তিনি বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়) কাজ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান। এ স্থানকে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক নিদর্শন ধরে রেখে দৃষ্টিনন্দন করতে হবে। কাজের যথাযথ মান নিশ্চিত করতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম, প্রকল্প পরিচালক সানোয়ার হোসেনসহ স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের স্থান ও ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণ এবং ইন্দিরা মঞ্চের ভাস্কর্য, আন্ডার পাস, পার্কিং ও প্রশস্ত জলাধার নির্মাণসহ পুরো চত্বর দৃষ্টিনন্দন করা হবে। ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত রয়েছে।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই পর্যায়ে প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভ, ভূগর্ভস্থ জাদুঘর, জলাধার, উন্মুক্ত মঞ্চ, সীমানা প্রাচীর ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়।