পুলিশ
পুলিশকে এখনও পুনর্গঠন করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পুলিশকে এখনও পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের বিমানবন্দর থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ সময় তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর পুলিশকে এখনও পুনর্গঠন করা যায়নি। ৫ আগস্টের সময় অনেক গাড়ি, থানা পুড়েছে। এখনও তাদের একটি গাড়িও কিনে দেওয়া যায়নি। অর্থ বরাদ্দ পেলে এই ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন করা হবে।’
তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে বলে মত দেন তিনি। এ বছর রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো ছিল বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বলেন, ‘মব জাস্টিসকে পুলিশ আর ভয় পাচ্ছে না; বেশিরভাগ আসামিই ধরা পড়ছে।’
আরও পড়ুন: দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাইলেই পুলিশ অ্যাকশন নেবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্রের এখনও সব উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি; এ ব্যাপারে সরকার কাজ করছে। লুট হওয়া অস্ত্র বাইরে থাকলে নিরাপত্তার হুমকি থাকবে।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘এ ব্যাপারে নতুন কোন আপডেট নেই’ বলে জানান।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে স্বল্প সময়ের নোটিশে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। তবে থানায় এমন আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি।
৩ দিন আগে
সাভারে ট্রাকচাপায় পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যু, চালক আটক
সাভারে উল্টো পথে চলা ট্রাকের চাপায় ফজলুর রহমান নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইস্ট হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সোয়া ৫টায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে সাভারের বলিয়ারপুর ট্রাকপাচায় গুরতর আহত হন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় সাভারের বলিয়ারপুর থেকে দায়িত্ব পালন শেষে সাভার মডেল থানায় ফেরার পথে বলিয়ারপুর এলাকায় তার মোটরসাইকেলটি উল্টো পথ ধরে আসা একটি ট্রাক তুলে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইস্ট হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফজলুর রহমান।
এ ঘটনায় অন্যান্য বাসযাত্রী পথচারী ও স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক ট্রাক চালককে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। আটক ট্রাক চালকের নাম রাকিব (২৩)। তিনি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার কাচিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
জানা যায়, নিহত ফজলুর রহমান সাভার মডেল থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার মেরেঙ্গা গ্রামের মৃত সুনু ভুঁইয়ার ছেলে। মৃত্যুকালে এস আই ফজলুর রহমানের বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর। তার দুই সন্তান রয়েছে । ৪ বছর বয়সী কন্যার নাম ফারহানা রহমান আয়াত ও ২ বছর বয়সী পুত্র মশিউর রহমান আলভী। তার স্ত্রীর নাম শাহনাজ আক্তার মেঘলা।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান, ঘাতক ট্রাকচালক রাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
১৬ দিন আগে
ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ, শিক্ষার্থীকে আত্মসমর্পণে মার্কিন পুলিশের চিঠি
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় মোমোদু তাল নামের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে মার্কিন অভিবাসন পুলিশ। শুক্রবার (২২ মার্চ) তার আইনজীবী দলকে এই চিঠি মেইল করা হয়েছে। দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক কর্মকর্তারা এই চিঠি দেন।
আফ্রিকানা অধ্যয়নের ওপর পিএইচডি করছেন মোমোদু তাল। তিনি অবশ্য যুক্তরাজ্য ও গাম্বিয়ার দ্বৈত নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এরপর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেন এই শিক্ষার্থী।-খবর সিএনএনের
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামাসকে সমর্থন ও ইহুদিবিদ্বেষী হওয়ার অভিযোগ তোলেন তাদের বিরুদ্ধে।
আত্মসমর্পণের এই চিঠিকে বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেন মোমোদু তালের আইনজীবীরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর তাকে যাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া না হয়, তা আটকে দিতে আগেই একটি মামলা দায়ের করে রেখেছিলেন মোমোদু তাল।
কয়েকটি ইহুদি গোষ্ঠীসহ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাদের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ ও ইসরাইলের সমালোচনাকে ভুলভাবে ইহুদিবিদ্বেষের সঙ্গে মিশিয়ে তালগোল পাকানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় দুই সাংবাদিকসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
মোমোদু তালকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘নিউইয়র্কের সিরাকিউজে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস অফিসে সরাসরি হাজির হতে মোমোদু তাল ও তার আইনজীবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আইসিই হাজতখানায় তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।’
গেল বছরে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি ক্যারিয়ার মেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তালসহ একদল শিক্ষার্থী। ওই মেলায় বোয়িং ও এল৩হ্যারিসের প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা অংশ নিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা যেসব অস্ত্র উৎপাদন করছে, তা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের সহিংসতায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
এরপর থেকে ক্যাম্পাসে না এসে তালকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লেখাপড়া করতে বলেছেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরআগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে আটক করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
২২ দিন আগে
শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ
ফতুল্লার দাপা এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে আমানউল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে ওই ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১১টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আমানউল্লাহ একই বাড়ির ভাড়াটিয়া পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আমানউল্লাহকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে, তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
২৩ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আরও জোরালো চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে নিজেদের নিরাপদবোধ করেন, পুলিশকে এমন ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি।
সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, পরাজিত শক্তি তাদের অপচেষ্টা ততই জোরদার করছে।’
আরও পড়ুন: আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে পুলিশ বাহিনীকে সদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন সব প্রপাগান্ডা নিয়েও পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
পুলিশের সহায়তা ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের নির্দেশনা দেন।
বিশেষ এই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
২৭ দিন আগে
পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিচার, পুলিশকে মারধর এবং লাকী আক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ছেলেদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ট্রান্সপোর্ট (পরিবহন চত্ত্বর) অতিক্রম করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারপর মেয়েদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের বটতলায় এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি, ২০১৩ সালে কীভাবে তৎকালীন প্রজন্মের চোখে ধুলো দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক নাগরিককে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে খুন করেছে। আমরা তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—এটা ২০১৩ নয়; এটা ২০২৫। আবার যদি কেউ কোনো শাহবাগ কায়েম করতে চায়, তাহলে তোমাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান বলেন, ‘আমরা শাহবাগীদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোরা ছাত্রলীগ নিয়ে আয়, লাকিকে নিয়ে আয়, শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে আয়, কিন্তু ২০১৩ সালে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের তোরা যেভাবে খুন করেছিস, তার হিসাব আমরা পই পই করে নেব। আমরা দেখেছি সেই সব শাহবাগীরা কোন কোন পতাকাতলে লালিত পালিত হয়েছে। আমরা কাউকেই ভুলি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতদিন বেঁচে আছি, আর কোনো মব, আর কোন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং, আর কোনো শাহবাগ এই বাংলাদেশে কায়েম হতে দেব না। এই প্রজন্ম যতদিন জীবিত থাকবে, রক্তপিপাসু শাহবাগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলমান থাকবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে শাহবাগী লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন, অন্যথায় আমরা কঠর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
গনিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফায়াত মীর বলেন, ‘এই শাহবাগ ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে, এই শাহবাগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই শাহবাগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় নৃত্য করেছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০১৩ এর সেই পুরনো শকুন আবারো দেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। যেকোন মূল্যে এদের মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই শাহবাগীরা ২৪ এর পরে নিজেদের শুধরে নেবে। কিন্তু না, এরা আবারো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা ২৪ এর সৈনিকরা এখনো বেঁচে আছি। শাহবাগীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
সিএসই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি কীভাবে শাহবাগ বিচারিক হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা এও দেখেছি শাপলার গণহত্যাকে এই শাহবাগ কীভাবে বৈধতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় মদত দেওয়ার পরেও এই সন্ত্রাসী লাকি প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি, দেশের সকল স্তরের মানুষরা এই শাহবাগীদের বিচার চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই অনতিবিলম্বে লাকি আক্তারের গ্রেফতার নিশ্চিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে ২৪ এর চেতনাকে হরণ করা হবে। আপামর ছাত্রসমাজ তা কখনই মেনে নেবে না।
৩২ দিন আগে
যমুনা অভিমুখে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, হাতাহাতি
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যানারে স্মারকলিপি প্রদান ও গণপদযাত্রায় শাহবাগ পেরিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বিক্ষোভকারীরা।
অব্যাহত খুন-ধর্ষণ-নিপীড়ন ঠেকাতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবির পাশাপাশি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৮ বছরের শিশু আছিয়াসহ সব ধর্ষণের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
দুপুর আড়াইটার দিকে মিছিলটি শাহবাগ পেরিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগুতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয় এবং দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে আ.লীগ-ছাত্রলীগের হাতাহাতি, ছবি তোলায় ৩০ সাংবাদিককে অবরুদ্ধ
৩৩ দিন আগে
মাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ ডাকল ৪ বছরের শিশু!
ছোটবেলা বাবা-মা শিশুদের শেখান কেউ কোনো অপরাধ করলে পুলিশ ডেকে তাকে ধরিয়ে দিতে হয়। অপরাধীদের জেলে যেতে হয় তাদের কৃতকর্মের জন্য। কেমন হয়, এই শিক্ষা যদি বাবা-মায়ের উপরই সবার আগে প্রয়োগ করে শিশু!
গত সপ্তাহে এমনই একটি মজার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে। আইসক্রিম খেয়ে ফেলার অপরাধে মাকে জেলে পাঠাতে পুলিশ ডেকেছে চার বছরের ছেলে। মাকে শেষমেষ জেলে যেতে না হলেও নিজে ঠিকই আইসক্রিম খাওয়ার অধিকার অর্জন করে নিয়েছে শিশুটি।
ডব্লিউএসএলএস ১০ নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, ৯১১ (যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের জরুরি সেবা পাওয়ার ডায়াল নাম্বার) এ উইসকনসিনের মাউন্ট প্লেজেন্ট এলাকা থেকে একটি কল আসে। দায়িত্বরত এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা ফোনটি রিসিভ করলে শুনতে পায় একটি বাচ্চা বলছে, ‘আমার মা খুব খারাপ করেছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে বাচ্চাটিকে কি হয়েছে সে ব্যাপারে তাকে খুলে বলতে বলে।
আরও পড়ুন: বিটিএস সদস্যকে চুমু খেয়ে বিপাকে পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী
এদিকে মা তার আইসক্রিম খেয়ে তার সঙ্গে যে অন্যায় করেছে সেজন্য ন্যায়বিচার পেতে ছেলে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। সে পুলিশকে বলে তার মাকে এসে নিয়ে যেতে। পুলিশ অফিসার তখনও বুঝে উঠতে পারছিল না আসলে কি অন্যায় করেছে বাচ্চাটির মা।
তবে তাকে বেশিক্ষণ ধোঁয়াশার মধ্যে থাকতে হয়নি। ওই বাচ্চার মা কোনোরকমে বাচ্চার থেকে ফোন নিয়ে নিজেই অপরাধ স্বীকার করে নিলেন, যে তিনি তার ছেলের আইসক্রিম খেয়ে ফেলেছেন।
পরে তিনি পুলিশকে জানান, আসলে বাচ্চাটির বয়স মাত্র চার বছর। তার মা তার আইসক্রিম খেয়ে ফেলায় রাগ করে ৯১১ নম্বরে কল করার কথা বলে, তারা আটকানোর চেষ্টা করার আগেই সে কল দিয়ে ফেলেছে।
এদিকে ছেলে তো রেগে আগুন, তার আইসক্রিম খেয়ে ফেলেছে। কত বড় অন্যায় করেছে মা! তাই সে মাকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে তাদের কল করেছে। এই অন্যায় সে মেনে নিতে নারাজ, পুলিশকে আসতেই হবে।
এরপরে যদিও দুই নারী পুলিশ এসেছে, তবে তার মাকে জেলে নিতে নয়। অবশ্য পুলিশ এসে বোঝানোর পরে সে তার মন নিজেই পরিবর্তন করেছে। সে আর তাকে মাকে জেলে দিতে চায়নি। তবে তার অভিযোগ ঠিক জানিয়েছে পুলিশকে, সে একটুখানি আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল, তাকে খেতে দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে ওই দুই পুলিশ অফিসার আইসক্রিম নিয়ে আরেকবার তার বাসায় গিয়ে তাকে সারপ্রাইস দিয়েছেন। আইসক্রিম পেয়ে মহাখুশি হয়ে পুলিশের সঙ্গে পোজ দিয়ে সে ছবিও তুলেছে।
৩৩ দিন আগে
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
মাগুরায় ৯ বছর বয়সী একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলায় ঘটনাটি যে বাড়িতে ঘটেছে, ওই পরিবারের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) শহরের নিজনান্দুয়ালীর হিটু শেখ নামে এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এরপর আজ (শনিবার) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হিটু শেখ আটক
মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪) এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শিশুটির বড় বোনের শশুর মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের হিটু শেখ, দুলাভাই সজীব শেখ, তার বড় ভাই রাতুল শেখ ও রাতুলের মা জায়েদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী বলেন, ‘মাগুরা পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটিকে সিএমএইচে স্থানান্তর
নিজনান্দুয়ালীর মাঠপাড়ায় ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেন। সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তারপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আজ (শনিবার) বিকাল ৫টার দিকে তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৩৬ দিন আগে
সড়ক থেকে মোটরসাইকেল সরাতে বলায় পুলিশের নাকে ঘুষি, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
যশোরে সড়ক থেকে মোটরসাইকেল সরাতে বলায় ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী দাবি করা ওই পুলিশ সদস্যের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শাওন নামের ওই যুবক।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের জেলরোড সড়কের ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার শাওন যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, শরিফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রদল নেতা শাওন। রাস্তায় মোটরসাইকেল থাকায় রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে মোটরসাইকেল সরিয়ে নিতে বলেন। এ সময় শাওনের সঙ্গে শরিফুলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা ধস্তাধস্তিতে রূপ নিলে শরিফুলের পোশাকও ছিঁড়ে যায়। সে সময় শাওন তার মুখে ঘুষি মারেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের অন্য কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শাওনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন।
আরও পড়ুন: সুইসাইড নোট লিখে স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘শরিফুল শাওনকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তখন শাওন বলেন— চিনিস আমাকে, আমার মোটরসাইকেল ট্রাফিক সার্জেন্টও সরাতে পারে না, আর তুই! এ কথা বলেই তার নাকে ঘুষি মারেন শাওন।’
তিনি বলেন, ‘ঘুষিতে শরিফুলের নাক ফেটে রক্ত বের হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে করা মামলায় শাওনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
৪২ দিন আগে