বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজে রবিবার প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অনুসন্ধান থেকে তাকে দায়মুক্তি দিতে দুদক পরিচালক বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে সমঝোতা করেন। ডিআইজি মিজান বিষয়টি রেকর্ড করে ফুটেজ এটিএন নিউজকে দিয়ে দেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুদকের এ পরিচালক রাজধানীর রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন এবং বাকি ১৫ লাখ পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে দেয়ার কথা বলেন। সেই সাথে তিনি ছেলেকে স্কুলে আনা-নেয়ার জন্য একটি গ্যাসচালিত গাড়ি দাবি করেন। এছাড়া তিনি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবৈধভাবে পাচার করেন।
এটিএন নিউজে এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে রবিবার তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটিকে সোমবার বেলা ৩টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী, কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।