������������������
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে জনগণকে গুলি করছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ন্যায্য আন্দোলনের ওপর গুলি চালাচ্ছে। আপনারা ভয় পেয়ে গেছেন (আমাদের আন্দোলন দেখে), তাই আপনারা আমাদের ও সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাচ্ছেন।’
শুক্রবার রাজধানীর বসিলা এলাকায় বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার মোহাম্মদপুর জোন জ্বালানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এবং দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে বিরোধী দলের নেতাদের নিহতের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় এই বিএনপি নেতা বলেন, আইয়ুব খান ও এইচ এম এরশাদের শাসনামলেও মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, কিন্তু (তারা) ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আপনিও (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাওন হত্যার জবাব দেয়া হবে: ফখরুল
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তারা অবশ্যই বিজয়ী হবেন। ‘গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সংগ্রামে জনগণ সবসময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং এবারও তারা তাই করবে। তাই বিজয় অর্জনের জন্য রাজপথে নামার জন্য প্রস্তুত হোন।’
মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ছোট ছোট মিছিলে সমাবেশে যোগ দেন।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা দুর্নীতি ও লুণ্ঠন করে বিপুল অর্থ উপার্জন করায় আওয়ামী লীগ সরকার জনদুর্ভোগ নিয়ে কম চিন্তিত।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ওষুধের আকাশছোঁয়া দাম এবং কর্মসংস্থানের অভাবে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন,‘এটা স্বাভাবিক যে মানুষ যে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার প্রতিবাদ করবে, কিন্তু আপনারা জনগণের সরকার নন বলে আপনারা তাদের গুলি করে মেরে ফেলছেন। আপনারা কয়েক হাজার নতুন কোটিপতির সরকার, চার কোটি নতুন দরিদ্র মানুষের নয়। আমরা সেই চার কোটি দরিদ্র মানুষের কথা বলছি এবং আমরা তাদের সঙ্গে এক হয়ে লড়াই করছি।’
তিনি বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার মানুষ হত্যা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড করে তাদের দলের আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না। জোর করে কেউ বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
সম্প্রতি রাজধানীর বনানী এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত তাবিথ আউয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কিন্তু তাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে তাদের মনোবল নষ্ট করতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চলবে।যাই হোক না কেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: মোশাররফ
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সরকার: বিএনপি
মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত শাওনের লাশ দাফন
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলাম শাওনের লাশ দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০ টায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের মুরমা মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মুরমা সামাজিক কবরাস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
জানাজায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবরি রিজভীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকায় বিএনপির নায়া পল্টনস্থ কার্যালয়ে শাওনের প্রথম নামাযে জানাজা হয়। পরে সেখান থেকে শাওনের লাশবাহী গাড়ি রাত সাড়ে ৮টা ৩৫ মিনিটে তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের মুরমায় পৌঁছে। রাত ৯ টা ১০ মিনিটের দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শাওনের বাড়িতে আসেন এবং শাওনের ৮ মাস বয়সী ছেলেসহ পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ঢামেক হাসপাতালে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু
শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মিরকাদিমের মুরমা জামে মসজিদের ঈদগাহে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তার রাশ দাফন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শাওনের লাশ হস্তান্তর শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে লাশ নিয়ে রওয়ানা হয় নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যায় ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত শাওনকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৯ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিউতে (নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শাওন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের মুরমা গ্রামের অটো চালক সোয়াব আলী ভূইয়ার ছেলে। মৃত্যুকালে পিতা-মাতা এবং স্ত্রী ছাড়াও আট মাসের একমাত্র পুত্র সন্তান রেখে যান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাওন হত্যার জবাব দেয়া হবে: ফখরুল
মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত শাওনের লাশ দাফন
আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাওন হত্যার জবাব দেয়া হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মুন্সীগঞ্জ যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন হত্যার জবাব দেবে বিএনপি।
তিনি বলেন,‘শাওনের রক্ত আমাদের নতুন করে শপথ নিতে উৎসাহিত করেছে যে আমরা যে কোনো মূল্যে বর্তমান ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী শাসনের পতন নিশ্চিত করে তার জীবন উৎসর্গের জবাব দেব।’
শুক্রবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শাওনের নামাজে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোট এবং অন্যান্য অধিকারের জন্য যুবদল কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আমরা শপথ নিচ্ছি, আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনকে হটিয়ে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করব। আমরা যদি তা করতে পারি তাহলে শাওনের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাতে পারব।’
বিএনপি নেতা শাওনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন,শাওন হত্যার প্রতিবাদে শনিবার যুবদল নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: মোশাররফ
শাওনের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে শাওনের মরদেহ ফ্রিজার ভ্যানে করে নয়াপল্টনে নেয়া হয়।
সেখানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযা শেষে ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির পক্ষ থেকে শাওনের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসেবে দলীয় পতাকা দিয়ে তার কফিন ঢেকে দেন। পরে তার লাশ দাফনের জন্য মুন্সীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সরকার: বিএনপি
এদিকে মুন্সীগঞ্জে যুবদল কর্মী হত্যার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিরোধী দলের নেতাদের হত্যার প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শাওনসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরবর্তীতে মাথায় গুলিবিদ্ধ শাওন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ঢামেক হাসপাতালে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু
মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ঢামেক হাসপাতালে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু
বুধবার মুন্সীগঞ্জে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক যুবদল কর্মী বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মো. শাওন (২০) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে আহত ইউআইটিএস শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহতের বন্ধু নাহিদ খান জানান, শাওন একজন থ্রি-হুইলার চালক ও মুক্তারপুর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন।
গত বুধবার মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুবদল কর্মী নিহত: দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. সামি বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দিতে গেলে পুলিশ সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শাওন, জেলা বিএনপি কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) এবং ছাত্রদল কর্মী মোহাম্মদ তারেক (২০) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে বুধবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিএনপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাদের দলের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমাদের কর্মসূচিতে এ ধরনের হামলা করার জন্য আপনাদেরকে (আওয়ামীলীগ কর্মী ও পুলিশ) চিহ্নিত করা হচ্ছে। জনগণ আপনাদের চিহ্নিত করছে যে আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং জনসাধারণের সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করছেন।’
বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে তিন বিরোধীদলীয় নেতা নিহতের প্রতিবাদে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার যাত্রাবাড়ী জোন শহরের সায়দাবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দিন ঘনিয়ে আসায় অদূর ভবিষ্যতে দমনকারীদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে অনেক হামলা, মামলা, গুম করেও সরকার বিএনপিকে দমন করতে পারেনি। আমরা বলতে চাই বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য আর কোনো নিরর্থক প্রচেষ্টা চালাবেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ জনসেবক হিসেবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা কোনো দলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী… আমাদের কর্মসূচিতে এভাবে আক্রমণ করে আপনারা জনসেবক হিসেবে আপনাদের শপথ ভঙ্গ করছেন। আমরা শুধু এটুকুই বলতে চাই, আপনারা অনুগ্রহ করে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আর কোনো হামলা করবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার ব্যাপক দুর্নীতি করে দেশকে চরম সংকটে ফেলেছে। ‘আমাদের রিজার্ভ ও আমদানি কমেছে এবং ডলারের সংকট রয়েছে। তারা শেয়ারবাজার, রিজার্ভ ও ব্যাংক লুট করেছে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মোশাররফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছেন। জনগণ আর চায় না গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা ক্ষমতায় থাকুক। এখন আমাদের দায়িত্ব দেশের জনগণকে, সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমামদের বড় ভূমিকা রয়েছে: খন্দকার মোশাররফ
ইসি’র ইভিএম কেনার প্রকল্প জাতির সঙ্গে উপহাস: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আরও দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পকে জাতির সঙ্গে প্রহসন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে জাতির সঙ্গে (ইভিএম সংগ্রহের নামে) কী ধরনের উপহাস হচ্ছে যখন মানুষ চায় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক এবং আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনকে বলেছে যে আমরা ইভিএম চাই না’।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএম কেনার জন্য ইসি ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা চেয়েছে। ‘এটি একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের মতো, কারণ এই দেশে কোন জবাবদিহিতা নেই।’
এর আগে সোমবার দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনার প্রকল্প ও সেগুলোর ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করে ইসি। প্রকল্পটি এখন সরকারের অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, কয়েকদিন আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকে স্পষ্ট করে বলেছেন, অধিকাংশ প্রকল্পই জনগণের টাকা চুরির জন্য করা হয়। ‘এমনকি এখানে প্রকল্পের মূল্যায়ন করা হয় না,মাঝরাতে ঋণ চুক্তি সাক্ষরিত হয় । এই হলো দেশের সার্বিক অবস্থা।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভয়ঙ্কর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বলে দেশে কোনো সরকার বা শাসন ব্যবস্থা নেই। ‘আমরা কল্পনাও করিনি একদিন এমন বাংলাদেশ দেখতে পাব।’
তথ্য সংগ্রহের নামে হয়রানি
ফখরুল অভিযোগ করেন, পুলিশ গ্রামাঞ্চলে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের নামে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন ‘বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ এক রাজনৈতিক কর্মীর কাছ থেকে অন্য রাজনৈতিক কর্মীর তথ্য সংগ্রহ করছে। তারা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির তালিকাও সংগ্রহ করছেন। পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংবিধান, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং পুলিশ আইন বা পুলিশ বিধি বা অন্য কোনো আইন দ্বারা কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়’।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকারও লঙ্ঘন করছে এবং এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে নাগরিকের আইনি অধিকার ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ভোগে হস্তক্ষেপ করছে। এটি সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৪৩ অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি বলেন, দৃশ্যত দমন ও ভীতি ছড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মী, তাদের সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন ও সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে।
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি এ অবস্থার অবসান চায়। সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতে আমরা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই’।
তিনি বলেন, যখনই বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন শুরু করে, তখনই পুলিশ তাদের বাড়ি বাড়ি অভিযান শুরু করে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। ‘তাদের এটা করার কোনো সাংবিধানিক কর্তৃত্ব নেই। সেখানে তারা জনগণকে হয়রানি ও আন্দোলন দমনের কৌশল হিসেবে এটা করছে। আমরা এর নিন্দা জানাই এবং তাদের এ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রীসহ দলের সিনিয়র নেতারা কীভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন তাও বর্ণনা করেন মির্জা ফখরুল।
‘যেভাবে সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং বুলু ও তার স্ত্রীকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে তা কল্পনাতীত। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে
গ্রেপ্তার করা হয়নি। এমনকি একটি মামলাও হয়নি। এটা রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানজনক।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হয়। এমনকি, একটি ঘোড়াও আপনাদের কথা শুনে হাসবে।’
মঙ্গলবার খিলগাঁও জোড়পুকুর মাঠে জ্বালানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে ও হামলায় তিন বিরোধীদলীয় নেতা নিহতের প্রতিবাদে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার খিলগাঁও জোন আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সরকার: বিএনপি
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টার অংশ হিসেবে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড এবং বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে এবং গ্রেপ্তার বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যখন তাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম শুরু করেছে, তখন তারা (সরকার) সহজে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে, মানুষ হত্যা করছে এবং মিছিল-মিটিং বানচাল করছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
সমাবেশে বিএনপি নেতা আরও বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোট এবং অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করায় মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ‘ক্যাডাররা’ গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করতে, গণতন্ত্রকামী জনগণকে আতঙ্কিত করতে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে সারাদেশে ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা বলি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল। তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তারা সন্ত্রাস, নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং ভয়ভীতির পথ অবলম্বন করে টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মানুষকে আতঙ্কিত করা। সে কারণেই আওয়ামী সরকার তার সন্ত্রাসী ও ঘাতক বাহিনীকে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাতে লেলিয়ে দিয়েছে।’
গত আগস্ট থেকে বিএনপি জনগণের বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে তাদের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের তিন নেতা নিহত হয়েছেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের দলীয় কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে।
শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলুর ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি। ‘এমনকি তারা আমাদের নারী নেত্রীদেরও রেহাই দেয়নি এবং তাদের ওপর হামলা করেছে।’
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অধিকাংশ অর্জন আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। ‘তারা লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করে নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, অর্থনীতি এবং জনগণের বেঁচে থাকার সব উপায় ধ্বংস করেছে। তারা প্রতিটি খাতে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে।
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে গুম করে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগও করেন। ‘এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স বিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বলেছে, বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা বাড়ছে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার অনেক এলাকায় বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না, অথচ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, এসব করবেন না। বাংলাদেশের জনগণকে এভাবে নিপীড়ন করে দমন করা যাবে না। তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে আপনারা পরাজিত হবেন।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করছে, কিন্তু সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
‘আসলে তাদের (সরকার) মেরুদণ্ড নেই। যেহেতু তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাই তারা মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করতে পারে না এবং তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন জোগাড় করতে পারে না।’
এ পরিস্থিতিতে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ শাসনকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকল রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বুলুর গাড়িবহরে হামলা
নোয়াখালী থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে শনিবার কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রীসহ দুজন আহত হয়েছেন।
কুমিল্লা বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া বলেন, বুলু মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসন ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি গঠন করবে ঐক্যফ্রন্ট: বুলু
পরে অবশ্য তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন যে তিনি এবং তার স্ত্রী শামীমা বরকত লাকী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে তার গাড়ির একটি টায়ার পাংচার হয়ে যায়। এতে মনোহরগঞ্জ এলাকায় গাড়ি থেমে যায়।
বুলু বলেন, বিপুলাসার বাজারে পাংচার হওয়া টায়ার পরিবর্তনের সময় স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী ও নেতাদের সঙ্গে চা খাচ্ছিলাম তিনি, এই সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত আমাদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা বরকতুল্লাহ বুলু করোনায় আক্রান্ত
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের চান্দিনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জওহর ইকবাল জানান, আহতদের কাছে জানা গেছে যে কিছু লোক হঠাৎ করে একটি মোটরসাইকেলে এসে তাদেরকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বনানীতে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, তাবিথসহ আহত ১০
বিএনপির মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে এ্ই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় মাথায় চোট লাগায় চিকিৎসার জন্য তাবিথ ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সচিব নাজমুল হুদা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে তিনজন কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছে।
শায়রুল জানান, সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হঠাৎ উপস্থিত হয়ে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের নেতাকর্মী ও সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন:জনগণকে শত্রু বানাবেন না: সরকারি আমলাদের সতর্ক করল বিএনপি
শায়রুল কবির আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাকলী থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তা ঠেকাতে ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সড়ক অবরোধ করে রাখে।’
হামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ দলের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই তারা রাস্তার উল্টো দিকে অবস্থান নেয় এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য দেয়ার সময় হামলা চালায়। তারা কীভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এভাবে হামলা করতে পারে বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন:বিএনপির সমাবেশে হামলা: শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি