ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও শেয়ার হস্তান্তরের পৃথক তিন মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ল) ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের দুই পরিচালক কামরুল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানির সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক।
এর আগে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করে আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড ও বাকি চারজনের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড দাবি করে।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সকম গ্রুপের দুই পরিচালকসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহানুর রহমান জানান, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাহজরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি ও কোম্পানির শেয়ার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের সিই্ও তার মা শাহনাজ রহমান এবং ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান সিমিন রহমানের ছেলে ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন জারিফ আইয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিথ্যা কাজের মাধ্যমে সিমিন ও তার সহযোগীরা তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
শাহজরেহ অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে তার বাবা একাধিক ব্যাংকের এফডিআর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে গেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার মা শাহনাজ রহমান ও বোন সিমিন রহমান অসমভাবে এফডিআর বিতরণ করেন।
বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার বড় বোন সিমিন রহমান ট্রান্সকম লিমিটেডের ২৩ হাজার ৬০০ শেয়ার জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে নেন এবং তাকে ও তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বঞ্চিত করেন।
তবে বাদী দাবি করেন, তিনি বা তার ভাই কখনো হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি।
শাহজরেহ আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা এই সমস্ত নথি জাল করেছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইউএনবির পক্ষ থেকে আসামিদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী