নির্বাচন
দক্ষিণাঞ্চলের স্থগিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া দক্ষিণাঞ্চলের ১৮ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ মে নির্বাচন কমিশন ওই উপজেলাগুলোতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। গত ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি জানান, ডুমুরিয়া, ফুলতলা ও কয়রা উপজেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। প্রথমবারের মতো নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হাইওয়ে ও নৌ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসাইন খান জানান, মোট ৩৭ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্বে আছেন।
আরও পড়ুন: অবরোধে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ফের স্থগিত, সাজেকে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
ইউএনবির বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রথম দিকে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বেড়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়েছে সেগুলো হলো- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলায় তাজমুদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ : সিইসি
বাজেট নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাসদ
প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের উপর জাসদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
শুক্রবার (৭ জুন) এক বিবৃতিতে দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এই প্রতিক্রিয়া জানান।
তারা বলেছেন, ২০২৪—২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখায় প্রচেষ্টার বাইরে নতুন ও বেশি কিছু না।
নেতারা আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ডলার সংকট মোকাবিলা, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা দূর করা, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, আভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং খাত এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া বাজেট বাস্তবায়ন ও আগামী অর্থনীতির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেট কাঠামোর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংশোধনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ও সরকারকে খোলামন নিয়ে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: জাসদের সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠক
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ : সিইসি
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার, ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২১ জনের জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গাবালীর ৩ জনের প্রার্থিতা বহাল
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ শফিউল আজিম সাংবাদিকদের জানান, এই নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সিইসি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়া ২২ উপজেলায় ৯ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
৬০টি উপজেলা পরিষদের ১৮০টি পদের জন্য মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে ২৫১ জন চেয়ারম্যান, ২৬৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিনটি পদের বিপরীতে পাঁচজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ৬০ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ৬০ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
ইউএনবির কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল থেকে জেলার চৌদ্দগ্রাম, হোমনা ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।
প্রথম দিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ৮৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
৬০টি উপজেলা পরিষদের ১৮০টি পদের বিপরীতে মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ২৫১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০৫ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৬টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বাকিগুলোতে প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হচ্ছে।
সমতল জেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় ১৭-১৯ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল এবং ১৯-২১ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অতি দুর্গম এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে কয়েকটি জেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বুধবার
দেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে দেশের ২৬ জেলার ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বুধবার।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
৬০টি উপজেলা পরিষদের ১৮০টি পদের বিপরীতে মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে ২৫১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০৫ জন মহিলা (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ৬০টি উপজেলার ৫ হাজার ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে: কাদের
এর মধ্যে ছয়টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলায় প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে।
গত ২৪ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
সমতল জেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় ১৭-১৯ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অতি দুর্গম এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র ১৯-২১ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল দায়িত্ব পালন করবে।
এবার চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫০টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে কমিশন।
গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে, দ্বিতীয় ধাপে গত ২১ মে ১৫৬টি উপজেলায় এবং ২৯ মে ৯০টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গাবালীর ৩ জনের প্রার্থিতা বহাল
উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গাবালীর ৩ জনের প্রার্থিতা বহাল
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
তাদের পৃথক রিটের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি মুহম্মদ মাহাবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি জানান, এ আদেশের ফলে ওই তিনজন এখন নির্বাচনে থাকছেন।
তিন প্রার্থী হলেন- চেয়ারম্যান পদে মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফেরদৌসী পারভীন।
৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো মহিববুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল ইসি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১৯ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
একই সঙ্গে ওই তিন প্রার্থীকেও হাজির হতে বলেছিল ইসি।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছিল, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাটে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তার সেই বক্তব্যটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার ওই প্রচারমূলক কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালার লঙ্ঘন।
প্রতিমন্ত্রী ও তিনপ্রার্থী গত রবিবার ইসিতে হাজির হন।
শুনানি শেষে ইসি নির্বাচরি আচরণবিধি ভঙ্গ করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী লিখিতভাবে কমিশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেটি আমলে নিয়ে কমিশন তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়।
এরপর ওই তিন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
আগামী ৫ জুন বুধবার ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে: কাদের
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে: কাদের
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৯ মে) বিকালে নির্বাচনোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি যে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে তবে চূড়ান্ত সংখ্যা আগামীকাল জানা যাবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
এ সময় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হবে ভেবেছিলেন তারা।
কাদের আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙে গেছে। এমন অবস্থায় ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক।’
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমদকে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি- বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “আশরাফুল হুদা, রাকিবুল হুদা, কোহিনূর- এগুলো কে সৃষ্টি করেছেন? দুর্নীতির পাওয়ার হাউজ 'হাওয়া ভবন' কে তৈরি করেছিলেন? বিএনপি কি তাদের বিচারের আওতায় এনেছে? শেখ হাসিনার সেই সাহস আছে। এজন্য তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন।”
আরও পড়ুন: আজিজ-বেনজীরকে নিয়ে বিব্রত নয় সরকার: ওবায়দুল কাদের
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ৮৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলায় আজ ভোট গ্রহণ চলছে।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে।
ইউএনবির কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল থেকে জেলার মুরাদনগর, দেবিদ্বার, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে।
সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের উপস্থিতি বাড়বে, প্রত্যাশিত প্রার্থী ও অন্যান্যদের।
বেলা ১১টা পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৮৭টি উপজেলা পরিষদের ২৬১টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৩৯৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪৫৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২৯৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৭ জেলার ১৬টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে, বাকি উপজেলায় প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হচ্ছে।
সমতল জেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় ১৭-১৯ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল এবং ১৯-২১ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অতি দুর্গম এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন।
৮ মে প্রথম ধাপে ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে এবং ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
৫ জুন দেশের অর্ধশতাধিক উপজেলায় চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১৯ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১৯ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির কারণে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় ১০৯টি উপজেলা পরিষদের মধ্যে ১৯টির নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ১০৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও মাঠ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
তবে নির্বাচনি এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের ভয়াবহ আঘাতের কারণে কমিশন ১৯টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে। এখন পর্যন্ত মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব বলেন।
আগামী ২৯ মে যে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হবে না, এর মধ্যে উপকূলীয় জেলার ১৮টি এবং রাঙামাটির একটি উপজেলা রয়েছে।
উপজেলাগুলো হলো- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলা, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, অন্য উপজেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেলে অন্যান্য উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও স্থগিত করা হতে পারে।
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মোট ৯০টি উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস হলে গণতন্ত্র থাকবে না: ইসি রাশিদা
নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস হলে গণতন্ত্র থাকবে না: ইসি রাশিদা
নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনি ব্যবস্থা গণতন্ত্রের চাবিকাঠি এবং এটি ধ্বংস হলে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘সকল নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’
তিনি আশ্বস্ত করেন, ভোটাররা ভয় বা সহিংসতা ছাড়াই তাদের ভোট দিতে পারে, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কমিশন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয় মিলনায়তনে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশিদা বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে এবং সহিংসতামুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারে সেজন্য ইসি ভোটারদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ‘আমরা চেষ্টা করছি আসন্ন তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচন আরও শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত পরিবেশে আয়োজনের। যাতে সাধারণ মানুষ বলতে পারে এই ইসি ভালো নির্বাচন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
তিনি বলেন, ‘কাউকে বিজয়ী করার উদ্দেশ্য নিয়ে ইসি কাজ করে না, যা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি ইসির জারি করা আদেশে বলা হয়েছে।’
নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচারণা চালিয়ে যেতে বলেছেন ইসি রাশিদা।
তিনি তাদের বক্তব্য সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছেন, কারণ নির্বাচনি প্রচারণায় ঘৃণামূলক বক্তব্য নিষিদ্ধ।
নির্বাচন কমিশনার প্রার্থীদের ভোটারবান্ধব পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানান। এতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহী হবেন।
কোনো প্রার্থী কমিশনে অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন ইসি রাশিদা।
তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান, যাতে কেউ কোনো অভিযোগ করতে না পারে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রাশিদুল হক ও রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে কয়েকটি জেলায় ভোট গ্রহণ চলছে