আওয়ামী-লীগ
সিলেট উপনির্বাচনে নৌকার জয়
সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনাও শেষ হয়েছে। সবগুলো কেন্দ্র মিলিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬০৪ ভোট।শনিবার সিলেট-৩ আসনের তিনটি উপজেলার সকল ভোটকেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৩০৯টি।
আরও পড়ুন: সিলেট ৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছেনির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, বেসরকারিভাবে ৬৫ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।এদিকে কোনো ধরনের গোলযোগ ছাড়াই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) ভোটগ্রহণ শেষ হয়।এর আগে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) ১৪৯টি কেন্দ্রে সকাল আটটায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: আসন্ন নাসিক নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন চান আইভিসিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ উপনির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে একথা জানান তিনি।শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও অধিকাংশ কেন্দ্রই ছিল ভোটারশূন্য। দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষের সময়ও ভোটারদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায়নি।এ আসনে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। কেউ কেউ ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি হলেও এ পদ্ধতিতে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিলেট ৩ আসনে উপনির্বাচনে চার প্রার্থী চূড়ান্ত, প্রতীক বরাদ্দ আজসিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
জিয়া নিজেও কোনদিন স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি: দীপু মনি
জীবিত থাকা অবস্থায় জিয়া নিজেও কোনদিন স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এটাও সত্য যে জিয়াউর রহমান যখন চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন, তাকে অনেক দূরে নিয়ে গণকবর দেয়া হয়েছিল এবং সেটা কোথায় তেমন কেউ জানতেন না। তারপর যখন এখানে কফিন নিয়ে আসা হয় এবং সেই কফিনে কে ছিলেন, তাঁর স্ত্রী, সন্তান কিংবা দলের কাউকে দেখতে দেয়া হয়নি। কাজেই এই বিষয়টি নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, ইতিহাসের সত্য কোন না কোনদিন উদঘাটিত হবেই। এই আলোচনা হয়তো আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ব্যক্তিকে নিয়ে মিথ্যাচার করে স্বাধীনতার ঘোষক সাজাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। যিনি জীবিত থাকা অবস্থায় কখনো নিজে তা দাবি করেননি। কারণ তিনি স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না। একইভাবে বিএনপি-জামাত এই মিথ্যাচার সারাজীবন করেছে, কারণ তাদের জন্য একটি কবর বিশাল কিছু। তাই এটিকে প্রতীক বানিয়ে ফেলার অপচেষ্টায় তারা অনেক কিছুই করেছে। সত্য উদঘাটিত হওয়া উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক নেতা যে কথাগুলো বলেছেন, আমি তাদের সাথে একমত।
আরও পড়ুন: বিএনপিও জানে জিয়ার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে নেই: প্রধানমন্ত্রী
এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারিসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মন্ত্রী বিকেলে সাড়ে ৫টায় চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের নদীর তীর ও মোলহেড এলাকা ঘুরে দেখেন এবং এ সময় তিনি বড় স্টেশন এলাকায় ফিতা কেটে বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র ও এর প্রধান প্রবেশ গেট উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জিয়ার কবর সরালে পরিণতি হবে ভয়াবহ: বিএনপি
বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদেরকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) অনলাইন পোর্টাল ক্র্যাবনিউজবিডিডটকম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বিএনপি’র প্রতি এ আহ্বান জানান।
ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ক্র্যাবের প্রধান উপদেষ্টা শংকর কুমার দে, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, খায়রুজ্জামান কামাল, মোতাহার হোসেন প্রমুখ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বিএনপি এতদিন ধরে যে যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, পেট্রোল বোমার রাজনীতি করে আসছিল, সেই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে। তাহলে দেশ এবং রাজনীতি উপকৃত হবে।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
এর আগে বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, ‘অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতার বিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাজে অনেক অপরাধের বিচার হয় আবার বহু অপরাধ ঢাকা পড়ে যায়। বিশেষ করে বিত্তশালী-ক্ষমতাশালীদের অপরাধ অনেক সময় ঢাকা পড়ে যায়। আমি মনে করি সেই অপরাধগুলোকে জনসম্মুখে তুলে আনার ক্ষেত্রে ক্রাইম বিটের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধুমাত্র ফৌজদারি নয়, অর্থনৈতিক অপরাধও প্রকাশ হওয়া উচিত। পাশাপাশি সমাজের ভাষাহীন মানুষের বেদনা প্রকাশের দায়িত্বও সাংবাদিকদের ওপর বর্তায়।’
সভায় সাংবাদিকদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, অনলাইন পত্রিকা এবং আইপি টিভি এখন যুগের বাস্তবতা। অনলাইন পত্রিকা থাকবে, আইপি টিভিও থাকবে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা পোর্টালের প্রয়োজন নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ আইন বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য। যখন ডিজিটাল বিষয়টা ছিল না তখন এ ধরণের আইনের প্রয়োজন ছিল না, এখন ডিজিটাল যুগে এ ধরণের আইনের প্রয়োজন এবং প্রায় সব দেশে এ ধরণের আইন রয়েছে। তবে এ আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
ড. হাছান জানান, অন্যান্য দেশের মতো দাপ্তরিক গোপনীয়তার আইন এখানেও কার্যকর আছে। কিন্তু পাশাপাশি আমাদের সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে, তথ্য কমিশন গঠন করেছে। ২০১৪ সালে কমিশন গঠন হওয়ার পর ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত এক লাখ ১৯ হাজার ৮শ’ ৩১টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে গুম-খুনের রাজনীতি জিয়ার হাতেই শুরু: তথ্যমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্রয়দাতাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিনেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে জিয়াউর রহমানের লাশ দেখেছিলেন কি না - প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল যে বারবার জিয়ার লাশের কথা বলছেন, আমার প্রশ্ন, তিনি কি কবরে জিয়ার লাশ নিজে দেখেছেন? এ যেন স্কুল শিক্ষার্থীদের মিছিল হচ্ছে ধানমন্ডিতে আর উত্তরায় বসে 'নওশাবা' কাল্পনিক বক্তব্য দিচ্ছে।'
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
বিএনপি এখন চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশের অস্তিত্ব প্রমাণে উঠে পড়ে লেগেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেবকে আমি সম্মান করলেও ক্রমাগত মিথ্যা বলার কারণে জনগণ তাকে মিথ্যা ফখরুল বলছে। ড. হাছান বলেন, 'আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করোনার শুরু থেকে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, অনেক নেতাকর্মী মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি নেতারা করোনার প্রথম দফায় ত্রাণ বিতরণের ফটোসেশন করেছেন, দ্বিতীয় দফায় সেটিও করেননি।'
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি সমন্বয়ক ড. হেদায়েতুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচিসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। শেষে সমবেত সাহায্যপ্রার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: বিএনপিও জানে জিয়ার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে নেই: প্রধানমন্ত্রী
দেশে গুম-খুনের রাজনীতি জিয়ার হাতেই শুরু: তথ্যমন্ত্রী
জিয়া ও খালেদা দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন: তথ্যমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্রয়দাতাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যে অপশক্তি স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে, সেই বিএনপি-জামাতচক্র এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না, এর একটি ফয়সালা হওয়া প্রয়োজন।’
রবিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি প্রধান আলোচক হিসেবে এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপুসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শরীফ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
‘জিয়ার লাশ নিয়ে কথা বলে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়া হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনগণ মনে করে এবং দলিল বলে আপনারাই প্রতারণাটা করেছেন। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মেয়ের জামাই রাঙ্গুনিয়ার তৎকালীন চেয়ারম্যান জহির এবং বর্তমান চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন দু’জনই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে জিয়াউর রহমানের কথিত লাশ দাফনের প্রত্যক্ষদর্শী। তারাও বলেছেন যে তারা কোনো লাশ দেখেননি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বলছেন: তথ্যমন্ত্রী
‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর এটি সমগ্র বাংলাদেশে প্রচার করা হয় এবং চট্টগ্রামে তৎকালীন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা রেডিওতে বারবার প্রচার করতে থাকেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের কর্মচারী নূরুল হক ২৬ মার্চ গোলাগুলির মধ্যে সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে জীবন বাজি রেখে রিকশায় করে স্বাধীনতার ঘোষণা মাইকিং করেন। ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমানকে ধরে এনে ঘোষণা পাঠ করতে দেয়া হলে প্রথমে ভুল করেন ও পরে শুদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর নামে ঘোষণাটি পাঠ করেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপচেষ্টা চালানো হয় এবং স্বাধীনতার খলনায়কদেরকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়।’
এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের মাধ্যমে দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজকে পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়া ও খালেদা দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী
প্রমাণ করতে হবে জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা: আইনমন্ত্রী
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কারণ তাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে দেখা যায়নি। সে কারণে তাকে (জিয়াউর রহমানকে) প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলা সঠিক হবে কিনা সেটা মনে হয় বিতর্কযোগ্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের আইন অনুষদের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার: আইনি পর্যালোচনা’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় রোববার (২৯ আগস্ট) ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আজকে দুঃখের সাথে বলতে হয়, কালকে একটি বিজ্ঞপ্তি পড়ছিলাম। এই খুনি জিয়াউর রহমান কালুরঘাটে প্রতিরোধ যদি গড়ে না তুলতো তাহলে নাকি বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমি আজকে একটা কথা বলি, কালুরঘাটের প্রতিরোধের পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছিল নাকি সৈন্যরা করেছিল সেটা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা থাকতে পারে। কথা হচ্ছে, কালুরঘাটের সেই প্রতিরোধের পরেও কিন্তু ৯ মাস যুদ্ধ চলেছিল।
আনিসুল হক বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা সব দিক দিয়ে শত্রুকে পরাজিত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কারণ হচ্ছে তার কর্মকাণ্ডে ভারতে যাওয়া ছাড়া, জেড ফোর্স নামের একটা ভুয়া বাহিনী গড়ে তোলা ছাড়া তার কর্মকাণ্ডে আমরা কখনও দেখি নাই যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছেন। সে কারণে তাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলা সঠিক হবে কিনা সেটা মনে হয় বিতর্কযোগ্য।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইন অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের ইতিহাস ভুলে গেলে বাঙালি পথভ্রষ্ট হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯৫টি স্টিলের বর্ষা জাতীয় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক হেলাল তালুকদারের বাড়িতে এই অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল।
অভিযানের পর থেকে ওই আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মৃত আক্কেল তালুকদার ছেলে হেলাল তালুকদার (৪০) বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন-এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হেলাল তালুকদার ও তার সহযোগীরা নৌকাযোগে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার সেমি পাকা টিনশেড বৈঠক ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৯৫টি স্টিলের পাইপ দিয়ে তৈরি বর্ষা জাতীয় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেইসাথে পলাতক হেলাল তালুকদারকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান ওসি মাসুদ রানা।
এ বিষয়ে ফরিদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীর বলেন, হেলাল তালুকদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক। তার বাড়ি থেকে দেশী অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা শুনেছি। তার বিষয়ে দলীয় সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু
বোরহানউদ্দিনে দেশীয় অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক
রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীর পৃথক অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৩
বরিশালে গভীর রাতে প্রশাসন ও আ'লীগের সমঝোতা!
দ্বন্দ্ব সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বরিশালে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা হল প্রশাসনের। রবিবার রাতে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল আহসান বাদলের বাসভবনে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠকের পর সমঝোতায় আসে দুই পক্ষ।
যদিও প্রশাসনের কেউ এব্যাপারে মুখ খোলেননি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। তবে বৈঠক সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতিও বিষয়টি স্বীকার করেছেন সংবাদকর্মীদের কাছে।
রাত ১টার পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর থেকেও এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় দু’পক্ষের সমঝোতার খবর। তাছাড়া বৈঠক শেষে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ পুলিশ বিভাগ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তোলা একটি গ্রুপ ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বরিশাল সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানও উপস্থিতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বরিশালে প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ভেতরে ভেতরে যে একটা চেষ্টা চলছিল, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল রবিবার দুপুরেই। সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রথম সেই ইঙ্গিত দেন। সেসময় তিনি বলেন যে, এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি এবং খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে বরিশালে ইউএনও এবং কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দু’টি মামলার আবেদন জমা পড়লেও সেগুলো এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে তদন্তের জন্য পিবিআই’র কাছে পাঠিয়ে দেন বিচারক।
অন্যদিকে সিটি মেয়রের পক্ষে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বরিশালে বিসিসি কাউন্সিলারদের যে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল তাও স্থগিতের ঘোষণা আসে রবিবার রাতে। সবমিলিয়ে ভেতরে ভেতরে যে কিছু একটা হচ্ছে তা আঁচ করতে পারছিল সবাই।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
রবিবার রাত ১০টার পর বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে একে একে প্রবেশ করতে থাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গাড়ি। রাত ১২ টার পরে গাড়িগুলো আবার বেড়িয়ে আসে। এরইমধ্যে জানাজানি হয় ওই বাসভবনে মেয়রসহ সকল কর্মকর্তাদের আপ্যায়িত হওয়ার বিষয়টি। একই সাথে ছড়িয়ে পড়ে বিরাজমান দ্বন্দ্ব দূর করে দু’পক্ষের সমঝোতার খবর।
পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউএনও ও বিসিসি মেয়রসহ এক সাড়িতে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি ভাইরাল হয়। ওই ছবিতে আরও রয়েছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি তালুকদার মো: ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল আহসান বাদল, রেঞ্জ ডিআইজি আকতারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান এবং জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বৈঠকের ব্যাপারে অবশ্য কিছু বলতে রাজি হননি সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কেউ। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে সেখানে। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিষয়টি নিয়ে সামনের দিনগুলোয় কোনও বাড়াবাড়ি করবেনা দুই পক্ষ। মামলাসহ যেসব জটিলতার সৃস্টি হয়েছে সেগুলোরও সমাধান করা হবে। তাছাড়া আগামীর দিনগুলোয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতারা মিলেমিশে কাজ করবে এবং কোনরকম রাগ কিংবা ক্ষোভ ভেতরে পুষে রাখবে না। পরে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়িত করেন বিভাগীয় কমিশনার।’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট রাতে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা ব্যানার অপসারণ নিয়ে বিরোধে জড়ায় আওয়ামী লীগ এবং সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান। সেই ঘটনায় হামলা সংঘর্ষ এবং গুলি বর্ষণের ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ক্ষমতাসীন দলের ৩০ নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
পরে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে পৃথক দুটি মামলাও দায়ের করেন ইউএনও ও পুলিশ। পরবর্তীতে ইউএনও মুনিবুরসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু‘টি পাল্টা মামলা দায়েরের আবেদন করেন বিসিসির একজন প্যানেল মেয়র ও একজন কর্মকর্তা। তবে রাতের সমঝোতা বৈঠকের পর এসব জটিলতা কেটে যাবে এমনটাই মনে করছেন সবাই।
শেখ হাসিনা সরকারের কোনো বিকল্প নেই: হানিফ
এ দেশে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘এ দেশের উন্নয়ন কীভাবে করতে হয়, এ দেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করতে হয় তা কেবল শেখ হাসিনা সরকারই জানে।’
রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের কোনো বীরত্বগাঁথা ইতিহাসে নেই। বরং পঁচাত্তরের পরে ক্ষমতায় এসে দালাল আইন বাতিল করে কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে তিনি যে তাদের দোসর তা প্রমাণ করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর অপরাধ ছিল তিনি এদেশের মানুষকে ভালোবাসতেন, এদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। বাংলাদেশ যেন বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য ৭১ এর পরাজিতরাই জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। আর সেই খুনিদের বিচার না করে ইন্ডেমনিটি আইন বাতিল করে তাদের পুরস্কৃত করেছেন জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বর্হিবিশ্বে প্রশংসিত: হানিফ
তিনি বলেন স্বাধীনতাবিরোধী চক্র শুধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু পরিবারে তাদের ভয় ছিল আওয়ামী লীগ দল নিয়ে তাদের ভয় ছিল-তাই পরবর্তীতে গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসনিাকে হত্যাচেষ্টা চালায় সেই চক্র। বঙ্গবন্ধু হত্যায় যেভাবে বিএনপি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল ঠিক তেমনি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায়ও খালেদা জিয়ার দল জড়িত ছিল। তা না হলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে পারতো।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসে, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডনসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের সক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ
টিকা নিয়ে প্রমাণ করেছি বিএনপি মিথ্যাচারে লিপ্ত: হানিফ
বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত, বিএনপিরই পায়ের তলায় মাটি নেই।’
রবিবার দুপুর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। জনগণের সমর্থন নিয়ে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতেও বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল এবং কি ফলাফল হয়েছে সেটি আপনারা জানেন এবং দেখছেন, বিএনপি প্রধান বিরোধী দলের আসনেও বসতে পারে নাই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বিধায়ই বিএনপি’র ফখরুল সাহেবের কথাবার্তা ‘খালি কলসি বাজে বেশি’র মতো। কথা বলার মধ্যেই তাদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।’
‘সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিএনপি’র বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে’ বিএনপি’র এ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা কখনো লেলিয়ে দেইনি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির কারো ব্যক্তিগত অপরাধ বা ব্যক্তিগত নৈতিক স্খলনের কারণে বা ফৌজদারি অপরাধের কারণে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, বিএনপি সেটিকেও রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করে, যা কখনো সমীচীন নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী
এসময় বরিশালের বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বরিশালের বিষয়টা একান্ত স্থানীয়। সেখানে তড়িৎ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কি ঘটনা ঘটেছিল। তার আগে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
পরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিএনপির উন্মেষ হত্যার মধ্য দিয়ে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের উত্থান হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতি আগে বন্ধ করতে হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, জাতির পিতার হত্যার প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্নকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে একযোগ কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জেলের বাইরে রাখা ভুল হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর