এ বিষয়ে নির্যাতিত সুজন হোসেন জানান, সকালে তাদের গ্রামের ক্লাবে তালিকা করার কথা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং এতে নিজের নাম তুলতে চাইলে শাপলা যুবসংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনের সাথে তার ঝগড়া হয়। এ সময় আরিফ তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং কিছুক্ষণ ক্লাবে আটকেও রাখেন।
সুজব বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। ট্রাকে হেলপারি করি। তা দিয়েই সংসার চলে। করোনার কারণে গাড়ি বন্ধ আছে। ১২-১৩ দিন আগে ত্রাণের চার কেজি চাল পেয়েছি। তা শেষ হয়ে গেছে। তারপর থেকে ছেলে-মেয়েদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারছি না।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আরিফ হোসেন বলেন, ‘উল্টাপাল্টা কথা বলায় তাকে মেরেছি। এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। এতে আপনাদের (সাংবাদিক) কী হয়েছে?’
ঘটনা সম্পর্কে হাকিমপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহিম বলেন, ‘সুজন এসে আরিফকে বলে- আমি কেন কার্ড পাব না? তোমরা তো টাকা নিয়ে কার্ড দিচ্ছ। তখন আরিফ রাগান্বিত হয়ে সুজনকে চড় মারতে যায়। কিন্তু চড়টি তার শরীরে লাগেনি। আমি এটিই জানি।’