অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে অবদান রাখার জন্য নির্বাচিত ১৭ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ‘জাতীয় মৎস্য পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া এদিন বেলা ১১টার দিকে গণভবনে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন তিনি।
সোমবার নিজ দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান।
সভায় জানানো হয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ১৭ জুলাই বেলা ১১টায় মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করবেন। এর আগে সকাল ৮টায় প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে মৎস্যভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে।
সভায় সপ্তাহের বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়।
ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী ‘মৎস্য মেলা’ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় তিন দিনের মৎস্য মেলার আয়োজন করা হবে। এছাড়া ময়মনসিংহে পাঁচ দিনের ‘প্রযুক্তভিত্তিক মৎস্য মেলা’ অনুষ্ঠিত হবে।
সপ্তাহজুড়ে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলার মুক্ত জলাশয়, হাওড়-বাওর, খাল-বিল ও নদীতে ব্যাপকভাবে মৎস্য অবমুক্তির পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার কর্তৃক বঙ্গভবন ও সংসদের লেকে মাছের পোনা ছাড়া হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের পুকুর-লেকেও পোনা অবমুক্ত করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবহুল স্থান, মাছের আড়ৎ প্রভৃতিতে গণসচেতনতামূলক সভা-সেমিনার ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হবে। শেষ দিন ২৩ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনীতে সপ্তাহের মূল্যায়ন এবং কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় অংশগ্রহণকারী সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।