নির্বাচন
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার উপায় নেই, ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চ আদালতের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধান সংশোধন করে বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একমাত্র জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সে সরকার গঠন করবে। এটিতে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা পরিষেবাকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া বা বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন জনগণের অধিকার। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে হাইকোর্ট একটি রায় দেয় যে কখনোই আর অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে না। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। রায়ের পর সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন হাইকোর্টের রায় কীভাবে বাতিল করব? নাকি সংবিধান সংশোধন করবেন? এবং কেন আমরা তা করব? আমাদের অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের দেশের ইতিহাসে আমরা দেখেছি সামরিক আইন, সামরিক স্বৈরাচার এবং তাদের অধীনে বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রহসনমূলক নির্বাচন।’
বিএনপি একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন বিএনপির ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করেছিলাম; তখন বিএনপি নেত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা এটা বলেছিল, তারা এর বিরুদ্ধে ছিল।’
আরও পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার আগে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: ভয়েস অফ আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। তারা তখন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে এবং এখনও তারা একই জিনিস দাবি করছে। ভবিষ্যতে তারা কী করবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
বিএনপির কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে চেয়েছিল। তার জন্য বিচারকের বয়স বাড়ানো, ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি এবং অনেক ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছে। কিন্তু কোনোটাই কাজ করেনি, কারণ মানুষ তা গ্রহণ করেনি।’
২০০৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখেছিল। তারা ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের শাসনামলে অনেক ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছিল। এরপর একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তারা দুই বছর কোনো নির্বাচন করেনি এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট সংসদে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং পুনর্নির্বাচনে আরও একটি আসন পেয়েছিল। ‘তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এটাই তাদের বাস্তবতা। এজন্য তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং অগ্নিসংযোগের অবলম্বন করেছিল…তারা তিন হাজার মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তারা ৫০০টি ভোটকেন্দ্র ও বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষ করেছে। তারা নির্বাচন বয়কট করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন তারা হঠাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে কেন? আর প্রশ্ন হল তাদের নেতা কে? কাকে (জনগণ) ভোট দেবে? জনগণ নেতৃত্ব দেখতে চায়। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাদের কোনো ভাল নেতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে... ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। সেসব কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এটি বজায় রাখার জন্য আমাদের একটি নির্বাচিত সরকার দরকার।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ভোট হবে ব্যালট পেপারে। এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনের দিন সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে ৩০জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়। এই উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচান কমিশন সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ জন্য সব দলের সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশনের ওপর সবার আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এনআইডি সার্ভার কখন চালু হবে তা জানাল ইসি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার মঙ্গলবার সকাল থেকেই ডাউন রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট উইং (এনআইডি) এর সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম বলেছেন, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের কারণে আগামী বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত এনআইডি সার্ভারের পরিষেবা পাওয়া যাবে না।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট একই কারণে এনআইডি সার্ভার ডাউন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
ইসি প্রথমবারের মতো ২০০৭ সালে ছবিসহ একটি সমৃদ্ধ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে। এরপর, ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে ভোটারদের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর মাধ্যমে তথ্য হালনাগাদ করা হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটারদের তথ্য নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার সকাল থেকে এনআইডি সার্ভার ডাউন: নির্বাচন কমিশন
গাজীপুর সিটির প্রথম নারী মেয়র জায়েদা খাতুনের দায়িত্ব গ্রহণ
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রথম নারী মেয়র হিসেবে জায়েদা খাতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে অভিষেক অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল হয়।
এ অনুষ্ঠানে মেয়র জায়েদা খাতুন ছাড়াও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য রাখেন।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মুক্তিযোদ্ধাসহ নানান শ্রেণির বিপুলসংখ্যক লোক এতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অন্য কোনো দেশের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুনিদিষ্ট কিছু বলব না: গাজীপুর সিটি নির্বাচন বিষয়ে বেদান্ত প্যাটেল
জায়েদা খাতুন নগর ভবনে গেলে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। নগর ভবনের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
পরে জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়রের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ইসি রাশেদা সুলতানা
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।সিইসি বলেন, ‘জনগণ অবাধে ভোট দিতে পারলেই নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিনি নির্দিষ্ট তারিখ জানাননি।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলা যায়।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মসূচির প্রথম পর্বের উদ্বোধন করেন।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য আজ (শনিবার) থেকে শুরু হওয়া দুই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
যেখানে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রশিক্ষিত প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বিশেষজ্ঞ মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৯ লাখ পোলিং কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
এ সময় আরও দুজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এবং ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের আগে নয়: সিইসি
আগামী নির্বাচনে পাবনা-৫ আসনে লড়তে আগ্রহী রাষ্ট্রপতির ছেলে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে আরশাদ আদনান রনি পাবনা-৫ আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাবনা শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রনি এ কথা বলেন।
রনি বলেন, আমি জেলার জনগণকে জানাতে চাই যে- আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবনা-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন চাইব এবং তিনি রাজি হলে জনগণের জন্য কাজ করতে পারব।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
তিনি বলেন, আমার বাবা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাবনার মানুষের জন্য কাজ করছেন।
রনি বলেন, আমার বাবা আমাকে পাবনায় গিয়ে জেলার মানুষের জন্য কাজ করতে বলেছেন।
বাবা আমাকে বললেন, দয়া করে পাবনায় গিয়ে দেখ জনগণ তোমাকে মেনে নেয় কি না।
নিজের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির ছেলে বলেন, আমি ছাত্র থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করি। তারপর যুবলীগে যোগদান করি।
তিনি বলেন, কখনো কখনো ব্যবসার কারণে দূরে থাকতাম। বর্তমানে আমি আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। যেহেতু আমি আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য এবং আমি পাবনার সন্তান তাই আমি বিশ্বাস করি আমার দাবির জায়গা আছে।
রনি আরও বলেন, নৌকাকে বিজয়ী করতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে: হাছান মাহমুদ
নির্বাচনের আগে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইজিপির
নির্বাচনে সব দল কখনো অংশ নেয় না: ইসি আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল কখনোই নির্বাচনে অংশ নেয় না। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সক্ষমতা যাচাইয়ের বিষয় আছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে। সবাইতো অংশগ্রহণ করবে না। অতীতেও করেনি।’
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন সংবিধানের বাইরে যাবে না।’
ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার শপথ নিয়েছি। আমাদের কাজ এইটুকুই যে ভোটার তালিকা করব, দলের নিবন্ধন দেব আর যখন যে নির্বাচনের সময় আসবে যথাসময়ে সে নির্বাচনগুলো করব।’
আরও পড়ুন: ইসির নিবন্ধন পেল বিএনএম ও বিএসপি
জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
ইসির নিবন্ধন পেল বিএনএম ও বিএসপি
চূড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, বিএনএম ও বিএসপি-কে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। শিগগিরই তাদের সনদ দেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাব।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আবেদন জমা দিতে বলে ইসি।
এবারও তেমন আহ্বান জানালে ১৯৬টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২টি দল শর্ত পূরণ করে। তাদের দেওয়ার তথ্য অধিকতর যাচাই-বাছাই করলে তদন্তে টেকে গণঅধিকার পরিষদ, বিএনএম, বিএসপি ও এবি পার্টি। পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে তদন্তের পর সেখান থেকে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি।
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
এদিকে বিএনএম ও বিএসপির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ পড়ে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য। সেই আবেদনগুলো সম্প্রতি শুনানিতে না টিকলে নিবন্ধন পেয়েই গেল দল দুটি। এ নিয়ে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪৪টি।
মেম্বার সেক্রেটারি অব বিএনএম সেন্ট্রাল কমিটি মেজর (অব.) মো. হানিফ ইউএনবিকে বলেন, নিবন্ধনের জন্য আবশ্যকীয় সকল শর্ত আমরা পূরণ করেছি বিধায় আমারা দৃঢ়ভাবে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, একটি দল নিবন্ধন পেলেও আমরা পাব।
তিনি বলেন, অহিংস ও সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই বিএনএম এর লক্ষ্য। কোনো দলের বিপক্ষে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমরা জনগণের পক্ষে, দেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি, সহিংসতার বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
নতুন ২ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ইসির শুনানি
নভেম্বরে চালু হবে নির্বাচনী অ্যাপের কার্যক্রম
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অনলাইনে মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা রাখতে নভেম্বরের মধ্যে চালু করা হবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ।
বুধবার (৯ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আইন অনুযায়ী অফলাইন, অনলাইন দুভাবেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবি, ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানানোসহ একগুচ্ছ সেবা দিতে ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ’ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তফসিলের আগে নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ চালু করতে হবে, তা না হলে এটা চালু করলাম কেন? অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাসহ নানা বিষয় এ অ্যাপে থাকবে। যে অবস্থায় রয়েছে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না, নভেম্বরে চালু করতে পারব। অ্যাপ আমরা নভেম্বরে চালু করব।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু অনলাইন রাখতে গেলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করতে হবে। সম্পূর্ণভাবে অনলাইন এখন আমরা চাইলেও হবে না। আমরা চিন্তা করছিলাম সব নির্বাচনের জন্যই যাতে এটা প্রযোজ্য হয়। এটা বাধ্যতামূলক করার সুযোগ নেই। কারণ আইনে সংশোধন আনতে হবে। তাই বাধ্যতামূলক করতে আমরা যাচ্ছি না। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দেওয়ার সুযোগটা এজন্য করা হয়েছে যাতে কেউ কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। আমরা অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। কেননা, ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।’
নির্বাচনী অ্যাপসে আর কী থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূলত সম্পর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি হবে ওটা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিলে অনেক বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট স্ক্যান করে দিতে হবে।
নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর নামের তালিকা ও ছবি থাকবে। কে কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। এনআইডি নম্বর দিয়ে অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এতে গুগল ম্যাপেও ভোটার তার ভোটকেন্দ্র দেখতে পারবে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা থাকবে। দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর ভোট পড়ার হার জানানো হবে। ১০টা, ১২টা, ২টা ও বিকেল ৪টায় আপডেট থাকবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফলাফল আমরা অ্যাপসে কেন্দ্রভিত্তিক দেখতে পারব। বেসরকারি ফলাফলটাও দেখা যাবে।
মো. আনিছুর রহমান বলেন, অ্যাপসের ফলে নির্বাচনে সহিংসতা বা শক্তি প্রদর্শন কমে আসবে। ভোটাররাও সহজেই কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারবে। প্রার্থীও কত ভোট পড়েছে তাও জানতে পারবে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা ম্যানুয়ালি করতে হয়, এতে অনেক সময়ের ব্যয় হয়। এটা কমে আসবে।
ইসি বলেন, এই নির্বাচনের পরে যেন আরেকটি নির্বাচনেও এই অ্যাপস ব্যবহার করা যায়, আমরা এজন্য ছয় বছর মেয়াদি এই উদ্যোগ নিচ্ছি। পরবর্তী কমিশন এসে কী করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, কেননা, এতে অর্থ ব্যয়ের বিষয় আছে। সব নির্বাচনেই আমরা এই অ্যাপস ব্যবহার করব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এটির কার্যক্রম শুরু হবে। নভেম্বরে এটা আমরা চালু করব।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হার্ডওয়্যারের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছি। আর সফটওয়্যাট যারা দেবে তাদের সঙ্গে আমাদের ছয় বছরের চুক্তি থাকবে। ইসির যে ডাটাবেজ আছে সেখান থেকেই মূল তথ্যগুলো এই অ্যাপে আসবে।ে
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিসুর রহমান বলেছেন, দুর্গম এলাকা ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করতে হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে তফসিলের সম্ভাবনা নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সিইসি বলে দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তফসিল হবে।
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
নভেম্বরে দ্বিতীয়ার্ধে তফসিলের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি জানান, যথাসময়ে হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে তা স্পষ্ট করে না জানালেও গত ৩০ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিুল আউয়াল বলেছেন, ‘অক্টোবরের আগে তারা তফসিল দিচ্ছেন না’। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা বা সিদ্ধান্ত কিছুই হয়নি। অক্টোবরের আগে তফসিল দেওয়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, সাংবিধানিকভাবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। সেক্ষেত্রে ১ নভেম্বর শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি উন্মোচন,বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উচ্ছাস