সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বা বইমেলা দরজায় কড়া নাড়ছে। সাহিত্য উৎসবে রূপ নেওয়া মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি ইতোমধ্যে প্রকাশকদের জন্য স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ ঘুরে ইউএনবি দেখতে পায়, ২৩ জানুয়ারি বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে প্রকাশকরা তাদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন প্রস্তুতের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকাশকদের পছন্দসই নকশা অনুযায়ী শ্রমিক ও কাঠমিস্ত্রিদের নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়ন বেশ সাদামাটাভাবে তৈরি কড়া হচ্ছে, অন্যদিকে কিছু বেশ জাঁকজমকভাবে।
মেলা প্রাঙ্গণে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে প্রকাশকরা নগরীতে মেট্রোরেল চালু হওয়ায় অতীতের তুলনায় আরও বেশি উপস্থিতি প্রত্যাশা করছেন। তারা মেলা প্রাঙ্গণের কাছে অবস্থিত দুটি মেট্রো স্টেশনের (শাহবাগ ও টিএসসি) কথা উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে সহজেই সাধারণ মানুষ মেলায় আসতে পারবেন।
উচ্ছ্বাস প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদ মুনীরের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন- এবারের মেলায় আগের চেয়ে অনেক বেশি উপস্থিতি দেখা যাবে। পাঠক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অনেকে আসবেন, কারণ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো। তাই পাঠকরা আগের চেয়ে খুব সহজে ও কম সময়ে মেলায় আসতে পারবেন।
ছাত্রলীগের মহাসমাবেশ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজারো মানুষের সমাগম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) তাদের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।
এদিন দুপুরে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি প্রতিনিধি জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর ঢল নামে সমাবেশস্থলে।
অনেকেই সারাদেশ থেকে ট্রেন ও বাসে করে রাজধানীতে এসেছেন। জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
দলের সদস্যরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা সরকার-বার বার দরকার প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়ক ও রাস্তায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতারা উদ্যান মাঠে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করেন এবং আড়াই শতাধিক লাউডস্পিকার স্থাপন করেন।
জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আকস্মিক বৃষ্টি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দেওয়া থেকে থামাতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনা দেবেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালিউর রহমান এনান ইউএনবিকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে বড় সমাবেশ এবং সমাবেশ সফল করতে তারা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশপাশে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শাহবাগ, পল্টন, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, পরীবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগত নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণে মহাসমাবেশ করছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশে ৫ লাখ সমাগমের ঘোষণা ছাত্রলীগের
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
শুক্রবারের সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
এর আগে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় দলটি। আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলটির কয়েকজন নেতা এই চিঠি জমা দেন।
চিঠি জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাজ্জাক বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় আমরা ১ আগস্ট আমাদের নির্ধারিত সমাবেশ করতে পারিনি। তাই আমরা শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেই।’
আরও পড়ুন: ৪ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ২২ জুলাই সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
হামলার প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু
রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীদের উপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন:ঢাকায় বিএনপির ৫৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এ জনসমাবেশের আয়োজন করেছে।
চারটি ট্রাকের সমন্বয়ে একটি অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়েছে। সমাবেশস্থলের চারপাশে প্রায় ৫০টি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম জানান, সমাবেশের জন্য স্বল্প সময়ের নোটিশে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী জনসমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: ২.০৩ কোটি জামানত দেখিয়ে ইসিতে বিএনপির অডিট রিপোর্ট জমা
দুপুর ১টা থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে ভিড় করতে থাকেন।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের চারপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সব মহানগর ও জেলা শহরে জনসমাবেশ করার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
এদিকে, শনিবার ঢাকার প্রধান প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি সংঘর্ষ ও সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়েছে, এতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় মাতুয়াইল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ডিবি অফিসে খাবার খাওয়ার ব্যাখা দিলেন গয়েশ্বর
নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
বিএনপি গোলাপবাগ মাঠে তাদের পরিকল্পিত জনসভা করবে কি করবে না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৬ জুরাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘জনসভাস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বিকাল ৪টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেন, কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আজ রাত সাড়ে ৮টায় দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান তিনি।
তাদের সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টনের পরিবর্তে নতুন ভেন্যু বেছে নিতে ডিএমপির পরামর্শে বৈঠকে বসে দলটি।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ এখনো বিএনপিকে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় গোলাপবাগ মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
নয়াপল্টন এলাকায় দাঙ্গা-গাড়ি ও জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকাল ৫টার দিকে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলেও পরে দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার আগ্রহ জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দেয় বিএনপি।
এর আগে ডিএমপি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি না করে তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কারণ ভবিষ্যতে তারা জনদুর্ভোগের কারণ হলে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে। তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে।
তাজিয়া মিছিলে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
এর আহে শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে তাদের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় রাজধানীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে: ডিএমপি কমিশনার
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্যালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্যালককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত শাকিল (১৮) কামরাঙ্গীরচরের আশ্রাফাবাদ এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি পার্কে জুস বিক্রি করতেন।
নিহত শাকিলের বড় ভাই শাহীন বলেন, ‘সকালে শুনেছি আমার ভাই শাকিল ও দুলাভাই বাবুর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ঝগড়ার এক পর্যায়ে বাবু শাকিলের পিঠে লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অপশক্তি যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, জাতি এগিয়ে যাবে, আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট কারচুপির মাধ্যমে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। ‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ কখনোই কোনো ভোট কারচুপিকে মেনে নেয়নি। এদেশের মানুষ সেটা (নির্বাচন) মেনে নেয়নি। সে সময় গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলন হয়। ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।’
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ক্ষমতায়ন করেছে এবং তারা সরাসরি বাজেট থেকে তাদের অর্থ পেয়েছে; যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার বিভিন্ন উদ্যোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যদি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার মতো নির্বাচন করার অসৎ উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে তারা আজিজের মতো নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারত (এমএ আজিজ কমিশন)।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা তা করিনি। জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা সেই বিশ্বাস এবং আস্থার ওপর ভিত্তি করে কাজ করি।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে, যা একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারও।তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য আইন প্রণয়ন করেছি। আমরা পুরো প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করেছি।’
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে ভোটে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতিতে এসেছেন দেশের সেবা করতে, জনগণকে কিছু দিতে, কিছু নিতে নয়।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তিনি বেঁচে থাকতে দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হতে দেবেন না বা দেশের স্বার্থের সামান্য অংশও কারও হাতে তুলে দেবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল আক্রমণ ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে এবং কেউ দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস এবং একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
জাতির পিতার ভাষণের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সংগ্রাম সেদিনই শেষ হবে যেদিন সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তার দল ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, ই-ডিভাইস ব্যবহারের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে ই-ইকোনমি, ই-এডুকেশন এবং ই-হেলথ কেয়ারের মতো অনলাইন সেবা ব্যবস্থা চালু করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই উদ্দেশ্যে আইটি ভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দেশে আইটি পার্ক এবং আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
ই-ডিভাইস ব্যবহারের উপযোগী নতুন প্রজন্মের বিকাশের পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তারা খুব দ্রুত নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।
তিনি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহারে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি তার সাম্প্রতিক সিগনেচার শব্দ ‘খেলা হবে’ উল্লেখ করেন।
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগ্নিসংযোগ, ভোট কারচুপি, দুর্নীতি ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে শিগগিরই খেলা শুরু হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে টিকে থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সমস্যা সমাধানকারী এবং তার বিকল্প নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে জনপ্রিয়, সাহসী ও দক্ষ প্রশাসক ও কূটনীতিক।
আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: বিজিবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী
২২তম জাতীয় কাউন্সিল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ.লীগের নেতাকর্মীদের ভিড়
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে শনিবার সকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
এবারের কাউন্সিলের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন যাত্রা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিল সাধারণত দুই দিনের হলেও এবার অনুষ্ঠিত হবে একদিন।
এই বছরের জাতীয় কাউন্সিলে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম অধিবেশন শুরু হবে। দুপুরে খাবার ও নামাজের বিরতি থাকবে।
দলীয় সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে ১২ তম জাতীয় নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ তার কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
যারা নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন তারা দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। মঞ্চটি ৮০ ফুট লম্বা ও ৪৪ ফুট চওড়া।
এর আগে সকাল ৭ টায় সম্মেলনে প্রবেশের গেট খুলে দেয়া হয়। এবারের সম্মেলনে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেইট রয়েছে। তার মধ্যে একটি ভিআইপি ও চারটি গেইট রয়েছে প্রতিনিধি ও কাউন্সিলরদের প্রবেশের জন্য।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে সাদ্দাম-ইনান
আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিল উদ্বোধন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ কাউন্সিলকে ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে এই কাউন্সিলকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিলে যোগ দেন ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ফলে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ঐতিহাসিক এই পার্কটি।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
ছাত্রলীগের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৫৪ জন প্রার্থী ফরম জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিষদের নির্বাচন কমিশনার শামস-ই-নোমান।
এর আগে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী ছাত্রলীগের এই জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল।
পরে ১৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সম্মেলনের তারিখ ৩ ডিসেম্বর থেকে পরিবর্তন করে ৮ ডিসেম্বর করা হয়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন, স্বাস্থ্য-শিক্ষার জন্য সম্পদ ব্যবহার করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে ২৮ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি যাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে তাদের সমাবেশ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা এক মাস আগে নয়াপল্টনে আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছিলাম। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই এর আগে এখানে বহু মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং, আমাদের চিঠি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন, কারণ আমরা এখানে আমাদের সমাবেশ করব। এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া আপনাদের দায়িত্ব।’
বুধবার এক সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে এই বিএনপি নেতা আশ্বস্ত করেন যে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা শান্তিপূর্ণভাবে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের বিরোধিতার বিষয়ে ফখরুল বলেন, চারিদিক দেয়াল ঘেরা অনুষ্ঠানস্থলে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে তাদের দল স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। ‘এখানে থেকে সহজে প্রবেশ করার এবং বেরিয়ে আসার কোন রাস্তা নেই। একটি মাত্র গেট আছে, যেখান দিয়ে দু-একজন লোক ঢুকতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
এ অবস্থায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাদের দলকে শান্তিপূর্ণভাবে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
অন্যথায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এই বিএনপি নেতা।
দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
এর আগে মঙ্গলবার ২৬ শর্তে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মিথ্যা মামলা বন্ধ করুন
ফখরুল বলেন, নয়াপল্টনে জনসভা হলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হবে বলে সরকার খোঁড়া অজুহাত দেখাচ্ছে। ‘শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এ ধরনের কোনো যানজটের সৃষ্টি হবে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, দেয়ালে লেখা ও জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে চায় না বলেই সরকার একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এর পরিণতি বিবেচনা করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক মামলা করা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এখন জনগণও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাই বানোয়াট মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার বন্ধ করে জনগণের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দিন।
আরও পড়ুন: তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
ঢাকা সমাবেশ চ্যালেঞ্জ
এই বিএনপি নেতা বলেন, ১০ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করা ঢাকাবাসীর জন্য চ্যালেঞ্জ।
ফখরুল বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশের জনগণ নতুন আশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটি (১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ) ঢাকা ও এই বিভাগের জনগণের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। ইনশাআল্লাহ সমাবেশ সফল হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার অকারণে বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে, যা গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। ‘এটা আপনাদের (সরকার) জন্য মোটেও ভালো হবে না। আপনারা পথ খোলা রাখছেন না। আমি আবারও আপনাদেরকে অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলছি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য সর্বস্তরের মানুষ এতে যুক্ত হওয়ায় বর্তমান আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, সারা দেশের মানুষের সংগ্রামে পরিণত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে শুধু ব্যাংকিং খাত নয়, গোটা দেশ ও এর সব সেক্টরকে ধ্বংস করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর