������������������������������
ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম দীপু ও আরও কয়েকজন তার রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদনের উপর শুনানি করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, বাবা-মার পরই শিক্ষকের অবস্থান। পরিবারে বাবা-মা আর সামাজিক জীবনে শিক্ষকই হলেন বাবা-মা। তারা যদি এই রকম কাজ করেন তাহলে তাকে কী বলা যায়? তিনি শিক্ষক নামের কলঙ্ক। রক্ষক এ ক্ষেত্রে ভক্ষকের ভূমিকায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসার গণিত শিক্ষক মুরাদ গ্রেপ্তার
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়, মুরাদ হোসেন শিক্ষক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত। আজীবন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিন ওই স্কুলের শিক্ষক রাজনীতির নোংরা শিকার মাত্র।
ঘটনার দিন অভিযোগকারী মেয়ের মা স্কুলের বাইরে প্রবেশপথে অবস্থান করছিলেন, কখন এ ঘটনা ঘটল- এমন প্রশ্ন তুলে আসামিপক্ষ বলে কথিত ঘটনার তদন্ত হয়েছে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। গত ২২ তারিখে তিন সদস্যের কমিটি লিখিত প্রতিবেদন দেয় যেখানে মুরাদকে নির্দোষ বলা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবী তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া সোমবার রাতে ভিকারুননিসা স্কুলের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মুরাদনগরে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ৪ দিনেও হয়নি মামলা
চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বস্তিতে আগুন
নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অভিযোগে ৩ জন আটক
নওগাঁর ধামইরহাট থেকে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালয়ন (র্যাব)-৫।
আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার মঙ্গলবাড়ী বাজার এলাকায় থেকে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-৫ জয়পুরহাট থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আটকরা হলেন- ধামইরহাট উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের নৃপেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে নিত্য সরকার (২৪), জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বিল্লা গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে শহিদ হোসেন (২২) ও দোগাছী গ্রামের আবু হানিফের ছেলে সিফাত হোসেন (১৮)।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ, ৪ যুবক গ্রেপ্তার
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ধামইরহাট উপজেলার মঙ্গলবাড়ী বাজারে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারের দোকান থেকে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে আসছিল।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ গোয়েন্দা দল অশ্লীল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এবং তদন্তে এর সত্যতা পায়।
এরপর মঙ্গলবার ভোরে মঙ্গলবাড়ী বাজারে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৫ জয়পুরহাট এর সদস্যরা। এ সময় নিত্য সরকার, শহিদ হোসেন ও সিফাত হোসেনকে তাদের দোকান থেকে আটক করা হয়। তারা তাদের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অশ্লীল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ রেখে এর ব্যবসা করতেন।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ধামইরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার করা পর্নোগ্রাফি মামলায় চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক গ্রেপ্তার
যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসার গণিত শিক্ষক মুরাদ গ্রেপ্তার
যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর আজিমপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে গণিতের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লালবাগ থানার ডিউটি অফিসার বিনয় কুমার জানান, সোমবার দিবাগত রাতে কলাবাগানের বাসা থেকে মুরাদ হোসেন সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে প্রভাতী শিফটের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির আজিমপুর শাখার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গভর্নিং বডির সভা করে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অধ্যাপক ড. মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত
এছাড়া ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে প্রত্যাহার করে এবং পরবর্তীতে তাকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরদিন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ওই দিনই জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানান অভিভাবকরা।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের আরেকটি অংশ আজ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শিক্ষকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
জাল কাগজপত্র তৈরি চক্রের ২৩ সদস্য গ্রেপ্তার
রোহিঙ্গা ও কুখ্যাত অপরাধীদের অবৈধভাবে জন্ম সনদ, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি চক্রের ২৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার ২৩ জনের মধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা, ২ জন আনসার ফোর্সের সদস্য ও দালাল রয়েছেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি ভুয়া এনআইডি, পাঁচটি কম্পিউটার, তিনটি প্রিন্টার, ২৪টি মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট তৈরির শতাধিক নথি উদ্ধার করা হয়।
তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে গ্রেপ্তাররা রাজশাহী, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে অপরাধী ও রোহিঙ্গাদের ভুয়া জন্মসনদ সংগ্রহ করত। পরে তারা এসব তথ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরি করতে।
আরও পড়ুন: জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট ও কম্পিউটারসহ তিন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও ১০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার, টাঙ্গাইল ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় ডিবি। অভিযানে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি দালাল সিন্ডিকেট চক্রের দুই আনসার সদস্য এবং আট মধ্যস্থতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রোহিঙ্গারা হলেন- উম্মে ছলিমা ছামিরা, মরিজান ও মো. রাশিদুল; রোহিঙ্গাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত আইয়ুব আলী ও মো. মোস্তাকিম; আনসার সদস্য মো. জামসেদুল ইসলাম ও মো. রায়হান এবং বাঙালি দালাল রাজু শেখ, শাওন হোসেন ওরফে নিলয়, ফিরোজ হোসেন, তুষার মিয়া।
এ ছাড়া আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর ও উত্তরা এলাকার দালাল - শাহজাহান শেখ, শরিফুল আলম, জোবায়ের মোল্লা, শিমুল শেখ, আহমদ হোসেন, মাসুদ আলম, আব্দুল আলীম, মাসুদ রানা, ফজলে রাব্বি শাওন, রজব কুমার দাস দীপ্ত, আল-আমিন ও মো. সোহাগ।
সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। এ সময় ডিবির লালবাগ বিভাগের ডিসি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, সিন্ডিকেট সদস্যরা হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষদের জন্মসনদ, এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট তৈরি করে দিত। চক্রটি তিনটি ভাগে এটি করছে। তাদের একটি দল কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের ঢাকায় নিয়ে আসে। আরেক গ্রুপ তাদের জন্য জন্মসনদ, এনআইডি কার্ড তৈরি করে। সবশেষে অন্য গ্রুপটি ঢাকাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে টাকা জমা, বায়োমেট্রিক ও ছবি তোলার ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
তিনি বলেন, সাধারণত ছয় ঘণ্টার মধ্যে জন্মসনদের জন্য ৫ থেকে ১২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে তারা স্বীকার করেন, তিন দিনে এনআইডি পেতে ২৫ হাজার টাকা এবং পাসপোর্ট করতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়া হতো।
গ্রেপ্তার দালালদের মোবাইল ফোনে সংশ্লিষ্ট সফট ডকুমেন্ট, শতাধিক পাসপোর্টের ডেলিভারি স্লিপ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে গত তিন মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৪৩টি পাসপোর্ট করা হয়েছে। চক্রের সদস্যরা ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন নাম-ঠিকানায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অপরাধীদের পাসপোর্ট দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে।
ডিএমপি ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তাররা ঢাকা, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে জন্মসনদ ও এনআইডি তৈরি করে পাসপোর্ট তৈরি করে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ডাটাবেজ, ডিজিটাল জন্ম সনদের ডাটা এবং স্মার্ট এনআইডি ডাটা ব্যাংক রয়েছে, যেখানে বায়োমেট্রিক্স, ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষিত থাকে। তবে এই তথ্যের কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই যে কেউ বায়োমেট্রিক জমা দিয়ে দালালের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিত্তিতে পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য ছবি তুলতে পারবেন। তবে পাসপোর্ট তৈরির আগে রোহিঙ্গা তথ্য, ডিজিটাল জন্মসনদের তথ্য ও স্মার্ট এনআইডির তথ্য যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের (উত্তর) ওয়েবভিত্তিক ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম ঢাকা, জয়পুরহাট ও বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
আটকরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সবুজ আহমেদের ছেলে আনাফিউল নাফিজ ইকবাল ও আসিফ তালুকদার।
তাদের মধ্যে আনাফিউল জয়পুরহাটের মহিপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সাইবার টিনস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাদাত রহমানের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ সেজে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে গ্রেপ্তার আসিফ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ভর্তিচ্ছুদের টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ঢাবির শুক্রবারের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে বলেন।
একইভাবে 'বি' (কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) ইউনিটের প্রশ্নপত্র পেতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দিতে বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে ওই কলেজ শিক্ষার্থী আনাফিউল। প্রশ্নপত্র প্রত্যাশীদের পরীক্ষার পর বাকি ৩০ হাজার টাকা দিতে বলেন।
গ্রেপ্তার আনাফিউল ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি উল্লেখ করে এটিকে গুজব বলে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সাইবার টিনস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতার পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর আনাফিউল ও আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান ডিবি প্রধান।
আরও পড়ুন: বাবাকে মারধর করায় ছেলের ২০ দিনের কারাদণ্ড
বাবাকে মারধর করায় ছেলের ২০ দিনের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদর উপজেলায় বাগাদী ইউনিয়নের সোবহানপুর গ্রামে বাবা বশিরুল্লাহ পাটোয়ারিকে মারধর করার দায়ে ছেলে ফারুক হোসেনকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগাদী ইউনিয়নের সোবহানপুর গ্রামে বশিরুল্লাহ পাটওয়ারীর বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তার ছেলে ফারুককে এ সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফারুক অটোরিকশাচালক ছিলেন। তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এরপর তার স্ত্রী একাধিকবার বাবার বাড়ি চলে যান। মাদকের জন্য টাকা না দেওয়ায় বাবাকে মারধর করেন ফারুক।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত বলেন, ফারুক হোসেন রবিবার সকালে বাড়িতে তার বাবাকে মারধর করেছেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সচেতনভাবে দোষ স্বীকার করেন। ফলে তার অপরাধ আমলে নিয়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শেখ মুহসীন আলমসহ পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত শিক্ষককে কারাদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সৎ ভাগ্নি ও তার দুই শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে আইয়ুব আলী নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
আইয়ুব আলী সাগর উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ মামলায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গাজী আব্দুর রহমান বলেন, আসামি আইয়ুব আলী জেল হাজতে আছেন। রবিবার রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এরপর তাকে আবারও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা ও রায়ের সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার রওশনারা খাতুন তার দুই শিশু পুত্র জিহাদ ও মাহিনকে নিয়ে বেলকুচি থানাধীন মরুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। আসামি আইয়ুব আলী ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রওশনারার বাড়িতে বেড়াতে যান। গভীর রাতে উঠে ট্রাংকের তালা খুলে টাকা বের করার চেষ্টা করলে শব্দে রওশনারার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আইয়ুব আলী পাথরের শীল দিয়ে প্রথমে রওশনারার বুকে আঘাত করেন এবং পরে গলাটিপে হত্যা করেন। এসময় রওশনের দুই ছেলে মাহিন ও জিহাদকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন আইয়ুব আলী। তাদের তিনজনকে হত্যার পর ঘরের সবগুলো ট্রাংক খুলে টাকা খুঁজে না পেয়ে পরদিন ভোরে দরজার বাইরে শিকল দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক
মাদক নিয়ে বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন মো. দিদারুল ইসলাম নামে এক ভারতের নাগরিক। এক বছর কারাভোগ শেষে শনিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট দিয়ে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দিদারুল ইসলামকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ। এসময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিদারুল ভারতের পশ্চিবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার খারুন (ভীম) গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, ভারতীয় নাগরিক দিদারুল সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাকে মাদকসহ আটক করে। এই ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মাদক মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত দিদারুলকে অনুপ্রবেশের দায়ে এক বছর ও মাদক মামলায় এক বছর সাজা দেন। একই সঙ্গে দুই মামলার সাজা চলায় এক বছরেই তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। পরে দুই দেশের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় শনিবার দুপুরে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার জানান, বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ দিদারুলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর আমরা আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ৫ কর্মকর্তার জামিন
ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও শেয়ার হস্তান্তরের পৃথক তিন মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ল) ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের দুই পরিচালক কামরুল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানির সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক।
এর আগে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করে আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড ও বাকি চারজনের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড দাবি করে।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সকম গ্রুপের দুই পরিচালকসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহানুর রহমান জানান, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাহজরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি ও কোম্পানির শেয়ার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের সিই্ও তার মা শাহনাজ রহমান এবং ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান সিমিন রহমানের ছেলে ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন জারিফ আইয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিথ্যা কাজের মাধ্যমে সিমিন ও তার সহযোগীরা তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
শাহজরেহ অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে তার বাবা একাধিক ব্যাংকের এফডিআর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে গেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার মা শাহনাজ রহমান ও বোন সিমিন রহমান অসমভাবে এফডিআর বিতরণ করেন।
বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার বড় বোন সিমিন রহমান ট্রান্সকম লিমিটেডের ২৩ হাজার ৬০০ শেয়ার জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে নেন এবং তাকে ও তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বঞ্চিত করেন।
তবে বাদী দাবি করেন, তিনি বা তার ভাই কখনো হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি।
শাহজরেহ আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা এই সমস্ত নথি জাল করেছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইউএনবির পক্ষ থেকে আসামিদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক ও ধারালো অস্ত্রসহ 'কিশোর গ্যাংয়ের' ৩৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মোস্তাক আহমদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব -১ এর একটি দল রাজধানীর মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলো- রাসেল (১৭), আরাফাত (১৭), রবিন (১৫), আল-আমিন (২৪), ইসলাম (২৯), জুয়েল (২২), রবিউল (১৬), মুরাদ (১৭), মাহবুব (১৯), সাদ (২২), রোহান (২২), মনা (২৮), হৃদয় (২০), ওবায়েদ (১৮), মো. জিসান (১৯), মো. আকাশ (৩০), মো. ইমন (২০), মো. রমজান (২১), মো. সজিব (১৮), মো. সাকিব (২২), মো. রাজীব (১৯), মো. আমির হোসেন (৩৬)। শাহজাহান সাজু ওরফে রাসেল (৪৫), মো. জিলাদ মিয়া (২০), মো. হৃদয় (১৯), এ রায়হান (১৫), মো. বাবু মিয়া (২২), মো. শাহজাহান (২১), মো. জালাল মিয়া (২৮), লামিম মিয়া (১৫), মো. রাকিব (১৬), মো. হীরা মিয়া (১৭), ইমরুল হাসান (১৭), মো. সাকিন সরকার রাব্বি (১৮), মো. সুজন মিয়া (১৯), মো. খায়রুল (১৯) ও রাহাত (১৯)।
তারা নিজেদের কিশোর গ্যাং-০০৭ গ্রুপ, বাবা গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ডি কোম্পানি, জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল, একটি ব্লেড, একটি কুড়াল, একটি পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি রড, ১৬টি ছুরি, তিনটি লোহার চেইন, একটি হাতুড়ি, একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!