ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার অভিযোগ, রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর
ফেনীতে ছাত্রলীগ নেতা শফি উল্যাহ শুভর উপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় শহরের শহীদুল্লা কায়সার সড়কের পাঠানবাড়ির মাথায় ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা
হামলায় আহত শফি উল্যাহ শুভ ফেনী পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এ সময় শুভর মামা আবদুল ওয়াদুদ শিপন ও বন্ধু শিপনও আহত হন।
আহত শফি উল্যাহ শুভ জানান, তিনি ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁয় বসা ছিলেন। এ সময় তার মামা আবদুল ওয়াদুদ শিপন ও বন্ধু শিপন সঙ্গে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মাথা, পায়ে ও ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। এ ছাড়া হামলাকারীরা রেস্তোরাঁয় ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আমির হোসেন বাহার জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার নিন্দনীয়। হামলাকারীরা বহিরাগত বলে তিনি শুনেছেন।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হায়াত উল্যাহ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থৈয়াই অংপ্রু মারমা জানান, প্রকাশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনাটিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দৈনিক প্রথম আলো’র চবি প্রতিনিধি মোশারফ শাহের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন মোশারফ শাহ।
ভুক্তভোগী মোশারফ শাহের দাবি, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে বিবাদমান ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের একাংশ। হামলাকারীরা শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) কর্মী।
ভুক্তভোগী মোশাররফ চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য। আহত অবস্থায় মোশাররফকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোশাররফ শাহ জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন 'ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, ভাঙচুর, প্রধান প্রকৌশলীকে মারধরসহ' সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী তাকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেন। এরপর ছাত্রলীগ নিয়ে কেনো প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, তা জানতে চান। কয়েকজন তার কপালে, মুখে কিলঘুষি দেন। তার বুকে লাথি দেন। হাতেও আঘাত করেন।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
মোশাররফ জানান, মারধরের সময় নেতা-কর্মীরা তাকে পরবর্তীতে আর ছাত্রলীগ নিয়ে প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তারা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মোশাররফের কপালে চার সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।’
ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ সিএফসির নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রেজাউল হক।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন আমরা এ নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
এদিকে গত ৩ দিন ধরে চবি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরিণ বিরোধের জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে আসছে। এ অবস্থায় আজ রবিবার দুপুরে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ চবি ছাত্রীগের শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চবিতে চতুরমুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
চবিতে সংঘর্ষ: ৫ বহিরাগত আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
চবিতে সংঘর্ষ: ৫ বহিরাগত আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিবাদমান বিভিন্ন উপ গ্রুপের মধ্যে দাফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
এই সময় ৫ জন বহিরাগতকে আটক এবং বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে সংঘর্ষের পর দু’টি হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। রাত ১০টা থেকে শুরু হয়ে এই অভিযান চলে ১১টা পর্যন্ত।
অভিযানে শাহজালাল হল থেকে রামদা, রড, পাইপসহ বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শাহ আমানত হল থেকে ৫ জন বহিরাগতকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে চতুরমুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
তবে আটকদের পরিচয় জানাতে রাজি হননি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, গতকালের (বৃহস্পতিবার) ঘটনার জেরে আজকেও (শুক্রবার) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৫ জন বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দু’টি পক্ষ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: ফের চালু হল চবি’র শাটল ট্রেন
চবির শাটল ট্রেন বন্ধ, দুর্ভোগে হাজারো শিক্ষার্থী
চবিতে চতুর্মুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপ। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় ছাত্রলীগের চারটি উপগ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়।
চবি সূত্রে জানা গেছে, সিএফসির অনুসারীরা শাহ আমানত হলে এবং সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা শাহজালাল হলে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা আছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী সিএফসির একাংশ ও যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াসের অনুসারী বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা। এতে সভাপতি রেজাউল হক রুবেলসহ বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায় গ্রুপ দুটি। এতে ছয় ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।
সিএফসি ও বিজয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যদিকে সিক্সটি নাইন গ্রুপ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২১
ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, ইন্টার্ন ও স্বজনদের সংঘর্ষে আহত ১০
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
থানার ভেতরে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তের সময় তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং নিয়ম অনুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।
এর আগে সোমবার বিকালে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ডিএমপি। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছিল।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকালে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির উপকমিশনারের (ডিসি-অপারেশন) নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাবি ক্যাম্পাসের জনজীবন বিপর্যস্ত
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সারা ক্যাম্পাস যেন 'বাসস্ট্যান্ডে' পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সারাদেশ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। তারা তাদের গাড়িগুলো ঢাবি ক্যাম্পাসে পার্কিং করে রেখেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাবি কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে কবি জসিমুদ্দিন হলের খেলার মাঠ, মহসীন হলের খেলার মাঠ এবং সড়কের সর্বত্র যানবাহন পার্কিং করা হয়। এছাড়া, ক্যাম্পাসজুড়ে অবাধে জনসমাগমের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, বাইরে থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ক্যান্টিনে ভিড় জমায়।
এমনকি ঢাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের 'গণরুম' থেকে বের করে দিয়ে বহিরাগতদের হলে থাকতে দেন।
বহিরাগতদের এই বাড়তি চাপের কারণে প্রায় প্রতিটি পুরুষ হলেই রান্না করা খাবারের ঘাটতি দেখা দেয় এবং একটু দেরিতে খাবার খেতে যাওয়া ছাত্ররা ক্যান্টিন থেকে দুপুরের খাবার খেতে পারেনি।
অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ক্যান্টিনগুলোতে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের খাবার রান্নার প্রি-অর্ডার নেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো খাবার রান্না করা হয়নি।
কিছু নেতা-কর্মী খাবার ও থালা-বাসন নিয়ে সমাবেশে এসে ক্যাম্পাসে রান্না করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্বস্তিকর করে তোলে।
আরও পড়ুন: খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই: কাদের
বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্যদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা হবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার। আপনাদের কাছে থেকে এটা আমার আশা। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একই রকম থাকবে না। আমি ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করেছি। তাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ আর বাধা দিতে পারবে না। ছাত্রলীগকে প্রহরীর মতো জেগে থাকতে হবে।’
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখনই ব্রিকসের সদস্য হওয়ার অনুরোধ করেনি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এবং ছাত্রলীগের মূলনীতি-শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি অনুসরণ করতে বলেন।
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া অন্যান্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘লুটেরাদের’ ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: দ. আফ্রিকায় প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছাত্রলীগের মহাসমাবেশ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজারো মানুষের সমাগম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) তাদের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।
এদিন দুপুরে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি প্রতিনিধি জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর ঢল নামে সমাবেশস্থলে।
অনেকেই সারাদেশ থেকে ট্রেন ও বাসে করে রাজধানীতে এসেছেন। জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
দলের সদস্যরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা সরকার-বার বার দরকার প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়ক ও রাস্তায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতারা উদ্যান মাঠে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করেন এবং আড়াই শতাধিক লাউডস্পিকার স্থাপন করেন।
জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আকস্মিক বৃষ্টি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দেওয়া থেকে থামাতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনা দেবেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালিউর রহমান এনান ইউএনবিকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে বড় সমাবেশ এবং সমাবেশ সফল করতে তারা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশপাশে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শাহবাগ, পল্টন, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, পরীবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগত নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণে মহাসমাবেশ করছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশে ৫ লাখ সমাগমের ঘোষণা ছাত্রলীগের
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতা এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তার হলরুম থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র মাহতাব উদ্দিন হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন রাবি শামসুজ্জোহা হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম ও রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সমর্থক।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
লিখিত অভিযোগ মাহতাব বলেন, ‘আমাকে হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৩২৬ নং কক্ষে পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম আমাকে জোর করে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এবং বিছানা অন্যত্র ফেলে দেয়। রুম থেকে বের না হলে আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
তবে ছাত্রলীগ নেতা মমিন ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন। তাকে কেউ টেনে বের করেনি বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, প্রভোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রভোস্ট ইকরামুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মাহতাবকে ৩২৬ থেকে ১৫৪ নম্বর কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বুধবার থেকে সেখানে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন,‘যেহেতু মাহতাবকে রুমটি বরাদ্দ করা হয়েছিল, সে সেই কক্ষে থাকবে এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মাহতাবকে ওই আসনে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করছি।’
আরও পড়ুন: রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা