ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১ ডিসেম্বর ‘বিজয় র্যালি’ করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘বিজয় র্যালি’ বের করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এতে বলা হয়, রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের) অপরাজেয় বাংলা থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বিশাল র্যালি শুরু
শেষে ঢাবির সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির ও বিজয়ের গান) পরিবেশন করবে।
এতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান ‘বিজয় র্যালি’র নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
৩ সপ্তাহ আগে
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ
অধিভুক্তি বাতিল করে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা কলেজে জড়ো হয়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবির সমর্থনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বেলা ১১টার দিকে তারা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির কারণে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আউটসোর্সিং শ্রমিকদের শাহবাগ অবরোধ
বিশেষ করে পরীক্ষা মূল্যায়ন ব্যবস্থায় বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না, কোনো পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বা ক্লাস করবেন না বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তাহসিন ইউএনবিকে বলেন, ‘ঢাবি অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকতে চাই না। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্ত একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম চাই এবং সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের শ্রেণিকক্ষে জায়গা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। শিক্ষকরাও সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা দেয়, যা আমাদের চাহিদার সঙ্গে মেলে না। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, যা একটি ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে যা আমাদের ফলাফলকে প্রভাবিত করে।’
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটের সৃষ্টি
এছাড়াও ঢাবির রেজিস্টার ভবনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথাও তুলে ধরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি চান এই শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি বা কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা অবরোধ তুলে নেব।’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজের ছাত্র রাহাতুল ইসলাম বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি, কিন্তু আমাদের দাবির প্রতি কেউ নজর দেয়নি। এই প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সড়ক অবরোধের কারণে অনেক মানুষ ও পথচারী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু এর জন্য আমরা দায়ী নই। এই জনদুর্ভোগের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও ঢাবি উপাচার্য দায়ী।’
অবরোধের কারণে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
২ মাস আগে
যবিপ্রবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিউক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কার্যালয়ে তিনি যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এর আগে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেছেন যবিপ্রবির উপাচার্য
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার প্রাণহানি এবং এখনও অনেকে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।
যবিপ্রবিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের সময় নষ্ট করা যাবে না, সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে স্নাতক, ১৯৯৫ সালে স্নাতকোত্তর ও ২০০৩ সালে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের টোটরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
অধ্যাপক আব্দুল মজিদ ২০০১ সালে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০০৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১০ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
আরও পড়ুন: পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
২ মাস আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে আজ
আজ থেকেই হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি সোনালী দলের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া হলগুলোর সেবা অব্যাহত রাখা এবং শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন:নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না, জানা যাবে বুধবার
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলন: তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে তারা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে শাহবাগ মোড়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, সমাবেশে যোগ দিতে মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে বের হওয়ার সময় তাদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে গেটে তালা লাগিয়ে দেয় হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মূল মিছিলটি সূর্যসেন হলে গিয়ে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে।
আরও পড়ুন: কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, প্রয়োজনে রক্ত ঝরাবেন তবু তারা তাদের দাবি আদায় করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবার কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে রাজধানীর প্রধান প্রধান মহাসড়ক ও মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আজ (৪ জুলাই) সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের
৫ মাস আগে
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে সোমবার (২২ এপ্রিল) দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহাদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য সচিব করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এ কমিটি গঠন করেন।
কমিটির অন্য সদস্য হলেন- দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।
এদিকে মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান তাপপ্রবাহে অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে ঢাবি
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুত ঢাবি
৭ মাস আগে
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনের রিমান্ড
রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেলসহ ১১ জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন—কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশ, হাজী বাহা উদ্দিন নোবেল, মো. জাকির হোসেন, মো. খন্দকার নজরুল ইসলাম, মো. সুমন, মো. রাকিবুল ইসলাম, মো. নুরুল আমিন পায়েল, মো. কায়কোবাদ হোসেন কবির, মো. লিটন হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: রাজশাহীর সেই বিএনপি নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার লিফলেট, পেট্রোলবোমা তৈরির সরঞ্জাম, বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য (গান পাউডার), ১৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল, পাঁচটি অবিস্ফোরিত চকলেটবোমা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কে এম মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরণে আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রব্বানী হত্যা: অভিযুক্ত বাবুসহ ১২ জন রিমান্ডে
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
১১ মাস আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার হলেন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো প্রবর্তন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। আর এ পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হারুন-অর-রশিদ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫২তম সিন্ডিকেট সভায় ড. রশিদকে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
ড. রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বিএ (অনার্স) ও এমএ উভয় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৮৩ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের রিউকোকু বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।
পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। তিনি সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন।
ড. হারুন-অর-রশিদ ৪৩ বছরের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মেয়াদে সফলভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ছিলেন তিনি।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তিনবার নির্বাচিত ডিন, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি, সহসভাপতি, কাউন্সিল সদস্য, অধ্যাপক শামসুল হক শিক্ষা কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ তিনি জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ চেয়ারে ‘বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. রশিদ বঙ্গবন্ধু গবেষণায় ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ অর্জন করেন। ২০১৬ সালে বেস্ট পাবলিকেশনসের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ স্বর্ণপদক লাভ করেন।
ড. রশিদ এ পর্যন্ত ১৯টি মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে-বিদেশে জার্নালে তার ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ছয়টি প্রসিদ্ধ বইয়ের সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক ৭টি বইয়ের সম্পাদনা করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা গ্রন্থ হচ্ছে- বাংলাদেশের ৫০ বছরের রাজনীতি অনুধাবন: সংগ্রাম, অর্জন ও চ্যালেঞ্জ নামে নতুন বই। বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা রাউটলেজ লন্ডন ও নিউইয়র্ক থেকে একযোগে বইটি প্রকাশ করছে।
এছাড়া তার অন্যান্য গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-
দ্য ফোরস্যাডোয়িং অব বাংলাদেশ, ফর্ম ১৯৪৭ পার্টিশন টু বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধু এন্ড স্টেট ফর্মেশন ইন পারসপেকটিভ, ইনসাইড বেঙ্গল পলিটিক্স, বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশ: রাজনীতি, সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ, ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফার ৫০ বছর’, মূলধারার রাজনীতি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬, ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পদ: বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, বঙ্গীয় মুসলিম লীগ পাকিস্তান আন্দোলন: বাঙালির রাষ্ট্রভাবনা ও বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ: গভর্ন্যান্স, পলিটিক্স, কনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট ১৭৫৭-২০১৮, ৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কী ও কেন, বঙ্গবন্ধুকোষ, সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রভৃতি।
ড. রশিদ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ২০ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ রচনা প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
বর্তমানে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ এর ইংরেজি বই রচনা প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশেষ সমাবর্তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিয়েছে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বিশেষ সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ ছাড়া বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি শুরু করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাস্থ্যগত কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবর্তন শুরু হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে তেলাওয়াত অনুসরণ করা হয়।
পরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে জাতির স্বাধীনতা ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রিতে ভূষিত করেন।
বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এ ডিগ্রি ও স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এ সনদ বুঝে পাওয়ার জন্য সই করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
দুই বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’
১ বছর আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগিতায় ‘জাপানের আধুনিকায়নে শিক্ষাগত উন্নয়ন’ শীর্ষক চতুর্থ জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সেমিনারটি আয়োজন করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
জাইকা ওগাতা সাদাকো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাডভাইজার ড. কায়াশিমা নোবুকো সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
তিনি তার বক্তব্যে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার ঐতিহাসিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করেন এবং বিশ্বজুড়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। এছাড়াও জাপানে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন ও প্রসারে জাপান সরকার ও বিদেশি শিক্ষকদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য পাঠাতে সরকারের ভূমিকা এবং পরে জাপানের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে ওই শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাইকার সহায়তায় প্রণীত হলো ডায়াবেটিস মেলিটাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্দেশিকা
এ সময় তিনি যেকোনো দেশে মানসম্মত শিক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা এবং পাশাপাশি বিদেশি জ্ঞানের স্থানীয়করণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি জাপানের শিক্ষাগত উন্নয়নের দিকটি তুলে ধরে বলেন, যেভাবে শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে জাপান একটি উন্নত ও আধুনিক দেশে পরিণত হয়েছে তা প্রশংসার পাওয়ার যোগ্য।
এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে স্বনামধন্য শিক্ষকদের এনে জাপানে শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং জাপানি শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে তাদের জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগানোর প্রশংসা করেন।
এ ছাড়াও দেশের প্রাথমিক থেকে টারশিয়ারি শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সেমিনারে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবলী নোমান। পাঁচশোর বেশি অ্যাকাডেমিক, গবেষক, উন্নয়ন পেশাজীবী ও শিক্ষার্থী সেমিনারটিতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু
১ বছর আগে