আওয়ামী-লীগ
সাম্প্রতিক তাণ্ডবের জন্য বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা দায়ী: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারাদেশে সাম্প্রতিক তাণ্ডবের জন্য বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা দায়ী।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শুধু নিজেদের দায় এড়াতে চাইছেন। ভয়াবহ সহিংসতার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য বিএনপির পরামর্শকেও কটাক্ষ করেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাম্প্রতিক সহিংসতার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছেন, কারণ তারা দেশ ও জনগণের ওপর আস্থা রাখেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘এবারও যেহেতু তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে, তাই তারা এ দায় থেকে মুক্তি পেতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তের মাধ্যমে বিশেষ করে ১৬ জুলাই থেকে দেশে যে সহিংসতা হয়েছে তাতে বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততা উদঘাটিত হচ্ছে।
কাদের দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘তাদের সরকার উৎখাতের অপচেষ্টা সফল হবে না। এই অশুভ চক্রান্ত ব্যর্থ হবে ইনশাল্লাহ।’
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করতে পর্দার আড়ালে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে: কাদের
বিএনপি-জামায়াত একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদারদের কায়দায় লুটপাট ও হত্যা চালিয়েছিল। সরকার উৎখাতের চেষ্টায় দেশি-বিদেশি মহল এখনও তৎপর।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কাদের বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ঘিরে যে সহিংসতা হয়েছে তা দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
শিগগিরই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি সহিংসতায় জড়িতদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে সত্য জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাঁড় করানোর চেষ্টা সফল হবে না।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি হামলার বিচার হবে, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রতিটি হামলার বিচার হবে, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাম্প্রতিক নাশকতার প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে। আন্দোলনকারী প্রকৃত শিক্ষার্থীদের কোনো হয়রানি করা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, যারা গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের পিএসকে এবং ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলে দিয়েছে, মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং বিটিভিতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে- তাদের কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দুর্জয় শপথ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৩-১৪ সালে নাশকতার পর অনেকের বিচার হয়েছে, কেউ কেউ আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে গেছেন। এবার সেটি হবে না। প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
'রাষ্ট্রের ওপর হামলা বিএনপির তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। সে বলছে- বড় হামলা করলে বড় পদ, কারফিউ ভঙ্গ কর, না হলে পদ ছাড়। বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন-তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি কর। ছাত্রলীগের কর্মী মারলে ৫ হাজার, পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের স্বীকারোক্তি তারাই দিয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক দল? এটি একটি দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন।'
আরও পড়ুন: রাজাকারের পক্ষে স্লোগানদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রতিক নাশকতার চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু গত ৬০ বছরে বিটিভিতে কখনো হামলা ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু কখনো বিটিভিতে হামলা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগকালে মানুষ যেখানে ছুটে যায়, সেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ঢাকাবাসী ও দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেলের স্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারের আইডি হ্যাক করে ভুল বার্তা পোস্ট করা হয়েছে।
মন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য্য ধরত, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না।
ড. হাছান বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী মানুষ হত্যা বা জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তির ওপর হামলা চালাতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে তোমাদের কেউ যেন ব্যবহার না করতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কূটনীতিকরা স্তম্ভিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশকে অস্থিতিশীল করতে পর্দার আড়ালে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ‘কারণ, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল এখনও পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্র করছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিএনপি ইতোমধ্যেই হামলার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগের ওপর হামলার নিন্দা কাদেরের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'আন্দোলনে কে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করবে, আর কে পেছন থেকে সহযোগিতা করবে, সহিংসতার সেই নীলনকশা আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব তার সংবাদ সম্মেলনে আবারও মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'তারেক জিয়াকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা আজ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে।’
শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সরকার উৎখাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে: কাদের
বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সরকার উৎখাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা সারা দেশে ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
তাদের লক্ষ্য সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘কোটা তাদের কোনো ইস্যু নয়।’
আরও পড়ুন: ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ উত্তাল ঢাকা, নগরজুড়ে সংঘর্ষ অগ্নিসংযোগ
এ সময় তিনি অশুভ শক্তির ঘৃণ্য তৎপরতা থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষায় দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের মাঠে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কোটা নিয়ে প্রয়োজনে আইন পাস করা হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগের ওপর হামলার নিন্দা কাদেরের
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই নিন্দা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন,‘এই বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ রাজাকারদের পক্ষে কথা বলছে। এর পেছনে বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে এটা স্পষ্ট।’
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে যে কোনো আন্দোলনকে প্রতিহত করা হবে। ধৈর্য মানে নীরবতা নয় বলেও উল্লেখ করেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্রকারী চক্র রয়েছে। অতীতে বিএনপি রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনে সাড়া মেলেনি। জনগণের শক্ত অবস্থানের কাছে তারা পরাজিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছেন। তার দল বিএনপি প্রকাশ্যে এতে সমর্থন দিয়েছে। তারা একটি অরাজনৈতিক ইস্যুকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করছে। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের প্রধানমন্ত্রী রাজাকার বলেননি।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে যোগ দিতে বাধ্য করছে। গতকাল বিনা উসকানিতে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রলীগের অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী আহত ও দুই নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। অপপ্রচারের জন্য ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার ভুয়া ছবি বিভিন্ন পেজে ছড়িয়ে পড়ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়টি আদালতের বিষয়। আদালতের বাইরে বল প্রয়োগ বা অন্য কোনো উপায়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপায় বা সুযোগ নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বক্তব্যেরও নিন্দা জানান ওবায়দুল কাদের। অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের ভূমিকা উন্মোচিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের ভূমিকা উন্মোচিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন,তারা পুরো ছাত্রসমাজকে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কোনো জনদুর্ভোগ সরকার সহ্য করবে না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, 'যে কোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা হবে।’আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না, কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর সম্পৃক্ততা ও প্রকাশ্য সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করেছিলাম কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলনের ছদ্মবেশ ধারণ করছে। গতকাল রাতে তাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগানের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন,বিচার বিভাগীয় বিবেচনাধীন বিষয়ে মতামত প্রকাশ আদালত অবমাননার শামিল। রাজাকার পরিচয় সম্পর্কিত স্লোগানকে জাতীয় মৌলিক মূল্যবোধের অবমাননা বলে নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে স্বঘোষিত রাজাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবে না।'
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, রবিবার রাতে কোটা আন্দোলন থেকে রাষ্ট্রবিরোধী শ্লোগান দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে রাজাকারের পক্ষে শ্লোগান দেওয়া রাষ্ট্রবিরোধী। একইসঙ্গে সেখানে সরকারবিরোধী, প্রধানমন্ত্রীবিরোধী শ্লোগানও দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট যে, কোটা আন্দোলনে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে, বিএনপি-জামাতসহ যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তারা ঢুকেছে এবং তাদের পরিকল্পিত (প্ল্যান্টেড) কিছু মানুষ এর নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ শ্লোগান ও বক্তব্যে এটা প্রমাণিত যে এটা কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়, এটিকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু নেতা, বিএনপি-জামায়াত ও অন্যরা সেখানে ইন্ধন দিচ্ছে।'
ড. হাছান এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির পর যেভাবে নির্দেশনা দেবে সরকারকে সেভাবে কাজ করতে হবে। আপনারাসহ যারা আইন, সংবিধান জানেন, তারা সবাই এটি বোঝেন। অথচ তারপরও এই আন্দোলন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী সরকার। কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে নিয়ে খেলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না।'
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের ফরেন অফিস কনসালটেশনের অগ্রগতি, চাকুরি নিয়ে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদেরকে প্রতারণা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ টাস্কফোর্স, সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের নিজ নামে ব্যবসা নিবন্ধন, চট্টগ্রামের মিরের সরাইয়ে ৩০০ একর জমিতে সৌদি বিনিয়োগসহ দেশের অর্থনৈতিক খাতে সৌদি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না, কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই কোটা বাতিল করেছিল। আদালত সেটি পুনর্বহাল করেছে। সুতরাং কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে।
তিনি বলেন, 'এই বিষয়টি যারা বোঝেন না, বা বুঝেও বুঝতে চান না, যাদের বিএনপিসহ অন্যরা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বলব, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না।'
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরে পৌর অ্যাডওয়ার্ড পার্কের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্লাটিনাম রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সংবর্ধনা ও প্রয়াতদের মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বিশদ ব্যাখ্যা করে বলেন, কোটা সরকার পুনর্বহাল করেনি। সরকার বরং শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিল। বাতিলের পর কোটাহীনভাবে সরকারি ও অন্যান্য চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে কোটা পুনর্বহালের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট সেটি স্থগিত করেছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের বিরূদ্ধে গিয়ে বা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, এসব বুঝেও যারা জনভোগান্তি ঘটাচ্ছেন, জনগণের ভোগান্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। আশা করব শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
ড. হাছান বলেন, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তোষণ না করলে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের দীপ্ত পথচলায় দেশ আরও এগিয়ে যেত। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের বিরূদ্ধে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও ডা. মোস্তফা আলম নান্নু।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সংক্ষিপ্ত হয়নি, কর্মসূচি অপরিবর্তিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা সংস্কার নিয়ে কেউ রাজনীতির চেষ্টা করলে রাজনৈতিকভাবে জবাব দেব: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোটা পদ্ধতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে সব ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে আদালতের নির্দেশনা মেনে প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের কোটা বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
বিএনপি কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে দেবে না আওয়ামী লীগ। এই অরাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করলে আমরা রাজনৈতিকভাবে তার জবাব দেব। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কুচক্রী গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। গত পাঁচ বছরে কোটার অনুপস্থিতি নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করেছে, একটি বৈচিত্র্যময় ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য কোটা অপরিহার্য। তিনি বলেন, ‘কোটা কোনো ধরনের বৈষম্য নয়; কিছু বৈষম্য দূর করার জন্য এগুলো প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, কোটা ইস্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, চলমান বিচারিক কার্যক্রম ও আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও তথাকথিত বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অজুহাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'বিএনপিসহ কয়েকটি দল প্রকাশ্যে কোটা আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রকাশ্যে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রয়োজন নেই।’
সবাইকে সর্বোচ্চ আদালত ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'বিক্ষোভের নামে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়া অবৈধ।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ঢাকায় সড়ক অবরোধ
আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কোটা সমস্যার সমাধান হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দেশের সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানির মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি আদালতের আদেশ মেনে চলা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সড়কে আন্দোলন বন্ধ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই বিষয়ে স্থিতাবস্থা জারি করেছে এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলা ব্লকেড: ঢাকাসহ সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
মন্ত্রী বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং আশা করি এটি একটি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত হবে।
প্রত্যয় পেনশন প্রকল্প নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিষয়টিও শিগগিরই সমাধান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’, সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত