প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন পণ্যবাহী ২৬টি জাহাজ দৌলতদিয়ায় আটকা পড়ে আছে।
বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর অভিমুখী জাহাজগুলো সরাসরি ভিড়তে না পারায় মালামাল খালাসে বিঘ্ন ঘটায় ছোট ছোট ট্রলারে করে বন্দরে মালামাল আনা হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ প্রায় দ্বিগুণ পড়ে যাচ্ছে।
সোমবার বাঘাবাড়ি ঘাট নৌযান লেবার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া যমুনা ও বড়াল নদীর বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য চর ও ডুবচর জেগে উঠায় জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বাঘাবাড়ি বিআইডব্লিউটি’র সূত্র জানায়, পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ১০ ফুট পানির গভীরতার প্রয়োজন থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে যমুনা ও বড়াল নদীর নৌ পথের বিভিন্ন স্থানে পানির গভীরতা ৬ ফুটের নিচে নেমে গেছে। সেই সাথে জেগে উঠেছে চর ও ডুবচর। সবচেয়ে বেশি নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার পেঁচাকোলা থেকে মোহনগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন স্থানে।
এ কারণে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ২৬টি সার, সিমেন্ট, জ্বালানী তেলসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরে ভিড়তে পারছে না।
তবে বিআইডব্লিউটি’র পক্ষ থেকে ডুবচরগুলো অপসারণের জন্য ড্রেজার শুরু করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি ঘাট নৌযান লেবার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার এবং বাঘাবাড়ি লঞ্চ ও লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মাস্টার জানান, দৌলতদিয়া থেকে বাঘাবাড়ি নৌ বন্দর পর্যন্ত নাব্যতা সংকটের কারণে যমুনা নদীর দৌলতদিয়া, ব্যটারিরচর, পাটুরিয়া, নাকালিয়া ও পেঁচাকোলায় নদীর তলদেশে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর ও ডুবচর। এ পরিস্থিতির কারণে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নৌবন্দর বাঘাবাড়িতে সরাসরি জাহাজ ভিড়তে পারছে না। দৌলতদিয়া থেকে আটকেপড়া জাহাজ থেকে ছোট ছোট ট্রলারসহ বিকল্প ব্যবস্থায় মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে। বর্তমানে পানির গভীরতা ৫ থেকে ৬ ফিট। এই নৌ-রুট দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি জাহাজ চলাচল করে থাকে কিন্তু পানির গভীরতা না থাকায় জাহাজগুলো দৌলদিয়ায় আটকে থাকছে। যে কারণে ১০ থেকে ১৫শ টনের জাহাজগুলো বাঘাবাড়ি বন্দরে সরাসরি আসতে পারছে না।
বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরের সহকারী পরিচালক এস এম সাজ্জাদুর রহমান জানান, বর্তমানে নৌপথে পানির গভীরতার চেয়ে জাহাজে মালামাল আনা হচ্ছে বেশি। এ কারণে মালামালভর্তি জাহাজগুলো বন্দরে ভিড়তে পারছে না। বিকল্প ব্যবস্থায় আটকেপড়া জাহাজ থেকে মালামাল আনা হচ্ছে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে।
প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে এই পরিস্থিতি দেখা দেয়। তবে এবারও ড্রেজিং করে এই পরিস্থিতি নিরসন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।