স্বাধীনতা পদক প্রদানে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এটি এতটাই ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকার যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত স্বাধীনতা পদক নিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চিকিৎসা ও সেবা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার আমির হামজা নামে একজন অখ্যাত ব্যক্তিকে পদকের জন্য মনোনীত করেছে এবং পরে তা বাতিল করে তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘কেন তিনি (হামজা)? অন্যদের পরিচয় বের করতে তদন্ত করুন। তাদের অধিকাংশই মন্ত্রীদের আত্মীয় বা প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক, ২০২২’ তুলে দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার লুটপাট ও দুর্নীতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে দেশকে বাঁচাতে হলে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাতের কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতায়নের শতভাগ অর্জন ‘মিথ্যা’ প্রচারণা: বিএনপি
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। ‘তারা আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মী ও গণতন্ত্রপন্থী জনগণের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ৬০০-এর বেশি মানুষকে গুম করেছে। হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এটাই আওয়ামী লীগের আসল রং।’
তিনি দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারকে সরিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকল পেশাজীবী ও রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও করেন মির্জা ফখরুল।