সারাদেশ
নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
দিনাজপুরে নবাবগঞ্জে কৃষি জমিতে কাজের সময় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা বেয়াই।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে মাহমুদপুর ইউনিয়নের পদুমহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তানভীর রবিন জানান, গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পদুমহার গ্রামের উত্তরে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত দুই জনের মধ্যে আজাকার (৫৩) নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পদুমহার গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে । আর অপর মৃত আমছার আলী বাঁংগালু (৫৫) পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের চৌরিগাছা গ্রামের বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা বেয়াই।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে অটোভ্যান ছিনতাই করতে চালককে হত্যা
৫ ঘণ্টা আগে
পলাশবাড়ীতে অটোভ্যান ছিনতাই করতে চালককে হত্যা
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অটোভ্যানচালককে হত্যা করে রাস্তার পাশের জমিতে ফেলে গেছে দৃর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে পুলিশ উপজেলার মাঠের হাট নামক এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত আলেফ উদ্দিনের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারাপুরের মিয়ার বাজার গ্রামে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পলাশবাড়ী থানা সূত্র জানায় ,গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনজন যাত্রী নিয়ে বালুয়া থেকে অটোভ্যানচালক আলেফ উদ্দিন পলাশবাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথে মাঠেরহাট নামক স্থানে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ধানখেতে ফেলে রাখে। হত্যাকারীরা তার ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
আজ সকালে স্থানীয়রা ধানখেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্রু জানান, ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার কাছে থাকা অটোভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। এব্যাপারে এখনো থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন: হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
৪ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মো. ডলার তালুকদারকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে রায়গঞ্জ উপজেলার সরাইল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২’র বিএন কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম আবুল হাশেম সবুজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ডলার সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ডুমুর ইছা গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে।
পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডলার তালুকদারের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) কালিয়া হরিপুর গ্রামের একটি মুরগীর খামারের নারীশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ
৩ ঘণ্টা আগে
নাটোরের হালতি বিলে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলে শামুক তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সকালে আব্দুল মোমিন,রায়হান ও সেন্টু নামে ৩ ব্যক্তি নৌকা নিয়ে হালতি বিলের খাজুরা এলাকায় শামুক তুলছিল।
এসময় বজ্রপাতে ৩ জনই অচেতন হয়ে পড়েন। এর মধ্যে আব্দুল মোমিনকে(৩৫) নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণ করেন। অপর নিহত রায়হান আলীকে(৩৩) তার বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা গ্রামে নিয়ে যায় পরিবার।
গুরুতর আহত অবস্থায় সেন্টুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৫
৩ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডপগুলোতে মহাষ্টমী তিথিতে নানা উপকরণ দিয়ে দেবী দুর্গাকে পূজা আর আরধনা করছেন ভক্তরা।
শুক্রবার সকাল ৭টায় মহাষ্টমীতে পুস্পঞ্জলি দিতে বাগেরহাট শহরের শত বছরের প্রাচীনতম শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দিরে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভক্তের ঢল নামে।
ভক্তরা দেবী দুর্গার কাছে সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তিকামনা করেন। ঢাকের বাজনা, শঙ্ক আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজামন্ডপগুলো। চন্ডিপাঠ আর পূজারমন্ত্র ধ্বনিত হচ্ছে মন্ডপগুলোতে।আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: অনলাইনের কার্যক্রম মনিটরিং করছে র্যাবের সাইবার ইউনিট
পুস্পাঞ্জলি শেষে মা দুর্গার কাছে তারা সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তিকামনা করেছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, পূজামন্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এবছর মোট ৫৯৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫৩টি পূজামন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলায় এবছর ৫৯৭টি পূজামন্ডবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডবগুলোতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব এবং জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক পুজামন্ডপগুলোতে টহল দিচ্ছে। একই সঙ্গে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
২ ঘণ্টা আগে
রিসেট বাটন চেপে একাত্তরের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি অধ্যাপক ইউনূস
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে 'রিসেট বাটন চেপে' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়ে কেউ কেউ ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
প্রেস উইং বিবৃতিতে আরও জানায়, কেউ যখন কোনো ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।
প্রেস উইং জানায়, ১৯৭১ সালে অধ্যাপক ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি গঠন করেন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন সরকারকে রাজি করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা শুরু করেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে সে সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে তিনি বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
২০ ঘণ্টা আগে
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ; ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করায় শেরপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে ঢলের পানি কমলেও বন্যার্তদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে সদরের গাজীখামার থেকে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় এলাকায় নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে জিনিয়া বেগম নামে এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। এনিয়ে শেরপুরে চারদিনে দুই নারী ও এক শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি কিংবা উজানের ভারতীয় ঢল না নামলে নদ-নদীগুলোর পানি আরও কমবে এবং এক-দুই দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, উজানে উন্নতি হলেও অবনতি নিম্নাঞ্চলে
অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা এবং ঢলের পানি নামার গতি ধীর হওয়ার কারণে গবাদি পশুসহ অনেকেই উঁচু রাস্তার ওপর অবস্থান করছেন এখনও। আবার অনেক জায়গায় বন্যার পানি কমতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বন্যার্তরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট মেরামত করে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে নগদ অর্থ সংকট এবং আয় উপার্জনের উপায় না থাকায় বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ছেন শেরপুরবাসী।
এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেছেন খামারবাড়ির উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস।
এদিকে ঢলের পানিতে শেরপুরের শিক্ষা ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩৪১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলতি বন্যায় ৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। যার মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলাতেই বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হলো ৬৩টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, জেলার ৫ উপজেলায় সর্বমোট ৭৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০২টি। এর মধ্যে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; আরও ৮ ইউনিয়ন প্লাবিত
২ দিন আগে
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: ৩ জনের মৃত্যু, উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী
বৃষ্টি কমলেও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা প্রবল পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুরের তিন উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢলের পানি ভাটির দিকে নামতে থাকায় নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নিম্নাঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে ঢলের পানি ঢুকেছে নকলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও।
ওই চার উপজেলার ২০ ইউনিয়নের অন্তত ১২২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যাওয়ার সময় নালিতাবাড়ীতে নারী সহ তিনজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা এসব মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে দমকল বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে সেনাবাহিনীও।
শেরপুর সেনাক্যাম্পের একটি চৌকস দল এ উদ্ধার কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নালিতাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ওই দুই উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ১৭টি ইউনিয়নের সবগুলোই পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ঢলের তোড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। ডুবে গেছে ধান ও সবজির আবাদ, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, গাছপালা, হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত প্রাণি। এতে দারুণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। ঢলের পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে থাকা ও ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন অনেক এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৩
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে পানিবন্দিদের উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস। বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝুঁকিতে থাকা অন্তত সহস্রাধিক পরিবারকে উঁচু ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। ঝিনাইগাতী উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামে শুক্রবার মধ্যরাতে তিন মাসের একটি শিশুকে ঘরের সিলিং থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড রেসপন্স বিডি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী রেসকিউ টিম (উদ্ধারকারী দল)। ঘরের ভেতরে বুক সমান পানি উঠায় শিশুটিকে নিরাপদে রাখার জন্য পরিবারের সদস্যরা ঘরের সিলিংয়ের ওপর রেখেছিল। সেখান থেকে ওই শিশুসহ পুরো পরিবারটিকে উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহ থেকে আসা ওই উদ্ধারকারীরা।
এদিকে, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম এবং ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ সমন্বয়ের জন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার জন্য পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিতদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানিয়েছেন, নালিতাবাড়ী পৌরসভা, কাকরকান্দি, বাঘবেড়, নয়াবিল, পোড়াগাও, কলসপাড়, নন্নী, নালিতাবাড়ী সদর, যোগানিয়া, মরিচপুরানসহ সকল ইউনিয়ন পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত। গড়কান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাগঞ্জ স্কুল, তারাগঞ্জ মহিলা মাদরাসা, কালিনগর সরকারি স্কুল, চারু স্কুল, আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, তারাগঞ্জ মহিলা হোস্টেলসহ নিকটস্থ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য একটি স্পিডবোট, লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাকিবুজ্জামান খান জানিয়েছেন, আজ শনিবার সকালেও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালি নদী দু’টি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নালিতাবাড়ীর ভোগাই, চেল্লাখালি এবং ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে দুই পাড় ও তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠোকানোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু
৫ দিন আগে
তিস্তার মাস্টার প্ল্যান এখনও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছে: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখনও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মহাপরিচালক উল্লেখ করেন, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটি চীন সরকারের সহযোগিতায় বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এটি এমন পর্যায়ে রয়ে গেছে যেখানে নীতিনির্ধারকরা উদ্বিগ্ন।
তবে তিস্তার দুই দিকের উভয় তীরের ভাঙন রোধে সরকারের নির্দেশে সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিস্তা নদীর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে এবং পর্যাপ্ত তহবিল পাওয়া গেলে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কাজ শুরু হবে। তিনি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদী খননের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
৫ দিন আগে
সিলেটে কবর থেকে তোলা হচ্ছে আন্দোলনে নিহত ৯ জনের লাশ
সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৯ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে। সব প্রস্তুতি শেষ হলে যেকোনো সময় লাশগুলো তোলা হবে।
কবর থেকে যেসব লাশ তোলা তার মধ্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৬টি এং বিয়ানীবাজারের ৩টি লাশ রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, এরই মধ্যে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটকে লাশ তোলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সময় কবর থেকে লাশগুলো তোলা হবে।
পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পৃথকভাবে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এর বিচারক আবিদা সুলতানা মলি ছয়জনের লাশ তোলার আদেশ দেন।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের আগের দিন গোলাপগঞ্জে ছাত্র-আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন উপজেলার নিশ্চিন্ত গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৪), দক্ষিণ রায়গড় গ্রামের মৃত সুরই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ জয় (২০), শিলঘাট গ্রামের কায়ছার আহমদের ছেলে সানি আহমদ (২২), বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৪০), দত্তরাইল বাসাবাড়ি এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ (২৩) ও ঘোষগাঁও ফুলবাড়ি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন (৩৫)।
এসব ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় পৃথকভাবে ছয়টি মামলা হয়। আরও একটি মামলা করা হয় আদালতে। সবকটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ-সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ কয়েকশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সরকার পতনের কারণে সে সময় লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়নি। যে কারণে ময়নাতদন্তের জন্য মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ তোলার আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
এদিকে বিয়ানীবাজারে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিয়ানীবাজার থানা চত্বরে বিজয় উল্লাসের সময় উৎসুক জনতা বিয়ানীবাজার থানায় অগ্নিসংযোগসহ লুটপাট করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় বিয়ানীবাজার পৌর শহরে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান, আহত হন আরও অন্তত ১০জন।
এ ঘটনায় নিহত তারেক আহমদ, রায়হান আহমদ ও ময়নুল ইসলামকে ৬ আগস্ট দিনের বিভিন্ন সময়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেন স্বজনরা। এসব ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় তিনটি হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে। নিহত তিনজনের লাশ দ্রুত উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আদালত থেকে নিহতদের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিগগির তাদের লাশ উত্তোলন করা হবে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এনামুল হক চৌধুরী জানান, আদালতের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা হাতে আসেনি। পুরো আদেশ পাওয়ার পরই লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ছেলে তারেক আহমদ নিহতের ঘটনায় ২০ আগস্ট বাদী হয়ে প্রথম মামলা দায়ের করেন তার মা ইনারুন নেসা। যদিও ২২ আগস্ট এ মামলা প্রত্যাহারে সিলেটের আদালতে আবেদন করেন তিনি। যেখানে উল্লেখ্য করেন আসামি কাউকেই তিনি চেনেন না। অপরদিকে একই সময়ে নিহত আরও দুইজন রায়হান আহমদ এবং ময়নুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে পৃথক দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার
৬ দিন আগে