কৃষি
কোনভাবেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনভাবেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না। যারা ভাবছেন চাল ধরে রেখে বেশি মুনাফা করবেন তা হতে দেয়া হবে না। প্রয়োজন হলে চাল আমদানি করা হবে। আমাদের ফাইল রেডি আছে।
মঙ্গলবার বিকালে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে 'অবৈধ মজুতদারি রোধে করণীয় ও বাজার তদারকি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায়' ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গত বছর আম্ফানে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তখন চালের দাম বাড়েনি। অথচ ভালো ফলন এবং আমনের ভরা মৌসুমে দাম বাড়ছে। আজ থেকে চালের দাম যেন না বাড়ে তা নিশ্চিত করতে আপনাদের ভূমিকা দেখতে চাই। শুধু মুনাফার উদ্দেশ্যে ব্যবসা না করে ভোক্তাদের স্বস্তি দিন।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স নিয়ে কেউ ধান চাল মজুদ করে রাখছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। মিল মালিকরা কি পরিমাণ ধান কিনছেন, স্টক করছেন এবং ক্রাসিং করছেন তার হিসাব রাখতে হবে। মন্ত্রণালয়কে তা অবহিত করতে হবে। গাফিলতি প্রতীয়মান হলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
কৃষক ধান মজুত করেন না। মিল মালিকরা জানেন কারা ধান মজুত করেন। কারণ মজুত করা ধান মিল মালিকরাই কিনেন। মিল মালিকরা আমাদের প্রতিপক্ষ নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের দোষ দিতে চাইনা। তবে তারা যদি বেশি লাভের চিন্তা করেন তাহলে দেশের মানুষকে বাঁচানো যাবে না।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে সরকার
এ সময় তিনি চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান।
মিল মালিকদের পক্ষে আব্দুল হান্নান বলেন, দেশে চিকন চালের চাহিদা বেশি। এ চালের দাম কমানো যাবে না। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশেও চিকন চালের দাম বেশি। এসময় বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরবরাহ বাড়াতে চাল আমদানির অনুরোধ জানান।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহব ভূঞার সভাপতিত্বে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুরের জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান, পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রংপুর আব্দুস সালাম বক্তব্য দেন।
মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো আবাদে ব্যস্ত চাষিরা
গেল আমন মৌসুমে ধানের দাম ভালো পেয়েছেন কৃষকরা। বর্তমানেও ধানের বাজার দর ভালো। তাই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা।
বর্তমানে বীজ, সার ও সেচের সমস্যা না থাকলেও কৃষি উপকরণের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। এদিকে বোরা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে বোরো আবাদ। কেউ পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করেছে, কেউ সেচ নালা সংস্কার, কেউ সার প্রায়োগ, কেউ বা বীজ তলায় আবার কেউ ধানের চারা রোপন কাজে ব্যস্ত। এবার চাষিরা উপসি ও হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ করছেন।
সদর উপজেলার বোরো চাষি আকবর আলী বলেন, ধানের বাজার দর ভালো চলছে। এর আগে আমন ধানের দর ভালো ছিল। এ কারণে আমরা বোরো আবাদ করছি। এ পর্যন্ত আমার ৭ বিঘা জমিতে ধান লাগানো হয়েছে। আরও ৩ বিঘা জমিতে লাগাব।
একই উপজেলার নওয়াবজায়গির এলাকার কৃষক জহুরুল ইসলাম জানান, তার আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা লাগিয়েছেন। সরিষা উত্তোলন করে এবার সেই জমিতে বোরো ধান লাগানের জন্য জমির প্রস্তুতি চলছে। দু’এক দিনের মধ্যে ধানের চারা লাগানো শুরু হবে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
ইসলামপুর এলাকার চাষি শামিম আলী বলেন, গত বছর ১০ কাঠা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। বাজার দর ভালো থাকায় এবার ২৫ কাঠা জমিতে বোরো ধান রোপণ করছি।
নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার বোরো চাষি জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। বোরা উৎপাদনে খরচ বেশি। জমিতে সার ও সেচ লাগে। সেই সঙ্গে কীটনাশকও প্রয়োগ করতে হয়।
তিনি জানান, কীটনাশকের দাম খুব বেশি। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। কীটনাশকের দাম কমানোর পাশাপাশি গুনগত মান ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের তদারকি জোরদার করা দরকার।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১২ হাজার ১০০ হেক্টর, শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ৫০ হেক্টর, গোমস্তাপুর উপজেলায় ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর, নাচোল উপজেলায় ৮ হাজার ২০০ হেক্টর ও ভোলাহাট উপজেলায় ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, ৩ হাজার ৩৫৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা আছে যা দিয়ে আবাদের চাহিদা পূরণ হবে। সার ও সেচের কোন সমস্যা নেই।
তিনি জানান, ধানের দর ভালো থাকায় কৃষকরা বোরো আবাদে আগহী হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জেলায় বোরা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রী
কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য আরটিভি কৃষি পদক আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
দেশে কৃষির উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ করে করোনা মহামারির সময়ে কৃষিতে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কৃষিতে সফলতার ধারাবাহিকতা বহাল রাখা ও কৃষিকে আধুনিকায়ণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁকে এ সম্মাননা জানায় আরটিভি এনআরবিসি কৃষি পদক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আরটিভি এনআরবিসি কৃষি পদক ২০২২ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রীর হাতে আজীবন সম্মাননা পদক তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম ও আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে বাণিজ্যিক করা সরকারের লক্ষ্য। আমরা চাই শিক্ষিত বিশেষ করে শহরের তরুণেরা কৃষিকাজে এগিয়ে আসুক, বাণিজ্যিক কৃষিতে বিনিয়োগে করুক। তাহলে খোরপোষের কৃষি বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণ ঘটবে। দেশের বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করবে। তরুণ প্রজন্ম কৃষিপণ্য থেকে বিশাল আয় করবে। কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশে পরিণত করবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন উদ্যানচাষি অনুষ্ঠানে ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর দিক নিয়ে তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফসলের ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছ যাতে দেশে কেউ রোপণ না করে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ইউক্যালিপটাস গাছ যেগুলো রয়েছে, সেগুলো কর্তনের জন্য উচ্চপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সকলের কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরটিভিকে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিখাতে এ ধরনের পুরস্কার প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ কৃষক, চাষি ও উদ্যোক্তারা কৃষিকাজে আরও উৎসাহিত হবে।
উল্লেখ্য, দেশের কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত কৃষক, খামারি গবেষক, বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি ও তাঁদেরকে উৎসাহ দিতে আরটিভি কৃষি পদক দিয়ে আসছে গত বছর থেকে। এবছর ১০টি ক্যাটাগরিতে ৮ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম । এতে অন্যদের মধ্যে আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি: কৃষিমন্ত্রী
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সবার জন্য নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। সেজন্য, নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলছে।’
শনিবার ঢাকায় এফডিসিতে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে’ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আরও ২টি জেব্রা অসুস্থ, মেডিকেল বোর্ডের জরুরি সভা
মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি: কৃষিমন্ত্রী
মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি। এ ব্যাপারে উন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সমন্বিত ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করার এবং উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ‘বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে’ ভার্চুয়ালি যোগদান করে এ আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী (২৪-২৮ জানুয়ারি) ১৪তম ‘গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ)’ এর শেষ দিনে কৃষিমন্ত্রীদের এ সম্মেলন হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়ালি কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ভূমির টেকসই ব্যবহার: মৃত্তিকা থেকেই খাদ্য নিরাপত্তার শুরু’ এই শিরোনামে কৃষি-খাদ্য বিষয়ক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বাংলাদেশে মাটির টেকসই ব্যবহারের নানা চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা ও টেকসই ব্যবহার অনেক চ্যালেঞ্জিং। ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে মাটির অতিরিক্ত ব্যবহার, মাটির অবক্ষয়, দূষণ, লবণাক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, মাটির পুষ্টি উপাদানের অবক্ষয়, মাটি ক্ষয় প্রভৃতি সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া, নগরায়ণ, শিল্পায়নসহ নানা কারণে বছরে কৃষি জমি কমছে দশমিক ৪৩ শতাংশ হারে। বাংলাদেশ সরকার মাটির টেকসই ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত ও বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করতে উন্নতদেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সমন্বিত ও জোরাল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি তাদেরকে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের পাশে দাঁড়াতে হবে, সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে।কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে জার্মান ফেডারেল মিনিস্টার অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অজদেমির, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ক ইইউ কমিশনার জানুস্জ উজসিচোস্কি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপমহাপরিচালক জ্যাঁ মেরি পগাম ও বিভিন্ন দেশের কৃষিমন্ত্রীরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
পশুখাদ্যে ভেজালরোধে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
পশুখাদ্যে কেউ যাতে ভেজাল দিতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মৎস ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, জেলা প্রশাসকদের মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তর সংস্থাসমূহে তাদরর সহযোগিতার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রান্তিক সীমা থেকে শুরু করে ক্যাপিটাল পর্যন্ত আমাদের মাছ মাংস দুধ, ডিম উৎপাদন, বিপণন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যতো কর্মকাণ্ড আছে সেই কর্মকাণ্ডে তাদের দেখভাল করা, তদারকি করার অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয়, কোন প্রকল্পের অর্থ অপব্যবহার না হয় সেজন্য তাদের অনুরোধ করেছি। কারেন্ট জাল বা অন্যান্য জাল দিয়ে মাছ ধরা অথবা পশুখাদ্যে ভেজাল যাতে কেউ দিতে না পারে, মৎস উৎপাদন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের যেসকল পরিকল্পনা আছে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে সে বিষয়গুলোর প্রতি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই ধারাবাহিকতা যাতে অব্যাহত রাখা যায় সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সকল প্রকার সহযোগিতার জন্য আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আমাদের মৌলিক জায়গা হচ্ছে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মিঠাপানির মাছে তৃতীয় স্থানে, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বের বিস্ময় সৃস্টি করে সর্বোচ্চ উৎপাদনে। যেসকল মাছগুলো হারিয়ে গিয়েছিলো আমরা কৃত্রিম প্রজননের প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে সেই মাছগুলোকে আমরা ফিরিয়ে এনেছি। এই বিস্ময়কর সাফল্যের জায়গাটা যাতে আমরা ধরে রাখতে পারি সেক্ষেত্রে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে সেবিষয়গুলো আমরা তাদের দৃষ্টিতে এনেছি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের কিছু প্রস্তাব ছিল। সমুদ্র উপকূলীয়বর্তী এলাকায় যেসব ভেসেজগুলোতে লাইসেন্স জরুরি না সেগুলোকে কিভাবে ডিমার্ক করা যায়, আমরা সেখানে বলেছি বাংলাদেশি সিম্বল দিয়ে আমরা তাদের ডিমার্ক করব। কোন কোন এলাকায় আধুনিক শুটকি পল্লী করা যায় কি না সে প্রস্তাব ছিল, আমরা বলেছি অবশ্যই করা যাবে। কোন কোন এলাকায় নতুন করে কোন উদ্যোগ নেয়া যায় কি না বা যেসকল এলাকায় কোন কাজ চলছে তার ধরন পরিবর্তন করা যায় কি না, প্রশাসনকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায় সে বিষয়গুলোতে আমরা বলেছি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কো-অপারেশনন থাকবে।
উপজেলায় ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি শুরু বৃহস্পতিবার: খাদ্যমন্ত্রী
দেশের সব উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে খোলাবাজারের (ওএমএস) মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রি শুরু করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারাবছর আমাদের ওএমএস চালু আছে। তবে এটা সীমিত ছিল। ৭৩০টি দোকানে চালু ছিল। আগামীকাল থেকে উপজেলা পর্যায়ে প্রায় এক হাজার ৭৬০টি ডিলারের মাধ্যমে আমাদের এএমএস চালু হবে। আমাদের চালের মজুদ এখন সর্বকালের সর্ববৃহৎ মজুদ। এটা কোয়ালিটিফুল চালের মজুদ। আমি আশা করি মানুষ এটা নিয়ে খাবে।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে যেহতু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আছে, ১০ টাকা কেজি চাল আছে এ জন্য ইউনিয়নে এটা চলবে না। কিন্তু একটা উপজেলায় যদি তিনটা পৌরসভা থাকে সেখানে কর্মসূচি চলবে।’
আরও পড়ুন: মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ওএমএসের মাধ্যমে যে চাল বিক্রি করা হবে সেটির দাম রাখা হয়েছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। আর আটা পাওয়া যাবে প্রতি কেজি ১৮ টাকায়।
তিনি বলেন, আবার আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, গমের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই কিন্তু ব্র্যান্ড আছে। ভারত থেকে মিনিকেট নামে যেটা আসে আমরা ২৫ ভাগ পর্যন্ত ট্যাক্স এনে দেয়ার পরও ১৭ লাখের অর্ডার করে মাত্র ১০ হাজার পেয়েছি। তার অর্থ সেখানে এতো দাম বেড়েছে সেটা এনে এখানে পোষাচ্ছে না। শিপের ভাড়াও চার-৫ গুন বেশি বেড়েছে।
ওএমএস কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওএমএস যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় এ জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে মনিটরিং টিম করা হয়েছে। উপজেলা ও জেলায় যেন সব সময় মনিটরিং হয়।
তিনি বলেন, যদি কেউ অবৈধ মজুদ করে রাখে তাদেরকে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মজুদ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে আমরা চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: পরনির্ভরতা কমাতে কৃষি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
চালু হলো দেশের বৃহৎ গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প
দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়েই শেষ পর্যন্ত সচল হলো দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুম। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এ মৌসুমের সেচ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম।
এর আগে পাম্প হাউজের ৩নং পাম্পটি মেরামত করেন দেশীয় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলীরা।
অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, বিদেশি প্রকৌশলীরা যা মেরামত করতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা চেয়েছে সেখানে এরা দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকায় তা মেরামত করে দিয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থা করেছে এর মাধ্যমে ঢাকা থেকেও বসে সরাসরি পাম্পগুলো কী পরিস্থিতিতে আছে তা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশের জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিক
জিকে পাম্প হাইজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, হাউজের তিনটি পাম্পের মধ্যে আজ একটি চালু করা হয়েছে। আর ১ নংটির কিছু ত্রুটি রয়েছে সেটি মেরামত করে দু-একদিনের মধ্যেই সচল করা যাবে। অন্যটি অর্থাৎ ২ নংটির মেকানিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটিও মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে। একটি পাম্প দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ কিউবিক ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি খালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে যেতে আরও দুই দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন, প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে। এতে করে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। যদিও খালগুলো ভরাট হয়ে বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তম চিনিকল জয়পুরহাট সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু
দেশের জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিক
বিগত প্রায় চার দশক জুড়ে অ্যাকোয়ারিয়ামের শোভা বর্ধক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাকার মাছ এখন দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জলাশয়গুলোতে। ঢাকার বুড়িগঙ্গা থেকে ধরে এনে অনেকেই এখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন সাকার মাছ। খাবারের জন্য চওড়া দাম দিয়ে কিনে নিচ্ছেন অনেকেই। তবে বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে দেশের মাছ চাষে মাছটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বদ্ধ এবং উন্মুক্ত উভয় জলাশয়েই এর ক্ষতিকর দিকগুলোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া? চলুন জেনে নিই সাকার মাছের বৈশিষ্ট্য ও এর ক্ষতিকর দিকগুলো।
সাকার মাছ-এর বৈশিষ্ট্য
মাছটির পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ (Suckermouth Catfish)। অ্যাকোয়ারিয়াম পালনকারীদের কাছে প্লেকোস্টোমাস বা কমন প্লেকো নামেই বেশি পরিচিত। বর্মযুক্ত ক্যাটফিশ গোত্রের অন্তর্গত এই মাছটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় মিঠা পানির মাছ। এর মাথা এবং শরীরের উপরের অংশকে আবৃত করে রাখে বর্ম-সদৃশ কাটার অনুদৈর্ঘ্য সারি আর মাথা এবং পেটের নীচের পৃষ্ঠটি নগ্ন নরম ত্বক। মুখটি যেন যে কোন কিছু চুষে নেয়ার জন্য উদ্যত, আর এর জন্যই এর বৈজ্ঞানিক নামকরণ করা হয়েছে হাইপোস্টোমাস প্লেকোস্টোমাস। মুখের এই আকৃতিটি মাছটিকে জলাশয়ের পৃষ্ঠের সাথে লেগে থেকে স্রোতের প্রতিকূলেও খাবার শুষে নিতে সাহায্য করে।
এই সর্বভুক প্রজাতির মাছটি শেওলা, জলজ উদ্ভিদ এবং ছোট ছোট পোনা মাছ খেয়ে থাকে। আশেপাশের যেকোন নড়াচড়ার প্রতি এরা বেশ সংবেদনশীল। এই বৈশিষ্ট্যটি তাদের যেকোনো ধরনের শিকারীকে নিমেষেই এড়িয়ে যেতে সাহায্য করে। অপরদিকে কোন কারণে এদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে এরা শরীর থেকে ফেরোমোন নিঃসরণ করে এবং কোনো বিপদ দেখা দিলে লড়াই করার জন্য পূর্ব সংকেত দেয়।
প্রায় ৩৯ ইঞ্চির উত্তর আমেরিকান এই মাছগুলোর ওজন হয় প্রায় দেড় কেজি। তবে বাংলাদেশিগুলো ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি লম্বা ও ওজনে ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: মাছ, মাংস, ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা খামারিদের অনন্য অর্জন: স্পিকার
সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিকগুলো
অন্যান্য মাছ খেয়ে ফেলে
এই সর্বভূক মাছটি জলাশয়ের পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি অন্য ছোট ছোট মাছ বা মাছের পোনাও খেয়ে ফেলে। ফলে চাষিদের মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
জাওয়াদ’র ক্ষতি পোষাতে বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত মাগুরার কৃষকরা
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাগুরার কৃষকরা পাকা আমন ধান সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো মৌসুমে ভালো ফসল উৎপাদনে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা নিয়ে বীজতলা তৈরি করছেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার আট ইউনিয়নের কৃষকেরা। পাঁকা আমন ধানের ক্ষতি হওয়ায় কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারও ধান রোপন করেছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ছয় হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। দুই হাজার হেক্টর হাইব্রিড ও চার হাজার হেক্টর উফশী ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কৃষকদের আদর্শ বীজতলা তৈরির জন্য কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিচ্ছে। তবে এ বছর এলাকার বেশির ভাগ কৃষক উফশী ব্রি- ২৮, হাইব্রিড এ এসএল ৮ এইস জাতের ধান চাষের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে উফশী অন্য জাতের মধ্যে ব্রি- ২৯ ব্রি- ৮১, ব্রি-৮৪ ব্রি- ৮৯ ব্রি- ৯২ ইত্যাদি জাতের ধান চাষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলে যেসব কারণে বোরোর আশানুরূপ ফলন হয়নি
সরেজমিনে দেখা গেছে, আট ইউনিয়নের বাবুখালী, দীঘা, বিনোদপুর, রাজাপুর, নহাটা, বালিদিয়া, পলাশবাড়ীয়া ও মহম্মদপুর সদরের কৃষকদের আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে। নিচু জমিতে বীজতলা তৈরি করে বোরোর চারা তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেক কৃষক।
উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের চালিমিয়া গ্রামের কৃষক জিবলু মোল্যা বলেন,ভালো ফলন হওয়ায় এই বছর ব্রি-২৮ রোপন করেছি। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সময় প্রচুর বৃষ্টিতে আমার ৫০ শতক জমির ধান পানিতে ডুবে যায়। বোরো ধান চাষ দ্রুত করার চেষ্টা করছি।
কৃষক আকিদুল মোল্যা বলেন, আমার নিজের জমি নেই। তাই বর্গাচাষ করি। চারা তৈরি করতে বীজতলা করেছি। আশা করছি কয়েক সপ্তাহ পরে রোপন শুরু করতে পারব। এবার ডিজেলের দাম বেশি হওয়াতে গত বছরের তুলনায় বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ বাড়বে সাত হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: যশোরাঞ্চলে বোরো ধানের মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক-কৃষাণি
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব কুমার বলেন, আমার ব্লকে কৃষকদের সুষম মাত্রার সার ব্যবহার, জৈব, অজৈব ও গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ এবং পোকামাকড় দমনসহ কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের অনেকের আমনের ফলন ভালো হয়নি। বোরোর আবাদে তারা যেন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে বিষয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিচ্ছেন।