পুলিশ
পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে এসআই আবু হানিফ মণ্ডলের করা মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের আদালত ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের সাহাপাড়ার রায়হান অপু, টাঙ্গাইলের কাঞ্চনপুর হালুয়াপাড়ার আহসান হাবীব সৌরভকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাহাপাড়ার এনামুল হককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও দেড় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে কারাগারের পাঠানোর পরিবর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত অপু ও হাবীবকে আগামী দুই বছর ও এনামুল হককে দেড় বছর সপ্তাহে দুদিন করে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠ পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২৮ অক্টোবর এই ব্যতিক্রমী রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ চন্দ্র দাগা। এছাড়া আদালতের প্রবেশন অফিসার এই দণ্ডের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবেন।
এই দণ্ড ভোগ শেষ হলে তারা তিনজন মুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
মামলার নথি ও আসামি পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৭ জুন শহীদ কিবরিয়া ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটি করছিলেন। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জহুরুলকে আসামিরাসহ কয়েকজন মারধর করেন। পরে পুলিশের অন্য একটি দল অপু ও সৌরভকে আটক করলেও এনামুল ও অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৭ জুন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মণ্ডল বাদি হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন এনামুলের নামে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হলে এনামুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মো. শাহীন নামে একজনের নাম ও ঠিকানা সঠিক না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলার আসামি পক্ষের উকিল ছিলেন মো. তোফায়েল হোসেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
২ সপ্তাহ আগে
মিরপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক ৩
ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে সেনাসদস্যরা।
শুক্রবার(১ নভেম্বর) সেনাবাহিনীর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় এবং ভাষানটেক থেকে তাদের আটক করে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আটকরা হলেন- রিফাত, হৃদয় ও ইয়াছিন।
পরে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপের জন্য ভাষানটেক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন
বিবৃতিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পাথর নিক্ষেপ করে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে, এতে দুই পোশাকশ্রমিক আহত হন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
২ সপ্তাহ আগে
ভোলায় ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৫৩
ভোলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানসহ আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বোরহানউদ্দিনের তেতুলিয়া নদীতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এছাড়া লালমোহন উপজেলার মেঘনায় পৃথক অভিযানে ৫৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনকে কারাদণ্ড, ৩৩ জনকে জরিমানা করা হয়। এসময় ৩৫ হাজার মিটার জাল ও ১০টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে বোরহানউদ্দিনের তেতুলিয়া নদীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে জেলেরা। এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হেলাল ও একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এসময় দুটি নৌকা জব্দ করা হয়। এসময় ২৫ জন জেলে পালিয়ে গেলেও শাকিল নামে এক জেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আটক জেলে শাকিলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ অপরাধী পালিয়ে যাওয়ায় মৎস কর্মকর্তা বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে লালমোহনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে ৫২ জেলেকে আটক করেছে মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে থেকে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত সর্বমোট পাঁচটি অভিযানে এদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ৯ জেলেকে কারাদণ্ড, বাকিদের জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। বিপুল পরিমান জাল, নৌকা ও মাছ জব্দ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে লালমোহনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে ৫২ জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৯ জেলেকে ৫ দিন করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড, ৩৩ জনকে ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় ৩৫ হজার মিটার জাল, ৮টি নৌকা ও ৭০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
২ সপ্তাহ আগে
আন্দোলনের সময় পুলিশের প্রাণহানি নিয়ে ভুল তথ্যের বিষয়ে সতর্ক করল সরকার
জুলাই-আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে জনগণ ও কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি কিছু সংবাদমাধ্যম এবং ব্যক্তি এই সময়ের মধ্যে পুলিশের মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’
বিক্ষোভ বা সহিংসতার ঘটনায় আহত বা নিহত কর্মকর্তা বা কনস্টেবলদের একটি বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করেছে পুলিশ বিভাগ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
অভ্যুত্থানের সময় আরও পুলিশ নিহত হয়েছে বলে কেউ দাবি করলে প্রমাণ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
৩ সপ্তাহ আগে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
আশুলিয়ায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউসার হোসেন নামে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও দুইজন শ্রমিক।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ার টঙ্গীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কাউসার হোসেন টঙ্গিবাড়ির ম্যাংগো টেক্স লিমিটেডের সুইং অপারেটর এবং গুলিবিদ্ধ শ্রমিক রাসেল মিয়া ও নয়ন অন্য পোশাক কারখানার শ্রমিক।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকেদর সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত
শ্রমিকরা জানায়, সকাল থেকে ম্যাংগো টেক্স লিমিটেডসহ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। দুপুরে কাউসার, রাসেল ও নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক কাউসারকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার এনামুল বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আহত দুই জন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেলের দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছুড়লে তিন শ্রমিক আহত হয়।
এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে সকাল থেকে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইলে সড়ক অবরোধ করে রাখে বার্ডস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এ ঘটনায় মহাসড়কটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে আশুলিয়ায় ২১৯ কারখানা বন্ধ
নিরাপত্তার আশ্বাসের পরও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, ২২টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ
১ মাস আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশকে আইনের মধ্যে থেকেই কঠোরভাবে কাজ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. ময়নুল হাসান বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবশ্যই আইনের সীমার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরুমিয়া মিলনায়তনে ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স ডিভিশন আয়োজিত বিশেষ সভায় হাসান এসব প্রত্যাশা পূরণে নতুন করে প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
পুলিশি অভিযানে আইনি সম্মতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন,‘পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আমরা যে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করি তা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এর বাইরে আমাদের কাজ করার কোনো অবকাশ নেই- আমাদের অবশ্যই আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ ও দাবি তুলে ধরেন। হাসান তাদের আশ্বস্ত করেন যে, তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে এবং বাহিনীর অভ্যন্তরে বিশেষ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অবস্থার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি পুলিশ লাইনের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বাহিনীর কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই উদ্বেগগুলো মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের কর্মীদের জন্য আরও ভালো কাজ এবং বসবাসের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মনোবল আরও বাড়াতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন ও পুলিশ মেসে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিশনার। ব্যারাকে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট উপপুলিশ কমিশনার এবং ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স ডিভিশনের সদস্যরা ডিএমপি সদস্যদের কল্যাণের লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
১ মাস আগে
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গণপিটুনির ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দেশের সব সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছে পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি কোথাও কোথাও গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার নৃশংস ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের মব জাস্টিস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।’
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই উল্লেখ করে পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে; কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।’
দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
১ মাস আগে
পুলিশ বিচারের ঊর্ধ্বে নয়, তাদেরও বিচার হবে: সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, পুলিশের যদি বিচার না হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অন্য কোনো নাগরিকের বিচার করাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পুলিশও বিচারের বাইরের কেউ না। পুলিশ বা অন্য যে কেউ হোক, যে দোষী তার বিচার হতেই হবে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
সারজিস বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। যে পদ্ধতিতে তাদের বিচার হওয়ার কথা, সেই পদ্ধতিতে অবশ্যই বিচার হতে হবে। যারা অতি উৎসাহী হয়ে নিজের জায়গা থেকে সরে ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে নিজেকে তুলে দিয়ে অন্যায় করেছে, তাদের কোনো ছাড় নেই। সে যদি পুলিশও হয়, সে অন্যায়কারী। তাদের বিচার হতেই হবে।
এই সমন্বয়ক আরও বলেন, কেউ বিচার চাইতে গেলে পুলিশ যুদি বিন্দুমাত্র স্পর্ধা দেখায়, আমরা কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
২ মাস আগে
এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ময়নুল হাসান বলেছেন, থানায় মামলা রেকর্ড করলেই এজাহারে নাম থাকা আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রয়োজন নাই।
পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ছাড়া ঢাকায় সম্প্রতি পুলিশ হত্যা, থানায় অগ্নিসংযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র লুটপাটসহ বিভিন্ন ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
'অপরাধমূলক ঘটনার মেয়াদ কখনো শেষ হয় না' উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'থানায় পুলিশ হত্যা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা হবে।’
আরও পড়ুন: নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি সাদেক খান: ডিএমপি
গণহারে দায়ের হওয়া মামলা এবং এফআইআরে সাংবাদিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এফআইআরে কারো নাম থাকার অর্থ এই নয় যে, অবিলম্বে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন আছে। আমরা কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সম্মিলিত তদন্ত চালিয়ে যাব। সে অনুযায়ী নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের ভিত্তিতে সব মামলার সুরাহা করা হবে।’
তিনি জানান, সাম্প্রতিক অস্থিরতার সময় ১৭৭টি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। সেসব পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশ এখন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে। ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া ছিনতাই রোধে প্রচেষ্টা জোরদার করছেপুলিশ। এরই মধ্যে টহল ও চেকপয়েন্টগুলো চালু হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার গণবিক্ষোভ ও অবরোধের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে পুলিশের মনোবল বাড়ানোর চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার সমস্যা সমাধানে পুলিশ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হকারদের রাস্তা ও ফুটপাত উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, পুলিশ ধীরে ধীরে তাদের স্বাভাবিক দায়িত্বে ফিরছে।
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে চলমান অভিযানের কথা উল্লেখ করে তিনি আগামী দিনগুলোতে এই প্রচেষ্টা আরও জোরদারে পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।
সভায় ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তার: ডিএমপি
২ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর হবে: আইজিপি
জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শত্রুদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশের সকল পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দলমত নির্বিশেষে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সম্ভাব্য বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সফল: আইজিপি
পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান 'জিরো টলারেন্স'। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, এসবি, সিআইডি, র্যাব ও জেলা পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত বিষয়টি মনিটরিং করছে। তিনি বলেন, দেশে যাতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ অত্যন্ত কঠোর ও সতর্ক রয়েছে।
পুলিশ বাহিনীর এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গি ও জামিনে থাকা অন্যান্য অপরাধীরা যাতে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়মিত মনিটরিং করছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কেউ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ অপরাধীকে গ্রেপ্তারসহ তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব পুলিশকে কাজে যোগদানের নির্দেশ নতুন আইজিপির
বাংলাদেশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম
২ মাস আগে