পুলিশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে। মামলা তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমী থেকে এসপি তানভীর আটক
তিনি বলেন, “বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোকে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় পুলিশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘একটি রাস্তা বন্ধ হলে অন্য রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাস্তা বন্ধ করে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের এ চর্চা বন্ধ করতে হবে।’
ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে ট্রাফিক বিভাগকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানুয়ারি মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা-সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
অনলাইনে মামলা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সারা দেশে অনলাইনে মামলা দায়ের করার সেবা চালু করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বর্তমানে, নিকটবর্তী থানায় যাওয়ার পরেই কেবল এফআইআর দায়ের করা যায়। পদ্ধতিটি জটিল এবং এতে অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: একুশের টান প্রজন্মের ঊর্ধ্বে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুলিশের উচিত ৯৯৯-এর মতো একটি নিবেদিত কল করার জন্য একটি নম্বর করা। যাতে অভিযোগকারীরা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এফআইআর দায়ের করতে পারেন।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনলাইনে এফআইআর দায়ের করার জন্য একটি নতুন ফোন নম্বর চালু করতে পুলিশ প্রধান বাহারুল আলমকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের নাগরিকদের মামলা করার সময় যে ঝামেলার মুখোমুখি হয় তা কমাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা অনলাইনে মামলা দায়েরের বিষয়ে যেকোনো তথ্য দেওয়ার জন্য একটি নিবেদিত কল সেন্টার স্থাপনের জন্য পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'যারা অনলাইনে মামলা করতে সমস্যার মুখোমুখি হবে- তারা সহজেই কল সেন্টারের সহায়তা নিতে পারবেন।’
১ সপ্তাহ আগে
জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
পাবনায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আব্দুল ওহাব পাবনা সদর থানা ও ঢাকার মোহাম্মদ থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে আব্দুল ওহাবের বাড়ি-সংলগ্ন মথুরাপুর স্কুলের মসজিদ থেকে আসরের নামাজ শেষে বের হলে সুজানগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে ওঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন মিলে গাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারা পুলিশকে আব্দুল ওহাবকে ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি না হলে কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ধস্তাধস্তিতে ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ মো. আব্দুর রউফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা পুলিশের দুর্বলতার প্রকাশ। এত কম পুলিশ সদস্য ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি। আরও শক্তিশালী হয়ে সেখানে যাওয়া উচিত ছিল। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সুজানগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের গাফিলতিতে তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা করেনি। অথচ আগে জামায়াত-বিএনপির লোকজনের ওপর কোনো কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ ও গুলি করত। এ ঘটনায় আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ অপর দুই বন্ধুরও লাশ উদ্ধার
এ বিষয়ে আব্দুল ওহাবের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছে।’
পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান বলেন, ‘আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে মথুরাপুর স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু কয়েকশ মানুষ তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তাকে পুনরায় ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
১ সপ্তাহ আগে
শাহবাগে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
জাতীয়করণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ছুড়েছে পুলিশ।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুপারিশের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবিতে আজ (রবিবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
এরপর দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশে তারা মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এ সময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, এমনকি লাঠিপেটাও করতে দেখা যায়।
২ সপ্তাহ আগে
পুলিশের কাজের উদ্যম বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা
পুলিশের কাজের উদ্যম বাড়াতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন ও কারাগারের জরুরি সেবা (হটলাইন) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এমন কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের জনবল স্বল্পতা নেই। জুলাই বিপ্লবের পর নানা কারণে তাদের কাজের উদ্যমে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। সেজন্য পুলিশের কাজের গতি ও উদ্যম বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
কারাগারের জরুরি সেবা (হটলাইন) নম্বর ‘০৯৬১২০২১৬৯০’ চালু হওয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে এই জরুরি হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে বন্দির অবস্থান, প্যারোলে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য, শারীরিক অবস্থা, হাজিরা, সাক্ষাৎকার ও কথা বলার তারিখ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী প্রতিভা অনুসন্ধান করা হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
‘বন্দির স্বজনরা এই হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের এই জরুরি সেবা সার্ভিসে নিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে কারাগার থেকে পালানো বন্দিদের মধ্যে এখনো ৭০০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদেরকে ধরা যায়নি। আর বাকি পলাতকদের বন্দি করে কারাগারে রাখা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে অস্বীকার করছি না। তবে যারা এসব করছে, তারা ধরাও পড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি যেভাবেই হোক ছিনতাই-চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।
২ সপ্তাহ আগে
ফেনীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে বাঁশবোঝাই ট্রাকচালকের কাছে চাঁদাবাজির সময় দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় তাদের সাসপেন্ড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন—ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শুক্কুর এবং কনস্টেবল জাহিদ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের ট্রাংক রোডে দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশ উপপরিদর্শক শুক্কুর ও কনস্টেবল জাহিদ ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী, সৌরভ হোসেন ও ইমরান হোসেন হাতেনাতে আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা সিএনজি অটোরিকশাচালকের মাধ্যমে চা পানের কথা বলে ২০০ টাকা চাঁদা আদায় করছেন বলে স্বীকার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, বাঁশবোঝাই একটি ট্রাক থেকে এক সিএনজি অটোরিকশাচালক কিছু নিচ্ছিলেন দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তখন চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে পাশে থাকা কনস্টেবল জাহিদ বলেন, গরিব মানুষ, ১০০-২০০ টাকা নিলে সমস্যা কি? তার এই ধরনের মন্তব্যে উপস্থিত সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সিএনজিচালক বলেন, এসআই শুক্কুর ও কনস্টেবল জাহিদ তাকে গ্যাস বিল বাবদ ২০০ টাকা নিতে বলেছেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
দুই পুলিশ সদস্য ফেনী জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের দূতাবাস থেকে পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার
৩ সপ্তাহ আগে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ
বুধবারের হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এরপর সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে একটি মিছিল শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবাদ মিছিলটি আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে লাঠিচার্জ শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে হামলা, আহত অনেকে
৩ সপ্তাহ আগে
অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কোনো ম্যাজিক নেই, পুলিশ কাজ করছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সারাদেশে অপরাধ দমনে পুলিশ কাজ করছে এবং এর কোনো 'ম্যাজিক সলিউশন' (জাদুকরি সমাধান) নেই।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের এসপিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে কোনো যাদুকরি সমাধান নেই কারণ আপনি পরিস্থিতি জানেন এবং কোথা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ রিটায়ারড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্রমবর্ধমান চুরি, ডাকাতি ও হত্যার ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইজিপি বলেন, 'আমরা পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর করতে এবং তাদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। আমরা মানুষের আরও কাছাকাছি যেতে চাই এবং তাদের সহযোগিতা চাই। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদেরও আহ্বান জানাচ্ছি যাতে আমাদের সম্প্রদায়ের(পুলিশ সদস্যদের) সম্পৃক্ততা বাড়াতে সহায়তা করেন।’
পুলিশ বাহিনীতে পদোন্নতির বিষয়ে আইজিপি বলেন, কর্মকর্তাদের অবদানের প্রতি সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদানের উপায় হিসেবে মাত্র ১০ থেকে ১২ দিন চাকরির মেয়াদ বাকি থাকতেই পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
তার মেয়াদ নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, 'আমি অবসর থেকে ফিরে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। জানি না কতটুকু অর্জন করতে পারব... তবে আমি চলে যাওয়ার সময় সম্মানটা সঙ্গে করে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষার্থী সমন্বয়কারীদের হুমকির বিষয়ে আইজিপি বলেন, 'আমরা প্রতিটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে সমাধান করেছি। কালিয়াকৈরে ডাকাতি ও নারায়ণগঞ্জে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ছাত্র সমন্বয়কদের নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হলে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসব ঘটনা পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা নয় বলেও উল্লেখ করেন আইজিপি।
হুমকিসহ আরও দুটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন আইজিপি। এর একটি হলো ময়মনসিংহ থেকে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া।
অপর ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহের নামে এক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়া হয়, যার ফলে সিরাজগঞ্জ থেকে জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আইজিপি বলেন, 'আমরা প্রতিটি ঘটনা সমাধানের জন্য কাজ করছি, তবে সবগুলো ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র নেই।’
সম্প্রতি সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, 'এটা তদন্ত কমিটি কাজ করবে। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।’
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টে পুলিশের অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছেন: আইজিপি
১ মাস আগে
সেবার মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের অবশ্যই জনগণের ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সেবা দিতে হবে। কারণ এটিই কলঙ্কিত বাহিনীর ভাবমূর্তি ফেরানোর একমাত্র উপায়।
শনিবার(২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে কলঙ্কিত করেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতে আমরা এখনো লজ্জা পাই।’
তিনি বলেন, ‘এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশের মানুষের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। একমাত্র সেবার মাধ্যমেই আমরা আমাদের হারানো গৌরব ও ভাবমূর্তি ফিরে পেতে পারি, ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি পুলিশের দাবির পক্ষে সুপারিশ করার জন্য প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, 'ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সমিতির মাধ্যমে সম্মিলিত প্রতিনিধিত্বের মতো প্রভাব নাও ফেলতে পারে।’
তিনি পদমর্যাদা নির্বিশেষে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং অ্যাসোসিয়েশনকে আর্থিক সহায়তাসহ তার নিজের সহায়তারও আশ্বাস দেন।
১ মাস আগে
পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের চিন্তা
সরকারি চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের জন্য সরকারকে সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘চাকরিতে রিক্রুটমেন্ট (নিয়োগ), বিভিন্ন ব্যাপারে পুলিশের ভেরিফিকেশন একটা ম্যান্ডেটরি (বাধ্যতামূলক) জিনিস। এটা আমরা না রাখার সুপারিশ করছি। এটি কোথাও থাকবে না।’
কমিশন প্রধান বলেন, ‘আপনি নাগরিক, পাসপোর্ট নেবেন আপনার নাগরিক অধিকার। আপনাকে পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন করতে হবে? ইংল্যান্ডে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে পোস্ট অফিসে পাসপোর্ট চলে আসে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা কমিশন আছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী জানি না। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হল এটি।’
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার কাছে একটি জিনিস মনে হয়- খারাপ লোক যখন দেশে আসে, তাকে ঢুকতে না দেওয়ার কারণ কী? বরং সে ভেতরে এলে আমার সুবিধা হলো, তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে। যদি কেউ চলে যেতে চায়, চলে গেল, অসুবিধা কি? বিমানবন্দরে এগুলো করা হয়, আমি মনে করি, এটি সময়ের অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয়। কে করে এটি? এই যে অদৃশ্য শক্তি- আমার ব্যক্তিগত অভিমত- সেগুলো হওয়া উচিত নয়।’
এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১ মাস আগে