আইনশৃঙ্খলা
নিম্ন আদালতে কালো কোট-গাউন পরার আবশ্যকতা নেই: সুপ্রিম কোর্ট
চলমান তাপপ্রবাহের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশের নিম্ন আদালতে মামলার শুনানির সময় বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোট ও গাউন পরার বাধ্যবাধকতা স্থগিত করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শনিবার সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে নিম্ন আদালতে মামলার শুনানিকালে পরিধেয় পোশাকের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত দেন।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচন দাবি সুপ্রিম কোর্ট বারের বিএনপিপন্থীদের
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত, ট্রাইব্যুনালসমূহের বিচারক ও আইনজীবীরা ক্ষেত্রমত সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পড়বেন। এক্ষেত্রে কালো কোট ও গাউন পড়ার আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা আগামী রবিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে বিভিন্ন সময় আদালতে আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ভিন্ন ড্রেসকোড নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী।
সে আবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত গরমে নিয়ম অনুযায়ী কালো কোট, গাউন, কলার, ব্যান্ড/টাই পড়ার কারণে প্রতিবছর বহু সংখ্যক আইনজীবী হিট স্ট্রোক করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এছাড়া, তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহের কারণে কোট-গাউন পরে অনেক বয়জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আদালতে যেতে পারেন না।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের নির্ধারিত পোশাক পরে মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিএমএম) আদালতে একটি মামলার শুনানি করে শফিউল আলম নামের এক আইনজীবী নিজ চেম্বারে যাওয়ার সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
পরে তাকে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার সহকর্মীদের দাবি ‘হিট স্ট্রোকে’ আইনজীবী শফিউল আলমের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: ঘটনা তদন্তে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থীর রিট
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
চুয়াডাঙ্গায় ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ানের ঘুঘরোগাছি গ্রামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে আটকের সময় তাদের কাছ থেকে এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আটক তিনজন হলেন-জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ানের ঘুঘরোগাছি গ্রামের হাসেম খানের ছেলে আছির উদ্দিন মাস্টার।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের খানের ছেলে মাজাহার খান পল্টু ও রায়পুর বারান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে শাহাবুদ্দিন খান (৪০)।
দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা জানান, স্বর্ণ পাচারকারীরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দের জেরে মারামারি করে আহত হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে আটক করে।
তিন জনকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহত আছির উদ্দিন মাস্টার ও মাজাহার খান পল্টুকে পুলিশ উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুইজন সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি স্বর্ণের বারের ওজন এক কেজি ৮০০ গ্রাম। আহত দুই জন সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আর একজন পুরিশ হেফাজতে রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কেউ আহত হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল ইমরান জুয়েল বলেন, দুইজন আহত রোগীকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন পুলিশের সদস্যরা। তাদের শরীরে আঘাত ও ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হতে পরে।
আরও পড়ুন: যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
ঝিনাইদহ সীমান্তে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২: বিজিবি
যুবলীগ নেতাকে ‘নির্যাতনের’ অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি প্রত্যাহার
যুবলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ৮ ঘণ্টা পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
অভিযুক্ত ওসির নাম কামাল হোসেন।
পুলিশ সুপার বলছেন, প্রশাসনিক কারণে ওসি কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়ারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রত্যাহারের অর্ডারে প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বাকি চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার, হাসপাতাল সিলগালা
প্রসঙ্গত, গত ২৯ এপ্রিল রাতে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলা থেকে সদর থানার ওসি কামাল হোসেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যায়ভাবে হাতে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখে কাপড় বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ এনে বুধবার (১০ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা আদালতে ওসি কামলাসহ পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক।
মামলায় আসামি করা হয়- সদর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেবকে।
মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দীনকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এছাড়াও সিভিল সার্জনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিল এবং পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা রুজু করার আদেশ দেন বলে জানান বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম।
আদালতে দাখিলকৃত আবেদনে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওসির কার্যালয়ে পুলককে লাঠি দিয়ে পেটান ওসি কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেব। পরদিন সকালে পুলিশ ১৫১ ধারায় একটি মামলা দিয়ে পুলক ও রকিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।তবে ওসি কামাল হোসেন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল বৈশাখী মেলায় তারা অশালীন আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। উপস্থিত জনতা তাদের মারধর করেছে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এরপর আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার সাইবারে ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার, ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুলসহ ৭ জনের বিচার কাজ শুরু
অভিযোগপত্রভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সিএমএম আদালতে ধানমন্ডি থানার জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার উপপরিদর্শক মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির জামিন
সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় নিম্ন আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১০ মে) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের এক বছরের জামিন দেন।
জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গোলাম রসূল, জহুরুল ইসলাম, তৌফিকুর রহমান সঞ্জু, সাহাবুদ্দিন, আব্দুল রাকিব মোল্লা ও মনিরুল ইসলাম।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো. মোহসীন ও অ্যাডভোকেট শাহানারা পারভীন বকুল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা: কলারোয়ায় মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পুনরায় শুরু
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর জানিয়েছেন, এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ওইদিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
এ মামলায় তদন্ত শেষে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা হয়েছে। বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সব আসামিকে সাজা দিয়ে রায় দেন। রায়ে বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামকে কয়েকটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায়: আদালত চত্বরে বিক্ষোভ, ছাত্রদল নেতা আটক
হাইকোর্ট বেঞ্চে ‘বকশিশ’ নিষিদ্ধ, নির্দেশনা জারি
মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকশিশের নামে কোনো ধরণের সুবিধা নেওয়া ও দেওয়া নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বুধবার (১০ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চের কর্মকর্তার সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি এজলাস কক্ষের বাইরে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
বেঞ্চ কর্মকর্তা মো. সিফাতউল্লাহ খানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কার্যতালিকায় মামলা ওঠার আগে বা পরে, মামলার রায়, জামিন আদেশ বা অন্য যেকোনো আদেশ হওয়ার আগে বা পরে বা অন্য যেকোনো সময় এই কোর্টের বেঞ্চ অফিসার, সহকারী বেঞ্চ অফিসার, বিচারপতির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, কোর্টের জমাদার, কোর্ট বা চেম্বারের এমএলএসএস, বিচারপতির ড্রাইভার এবং গানম্যানসহ অত্র কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বকশিশ বা টিপ্স নেওয়ার নামে কোনো প্রকার অর্থ, উপহারসামগ্রী, গাড়ি সেবা বা অন্যকোনো নামে কোনো ধরণের সুবিধা গ্রহণ করলে দুর্নীতি বলে গণ্য হবে।
এছাড়া এই কোর্টের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ ধরণের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পাওয়া গেলে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী এবং এই কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া গেল।
আরও পড়ুন: বকশিশ না পেয়ে ডিম নষ্ট করার ঘটনায় বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি প্রত্যাহার
নাটোরে ‘বকশিশ’ না পেয়ে ৩৫ হাজার ডিম নষ্ট, ছয় পুলিশ প্রত্যাহার
পাথরঘাটায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩ জন আটক
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
সোমবার (৮ মে) ভোরের দিকে পাথরঘাটা উপজেলার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ এলাকার ফজলুল হক খান (৭০), মো. ইউসুফ আলী (৭৫) এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ছোট টেংড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাক (৬৯)।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, ২০১৭ সালের ২২ মে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ভাই আবদুর রাজ্জাক, বোন জামাতা হযরত আলীসহ চার থেকে পাঁচ জন খাকি পোষাকধারী ও পাঁচ থেকে সাত জন অজ্ঞাত সাদা পোষাকধারীকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা নম্বর সিআর-১২২/২০১৭।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান আবু পাথরঘাটা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০২/৩৪/৩৮০/৩৫৪/ ৪৩৬/২০১ ধারায় পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ানুজ্জামানের আদালতে আবেদন করলে আইনী পর্যালোচনা শেষে ওইদিন বিকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলাটি স্থানান্তরের আদেশ দেন।
পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলাটি আমলে নেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন মামলার চার নম্বর সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে ওয়াপদার ওপরে বসে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুড়ি চালায়। পরদিন ৩০ জুন চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে হত্যা করতে না পেরে আপন চাচা সুরেন্দ্র নাথ অধিকারীকে হত্যা করে লাশ গোপন করে ফেলে।
১৮ আগস্ট বাদির বাবা মতিয়ার রহমান ও ১নং সাক্ষী মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রীর বাবা মনোহর মিস্ত্রী চাচা কর্নধর মিস্ত্রীকে দিনের বেলা গুলি করে হত্যা করে। পরে মনোহরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
মামলার বাদী মিজানুর রহমান আবু বলেন, বাবা হারা আজ ৫২ বছর। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার বাবাসহ প্রতিবেশী দুই ভাইকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
দীর্ঘদিন পর হলেও সেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, এ বিচার দ্রুত কার্যকরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, র্যাব তিনজনকে থানায় নিয়ে এসেছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাজির করবেন বলে জানা যায়।
আটকের বিষয় নিশ্চিত করে র্যাব-৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
র্যাব-৪ এর মিডিয়া কর্মকর্তার সরকারি ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এম. খালেক বলেন, দীর্ঘ বছর পর হলেও যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমরা এর দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
নারায়ণগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ টিকটকার গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে টিকটক ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার সদর উপজেলার শ্রী কৃষ্ণপুর কোনবাড়ি গ্রামের নিমাই বর্মন (৪৬) বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
মামলার আসামিরা হলো-সদর উপজেলার শ্রী কৃষ্ণপুর কোনপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. রিপন ইসলাম (১৭), একই গ্রামের মো. হামিদ ইসলামের ছেলে মো. সজীব ইসলাম (১৩) ও মো. সফর উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল ইসলাম (১৫)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের শ্রী কৃষ্ণপুর কোনপাড়া সুক নদীর শ্মশান ঘাট বালুর চড়ে ওই তিন কিশোর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন এক টিকটক ভিডিও বানান।
পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
বিষয়টি মামলার বাদি নিমাই বর্মনের চোখে পড়লে তিনি ওই তিন যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায় যে, ভিডিওগুলো ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা আক্রমনাত্মক কথাবার্তা বলেছেন।
পরে মামলার বাদি স্থানীয় মন্দির কমিটির লোকজনের সঙ্গে পরামর্শ করেন ও সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, উল্লিখিত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
ইসলামাবাদের আদালত থেকে ইমরান খান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
দণ্ডিত এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুন দিনাজপুর জেলার সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির চট্টগ্রাম জেলার কমান্ডার ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।
তিনি জানান, একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ (২৬), মো. সুজন (২৪) ও মাহাবুবুর রহমান ওরফে খোকন (৩৫)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার মীর আউলিয়ার মাজার সড়কের এনআর স্টিল মিলের সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাসা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বইসহ এরশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের সময়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকবর শাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোলায়মান ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে আদালত তাদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা তিনটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এর আগে গত ৩ মে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা আরও পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তবে আরও মামলা থাকায় তিনি আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না।
তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। গতকাল তিনটিসহ মোট ২০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
মামুনুলের কারামুক্তির জন্য আরও ২১টি মামলায় জামিন প্রয়োজন।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।
পরে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে