সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ওলামা-মাশায়েখদের ৯ দফা দাবি ঘোষণা
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আলেমদের বিরুদ্ধে সব ধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা-মাশায়েখদের ইসলামিক সম্মেলন শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বর) সম্মেলনে বাংলাদেশে কওমি মাদরাসা, তাবলিগ জামাত ও ইসলামকে রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্ট আলেম ও নেতারা।
লাখো মানুষের উপস্থিতির এই সম্মেলন থেকে আলেমরা সরকারের কাছে তাদের নয় দফা দাবি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে গ্লোবাল সাউথ মিডিয়া সামিটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এনায়েতউল্লাহ খান
বক্তারা সম্প্রতি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সাদ কান্ধলভির সমর্থকদের বিচার এবং স্বঘোষিত আমির সাদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনে যোগ দিতে আলেমসহ হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকেন এবং ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ উপস্থিত হয়। সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত চলে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন হাটহাজারীর খলিল আহমদ কাসেমী, মধুপুরের আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শেখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান, ফরিদাবাদের আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী,মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানী, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করিম, ও মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।
সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শত শত আলেমও সম্মেলনে যোগ দিলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, যা সকাল থেকে শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র সার্টিফিকেশন সফটওয়্যার উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা
১ মাস আগে
সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে শাহবাগ থানা
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে বর্তমান অবস্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে শাহবাগ থানা।
সোমবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে শাহবাগ থানা ভবন স্থানান্তর করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহবাগ থানা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত দিকে অর্থাৎ সাকুরার পিছনে সরিয়ে নেওয়া হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় থানা স্থানান্তরের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: জুনে এলপিজির দাম কমেছে কেজিতে ২.৫৩ টাকা
৬ মাস আগে
বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বা বইমেলা দরজায় কড়া নাড়ছে। সাহিত্য উৎসবে রূপ নেওয়া মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি ইতোমধ্যে প্রকাশকদের জন্য স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ ঘুরে ইউএনবি দেখতে পায়, ২৩ জানুয়ারি বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে প্রকাশকরা তাদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন প্রস্তুতের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকাশকদের পছন্দসই নকশা অনুযায়ী শ্রমিক ও কাঠমিস্ত্রিদের নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়ন বেশ সাদামাটাভাবে তৈরি কড়া হচ্ছে, অন্যদিকে কিছু বেশ জাঁকজমকভাবে।
মেলা প্রাঙ্গণে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে প্রকাশকরা নগরীতে মেট্রোরেল চালু হওয়ায় অতীতের তুলনায় আরও বেশি উপস্থিতি প্রত্যাশা করছেন। তারা মেলা প্রাঙ্গণের কাছে অবস্থিত দুটি মেট্রো স্টেশনের (শাহবাগ ও টিএসসি) কথা উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে সহজেই সাধারণ মানুষ মেলায় আসতে পারবেন।
উচ্ছ্বাস প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদ মুনীরের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন- এবারের মেলায় আগের চেয়ে অনেক বেশি উপস্থিতি দেখা যাবে। পাঠক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অনেকে আসবেন, কারণ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো। তাই পাঠকরা আগের চেয়ে খুব সহজে ও কম সময়ে মেলায় আসতে পারবেন।
১০ মাস আগে
ছাত্রলীগের মহাসমাবেশ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজারো মানুষের সমাগম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) তাদের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।
এদিন দুপুরে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি প্রতিনিধি জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর ঢল নামে সমাবেশস্থলে।
অনেকেই সারাদেশ থেকে ট্রেন ও বাসে করে রাজধানীতে এসেছেন। জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
দলের সদস্যরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা সরকার-বার বার দরকার প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়ক ও রাস্তায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতারা উদ্যান মাঠে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করেন এবং আড়াই শতাধিক লাউডস্পিকার স্থাপন করেন।
জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আকস্মিক বৃষ্টি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দেওয়া থেকে থামাতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনা দেবেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালিউর রহমান এনান ইউএনবিকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে বড় সমাবেশ এবং সমাবেশ সফল করতে তারা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশপাশে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শাহবাগ, পল্টন, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, পরীবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগত নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণে মহাসমাবেশ করছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশে ৫ লাখ সমাগমের ঘোষণা ছাত্রলীগের
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
১ বছর আগে
শুক্রবারের সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
এর আগে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় দলটি। আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলটির কয়েকজন নেতা এই চিঠি জমা দেন।
চিঠি জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাজ্জাক বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় আমরা ১ আগস্ট আমাদের নির্ধারিত সমাবেশ করতে পারিনি। তাই আমরা শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেই।’
আরও পড়ুন: ৪ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ২২ জুলাই সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
১ বছর আগে
হামলার প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু
রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীদের উপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন:ঢাকায় বিএনপির ৫৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এ জনসমাবেশের আয়োজন করেছে।
চারটি ট্রাকের সমন্বয়ে একটি অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়েছে। সমাবেশস্থলের চারপাশে প্রায় ৫০টি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম জানান, সমাবেশের জন্য স্বল্প সময়ের নোটিশে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী জনসমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: ২.০৩ কোটি জামানত দেখিয়ে ইসিতে বিএনপির অডিট রিপোর্ট জমা
দুপুর ১টা থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে ভিড় করতে থাকেন।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের চারপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সব মহানগর ও জেলা শহরে জনসমাবেশ করার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
এদিকে, শনিবার ঢাকার প্রধান প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি সংঘর্ষ ও সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়েছে, এতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় মাতুয়াইল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ডিবি অফিসে খাবার খাওয়ার ব্যাখা দিলেন গয়েশ্বর
১ বছর আগে
নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
বিএনপি গোলাপবাগ মাঠে তাদের পরিকল্পিত জনসভা করবে কি করবে না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৬ জুরাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘জনসভাস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বিকাল ৪টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেন, কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আজ রাত সাড়ে ৮টায় দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান তিনি।
তাদের সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টনের পরিবর্তে নতুন ভেন্যু বেছে নিতে ডিএমপির পরামর্শে বৈঠকে বসে দলটি।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ এখনো বিএনপিকে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় গোলাপবাগ মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
নয়াপল্টন এলাকায় দাঙ্গা-গাড়ি ও জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকাল ৫টার দিকে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলেও পরে দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার আগ্রহ জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দেয় বিএনপি।
এর আগে ডিএমপি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি না করে তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কারণ ভবিষ্যতে তারা জনদুর্ভোগের কারণ হলে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে। তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে।
তাজিয়া মিছিলে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
এর আহে শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে তাদের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় রাজধানীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে: ডিএমপি কমিশনার
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
১ বছর আগে
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্যালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্যালককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত শাকিল (১৮) কামরাঙ্গীরচরের আশ্রাফাবাদ এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি পার্কে জুস বিক্রি করতেন।
নিহত শাকিলের বড় ভাই শাহীন বলেন, ‘সকালে শুনেছি আমার ভাই শাকিল ও দুলাভাই বাবুর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ঝগড়ার এক পর্যায়ে বাবু শাকিলের পিঠে লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
১ বছর আগে
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অপশক্তি যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, জাতি এগিয়ে যাবে, আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট কারচুপির মাধ্যমে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। ‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ কখনোই কোনো ভোট কারচুপিকে মেনে নেয়নি। এদেশের মানুষ সেটা (নির্বাচন) মেনে নেয়নি। সে সময় গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলন হয়। ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।’
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ক্ষমতায়ন করেছে এবং তারা সরাসরি বাজেট থেকে তাদের অর্থ পেয়েছে; যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার বিভিন্ন উদ্যোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যদি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার মতো নির্বাচন করার অসৎ উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে তারা আজিজের মতো নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারত (এমএ আজিজ কমিশন)।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা তা করিনি। জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা সেই বিশ্বাস এবং আস্থার ওপর ভিত্তি করে কাজ করি।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে, যা একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারও।তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য আইন প্রণয়ন করেছি। আমরা পুরো প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করেছি।’
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে ভোটে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতিতে এসেছেন দেশের সেবা করতে, জনগণকে কিছু দিতে, কিছু নিতে নয়।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তিনি বেঁচে থাকতে দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হতে দেবেন না বা দেশের স্বার্থের সামান্য অংশও কারও হাতে তুলে দেবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল আক্রমণ ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে এবং কেউ দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস এবং একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
জাতির পিতার ভাষণের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সংগ্রাম সেদিনই শেষ হবে যেদিন সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তার দল ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, ই-ডিভাইস ব্যবহারের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে ই-ইকোনমি, ই-এডুকেশন এবং ই-হেলথ কেয়ারের মতো অনলাইন সেবা ব্যবস্থা চালু করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই উদ্দেশ্যে আইটি ভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দেশে আইটি পার্ক এবং আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
ই-ডিভাইস ব্যবহারের উপযোগী নতুন প্রজন্মের বিকাশের পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তারা খুব দ্রুত নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।
তিনি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহারে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি তার সাম্প্রতিক সিগনেচার শব্দ ‘খেলা হবে’ উল্লেখ করেন।
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগ্নিসংযোগ, ভোট কারচুপি, দুর্নীতি ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে শিগগিরই খেলা শুরু হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে টিকে থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সমস্যা সমাধানকারী এবং তার বিকল্প নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে জনপ্রিয়, সাহসী ও দক্ষ প্রশাসক ও কূটনীতিক।
আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: বিজিবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
২২তম জাতীয় কাউন্সিল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ.লীগের নেতাকর্মীদের ভিড়
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে শনিবার সকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
এবারের কাউন্সিলের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন যাত্রা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিল সাধারণত দুই দিনের হলেও এবার অনুষ্ঠিত হবে একদিন।
এই বছরের জাতীয় কাউন্সিলে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম অধিবেশন শুরু হবে। দুপুরে খাবার ও নামাজের বিরতি থাকবে।
দলীয় সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে ১২ তম জাতীয় নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ তার কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
যারা নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন তারা দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। মঞ্চটি ৮০ ফুট লম্বা ও ৪৪ ফুট চওড়া।
এর আগে সকাল ৭ টায় সম্মেলনে প্রবেশের গেট খুলে দেয়া হয়। এবারের সম্মেলনে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেইট রয়েছে। তার মধ্যে একটি ভিআইপি ও চারটি গেইট রয়েছে প্রতিনিধি ও কাউন্সিলরদের প্রবেশের জন্য।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে সাদ্দাম-ইনান
আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
১ বছর আগে