তাদের অভিযোগ, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভেতর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা তাদের ‘মারধর’ করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৩টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধরা।
পদবঞ্চিত অংশের মুখপাত্র ও ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে আমাদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার রাত ২টার দিকে টিএসসির ভেতরে যান। হঠাৎ রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক লিপি আক্তারের (ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক উপসম্পাদক) সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর তর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি লিপিকে চড় মারেন। পরে রাব্বানীর অনুসারীরা লিপি ও পদবঞ্চিত সদস্যের ওপর হামলা করে।’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেন। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী দুজনেই সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন।
এদিকে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে রাব্বানী ইউএনবিকে বলেন, ‘পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। গুরুতর কিছু নয়। আমরা সমস্যা সমাধান করেছি।
পদবঞ্চিতরা এটিকে একটি ইস্যু করতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। যার ফলে পদবঞ্চিত অনেক নিবেদিত নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ তাদের ওপর হামলা চালায়।