সারাদেশ
খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার
খাগড়াছড়িতে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা সড়ক অবরোধ এবার পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে জুম্ম ছাত্র জনতা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
মানবিক কারণ ও প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার করায় যেকোনো সময় ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হতে পারে।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদার ভিত্তিতে সহসাই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হবে।
খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ গত মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক মারমা স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ডাকা ওই অবরোধ ঘিরে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় তিনজন নিহত হন এবং সেনা কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ আহত হন।
গুইমারার রামসু বাজার ও আশপাশে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। জেলা সদরের মহাজনপাড়া, নারিকেল বাগান ও স্বনির্ভর বাজারে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে লাইসেন্সবিহীন ট্রলার দখল করে সাগরে মাছ শিকার, নীরব মৎস্য দপ্তর
চট্টগ্রামে এফ.ভি. কোহিনুর-২ নামে একটি ফিশিং ট্রলার লাইসেন্স ও সেইলিং পারমিশন ছাড়াই অন্তত পাঁচবার বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মাছ আহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাহাজটির মালিকের লিখিত অভিযোগ সত্ত্বেও চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং দায়িত্বে অবহেলার কারণে দখলদার চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
ট্রলারের মালিক মো. বেলাল উদ্দিন জানান, শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি তার মালিকানাধীন কোহিনুর-২ অবৈধভাবে দখল করে লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় একাধিকবার সাগরে মাছ ধরেছেন। বিষয়টি তিনি সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তারকে লিখিতভাবে জানালেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া ৫ বার ট্রলার সাগরে গেছে, অথচ মৎস্য দপ্তর, নৌ পুলিশ কিংবা কোস্টগার্ড কেউই পদক্ষেপ নেয়নি। এতে বোঝা যায়, দখলদাররা ভেতরে ভেতরে শক্তিশালী মহলের আশ্রয় পাচ্ছে।’
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, কোতোয়ালী থানা ও মেরিন হোয়াইট ফিশ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সালিশে উভয় পক্ষের মধ্যে কোটি টাকার সমঝোতা হলেও সেটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তবুও গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভোরে আবারও কোহিনুর-২ সাগরে ফিশিংয়ে যায়।
মালিক বেলাল উদ্দিন দাবি করেন, ভাড়াটিয়ারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মৎস্য দপ্তরের অনুমতি পাওয়ার কথা বলেছেন। অথচ প্রমাণস্বরূপ তার কাছে ফোন কলের রেকর্ডও রয়েছে। আগেও তিনি আগ্রাবাদ মৎস্য দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু সেখান থেকেও কোনো আইনি ব্যবস্থা হয়নি।
চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান স্বীকার করেছেন, ট্রলারটির লাইসেন্স দুই বছর আগে বাতিল করা হয়েছিল এবং বর্তমানে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে শুনানাধীন। তিনি জানান, ‘আমাদের অনুমতি ছাড়াই ভাড়াটিয়ারা সাগরে চলে গেছে। আমরা কোস্টগার্ড ও নেভিকে জানিয়েছি, কিন্তু জাহাজটি ধরা সম্ভব হয়নি।’
তবে মালিক বেলালের অভিযোগ— দপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া মেলেনি।
কোস্টগার্ডের কমান্ডার মো. ওমর ফারুক জানান, লাইসেন্স ইস্যু ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া মৎস্য দপ্তরের দায়িত্ব। কিন্তু দপ্তরের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় জাহাজটি এখনো অবাধে সমুদ্রে যাতায়াত করছে।
আইন অনুযায়ী লাইসেন্সবিহীন কোনো ট্রলার সাগরে যাওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। অথচ কোহিনুর-২ জাহাজ বারবার সাগরে গিয়ে বিপুল পরিমাণ মাছ আহরণ করছে— অথচ মৎস্য দপ্তর দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় জেলে ও মালিকপক্ষের অভিযোগ, দখলদার চক্র মৎস্য দপ্তরের ভেতরের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এতটা সাহসী হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে— লাইসেন্সবিহীন ট্রলার যদি বারবার সাগরে যেতে পারে, তবে আইনের প্রয়োজন কোথায়? আর মৎস্য দপ্তর নামক সরকারি প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা আসলে কী?
৬ দিন আগে
লোকালয়ে ঢুকে পড়া সুন্দরবনের দুই চিত্রা হরিণ উদ্ধার
সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে দুটি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
শনিবার বেলা ১০টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে নৌকায় করে সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।
বন বিভাগ জানায়, পশুর নদ পাড়ি দিয়ে সুন্দরবন ছেড়ে হরিণ দুটি লোকালয়ে প্রবেশ করেছিল। উদ্ধার হওয়া চিত্রা হরিণ দুটি স্ত্রী প্রজাতির এবং তাদের বয়স সাত থেকে আট বছর।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, খবর পেয়ে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। সুন্দরবন থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। গ্রামবাসীর তাড়া খেলেও হরিণ দুটি সুস্থ ছিল। পরে নৌকায় করে সুন্দরবনে এনে করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।
আজাদ কবিরের ধারণা, বাঘের তাড়া খেয়ে শুক্রবার রাতে হরিণ দুটি সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছিল। তিনি আরও জানান, মাঝে মাঝে বন ছেড়ে হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী লোকালয়ে প্রবেশ করে। খবর পেলে বন বিভাগের সদস্যরা সেসব প্রাণী উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করেন।
১১ দিন আগে
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বিশ্বাসপাড়া গ্রামের একটি কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা মন্দিরে প্রবেশ করে দুটি প্রতিমার হাত ও মাথা ভেঙে দেয়।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা মন্দিরে গিয়ে ভাঙা প্রতিমা দেখতে পেয়ে বিষয়টি মন্দির কমিটিকে জানান।
খবর পেয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জন বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে মন্দিরে গিয়ে দেখি দুটি প্রতিমার হাত ও মাথা ভাঙা। আমাদের মন্দিরটি নির্জন স্থানে হওয়ায় অরক্ষিত ছিল। সেই সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা এ কাজ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রামে হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলেমিশে বসবাস করি। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িক বিভেদ নেই। তবে দুর্গাপূজার আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে বলে আমরা মনে করছি।’
স্থানীয়রা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১১ দিন আগে
ফেনীতে দুই কন্যাকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ
ফেনীর পরশুরামে দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা দাবি করে ভাসুরের ছেলে জিহাদের (২২) বিরুদ্ধে পরশুরাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি উপজেলার দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের ঘৃণা গাজী মজুমদার বাড়িতে ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, মৃত অশ্রু মজুমদারের ছেলে জিহাদ তার চাচা দুবাই প্রবাসে থাকায় ফাঁকা সুযোগে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে জিম্মি করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এ সময় তিনি ভুক্তভোগীর দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার হুমকি দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, স্বামী এক বছর ধরে প্রবাসে থাকায় দুই সন্তান নিয়ে ওই নারী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে জিহাদ আমাকে একাধিকবার জিম্মি করে ধর্ষণ করেছে। দুই মেয়েকে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছে। এখন আমি দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম জানান, ভুক্তভোগী নারী জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে জিহাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি আরও বলেন, ভুক্তভোগী নারী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা দাবি করেছেন।
১২ দিন আগে
নদীগর্ভে বিলীন দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ১৩০ মিটার অংশ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ১৩০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু ও রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়ক।
প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অন্তত ৩০–৩৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ধসে যেতে পারে বৃহৎ এই সেতুটি।
এর আগে, গত ১১ আগস্ট সরেজমিনে দেখা গিয়েছিল, বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ধসে ৭০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়। ১৭ আগস্ট ধস থেকে ভাঙনে পরিণত হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখা যায়, বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়কসহ লহ্মীটারী ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের প্রায় ১,৭০০ পরিবার সরাসরি হুমকির মুখে পড়েছে। ভাঙন যদি আরও তীব্র হয় তাহলে এসব পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে থেকেই বাঁধের ব্লক ধসে পড়ছিল। বিষয়টি বারবার জানালেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
কাজ শেষ হওয়ার আগেই রংপুরে নদী তীর রক্ষা বাঁধে ধস
বাঁধসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রিপন ও কাইয়ুম বলেন, প্রতিদিন ভাঙন বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। ব্যবসায়ী শাহনাজ বেগম বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শহরে যাই। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থী বাদশা মিয়া জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে দেখি বাঁধ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। কাল হয়তো রাস্তা থাকবে না।
স্থানীয় কৃষক খোরশেদ আলী বলেন, আমাদের আবাদি জমি নদীতে চলে যাচ্ছে। অথচ এলজিইডি শুধু আশ্বাস দিয়েছে, কোনো কাজ করেনি।
লহ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমরা বারবার এলজিইডিকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা শুধু বলেছে দেখবে। এখন পুরো সেতু হুমকিতে।
অবৈধ বালু উত্তোলনে ধ্বংসের মুখে তিস্তার কোটি টাকার স্পার বাঁধ
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২ দিন আগে
গাজীপুরে ঝুট গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি ঝুট গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে, রাত ১০টা ৫৮ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পৌনে আটটায় মহানগরের কোনাবাড়ী থানার আমবাগ এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুন নেভাতে কোনাবাড়ি ফায়ার স্টেশনের ০২টি, চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনে ০৩টি এবং সারাবো ফায়ার স্টেশনের ১টি মিলিয়ে ৭টি ইউনিট কাজ করে।
তবে, এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
১৩ দিন আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একমাত্র বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ সমাবেশ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জয়পুরপাড়ায় আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীর একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্থানীয় সাঁওতালরা।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জয়পুর, মাদারীপাড়া ও বাগদাফার্মসহ আশপাশের কয়েকটি সাঁওতাল পল্লী থেকে নারী-পুরুষেরা মিছিল নিয়ে পায়ে হেঁটে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসেন। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় ভূমিদস্যু সাবু-বাবু বাহিনীর লোকজন শহীদ স্যামল মঙ্গল রমেশ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখল করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদর্শন করছে।
বক্তারা আরও বলেন, পূর্বে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে জমি উদ্ধারের নামে পুলিশ ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামের নেতৃত্বে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকায় সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এসময় পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল—স্যামল, মঙ্গল ও রমেশ নিহত হন। পরবর্তীতে তাদের স্মৃতিতে জয়পুরপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় শহীদ স্যামল মঙ্গল রমেশ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তাদের অভিযোগ, এখন আবারও বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখলের জন্য নানা কৌশল নেওয়া হচ্ছে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাঁওতাল নেতা ফিলিমন বাস্কে, আন্দ্রিভাস মুর্মু, অলিভিয়া হেমব্রম, শারমিন মার্ডি, গৌড় পাহাড়ী, আনিসুর রহমান, সাহেব মুর্মু, অঞ্চলী মুর্মু, বিটিশ সরেন, রিপন বেসরা জয়, মেকায়েল মুর্মু, জয়ন্ত মুর্মু, রনি মুর্মু, উর্মি মুর্মু, মারফিলি টুডু, প্রিয়ংকা মার্ডি প্রমুখ।
তারা বলেন, কোমলমতি সাঁওতাল শিশুদের স্বাধীনভাবে পড়াশোনা ও খেলাধুলার সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরে তারা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
১৪ দিন আগে
ঝিনাইদহে জামায়াতে যোগ দিল ৮০টি হিন্দু পরিবার, তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা
ঝিনাইদহে ৮০টি হিন্দু পরিবারের জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জেলায় চলছে ব্যাপক আলোচনা। মন্দিরে উপজেলা জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে দলটিতে যোগদানের খবর ভাইরাল হলেও ঘটনাটি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। শুরুতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি সমাজের মাতব্বর ৮০টি পরিবার নিয়ে যোগদানের কথা বললেও এখন বলছেন উল্টো কথা।
তার দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াতে ইসলামী দলের সাথে জড়িত আছেন। তার সাথে গ্রামের অন্য পরিবারগুলো যোগদান করেননি। এদিকে ইউনিয়ন আমির বলছেন, অন্য রাজনৈতিক দলের চাপে পড়ে বক্তব্য ঘুরাতে পারেন ওই নেতা।
জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের ভান্ডারীপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনটি সামাজিক দলের মাতব্বরসহ ৮০টি পরিবার উপজেলা জামায়াতের আমির এ এস এম মতিউর রহমানের উপস্থিতিতে জামায়াতে যোগ দেন। সে সময় তিন সমাজের মাতব্বর ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনাটি মুহুর্তেই সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। বর্তমানে ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
এ বিষয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও তাদের দাবি, ওইদিন সন্ধ্যায় গ্রামের শিবতলা দুর্গা মন্দিরটিতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাতব্বর ভজন মুন্সি, দ্বীপচাঁদ মন্ডল ও তিন সমাজের প্রধান বিকাশ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে পূজা পরিচালনার আলোচনা চলছিল। হঠাৎ জামায়াতের নেতারা গাড়িবহর নিয়ে পূজামন্ডপ পরিদর্শনে এসেছিল। তারা জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এত আত্মবিশ্বাসী যে সরকারি দল হবেন, নির্বাচনে আসেন না কেন: জামায়াতকে সালাহউদ্দিন
অন্যদিকে তিন সমাজের প্রধান বিকাশ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ৮০টি পরিবার নিয়ে যোগদানের বিষয়টি প্রথমে স্বীকার করলেও এখন বিকাশ বিশ্বাস বলছেন উল্টো কথা। তার দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই দলের সাথে জড়িত আছেন। তার সঙ্গে কেউ যোগদান করেননি।
ভান্ডারীপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের সামাজিক মাতব্বর বিকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘জামায়াতের নেতারা আমাদের সঙ্গে পূজামন্ডপে ভোটের আলোচনার জন্য এসেছিল। ৮০টি পরিবার জামায়াতে যোগদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
তিনি বলেন, ‘আমি জামায়াতকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করি। দলটিকে ভালোবাসি। আমি নিজেই দলটির সঙ্গে জড়িত আছি। অন্যরা কেউ বিএনপি, কেউ আওয়ামী লীগের দল করে।’
অপরদিকে বাকি দুই সামাজিক মাতব্বরদের সাথে কথা বলতে তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাদের বাড়িতে গেলেও খোঁজ মেলেনি।
এ দিকে বাংলাদেশ জামায়াতের নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের আমীর মো. মহিউদ্দিন বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সামাজিক নেতা বিকাশ বিশ্বাস প্রায় ৯০ দশকের সময় থেকে জামায়াতের সাথে জড়িত। উনি আমাদের দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানোর পরে আমরা মন্দিরটিতে গিয়েছিলাম। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তারা আমাদের দলে যোগদান করে। এখন বিভিন্নভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাদের যোগদানের ভিডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। অন্য রাজনৈতিক দলের চাপে পড়ে বক্তব্য পরিবর্তন করতে পারেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শৈলকুপা উপজেলা আমীর এ এস এম মতিউর রহমান বলেন, নির্বাচনী কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে ভান্ডারীপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের আমন্ত্রণে মন্দিরটিতে আমার যাই। সেখানে সন্ধ্যার পরে আমরা সামাজিক মাতব্বরদের প্রধান বিকাশ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে তার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা হয়। তারা আমাদের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সেখানে কত লোক ছিল তার হিসাব নেই। তবে ঘটনাটি মিথ্যা নয়।’
এ দিকে শৈলকুপার এ ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এ বিষয়ে জামায়াতের পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত দিতে দেখা যাচ্ছে।
১৭ দিন আগে
সিলেটে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
সিলেটের গোয়াইনঘাটে স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী। পরে নিজেকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন তিনি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বিছানাকান্দি এলাকার বগাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্ত্রীর নাম রুবেনা বেগম (৩০)। তিনি বগাইয়া গ্রামের আলী আহমদের (৩৫) স্ত্রী। রুবেনা বেগম তিন সন্তানের জননী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী আলী আহমদ বাহির থেকে এসে খাটে শুয়ে থাকা স্ত্রীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান স্ত্রী রুবেনা বেগম। স্ত্রীকে হত্যার পর পরে নিজেকেও কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে তাকে আটক করেন। পরে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, আলী আহমদ একজন মানসিক রোগী ও মাদকাসক্ত।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সবসময় কলহ চলত। হয়তো সেই কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ‘আলী আহমদের কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশের জিম্মায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
১৮ দিন আগে