইশরাকের কিছু হয়নি এবং তিনি সকাল ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
ইশরাক জানান, সকালে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারে পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়।হামলায় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক ও মামুন ভূইয়াসহ বিএনপির নয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ইশরাক আরও জানান, বরিশাল যাওয়ার পথে তারা বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আজ সকালে বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে বহনকারী গাড়িটিকে ৫০-৬০ জন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। পরে তারা তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশাল নগরীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী
বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভেঙে ২ সাংবাদিক আহত
বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বরিশাল নগরীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী
সব বাধা অতিক্রম করে শনিবার বরিশাল নগরীতে পঞ্চম বিভাগীয় সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি।
সমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী আগাম নগরীতে পৌঁছেছেন।
দলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ৫০ ফুট লম্বা মঞ্চ তৈরি করেছেন যেখানে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বরিশাল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবুল হোসেন লিমন বলেন যে এছাড়া মঞ্চের আশেপাশে ১২০টি লাউডস্পিকার স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভেঙে ২ সাংবাদিক আহত
বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে বরিশাল বিভাগে বাস, লঞ্চ, স্পিডবোট, তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
হঠাৎ করে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাস, তিন চাকার যান, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি।
বিএনপি তার চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয়।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে পাঁচ দলের নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে, যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবারের সমাবেশটি হবে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে এবং তৃতীয় ও চতুর্থটি যথাক্রমে খুলনা ও রংপুরে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ
বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভেঙে ২ সাংবাদিক আহত
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহের জন্য তৈরি করা সাংবাদিকদের মঞ্চ ভেঙে দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আহতের মধ্যে একজন সুজয় দাস, যিনি সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন।
সুজয় দাস বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জন্য করা মঞ্চে উঠে লাফালাফি করছিলেন। আমরা সে সময় অনেক সংবাদকর্মী সেখানে কাজ করছিলাম। বিএনপি কর্মীদের প্রথমবার নামিয়ে দেয়া হলেও তারা পুনরায় মঞ্চে উঠে লাফালাফি শুরু করলে সেটি ভেঙে পরে।’
আরও পড়ুন: বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
তিনি আরও বলেন যে এতে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
অপর এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং একটি টিভি ক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে বিএনপির নেতাদের স্বাগত জানাতে মঞ্চ প্রস্তুত।
বরিশাল বিএনপির বিভাগীয় সভার মঞ্চ প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবুল হোসেন লিমন বলেন, নেতাদের জন্য ৫০ ফুট লম্বা ও ২৫ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ব্যানার টাঙানোর কাজও শেষ।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে ১২০টি লাউডস্পিকার রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই বরিশালে পৌঁছেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দুইদিনের পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে শুক্রবার বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীকে দেখা গেছে।
বিভাগীয় সমাবেশের প্রথমটি চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে, তৃতীয়টি খুলনায় ও চতুর্থটি রংপুরে হয়েছে। এটি হবে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ।
আগামী বছরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য সমর্থন জোগাতে অন্যান্য বিভাগেও সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিরোধী দল বিএনপির ডাকা বিভাগীয় সমাবেশের ঠিক একদিন আগে শুক্রবার বরিশালে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শুক্রবার দুদিনের পরিবহন ধর্মঘটে বরিশাল নগরী কার্যত সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাস, লঞ্চ, স্পিডবোট, মাইক্রোবাস এমনকি তিন চাকার অটোরিকশারও দেখা মিলছে না সড়কে।
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে বাস মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তিন চাকার বাহনের চালকরা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অবাধ চলাচলের অনুমতি চেয়েছে।
বিএনপির সরকার বিরোধী বিভাগীয় সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ইদানিং সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুরের সমাবেশে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সমাবেশে যোগ দিতে দুই দিন আগেই এসেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বিধান পুনরুদ্ধারসহ দলের অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে পরিবহন ধর্মঘটের কোনও যোগসূত্র অস্বীকার করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্ট কারণে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সদস্য মো. ফরিদ।
বুধবার সন্ধ্যায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে লঞ্চ চালানোর সময় বিএনপির অভিযোগের মধ্যে ৫ নভেম্বরের সমাবেশের আগে সরকারের নির্দেশে লঞ্চ মালিকরা আকস্মিক ধর্মঘটে যান।
যাত্রীরা জানান, এমনকি ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কারও চলাচল করতে রাজি হচ্ছে না।
গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে।
এদিকে সবধরনের পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নথুল্লাবাদে বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে উপচে পড়া ভিড় দেখতে পায় ইউএনবি। কারণ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া পরিবহন ধর্মঘটের ভয়ে এক দিন পূর্বেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কয়েকশ’ যাত্রী সেখানে পৌঁছায়।
সুবর্ণ পাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা
ছিল। কিন্তু শুক্রবারের পরিবহন ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে আমি একদিন আগে এখানে এসেছি।’
পটুয়াখালীর যুবদল কর্মী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দুই দিন আগে এখানে এসেছি। আর কোনও জায়গা না পেয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকছি।’
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে সমাবেশের পর বরিশালে হবে বিএনপির ৫ম বিভাগীয় সমাবেশ।
আরও পড়ুন: ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ
বরিশালে এখনও পানিবন্দি হাজারো মানুষ
বরিশালে সমাবেশে যোগ দিতে দুই দিন আগেই এসেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে শনিবার দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নথুল্লাবাদে অবস্থিত বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে ইউএনবি দেখতে পায় যে স্থানটিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। কারণ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া পরিবহন ধর্মঘটের ভয়ে এক দিন পূর্বেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কয়েকশ’ যাত্রী সেখানে পৌঁছায়।
সুবর্ণ পাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শুক্রবারের পরিবহন ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে আমি একদিন আগে এখানে এসেছি।’
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
পটুয়াখালীর যুবদল কর্মী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দুই দিন আগে এখানে এসেছি। আর কোনো জায়গা না পেয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকছি।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের তিনটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মী।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘আজ হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, আমাদের আহত করে এবং আমাদের ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। তারা আমাদের সমাবেশে বাধা দেয়ার জন্য এটি করছে। যা আমরা করতে দিব না, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন যে পরিবহন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের আগমন ঠেকানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হয়েছেন, যার অর্থ সরকারের পক্ষ থেকে তা বানচাল করার শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের সমাবেশ সফল হতে চলেছে। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব, যাই ঘটুক না কেন।’
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ
ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পূর্বে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের জন্য ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে স্পিডবোট মালিক সমিতি। বুধবার সন্ধ্যায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভোলা জেলার এক স্পিডবোট মালিক মঞ্জুরুল আলম জানান, তারা তিনদিনের ধর্মঘট পালন করেছেন তবে ধর্মঘটের কারণ বলেননি।
ইউএনবি প্রতিনিধি ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে স্পিডবোটের জন্য অপেক্ষারত অনেক যাত্রীকে দেখতে পান।বরিশাল স্পিডবোট ঘাটের ইনচার্জ তারেক শাহ জানান, বরিশাল থেকে নয়, ভোলা থেকে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর ধর্মঘট ডেকেছেন বরিশালে তিন চাকার গাড়ি চালকরা।
ধর্মঘটটি বিএনপির আসন্ন সমাবেশের তারিখের সঙ্গে মিলে গেছে এবং একই তারিখে জেলার বাস মালিকরা একইভাবে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের পর বিভাগীয় পর্যায়ে বরিশালে হচ্ছে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ
রাজধানীর উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় বন্ধ হওয়া ৬ ট্রেন চালু হয়নি, দুর্ভোগে যাত্রীরা
বিএনপির গণসমাবেশে লিফলেট বিতরণকালে হামলা, আহত ৫
বরিশালের উজিরপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরের শানুহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই হামলায় ৫ নেতাকর্মী আহতের দাবি করেছে বিএনপি।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাইয়ুম খান দাবি করেছেন, শ্রমিক লীগ নেতার নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা পুলিশের সহায়তায় হামলা চালিয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র হামলায় তিনি সহ শ্রমিক দলের মিঠু বালী, শাহীন সিকদার, বিএনপি নেতা মো. বুলু ও শ্রমিক দলের উপজেলার সভাপতি মো. হাইয়ুম আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাড়বে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব
তিনি আরও বলেন, বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ উপজেলার বিভিন্নস্থানে লিফলেট বিতরণ করবেন। তাদের আগমন উপলক্ষ্যে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে শানুহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় শ্রমিক লীগের সভাপতি শিপন মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসে। তাদের কোন নেতা আসবে প্রচার করে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়।
কাইয়ুম আরও বলেন, তখন পুলিশ তাদের ঠেলে রাস্তার অপর পাশে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাদের ঘটনাস্থল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। তারা সেখান থেকে না সরলে শ্রমিক লীগ নেতা শিপন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দীনের নেতৃত্বে লাঠি-সোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের পিটিয়ে আহত করেছে।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পলাশ জানিয়েছেন, চারজন হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুল হাসান বলেন, উভয় পক্ষ ঘটনাস্থলে ছিলো। পুলিশ উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করেছে। কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েতউদ্দীন সরদার বলেন, এমন কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে এখনও পানিবন্দি হাজারো মানুষ
বরিশালে পুলিশের ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার