������������������-���������
হতদরিদ্রের হার শূন্যের কোটায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নব নিযুক্ত সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,‘হতদরিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ নেমে এসেছে। সেটাকে শূন্যের কোটায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা যে স্বপ্ন দেখেছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করব। আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চাঁদপুর-হাইমচরবাসীর ঋণ শোধ করার চেষ্টা করব।’
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার আজ বিকালে চাঁদপুরে যান তিনি।
বিএনপি প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা করে, যারা দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে, তাদের কোনো দল নেই। এগুলো যারা করে তাদের রাজনৈতিক দল বলা ঠিক না।
মন্ত্রী বলেন, নতুন মন্ত্রণালয়ে যাব রবিবার। তারপর বুঝতে পারব নতুন কী কী চ্যালেঞ্জ আছে। এটা খুব বড় সেক্টর। বঙ্গবন্ধু যে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যে বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন, এটা সেই মন্ত্রণালয়। সেই কাজটি অতীতের ধারাবাহিকতা ও নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজ করা হবে।
চাঁদপুরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে সারা জীবনের জন্য ঋণী করেছেন। একবার নয়, ৪ বার নির্বাচিত করেছেন। এই ভোট ছিল আমার প্রতি আপনাদের আস্থা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, দোয়া ও আর্শিবাদ। আমার সর্বোচ্চ দিয়ে আপনাদের এই ঋণ শোধ করার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
তিনি আরও বলেন, আপনারা আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আর সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভায় তৃতীয়বার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি আমার জন্য পরম সৌভাগ্য। এই জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং আপনাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। কারণ আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন (এসডু) পাটওয়ারী, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূইয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান টুটুলসহ, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে কাজ করব: নানক
বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে কাজ করব: নানক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করা হবে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেন শাজাহান, নানক, আবদুর রহমান
সাক্ষাৎকালে নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ সমানে রেখে পাট ও বস্ত্রখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে এ খাতকে আধুনিকায়নের কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
তিনি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পা ধরে হলেও আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করব: নানক
২০০৮ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর আসন (ঢাকা-১৩) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নানক।
২০০৯ সালে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ রাজনীতিক।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ: নানক
মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না এবং বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
একাডেমিক, সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত আরাফাত বলেন, 'মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে।’
আরও পড়ুন: পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ ও উপমন্ত্রী মহিবুল
টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে তারা নিজেদের জন্য গণতন্ত্র চায়, কিন্তু তারা অন্যদের গণতান্ত্রিক অধিকারে দিতে চায় না।
তিনি বলেন, মৌলবাদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলো নিজেদের জন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা চায়, কিন্তু অন্যদের সেই স্বাধীনতা দিতে চায় না, যা সমাজে গণতন্ত্রের অগ্রগতির জন্য একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। আরাফাত বলেন, ‘মৌলবাদ ও ধর্মান্ধতা গণতন্ত্রবিরোধী।’
তিনি বলেন, প্রথমে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে, তারপর গণতন্ত্রের সন্ধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন আরাফাত
আরাফাত একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। গত বছরের ১৭ জুলাই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে বিজয়ী হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন তিনি। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।
তিনি অনেক বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক যোগাযোগ ও বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
মোহাম্মদ এ আরাফাত একাডেমিক, সামাজিক-আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব বিজনেসের শিক্ষক। তার একাডেমিক আগ্রহসহ ছোটখাট ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মূলধন, সংযোগ ইত্যাদির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
তিনি ঢাকাভিত্তিক অলাভজনক সামাজিক সংগঠন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। ফাউন্ডেশনটি উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক প্রচারণামূলক কাজ করেছে।
টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি, প্রাইরি ভিউ এবং ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাডভান্সড বিজনেস ডিগ্রি অর্জন করেছেন আরাফাত।
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি জনপ্রিয় মুখ।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখন কেউ বাধা দিতে পারবে না: শেখ হাসিনা
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসায় এখন থেকে কেউ দেশের অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যেহেতু আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে, তাই বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতিকে আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে এই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলো যখন নির্বাচনে যোগ দেয় তখন একটি বিশেষ দল নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করার পরও এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।’
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, 'কেউ বলতে পারবে না যে, এই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোট কারচুপি হয়েছে এমন কিছু বলার ক্ষমতা কারও নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কখনই নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেনি, বরং সহায়তা করেছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শক্তি একটি বড় শক্তি, যা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
সমালোচকদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকরা যখন ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা নীরব ছিল। ‘কিন্তু এখন যখন আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, তখন তারা আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
'আমরা গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি;’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার দলকে ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সরকার তাদের প্রচারণায় বাধা দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে এবং শত প্রতিবন্ধকতা ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে এই নির্বাচন গ্রহণ করেছে...... গ্রামাঞ্চলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ একটি ঐতিহাসিক দলিল।
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা তার ভাষণে ভবিষ্যতে স্বাধীন বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সব দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণ করা।
তিনি বলেন, ‘তাই প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। আপনাদের (সংসদ সদস্যদের) নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের এলাকায় সুষম উন্নয়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
বুধবার(১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের (এএলপিপি) প্রথম সভার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বক্তব্য দেন। দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গণতন্ত্র ও জনগণ বিজয়ী হয়েছে।’
তবে সংসদে বিরোধী দল কে হবেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি বলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান জয়।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
জয় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সংসদের স্পিকার, মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে সংসদের চিফ হুইপ মনোনীত করা হয়েছে।
একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতি ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ফলে একটানা চতুর্থবারের মতো তিনি সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের শপথ শেষে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নাম প্রস্তাব করেন এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবের সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিকরণে তা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সংসদ নেতা নির্বাচনের পাশাপাশি বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত করা হয।
এদিকে সংশোধিত দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে আবারও নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া বর্তমান নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া: হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে হাছান বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, গভীর শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা এবং যারা জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশমাতৃকা রচনা করে গেছেন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।’
সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন যে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকায় ৭০ শতাংশের ওপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। ৩ দিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল। সে কারণে কিছু বড় শহরে ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের ভোট প্রদানের হার ৪২ শতাংশ।'
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
ড. মাহমুদ বলেন, 'যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়ে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।'
দেশের ইতিহাসে একটি ভালো সুন্দর নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে। এবং সরকার গঠনের পর আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসকে সমূলে উৎপাটন করা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।'
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে, বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা, ভোট বর্জনের ডাকের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি ট্রেনে বর্বরোচিত হামলা এবং ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান বলেন, বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত- কেন তারা নির্বাচন করল না। তাদের সঙ্গে যদি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন, তাহলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কী পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, এই নির্বাচন বর্জন করে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো সহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সোমবার বিকালে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’
নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নাই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই হবে নতুন সরকারের মূল কাজ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন সরকারের প্রধান কাজ হবে নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এই দিনে সংসদ নেতাও নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে।
তিনি আরও বলেন, '২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দলমত নির্বিশেষে দেশের অব্যাহত উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে যেতে হবে। কোথাও কোনো সহিংসতা বা সংঘাত হওয়া উচিত নয়। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নেতা যে ভাষণ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা এবং দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের অতিক্রম করতে হবে।’
সংসদ নির্বাচনের পর কোনো ধরনের সহিংসতায় না জড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার একটি চক্রান্ত। দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে। যারা বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি তাই করছে। এটি তাদের জনসাধারণের বিচ্ছিন্নতার মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। আমরা সবসময় সতর্ক থাকি যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। সবকিছু মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল রয়েছেন।’
নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি দেশের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমেরিকা, কমনওয়েলথ ও ওআইসির পর্যবেক্ষকরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। আমি মনে করি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পর পর্যবেক্ষকরা তাদের দেশ থেকে যে ইতিবাচক মন্তব্য করবেন, তার ওপর ভিত্তি করে যারা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন তারাও বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা.দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের