পুলিশ
কোটা আন্দোলনকারী-পুলিশ-ছাত্রলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বগুড়া
কোটা সংস্কারের দাবিতে বগুড়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সাতমাথা এলাকা দখলে নেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজের নিকটবর্তী কামারগাড়ী রেল গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে দিয়ে কলেজের মূল ক্যাম্পাস অতিক্রম করে রেল গেইটের সামনে পৌঁছে সাতমাথা-তিনমাথা সড়ক অবরোধ করে। সেখানে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
এরপর বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ ক্যাম্পাসে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে যান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের দখল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এদিকে, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার প্রতিবাদে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী শহরের বনানী-সাতমাথা রোড কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে। মিছিলটি বনানীর দিকে যাওয়ার সময় শাহসুলতান কলেজ থেকে কোটার সমর্থকরা মিছিলে হামলা চালায়। এসময় তাদের লাঠির আঘাতে একজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিকের সামনে ফিরে এসে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এসময় দুই পক্ষই ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এরপর পলিটেকনেকের শিক্ষার্থীরা লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকের একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। এসময় বনানী-সাতমাথা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুপুরে মিছিল বের করলে তাদের মিছিলে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ককটেলের আঘাতে জিলা স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের শত শত সাবেক ও বর্তমান ছাত্র সাতমাথায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তিন থেকে চারটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
পুলিশের সামনেই একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলেও পুলিশ নীরব ছিল বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারের দাবিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
একপর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে সাত থেকে আট হাজার শিক্ষার্থী শহরের জিরো পয়েন্ট-সাতমাথা দখলে নেয়। এসময় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে ফের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা দমে যায়নি। বরং চারদিক থেকে ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে ফেলে। কিছু সময় উভয় পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় অবস্থিত মুজিব মঞ্চ দখল করে বিজয়োল্লাস করতে থাকেন। এসময় আওয়ামী লীগ অফিসের আশপাশে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে অবস্থিত পুলিশের অস্থায়ী বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘ সময় আগুন দাউ দাউ করে জ্বললেও নেভানোর জন্য সেসময় কেউ এগিয়ে যায়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শহরের জিরো পয়েন্ট অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতারের নেতৃত্বে বিকাল ৫টার পর ডিবির একটি টিম আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এসময় জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে সাতমাথা দখলে নেয়। প্রতিবাদে ছাত্ররাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, সন্ধ্যার পর শহরের গালাপটি্টস্থ শহর বিএনপি অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একইসঙ্গে জেলা শ্রমিকদলের অফিসেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি এ ঘটনার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধা সোয়া ৬টার দিকে বলেন, ‘বগুড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় আহত যুবকের মৃত্যু
‘বাংলা ব্লকেডে’ শিক্ষার্থীদের ওপর 'পুলিশের বর্বরতার' বিচারের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার ‘বাংলা ব্লকেড’ চলাকালে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাদের ওপর 'পুলিশি বর্বরতার' প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে ছুটির দিনেও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই সমাবেশে যোগ দেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে এবং তারপরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হয়। বিক্ষোভের কারণে সদরঘাট এলাকায় ব্যাপক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা 'কোটা নাকি মেধা, মেধা, মেধা', 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন বর্বরতা? আমরা জবাব চাই!’ এবং ‘বাংলায় খবর ছড়িয়ে দাও, কোটা পদ্ধতিকে কবর দাও!’বলে স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া ইসলাম বলেন, 'দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাব। যতক্ষণ না সরকার সব ধরনের অন্যায্য কোটা বাতিল করে সংসদে আইন প্রণয়ন না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না, যতক্ষণ না সংবিধানে উল্লেখিত কোটা শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবহৃত হবে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি: শুক্রবার দেশব্যাপী সমাবেশ
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, 'আমরা সরকারি চাকরিতে সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। তবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সহপাঠীদের ওপর সহিংসতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এই হামলার জন্য দায়ীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও শুক্রবার বিকালে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং শাহবাগ মোড় অবরোধ করে।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আবু বক্কর মজুমদার জানান, শনিবার আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ
লন্ডনে নিজ বাড়িতে ৩ নারীকে হত্যা, ক্রসবো সজ্জিত ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ
লন্ডনের কাছে একটি বাড়িতে তিন নারী নিহত হওয়ার পর ক্রসবো-সশস্ত্র এক ব্যক্তিকে খুঁজছে ব্রিটিশ পুলিশ।
মঙ্গলবার(৯ জুলাই) সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বুশে এলাকার একটি বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
হার্টফোর্ডশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, তিন খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৬ বছর বয়সী কাইল ক্লিফোর্ডকে খুঁজছেন তারা।
হারফোর্ডশায়ার পুলিশের চিফ সুপারিনটেনডেন্ট জন সিম্পসন বলেন, ক্লিফোর্ড ওই নারীদের হত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিম্পসন বলেন, ‘একটি ভয়াবহ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান দলও দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। এই হত্যাকাণ্ডে ক্রসবো এবং অন্যান্য অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২, আহত ৩
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার(৯ জুলাই) সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বুশে এলাকার একটি বাড়িতে ২৫, ২৮ ও ৬১ বছর বয়সী তিন নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ঘটনাস্থলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
লন্ডনের বাসিন্দা ক্লিফোর্ড ওই নারীদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।
ক্লিফোর্ড এখনও সশস্ত্র থাকতে পারে এবং জনগণকে তার কাছে না যেতে সতর্ক করা হয়েছে।
সিম্পসন বলছিলেন, 'কাইল, আপনি যদি এসব দেখে বা শুনে থাকেন, তাহলে দয়া করে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে বাসভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
শেরপুরে সড়কের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
শেরপুর শহরে সড়কের পাশ থেকে মোস্তাইন বিল্লাহ নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে জামালপুর-শেরপুর সড়কের গৌরিপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোস্তাইন বিল্লাহ (৪০) ঝিনাইগাতী উপজেলার কালীবাড়ী বানিয়া পাড়া গ্রামের মৃত শামছুলহকের ছেলে। তিনি রিকশাযোগে কালিবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে কাপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটা থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, মোস্তাইন বিল্লাহ সোমবার রাত ৯টার দিকে শেরপুর শহরের তাতালপুর মহল্লার বাসিন্দা মুরগী ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে শহরে আসেন। এরপর রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে যাননি। পরদিন সকালে খোয়ারপাড় এলাকা-সংলগ্ন গৌরিপুরের শেরপুর-জামালপুর সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে তার রিকশাভ্যানটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের ডান চোখের পাশে সামান্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১০ দিন পর পাটখেতে তরুণীর লাশ উদ্ধার
ইট ভাটার পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
নাটোরের সিংড়ায় রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেলিম রেজা নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতাকে মারধরের মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলর
সেলিম রেজা সিংড়া থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। রিকশাচালক হারুন আলীর বাড়ি সিংড়া পৌর এলাকার বাইশা মহল্লায়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নাটোরের সিংড়ায় দেশ ফার্নিচারের সামনে একটি অটোরিকশাকে দাঁড় করান পুলিশ সদস্যরা। পরে দুজন পুলিশ সদস্য রিকশায় চেপে বসেন। কিন্তু ত্রুটির কারণে রিকশাচালক যেতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ পুলিশ সদস্য রিকশাচালককে দফায় দফায় মারধর করতে থাকেন। প্রায় ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর চালক অস্থায়ীভাবে ত্রুটি মেরামত করে রিকশাটি চালিয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানায়, সেলিম রেজা সহকর্মীকে নিয়ে রিকশা থামিয়ে সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিতে বলেন। হারুন আলী নামে ওই রিকশাচালক ত্রুটির কথা বললে এএসআই তাকে মারধর শুরু করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধ করে কারো ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জে স্বামী ও স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ পুলিশ বরখাস্ত
যে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গত বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার(১৫ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামানো যাবে না: আইজিপি
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের চাঁদা আদায়ের খবর প্রচারের পরপরই ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)।
বরখাস্তরা হলেন- এসআই (নিরস্ত্র) শেখ নজরুল ইসলাম, এসআই (অস্ত্র) আসাদুজ্জামান এবং তিন কনস্টেবল নাজির শেখ, যুগল মণ্ডল ও তানভীর হোসেন আকাশ।
ঘটনা তদন্তে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (অপরাধ) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোরবানির পশুর হাটে কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। যেই দোষী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
যশোরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
যশোরের অভয়নগরে পুলিশের হেফাজতে আফরোজা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অভয়নগর থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।
আফরোজা বেগম যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া মহাশ্মশান নর্থ বেঙ্গল রোডের জলিল মোল্লার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
স্বজনদের দাবি মিথ্যা অভিযোগে আটকের পর আফরোজাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মাদকসহ আটক নারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আফরোজা বেগমের ছেলে মুন্না মোল্লা ও স্বামী জানান, অভয়নগর থানার এএসআই সিলন আলি, এএসআই শামসুল হক শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আফরোজাকে থানায় নিয়ে যায়।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তাদের ঘরে থাকা ইজিবাইক বিক্রির ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এবং আরও ২ লাখ টাকা ঘুষের দাবিতে নির্যাতন করে আফরোজাকে হত্যা করেছে। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া তার মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।
অভয়নগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ফোনে বলেন, পুলিশ তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিল ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে পাঠানো হয়েছিল।
আফরোজা বেগমকে পুলিশ ৩০ পিচ ইয়াবাসহ আটক করেন। পরে তার বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮ সালের ৩৬(১) ১০ (ক) ধারায় একটি মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: নৌকার ইঞ্জিনে বোরকা আটকে নারীর মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বাগেরহাটে গাছচাপায় নারীর মৃত্যু
প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশের এসআই বরখাস্ত, রিমান্ড মঞ্জুর
চট্টগ্রামে প্রবাসীর ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার খুলশী থানার উপপরিদর্শক আমিনুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে অভিযুক্ত ও তার সহযোগী (সোর্স) শহীদুলকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১ কেজি স্বর্ণ জব্দ
জানা যায়, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যাচ্ছিলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সৌদিপ্রবাসী আব্দুল মালেক। পথে এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সোর্স শহীদুল তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেন। এসময় তার কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাওয়া দিয়ে দুজনকে আটক করে রাখে। পরে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ এসআই আমিনুল ইসলাম ও সোর্স মো. জাহিদকে হেফাজতে নেয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন বলেন, প্রবাসী আবদুল খালেকের কাছ থেকে ১৬ ভরি র্স্বণ ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম জাহেদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই, এসআইসহ আটক ২
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ময়লার ঝুড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে পুলিশে দিল স্থানীয়রা
চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার ডুমুরিয়া রুদুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্যকে জুতাপেটা ও জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী।
সোমবার (২০ মে) সকালে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের পাঠনিকোটা গ্রামের অদির ভট্টাচার্যের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শিশু ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় এর আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক। কিন্তু অভিযোগের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সোমবার সকালে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ও এলাকাবাসী এ ঘটনায় বিচার দাবি করে স্কুলটি ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করে জুতার মালা পড়িয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিভিন্ন সময় ধূমপান করে ক্লাসে প্রবেশ করে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গা হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত ১৫ মে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকরা জানান, সহকারী শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আমার মেয়েকে যৌন হয়রানি করেন। এতে সে স্কুলে যেতে ভয় ও অনীহা প্রকাশ করে। পরে যৌন হয়রানির বিষয়ে আমি শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়ে গত ১৫ মে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। পরে বিষয়টি তদন্ত করতে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ট্রেনিংয়ে থাকায় তদন্ত করতে দেরি হচ্ছে। সোমবার থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, সোমবার সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানালে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
চবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অধ্যাপক ড. মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে: আইজিপি
এ সরকারের সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্স গেটে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা মৃত্যুঞ্জয়ী ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি গঠন
তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট পুলিশের রয়েছে বলে জানান আইজিপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, মিজান শাফিউর রহমান, মো. জাকির হোসেন খান, পুলিশ কমিশনার সৈয়দ হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম: আইজিপি
মানবাধিকার সমুন্নত রেখে নিরপেক্ষভাবে জনগণের সেবা করতে আইজিপির আহ্বান