������������������
‘বেগমপাড়ার’ যাত্রীদের জন্য বিমানের ফ্লাইট চালু: মির্জা ফখরুল
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কানাডায় সেকেন্ড হোম বানানো যাত্রীদের সুবিধার জন্য ঢাকা-টরন্টো রুটে তাদের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন ঢাকা থেকে টরন্টোর (কানাডা) সরাসরি ফ্লাইট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। গতকাল (রবিবার) বিমানের কর্মকর্তারা নিজেরাই বলেছেন যে তারা ফ্লাইট চালুর পেছনের কারণ জানেন না। কারণ এটি কোনভাবেই লাভজনক না।’
বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘যারা বেগমপাড়ায় যাতায়াত করেন তাদের সুবিধার্থে বা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি স্যুটকেস ও ট্রাঙ্কে করে টাকা পাচারের সুযোগ দিতে ফ্লাইটটি চালু করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থী প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থপাচারের বিষয়টি বুঝাতে ‘বেগমপাড়া’ নামটি দেয়া হয়েছে। পাচার হওয়া অর্থের একটি বড় অংশ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের স্ত্রী বা ‘বেগমদের’ নামে কানাডার রিয়েল এস্টেট মার্কেটে বিনিয়োগ করা হয়।
এর আগে গত ২৬ মার্চ ঢাকা-টরন্টো রুটে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
দেশের করুণ অবস্থার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, লাগামহীন দুর্নীতির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানুষ পরিশ্রম করে টাকা রোজগার করলেও লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি ও লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। জনগণের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় সংসদে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যেতে মির্জা ফখরুলকে বাধা
চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
রবিবার দুপুরে নগরীর ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধা জানানোর পর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন দলের নেতারা।
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সমাবেশের অজুহাত দেখিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়ি বহরকে যেতে দেয়া হয়নি বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়ি বহর দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের দিকে যেতে চায়। কিন্তু নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকায় পুলিশের বাধার কারণে তারা কালুরঘাট যেতে পারেন নি।
এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল দুই নম্বর গেট এলাকায় আসে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিপ্লব উদ্যানে ফুল দেয়া শেষে আমরা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে যেতে পারিনি। পুলিশের বাধা পেয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভাস্থলে চলে যায়।
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, বিএনপিকে দুই নম্বর গেটে শ্রদ্ধা নিবেদন আর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদের কালুরঘাটে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তাই তাদের বাধা দেয়া হয়েছে।
এ দিকে সকাল থেকে কালুরঘাটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে যে আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেগুলো এ আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
তিনি বলেন, যদি সত্য ঘটনাগুলো সামনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। আজকে যদি মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে বইয়ে লেখা হয়, তাহলে তারা জানে তারা যে মিথ্যাচার করছে, তা সকল ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু এটাই সত্য যে ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস বিকৃতি থেকে দেশটাকে মুক্ত করার জন্য সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার নিজেদের সুবিধামতো নির্বাচন পদ্ধতি বানিয়ে নিয়েছে: খসরু
আমীর খসরু বলেন, সব দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, সবাই সব সময় তা সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধকে বেচাবিক্রি করার কালচার নেই। আর এটা ক্ষমতাসীনরা যখন করে তখন সেটা ইতিহাস তো হই না, এটা প্রোপাগান্ডা হতে পারে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মাইলফলক উন্মোচন করার জন্য ২৭ মার্চ সভা করছি। বিএনপির নীতি নির্ধারকরা অনেক আলাপ আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। জাতির ক্রান্তিকালে ইতিহাস বিকৃতি থেকে মুক্ত করার জন্য এই কর্মসূচি। যেহেতু মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস, সেহেতু এই মাসে শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে। একটি দল যখন আত্মসমর্পণ করেছে, সেখানে শহীদ জিয়ার আবির্ভাব ঘটেছে, তিনি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে কাজটি করেছিলেন সেটি জাতিকে জানাতে হবে।
এই সময় তিনি আগামী ২৭ মার্চ রবিবার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচি সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ধানের শীষে ভোট দিতে জনগণ মুখিয়ে আছে: খসরু
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুনের পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
স্বাধীনতা পদক প্রদানে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এটি এতটাই ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকার যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত স্বাধীনতা পদক নিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চিকিৎসা ও সেবা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার আমির হামজা নামে একজন অখ্যাত ব্যক্তিকে পদকের জন্য মনোনীত করেছে এবং পরে তা বাতিল করে তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘কেন তিনি (হামজা)? অন্যদের পরিচয় বের করতে তদন্ত করুন। তাদের অধিকাংশই মন্ত্রীদের আত্মীয় বা প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক, ২০২২’ তুলে দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার লুটপাট ও দুর্নীতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে দেশকে বাঁচাতে হলে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাতের কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতায়নের শতভাগ অর্জন ‘মিথ্যা’ প্রচারণা: বিএনপি
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। ‘তারা আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মী ও গণতন্ত্রপন্থী জনগণের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ৬০০-এর বেশি মানুষকে গুম করেছে। হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এটাই আওয়ামী লীগের আসল রং।’
তিনি দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারকে সরিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকল পেশাজীবী ও রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী বিএনপির আয়োজিত দেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইমেলা ও প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী বিষয়ক উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মেলা ও প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মেলা ও প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এবং বিকাল ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বইমেলা ও প্রদর্শনীতে বিশিষ্ট লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও বিশ্লেষণধর্মী বই এবং আলোকচিত্রের পাশাপাশি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া আবশ্যক: বিএনপি
এছাড়া জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ও চিত্রকর্ম রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরতে তারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বর্তমান সরকার জনগণ ও নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাই আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: ‘ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে’
নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
ইসির আলোচনায় বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সংলাপ শুরু করেছে,তাতে তার দলের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে আমরা এই ইসি গঠন প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই জড়িত নই এবং আমরা এর কোনো কিছুতে (সংলাপে) যোগ দেবো না।
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে একটি ভালো ইসির পক্ষেও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণে আমরা এতে (সংলাপে) আগ্রহী নই। আলোচনায় কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে,কারা নেই, কারা এতে যোগ দিচ্ছেন এবং তারা কী বলছেন; তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের একমাত্র দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন।
এর আগে সকালে, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ জন সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের প্রস্তুতির জন্য চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আলোচনায় বসেন।
যদিও ৪০ জন সুশীল সমাজের সদস্যকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে মাত্র ১৫ জন এতে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে কী ধরনের সরকার ক্ষমতায় থাকবে তা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আলোচনায় অনেক আমন্ত্রিত অতিথির অনুপস্থিতি প্রমাণ করেছে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে সুশীল সমাজেরও এতে কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, ‘গত দুই-তিনটি নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’
জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,‘আমরা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিপক্ষে। কারণ আমরা এই ধরনের উদ্যোগকে গণবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করি।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ ইতোমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। এখন যদি পানি, বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে। আমরা এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না।’
এসময় সরকারকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
সংগঠনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া পরিষদের নেতা ও অনুসারীদের নিয়ে ফখরুল জিয়ার সমাধিতে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিদ্যুতায়নের শতভাগ অর্জন ‘মিথ্যা’ প্রচারণা: বিএনপি
সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের বিষয়ে সরকারের ঘোষণাকে ‘মিথ্যা’ প্রচারণা ছাড়া কিছুই নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, `মিডিয়া রিপোর্ট করেছে যে পুরো দেশকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। কিসের মূল্যে, কার মূল্যে- এটা করলেন? এটা করতে পারেনি; মিথ্যা কথা।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের জনগণের টাকা লুটপাট করে বিপুল সম্পদ অর্জনের সুযোগ দিতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এসব মেগাপ্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন নেই।
সোমবার এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বৃহত্তম এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, প্রকৃত আয় না বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে দেশের মানুষ কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে টিসিবির ট্রাকের পিছনে গিয়ে যারা দাঁড়ায় ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার জন্য, তাদের কোনো উন্নতি হয়নি। আমার গ্রামের কৃষকের পণ্যের দাম বাড়েনি, তাদের কোনও উন্নতি হয়নি; আমার শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি, তাদের কোনও উন্নতি হয়নি। আজকে আমাদের যে শিক্ষক স্বল্প বেতনে চাকরি করেন, তার কোনও পরিবর্তন হয়নি; আজকে ছোট ছোট ব্যবসায়ী, হকার- তাদের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ক্ষমতার ভাগাভাগি করে লুটপাট করছে, তাদের।
আরও পড়ুন: ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
ফখরুল আরও বলেন, দেশ এখন ‘লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই লুটপাটের স্বর্গরাজ্য আজকে নতুন না। এটা আওয়ামী লীগের কেমিস্ট্রির মধ্যে আছে। যখনই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পায়, তখনই তারা লুটপাট করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষকে ভয়ঙ্কর দুঃশাসন থেকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বর্তমান শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান শাসকের পতন নিশ্চিত করতে একটি বৃহৎ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের ঐক্য গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন তা জাতি হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন এদেশে নতুন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এসেছে... আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বর্তমান শাসককে আমাদের সরাতে হবে।’
আমরা কথা বলতে পারি না, নিঃশ্বাস নিতে পারি না: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন তাদের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকার হারিয়ে ভয়ানক ফ্যাসিবাদের কবলে পড়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে দমবন্ধ করা এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। আমরা কথা বলতে পারি না, নিঃশ্বাস নিতে পারি না।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করতে নতুন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
‘মানুষ ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদে বাস করছে। কারণ তাদের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেয়া হয়েছে…তাদের ভোটের অধিকার এবং জীবনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তারা (সরকার) ভিন্ন আড়ালে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে,’ বলেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দিয়ে এখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ‘তিনি খুব অসুস্থ, কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বর্তমান সরকারকে গণবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী বলে আখ্যায়িত করে জনগণকে সতর্ক করে বলেন, আওয়ামী লীগ আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দলের আন্দোলনে যোগদান ও সফল করার আহ্বান জানান। ‘আমাদের সংগ্রাম তখনই সফল হবে যদি আমরা জনগণকে জাগাতে পারি, রাজপথে আনতে পারি এবং ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলতে পারি। এটাই আমাদের এখন করতে হবে।’
ফখরুল দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কে এম ওবায়দুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা করা হচ্ছে: ফখরুল
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা করা হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণে একের পর এক বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করায় বাংলাদেশে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম এখন আর স্বাধীন নয়।
তিনি বলেন,‘যদিও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা, কিন্তু এখন বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সংবাদপত্র স্বাধীন নয়… সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) বার্ষিক কাউন্সিলে বক্তব্যে এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অসত্য ও অপকর্ম এবং দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
তিনি বলেন,‘একসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা; যিনি ভালো মানের স্যান্ডেল কিনতে পারতেন না, তিনি এখন বহুতল ভবন ও নতুন গাড়ির মালিক। এটাই বাস্তবতা।’
ফখরুল বলেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগ এদেশকে ধ্বংস করতে কিছুই বাকি রাখেনি। তারা এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে। তারা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা ১৯৭১ সাল থেকে এটা করে আসছে। তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যাতে সত্য প্রকাশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে সরকার এখন আরও নীতিমালা প্রণয়ন করছে। গণমাধ্যমের জন্য প্রতিটি আইন ও নীতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হচ্ছে।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, অধিকাংশ মিডিয়ার মালিক আওয়ামী লীগের সদস্য, যা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও বাধা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সাংবাদিক নেতাদের নিজেদের ও পেশাজীবীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনকে হটিয়ে জনগণের হারানো অধিকার পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমরা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার ভূমিকা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) বার্ষিক কাউন্সিলে বক্তৃতাকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯১ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি (সাহাবুদ্দীন) জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করেছেন।’
বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে এদেশের মানুষ চিরকাল মনে রাখবে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,‘তার ভূমিকা নিঃসন্দেহে দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আর নেই
ফখরুল সাবেক এই রাষ্ট্রপতির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
শনিবার সকালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ (৯২) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান।
১৯৩০ সালে নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণকারী সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রচণ্ড আন্দোলনের মুখে সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ পদত্যাগ করায়, তিনি দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন। পরে তার নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি তার পদ থেকে অবসর নেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের সাবেক এমপি সৈয়দ মকবুল হোসেন আর নেই
‘ছুটির ঘণ্টা’ সিনেমার পরিচালক আজিজুর রহমান আর নেই