তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন সম্ভব হয়েছে। মাত্র ১০ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন পৃথিবীর আর কোনো দেশে সম্ভব হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য এ সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
বুধবার ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে ১৫২তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রায় সকল শিশু এখন বিদ্যালয়ে আসছে। বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীর হাতে পুরো সেট বই তুলে দেয়া হয়। সময়মতো ভর্তি ও ক্লাস চালু নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করাসহ নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় গবেষণাখাতে বরাদ্দ অনেক বৃদ্দি করা হয়েছে। শিক্ষা খাতে এ উন্নয়ন ধরে রাখতে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা প্রয়োজন।’ এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় প্রায় ৩৩ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে। ফলে ভবিষ্যতে শিক্ষায় অবকাঠামোতে কম ব্যয় করে মান উন্নয়নে অধিক বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, একজন সফল শিক্ষকের চেয়ে সম্মানিত আর কেউ হতে পারে না।
তরুণ প্রশিক্ষণার্থীদের শিক্ষকতা পেশাকে ব্রত হিসেবে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, নিজেদের নিবেদিত পেশাজীবী এবং সৃজনশীল উদ্যোগী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দক্ষ ও যোগ্য মানুষ তৈরিতে তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় মেধাবীদের স্থান করে দিতে হবে। অন্যদিকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
নায়েমের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মোহাম্মদ শামসুল হুদা এবং কোর্স পরিচালক প্রফেসর শাহিদা আফরোজ।
পরে শিক্ষামন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষা ক্যাডারের ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থী ৪ মাসব্যাপী এ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।