������������������
এক হাজার পদ্মা সেতু করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না আ.লীগ: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ রেখে হাজার হাজার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘আপনার (সরকার) প্রতি জনগণের কতটা আস্থা আছে তা দেখার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করুন। আইয়ুব খান পাকিস্তান আমলেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন। গণতন্ত্র ও জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি না থাকলে হাজার হাজার পদ্মা সেতু নির্মাণের কোনো মানে হয় না। যদি তাদের ভোট এবং অন্যান্য অধিকার না থাকে।’
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থা থাকায় জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিচ্ছে বলে মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের আগের দিন রাতে ভোট কারচুপি করে এবং জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার কীভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে?
আগামী নির্বাচনে তাদের দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
‘বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকার আবশ্যক। অন্যথায়, স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার আনলেও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। এটা অসম্ভব,’ বলেন তিনি।
এই সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ফখরুল তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের ফলাফল তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সরকারের অবহেলায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: বিএনপি
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মনে হয় সরকার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ‘এটি মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে পারেনি। বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে সরকারের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে দুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ঘর নির্মাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই সারাদেশে ৬ষ্ঠ জনসংখ্যা ও গৃহায়ন শুমারি সঠিকভাবে হয়নি বলে স্বীকার করায় তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
‘বর্তমান সরকারের আমলে সব ধরনের জরিপ ও গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়… ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সব তথ্য-উপাত্তের ওপর আস্থা রাখতে পারে না।
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেয়া নেতারা মনে করেন, সরকার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ‘তারা মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে পারেনি। বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে সরকারের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই’।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে দুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ঘর নির্মাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: আবদুল আউয়াল
তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই সারাদেশে ৬ষ্ঠ জনসংখ্যা ও গৃহায়ন শুমারি সঠিকভাবে হয়নি বলে স্বীকার করায় তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বর্তমান সরকারের আমলে সব ধরনের জরিপ ও গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়… ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সব তথ্য-উপাত্তের ওপর আস্থা রাখতে পারে না।
হঠাৎ করে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সারাদেশে মানুষ ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছে। ‘ঘন ঘন বিদ্যুত কেটে যাওয়া প্রমাণ করেছে যে শতভাগ বিদ্যুতের কভারেজের বিষয়ে সরকারের মন্তব্যগুলি কেবল বাগাড়ম্বর।
তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে নিজেদের পকেট ভারী করার মূল লক্ষ্য নিয়ে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া বাংলাদেশ একটি ভঙ্গুর অবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষণ।
ফখরুল বলেন, তাদের বৈঠকে দেখা গেছে যে প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৪.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। কারণ রিজার্ভ থেকে সাডে ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) নামে সরকারের উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দেয়া হয়েছে।
তারা বলেছে যে এগুলি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলির দেয়া বাধ্যতামূলক ঋণ এবং আইএমএফ এই পরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত না করার পরামর্শ দিয়েছে।
বৈঠকে আরও বলা হয়েছে, এই সাড়ে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
সরকার শুধু নিজের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালীদের স্বার্থে অর্থনীতির সব নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করে দেশের এই ভয়াবহ ক্ষতি করছে।
তিনি বলেন, প্রভাবশালীরা ইডিএফ ঋণের নামে দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ‘অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন যে এই ধরনের ঋণের সুদূরপ্রসারী প্রভাব সামাজিক অর্থনীতি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে দেবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের বৈঠকে ইডিএফ ঋণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসহ একটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আট দিন পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, শনিবার বিএনপি মহাসচিব করোনা টেস্ট করেছেন এবং তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ফখরুল ইসলাম করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মঙ্গলবার থেকে দলের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিএনপি নেতা।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দলের ত্রাণ কমিটির এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন ফখরুল।
২৫ জুন, বিএনপি নেতা দ্বিতীয়বারের মতো করোনা আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
সরকারের অবহেলায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: বিএনপি
সরকারের অবহেলায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের অবহেলার কারণে দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘চতুর্থবারের মতো দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারের গাফিলতির কারণে এমনটি হচ্ছে।’
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, চীন ভাইরাস সংক্রমণের একটি নতুন ঢেউয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। যা বাংলাদেশ সরকারের জন্য কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি সতর্কতার আহ্বান ছিল। কিন্তু সরকার কিছুই করেনি। এ বিষয়ে কোনো মনোযোগ দেয়া হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আক্ষেপ করে বলেন, সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার কারণে বিএনপি নেতাসহ অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: আবদুল আউয়াল
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস ও তার ধমনীতে ব্লকেজ সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এবং মির্জা ফখরুল সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বন্যা সম্পর্কে মোশাররফ বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষ যখন চরম দুর্বিপাকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তখন বিভিন্ন নদীতে পানির উচ্চতা বাড়ছে, নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। ‘এটি ঘটছে ভারত থেকে উজানের পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে।’
তিনি বলেন, বর্ষায় ভারি বর্ষণে ভারত ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়, তাই বাংলাদেশের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয় না, আমরা ডুবে যাই। আর যখন আমাদের প্রয়োজন হয়, তখন ওই বাঁধগুলোর কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ থাকে না। আমাদের নদীগুলো মৃতপ্রায় পরিণত হচ্ছে এবং আমাদের কৃষি, আমাদের জীববৈচিত্র্য সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
মোশাররফ বলেন, ‘সরকার শুধু ক্ষমতায় বসার জন্য জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে। এটা জনগণের সরকার নয়। এরা জনগণের কথা কমই চিন্তা করে। এই সরকার কেবল নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে।’
তিনি বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: আবদুল আউয়াল
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘সরকার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছে। আবার যদি ভোট চুরি করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়, সেটা সম্ভব নয়। সেটা হতে দেয়া হবে না’।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল ও হাতিরঝিল থানার ছয়টি ওয়ার্ডের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবাই আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়, আমার অপরাধ কী? আমার প্রশ্ন আপনি যে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা করছেন এটা কী অপরাধ নয়? আপনি যে হেলমেট বাহিনী, এ বাহিনী, সেই বাহিনী দিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করছেন এগুলো কী জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ নয়? যে দর্শনের ওপর ভিত্তি করে এখন থেকে তিনশ’ বছর আগে যে নির্বাচন পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়, সেই পদ্ধতিকে আপনি ধুলায় নিপতিত করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মানুষের অধিকার খর্ব করার মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছেন এটা কী জনগণ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ নয়? আপনাকে মনে রাখতে হবে, সব মিথ্যা নাটক বানিয়ে যখন মানুষকে বন্দি করে রাখেন তাহলে আসল অপরাধের জন্য একদিন না একদিন সবাইকে সাজা খাটতে হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আপনারা কি পত্রিকায় পড়েন না দেশের সম্পদ কীভাবে লুটপাট হচ্ছে? দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। আর যদি টিভি দেখেন দেখবেন মুদ্রা পাচারের নাম উঠলেই প্রথম আমার নাম, (পাশে বসে থাকা তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের দিকে ইশারা করে) তাবিথের নামও আসে। আমার বউ এদের নাম আসে। আরে ভাই আমরাতো এখানে থাকি। তো মুদ্রাটা কার কাছে পাঠাবো? যাদের ছেলে-মেয়ে বিদেশে থাকে মুদ্রা পাচার করলে তারাই করতেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে এ দেশের একটা অংশ বন্যাকবিলত। মানুষের হাহাকার, না খেয়ে মরে যাচ্ছে। আর আপনি আলোকসজ্জায় ব্যস্ত। এটা কী দেশের বিরুদ্ধে একটা অপরাধ নয়? আমিতো বলি এটা অপরাধ। এ অপরাধেরও বিচার করা হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, তাবিথ আওয়াল, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যার্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। খবরের কাগজে দেখেছেন বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ কীভাবে অমানবিক জীবনযাপন করছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে বিপর্যয়কর বন্যা মোকাবিলা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
মঙ্গলবার এক গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেনি।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তারা (সরকার) অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিল। জনগণের ভোটের সরকার যদি না হয় তাহলে জনগণের কষ্ট, জনগণের দুঃখ প্রাধান্য পায় না, পায় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ।’
সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্য ইস্যু অব ওয়াটার শেয়ারিং বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শিরোনামে এ অলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, দেশে ভয়াবহ বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকার এখন পর্যন্ত হিসাব করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি বলেন, জয়েন্ট রিভার কমিশনের কোনো রিপোর্ট ছাড়াই বৈঠকে মন্ত্রী শুধু লিপ সার্ভিস দিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের অনেক এলাকা যখন বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছিল, তখনও ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা উজান থেকে পানিতে ডুবে থাকি যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয় না। আমাদের জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন উজানের পানি অন্য অঞ্চলে (ভারতের) প্রবাহিত করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যমুনা নদীর ওপর একটি বড় সেতু নির্মাণ করা হলেও এখন শুষ্ক মৌসুমে সেতুর নিচে গরুর গাড়ি চলে। ‘ভারতে ব্যারেজ এবং বাঁধের জন্য এটি ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভারতের সাধারণ নদী থেকে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী তাদের গভীরতা ও প্রস্থ হারাচ্ছে, যার ফলে বর্ষাকালে বন্যা হয়।
মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সরকার তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এবং অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৩ দিন থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তার গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানায়, দেশে আবারও ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) এখনও অসুস্থ। তবে তিনি এখন স্থিতিশীল। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে আমরা তাকে এখন এখানে (হাসপাতালে) রাখতে চাই না। তবে কোনো জটিলতা দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।’
‘রক্তপাতের জটিলতা এখন তার জন্য একটি খুব চ্যালেঞ্জিং বিষয়। যেহেতু তার লিভার সিরোসিস সমস্যা রয়েছে, তিনি এখন রক্তপাতের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তার কিডনির জটিলতা কাটিয়ে উঠেছে। তবে হৃদপিণ্ডে এখনও দুটি ব্লকেজ রয়েছে।’
প্রফেসর শাহাবুদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়াকে বাসায় পূর্ণ নজরদারিতে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকার দমন-পীড়ন ও দুঃশাসন চালিয়ে জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করেছে। গুমসহ অপশাসন ও অপকর্মের কারণে দেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রেই দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
শুক্রবার ২০১০ সালের ২৪ জুন রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমের বাসায় গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ফখরুল।
তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, যাদের গুম করা হয়েছে তাদের জীবনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গুমের শিকার পরিবারগুলো উত্তরাধিকার সনদ ও সম্পত্তির মালিকানা পাচ্ছে না এবং তারা তাদের নিখোঁজ প্রিয়জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা অর্থ লেনদেন করতে পারছেন না। এই পরিবারগুলো গুরুতর সংকটে আছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে।তাদের শাসনামলে সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
ফখরুল বলেন, জাতিসংঘের সনদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ। কিন্তু ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকার এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতেই বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও হেফাজতে হত্যা করা হচ্ছে, এটা সভ্য সমাজে হতে পারে না।
বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার সিলেট সফর করা ফখরুল বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এবং তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ (শুক্রবার) বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কোভিডের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে বলে এভারকেয়ারের মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা ভাবছে।’
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা বাসায় তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।
জাহিদ বলেন, ‘আশা করি, ম্যাডামকে বিকালের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আজ বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করবে।
গত ১০ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে।
করোনারি এনজিওগ্রামে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে আরও দুটি ব্লক পাওয়া গেছে।
১৫ জুন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করছে।
তিনি বলেন, ‘আমার মানুষ বন্যাকবলিত এলাকায় অনাহারে না খেয়ে আছে। বিনা চিকিৎসায় আছে, অথচ তারা (সরকার) পদ্মাসেতু নিয়ে ব্যস্ত।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার খাজার মোকাম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুলের দাবি, সিলেটের ৩০ লাখ বানভাসি মানুষের জন্য মাত্র ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে শতকোটি টাকা খরচ করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য গান-বাজনা হবে। কিন্তু জনগণ না খেয়ে আছে, মারা যাচ্ছে-সেদিকে তাদের খেয়াল নাই। কারণ, জনগণকে তারা তোয়াক্কা করে না।
ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন , বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যার্থ হয়েছে সরকার। লাখ লাখ মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করলেও প্রধানমন্ত্রী গুটিকয়েক মানুষকে ত্রাণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের বন্যায় খালেদা জিয়া মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন-কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে ঘুরে গেছেন বন্যাকবলিত এলাকা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতির জন্য বড় বড় প্রজেক্ট করে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য। কিন্তু জনগণের জন্য প্রজেক্ট করে না।
শেয়ালের কাছে যেমন মুরগি দেয়া যায় না, তেমনি শেখ হাসিনার হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া যায় না। তাই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
জনগণের ভোটের অধিকার ফেরাতে এই সরকারকে রুখে দেয়ার জন্য আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মাওয়ায় ৯০টি পশ্রাব খানা ৯ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করেছে। এই টাকা যদি সিলেটের বন্যার্তদের দেয়া হত তাহলে মানুষকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে তত দিন তারা মানুষের জন্য কোন কাজ করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসনে রেখেছে। এই সরকার ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চলনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
পড়ুন: আ’লীগের হাত ধরে বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
ঢাকা, ২২ জুন (ইউএনবি)- পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা মানুষ হত্যা করে এবং দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে মারতে চায়; যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. ইউনূসকে চুবিয়ে মারতে চায় তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী কখনো সেখানে যেতে পারে না।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বুধবার সকালে ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায় সরকার।
সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানাল সরকার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির সাতজন নেতা-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে- আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুলাল চন্দ্র বলেন, তিনি সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়তালি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের হুমকি বলে বর্ণনা করে আসছে।