মুক্তিযুদ্ধ
মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা
মুজিবনগর সরকার সরাসরি রণাঙ্গনে না গেলেও তারা যে পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে, সেটি ঐতিহাসিক সত্য—এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, ‘যদি নেতৃত্বদানকারীদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে না ধরা হয়, তাহলে সেক্টর কমান্ডারদেরও প্রশ্নবিদ্ধ করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের রেশন, অস্ত্র, কৌশল—সবই মুজিবনগর সরকারের অধীনেই হয়েছে। এই ইতিহাস কেউ বদলাতে পারবে না।’
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয় এবং এটি জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে মঙ্গলবার রাতে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ সূত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুসহ মুজিবনগর সরকারের অন্যদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিলের বিষয়ে যা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়।
তিনি বলেন,‘অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে। এটাকে ইতিহাস ভিত্তিক করা হয়েছে। যারা সশস্ত্রভাবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন এবং এই যুদ্ধ যারা পরিচালনা করেছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা হবেন। মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার জন্য যারা দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে সহযোগিতা করেছেন, কাজ করেছেন, যারা সশস্ত্র ছিলেন না- তারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন।'
‘শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের যে কথাটি বলা হচ্ছে, সেটি সঠিক নয়। সঠিক নয় এই অর্থে যে এখানে (অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায়) সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার যেটা মুজিবনগর সরকার এবং এ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হবেন। এর অর্থ মুজিবনগর সরকার নিজে এবং তার দ্বারা স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনীর যারা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হবেন।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘তাহলে মুজিবনগর সরকারের মধ্যে কে ছিলেন? শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান ও খন্দকার মুস্তাক সাহেব ছিলেন ছিলেন। এরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।'
ফারুক ই আজম বলেন, ‘এই যুদ্ধটা এ সরকার (মুজিবনগর সরকার) পরিচালনা করেছে, এই সরকারের লেজিটিম্যাসির (বৈধতা) বাইরে কাউকে স্বীকৃতিই দেওয়া হয়নি। এই সরকারটাই ছিল তখন স্বীকৃত সরকার।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আবার অর্থটা এমন দাঁড়ায় কিনা, এই সরকার হয়তো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করল, কিন্তু তারা তো সরাসরি রণাঙ্গনে অংশ নেয়নি—এই বক্তব্য সত্য নয়। কারণ রণাঙ্গন তো তারাই পরিচালনা করেছেন। তাহলে তো একই কথা আপনি সেক্টর কমান্ডারদের ক্ষেত্রেও বলতে পারেন। তাহলে কি তারা যুদ্ধ করেনি? যুদ্ধ কারা করবে, কিভাবে করবে—এই ডিজাইন তো মুজিবনগর সরকার করেছে। রেশন, অস্ত্র—সবই সেই সরকারের ব্যবস্থাপনায় এসেছে। এই সরকার পুরো যুদ্ধ পরিচালনা করেছে, এটা তো ঐতিহাসিক সত্য। এই ইতিহাস কিভাবে পরিবর্তন করা যায়?’
তিনি জানান, শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের সংবাদটি মিসলিডিং হয়েছে, এটি সত্য হয়নি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর ঠিক নয়: উপদেষ্টা
মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর সংজ্ঞায়ও মুজিবনগর সরকারের বিষয়টি এসেছে- এ বিষয়ে ফারুক ই আজম বলেন, ‘ওটা মুজিবনগরের কর্মচারীরা। মুজিবনগর সরকারের অধীনে যে সব বেতনধারী কর্মচারীরা ছিলেন, তাদের বলা হয়েছে সহযোগী, সরকারকে বলা হয়নি। পিএমএ (মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি) ও এমএনএ-দের (মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) মধ্যে যারা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা। সর্বাঙ্গীণভাবে এটাকে মর্যাদাবান করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হয়েছেন, তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এটা মোটেও নয়। কারণ এই অবদানও অসাধারণ। সেভাবেই তাদের সম্মানিত করা হচ্ছে- কে কোন ভূমিকায় ওই সময় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মর্যাদায় পরিবর্তন এলেও ভাতাসহ রাষ্ট্রের দেওয়া সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য নেই, সবাই সমান বলেও জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলোর সঙ্গে সিরিজ মিটিং করেছি। এটা তাদের সবারই দাবি, এটা আমরা নতুন করে প্রবর্তন করিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের এই সংজ্ঞা ১৯৭২ সালে ছিল, ২০১৮ তে এসে এই সংজ্ঞাটা পরিবর্তন করা হয়। ২০২২-এ এসেও পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৭২ সালে যে সংজ্ঞাটা ছিল আমরা সেটাতে ফিরিয়ে নিয়েছি।
১৮৩ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত: ড. ইউনূসকে মোদি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাঠানো বার্তায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক বার্তায় মোদি বলেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের (দুদেশের) যে আকাঙ্ক্ষা, তার দ্বারা পরিচালিত হয়ে এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ড. ইউনূস ও এদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই দিনটি আমাদের অভিন্ন ইতিহাস ও ত্যাগের সাক্ষ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুদেশের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক হিসেবে অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি বিকশিত হয়েছে এবং দুদেশের জনগণের জন্য সত্যিকারের কল্যাণ বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে পাঠানো বার্তায় বলেন, ‘ভারতের সরকার, জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আপনাকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে বহুমুখী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য, বহুমুখী যোগাযোগ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের ‘প্রতিবেশী আগে’ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া রয়েছে আমাদের সাগর মতবাদ ও ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন।
গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
২৫৩ দিন আগে
জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টা ১১ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে এ সময় বেজে ওঠে করুণ সুর।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধানরা, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এরপর সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে দেশের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২৫৪ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধ-জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় এগোতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী যে বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম, সে বাংলাদেশে পতিত স্বৈরাচারের শাসনামলে মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার ছিল না।’
আরও পড়ুন: পুলিশের কল্যাণে প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বীরত্বে জাতি স্বৈরাচারের অত্যাচার নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।
২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (২৪ মার্চ) এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকাসহ সারা দেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি সেই কালরাতের সকল শহীদকে। নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞে জাতি আজও শোকাহত।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একাত্তরের মার্চের দিনগুলোতে বাংলাদেশ যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেদিন মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত-নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায়।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগসহ সারা দেশে শহীদ হন ছাত্র-শিক্ষক, পুলিশ ও সেনা সদস্যসহ হাজারো নিরপরাধ মানুষ। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
২৫ মার্চের কালরাতে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।
২৫৫ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধ আমরাই শুরু করেছি, শেষও করেছি আমরা: সাখাওয়াত
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ছিল, সেটা আমরা স্মরণ করি। তবে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ আমরাই শুরু করেছি, শেষও করেছি আমরা। এটা আমাদের যুদ্ধ। সারা বিশ্ব জানে এই ঘটনা।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি সিলেটের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোস্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে পোস্ট করেছেন, সেটি তার ব্যক্তিগত। ১৬ ডিসেম্বর এবং ৯ মাসের যুদ্ধ, এটি বাংলাদেশের। ৯ মাস আমাদের দেশ বড় রক্তপাতের মাধ্যমে কাটিয়েছে। আমাদের মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, নারীরা সম্ভ্রম হারিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পরে এসে এ ধরনের কথায় যারা যুদ্ধ করেছেন, তারাও আহত হবেন।’
আরও পড়ুন: ভারত ভিসা না দেওয়ায় ভারতের ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন: সাখাওয়াত হোসেন
এর আগে, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের মেরিন একাডেমিগুলোকে আরও বৃহৎ পরিসরে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমাদের নাবিকদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মেরিনে দেশের নারীদেরও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বিদেশ থেকে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী প্রশিক্ষক দেশে আনা হয়েছে। এতে মেরিন একাডেমিগুলো আরও সমৃদ্ধ হবে। নারীরাও চ্যালেঞ্জিং এই পেশায় যুক্ত হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে মেরিন একাডেমিগুলোকে নৌবাহিনীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে, যাতে মেরিন একাডেমিতে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা নৌবাহিনীতে যোগ দিতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি সিলেটের কমান্ড্যান্ট মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এ সময় ৪১ জন ক্যাডেটকে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
আরও পড়ুন: পাট, বস্ত্র ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের
৩৫২ দিন আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বুধবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ সকাল ৮টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী প্রধান ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনও সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।
৩৭৯ দিন আগে
‘মুক্তিযুদ্ধের বুনিয়াদ ঠিক রেখে কাজ করতে হবে’
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে বুনিয়াদ, সেটি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১ তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে যোগদান করা কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নারীর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: ডিক্যাব আয়জনে রুমানা আলী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, সেটার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এ স্বাধীন দেশে ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লাখ নির্যাতিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের উপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে, সেই সংজ্ঞার উপর আমাদের অটল থাকতে হবে। এই মূল জায়গায় অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রশ্নে, বাংলাদেশের জন্মের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না। এটিকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র, দেশ সবার আগে। রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব। তবে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের যেকোনো পর্যায়ে স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ন্যায্যতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। একইসঙ্গে দেশের স্বার্থে আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। নতুন করে যোগ দেওয়া্ কর্মকর্তাদের এ বিষয়গুলো অনুশীলনের মাধ্যম শিখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছে তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের মালিকপক্ষ অর্থাৎ জনগণের সেবক হয়ে গেছে। সে চিন্তা ধারা নিয়ে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে।
এই সুন্দর সমন্বয় করাটা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই জরুরি।
পরিচিতি অনুষ্ঠান শেষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত ৪০ জন কর্মকর্তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে: রুমানা আলী
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে: লিটন বাদ, ডাক পেলেন জাকের আলী
৫৮৩ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের আনুগত্য নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'মির্জা আসলাম বেগ (যিনি সে সময় বাংলাদেশে সেনা কর্মকর্তা ছিলেন) মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে একটি চিঠি লিখেছিলেন।’
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, জিয়া বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন নাকি পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ করেছেন, এই প্রশ্ন উঠেছিল।
চিঠির বরাতে তিনি দাবি করেন, মির্জা আসলাম বেগ আরও বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও সন্তানরা ঢাকা সেনানিবাসে ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রশ্ন হচ্ছে, ওই ব্যক্তি যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন পাকিস্তানিরা সেনানিবাসে ওই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানদের দেখভাল করল এবং চাকরিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে চিঠি লিখল।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধ হলেও জিয়ার নেতৃত্বাধীন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে সেখানে।’
তিনি আরও বলেন, যে কোন অভিযানের সময় জিয়াউর রহমান নিজেকে নিরাপদ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিতেন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটত।
তিনি বলেন, 'তিনি (জিয়াউর রহমান) সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো যুদ্ধে সফল অভিযানের অর্থ হলো কম হতাহতের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো।
জিয়া তা করতে পারেননি, তাই আসলাম বেগ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জেনারেল বেগ ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৃতীয় সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক নিহত হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।
২৫ মার্চ রাতে (২৬ মার্চের প্রথম দিকে) স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা তারবিহীনভাবে প্রচার করা হয়েছিল, কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বিকৃত ইতিহাসে বলা হয়, একজন মেজর ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। এভাবে একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে না। এটা যদি করা যেত তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।’
তিনি বলেন, এখন বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র খুঁজছেন এবং বিএনপির একজন নেতা দাবি করেছেন যে ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। যদি সত্যি হয় তাহলে কে লড়াই করল আর কে জয় এনে দিল।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকার গঠনের পর তারা মেহেরপুরে শপথ নেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বেতনভোগী ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউর রহমান ওই সরকারের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের (বিএনপি নেতাদের) ভুলে গেলে চলবে না। তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা সেটাও ভুলে যায়।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপির এক নেতার শাল পোড়ানোর কাজকে উপহাস করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বিএনপি নেতাদের স্ত্রীদের কাছে থাকা ভারতীয় শাড়ি তল্লাশি করে পুড়িয়ে ফেলতে এবং রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার জন্য জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে জিততে পারেনি, তারা এখন গণতন্ত্র খুঁজছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও শাজাহান খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি এসএম মান্নান কচি।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
৬১৭ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির এক সভায় এ অভিযোগে করেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিতর্কিত করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রতিদিন গল্প-কবিতার মতো লেখা হচ্ছে।
হাফিজ বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার বা ১ লাখ, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ কীভাবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে।
মেজর হাফিজ বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর স্বাধীনতার সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়। স্বাধীনতা আনতে দেশের মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছে। আওয়ামী লীগ এ নিয়ে কথা বলে না। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের (আওয়ামী লীগের) কোনো অবদান নেই বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রতিটি প্রান্তের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে প্রভাবিত করেছিল। জিয়ার ঘোষণার পর বিশ্ব সম্প্রদায় জানতে পারে। কিন্তু শাসক মহল জিয়ার ঘোষণা নিয়ে রসিকতা করে বলেছিল যে ‘গার্ড বেল বাজাল’।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, মেজর জিয়া ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং সেক্টর কমান্ডার যিনি যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর অন্যান্য সেক্টর কমান্ডাররা ভারতে ছিলেন।
কিন্তু তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী করার জন্য আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে চিত্রিত করেছে।
মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, লাখ লাখ ছাত্র, যুবক ও সৈনিকদের অবদানকে উপেক্ষা করে সব কৃতিত্ব দাবি করে স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল যাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কোনো অবদান ছিল না, তারা স্বাধীনতা ও সব অর্জনকে ছিনতাই করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভেঙে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মেজর হাফিজ
৬৩০ দিন আগে
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শেখ হাসিনা সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী থেকে আগত একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, ৩ বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ সেসময় উপস্থিত ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতি ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৭১৯ দিন আগে