ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নয়, এবার হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এতদিন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে আয়োজিত শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাবির চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ।
এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। গত ২৪ মার্চ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে উপাচার্যের সভাপতিত্বে এটি চূড়ান্ত হয়।
আয়োজকরা জানান, সংস্কৃতির মুক্তির বার্তা নিয়ে চারুকলা অনুষদের এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব ভাষা ও জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে।
তারা বলেন, এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা দেশীয় বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও উদার সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাবে। নববর্ষ উদযাপন বাক-স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে অগ্রসর একটি পদক্ষেপ।
তারা আরও বলেন, সংস্কৃতির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মানবিক ও উদার একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা। এবারের বৈশাখ হবে সকলের। পাহাড় থেকে সমতল—সকল জাতিগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করবে। একপেশে সংস্কৃতির সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আমরা শুদ্ধ ও উদার চর্চার দিকে এগিয়ে যাব—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এবারের বৈশাখ ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের কালপর্ব শেষে নতুন এক সাংস্কৃতিক মুক্তির সূচনা আনবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তারা।
শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে চারুকলা অনুষদের ডিন বলেন, “আপনারা জানেন, ১৯৮৯ সালে আমরা এই বর্ষবরণ প্রথা শুরু করেছিলাম ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে। পরে তা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম নেয়। এবার আমরা মূল নামকে পুনরুদ্ধার করেছি।”
আগামী ১৪ এপ্রিল সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরু হবে। এটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, রাজু ভাস্কর্য, শহিদ মিনার, দোয়েল চত্বর ও বাংলা একাডেমি ঘুরে আবার চারুকলায় এসে শেষ হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলের ইঙ্গিত ফারুকীর
শোভাযাত্রাকালে বাংলামোটর, বারডেম, পলাশী ও মৎস ভবন থেকে শাহবাগের দিকে আসার রাস্তা বন্ধ থাকবে। সাধারণ মানুষের জন্য প্রবেশ উন্মুক্ত থাকবে নীলক্ষেত ও পলাশীর দিক থেকে।
র্যালির সময় রমনা উদ্যানের তিনটি গেট—ছবির হাট, রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট ও কালীমন্দির গেট বন্ধ থাকবে।
শোভাযাত্রার সামনে থাকবে ২০টি সজ্জিত ঘোড়া এবং পেছনে থাকবে রিকশার বহর। সাধারণ মানুষ পেছনের দিক থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শাহবাগ ও টিএসসি মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে। এ সময় এই স্টেশনগুলোতে যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে এবং শোভাযাত্রা শেষে স্টেশনগুলো চালু হবে।
ক্যাম্পাসে অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নিতে পলাশী ও নীলক্ষেত সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আইডি কার্ড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
এবারের শোভাযাত্রায় অংশ নেবে ২৮টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোর ব্যান্ড, পার্বত্য চট্টগ্রামের শিল্পীগোষ্ঠী, বামবা ব্যান্ড শিল্পীগোষ্ঠী, বাউল-সাধুশিল্পী দল, কৃষকদল, মূলধারার শিল্পীগোষ্ঠী, সাধনা নৃত্যসংগঠন, রংধনু পোশাকশ্রমিক শিল্পী দল, নারী ফুটবল দল, অ্যাক্রোব্যাটিক শিল্পীগোষ্ঠী, রিকশার বহর এবং ঘোড়ার গাড়ির বহর।
এবার বড় মোটিফ থাকবে ৭টি—ফ্যাসিবাদের মুখ, কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, তরমুজের ফালি (যা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সহমর্মিতার প্রতীক এবং তাদের পতাকার মোটিফ), শান্তির পায়রা, পালকি, ও ‘মুগ্ধ’ পানির বোতল।
মাঝারি মোটিফগুলোতে থাকবে ১০টি সুলতানি ও মুঘল আমলের মুখোশ, ২০টি রঙিন চরকি, ৮টি তালপাতার সেপাই, ৫টি পাখি, ৪টি পাখা, ২০টি ঘোড়া এবং ১০০টি লোকজ চিত্রাবলি।
ছোট মোটিফগুলোর মধ্যে থাকবে ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখ, ২০০টি বাঘের মুখ, ১০টি পলো, ৬টি মাছ ধরার চাই, ২০টি মাথাল, ৫টি লাঙল ও ৫টি মাছের ডোলা।
নববর্ষ ১৪৩২-কে সফল করতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্মিলিতভাবে দায়িত্বশীলতা ও আবেগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানানো হয়।
৫ দিন আগে
আরেফিন সিদ্দিকের সার্বিক অবস্থা ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সার্বিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাকে এখন যেকোনো পরিবর্তনের জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রবিবার (৮ মার্চ) ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের চিকিৎসকরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তবে এয়ার এম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতাল কিংবা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। ওই সূত্র বলেছে, সিঙ্গাপুরে জেনারেল হাসপাতাল আর মাউন্ট এলিজাবেথে ডকুমেন্টস পাঠানো হয়েছে। ঢাকার ডাক্তাররা অনুমতি দিলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে তাকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধীনে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, গেল বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ৩টার পরে আরেফীন সিদ্দিকী ঢাকা ক্লাবে অবস্থানকালে হঠাৎ দাঁড়ানো অবস্থা থেকে পড়ে যান। এরপর তার জ্ঞানের মাত্রায় পরিবর্তন হওয়ায় এবং বমি হওয়ায় তাকে কাছের বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এরপর ইমার্জেন্সি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিকবাবে তার মস্তিষ্কের পরীক্ষায় ‘রাইট সাইডেড অ্যাকিউট অন ক্রোনিক সাব ডিউরাল হেমাটোনা উইথ ফ্রন্টাল লব আইসিএইচ ও সিএএইচ দেখা দেওয়ায় দ্রুত তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে রেফার করা হয়।
তাকে সেদিন বিকাল ৪টা ২১ মিনিটে সরাসরি নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নজরুল হোসেইনের অধীনে নিউরো আইসিউতে ভর্তি করা হয়। তখন তার জ্ঞানের মাত্রা ছিল ১৩/১৫। ভর্তির অল্প সময় পরেই হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, চোখের মনি বড় হয়ে যায়, হার্টরেট কমতে থাকে এবং জ্ঞানের মাত্রা ৪/১৫ হয়ে যায়। দ্রুত তার স্বজনদের জানিয়ে তাকে তৎক্ষনাৎ লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আরেফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি। এর প্রায় সাড়ে চার বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়।
আরও পড়ুন: লাইফ সাপোর্টে ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক
নির্বাচনের পর ২০১৩ সালের ২৫ অগাস্ট প্যানেলে থাকা তিনজনের মধ্যে আরেফিন সিদ্দিককে বেছে নেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আবদুল হামিদ। ১৯৫৩ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকায় জন্ম নেওয়া আরেফিন সিদ্দিক ১৯৬৯ সালে এসএসসি এবং ১৯৭১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
১৯৭৩ সালে বিএ এবং ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে এমএ করেন তিনি। ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেওয়ার আগে বুয়েটের পিআর ছিলেন আরেফিন সিদ্দিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের নীল দলের নেতা আরেফিন সিদ্দিক দুই মেয়াদে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সদস্যও ছিলেন তিনি।
উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার আগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।দুঃখপ্রকাশ: ‘চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে আরেফিন সিদ্দিককে’ বলে ভুলবশত খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে। মূল বিষয় হচ্ছে, তার চিকিৎসাসংক্রান্ত নথি সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতাল, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল এবং ভারতের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তাকে এসব দেশে পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
৩৯ দিন আগে
বর্ণিল আয়োজনে ঢাবিতে বসন্ত বরণ
অন্যান্য দিনের মতো সকাল হলেও আজকের সকালটি অনন্য। শীতের জড়তা শেষে আজ বসন্তের প্রথম দিন। তার ওপর পয়লা ফাল্গুনে ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি নানাভাবে উদযাপন করছে দেশের মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’। ফাগুনের প্রথম দিন সকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলে এই আয়োজন।
জুলাই অভ্যুত্থান আমার দ্রোহ-ভালোবাসার গানের ব্যানারে ঢাবির কলাভবনে সমগীত আয়োজিত ‘সমগীত বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ দিয়ে শুরু হয় বসন্তের গান ও নৃত্য পরিবেশন। এ সময় লোকগীতির পাশাপাশি, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সংগীতও পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
শুরুতে পাঠশালার নৃত্যশিল্পীরা নাচ পরিবেশন করেন। একই সঙ্গে পাহাড়ি ও চা বাগানের থিমের সুর থেকে নেওয়া গানে অংশ নেন সমগীতের শিল্পীরা।
উপস্থিত দর্শনার্থীরা ইউএনবিকে বলেন, সকালে উঠেই এখানে চলে এসেছি বসন্ত উৎসব দেখতে। এরপর বইমেলায় যাব। বসন্তের প্রথম দিনটি সারা দিন উপভোগ করব।
উৎসবে আসা একজন বলেন, ‘বসন্ত আমাদের প্রাণের উৎসব। একই দিনে ফাগুনের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি আরও বেশি উপভোগ করছি।’
৬২ দিন আগে
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে যান চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল
অমর একুশে বইমেলায় আসা ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের যে বিধিনিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মেলা উপভোগ করতে আসেন। বইমেলা উপভোগ করতে আশা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের যে বিধিনিষেধ থাকে তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না। তবে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৭৫ দিন আগে
ঢাবির অধীন থাকছে না সাত কলেজ: উপাচার্য
সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসন এবং উপাচার্যের এক জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ। একটি সম্মানজনক পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী সব সিদ্ধান্ত বাতিল করে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নতুন করে আর কোনো ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভাসূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সাত কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালনার জোর সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিটি যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কমিটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
‘এছাড়াও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আসন সংখ্যা এবং ভর্তি ফি বিষয়ক সব সিদ্ধান্ত এ কমিটি থেকে গ্রহণ করা হবে। সাত কলেজের যেসব শিক্ষার্থীর বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে, তাদের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে। যাতে তাদের শিক্ষা জীবন ক্ষতির মুখে না পড়ে।’
আরও পড়ুন: জাতীয়করণের দাবি: শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা
এর আগে ছয় দফা দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারকে ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। বিকাল ৪টার মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
গেল রাত থেকে নিউমার্কেট, নীলক্ষেত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে সাংবাদিক-শিক্ষার্থীসহ ৪০ জনের উপরে আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা গেল রাতের ঘটনায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে ৬ দফা দাবি পেশ করেছেন, যার প্রথম দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরো সংঘাতের দায় নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গত রাতের সংঘাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিব গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় থানার এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংঘাতের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ইডেন কলেজ এবং বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক মিটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘটনার সমাধান দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
৭৯ দিন আগে
১ ডিসেম্বর ‘বিজয় র্যালি’ করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘বিজয় র্যালি’ বের করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এতে বলা হয়, রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের) অপরাজেয় বাংলা থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বিশাল র্যালি শুরু
শেষে ঢাবির সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির ও বিজয়ের গান) পরিবেশন করবে।
এতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান ‘বিজয় র্যালি’র নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
১৩৭ দিন আগে
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ
অধিভুক্তি বাতিল করে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা কলেজে জড়ো হয়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবির সমর্থনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বেলা ১১টার দিকে তারা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির কারণে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আউটসোর্সিং শ্রমিকদের শাহবাগ অবরোধ
বিশেষ করে পরীক্ষা মূল্যায়ন ব্যবস্থায় বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না, কোনো পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বা ক্লাস করবেন না বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তাহসিন ইউএনবিকে বলেন, ‘ঢাবি অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকতে চাই না। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্ত একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম চাই এবং সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের শ্রেণিকক্ষে জায়গা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। শিক্ষকরাও সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা দেয়, যা আমাদের চাহিদার সঙ্গে মেলে না। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, যা একটি ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে যা আমাদের ফলাফলকে প্রভাবিত করে।’
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটের সৃষ্টি
এছাড়াও ঢাবির রেজিস্টার ভবনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথাও তুলে ধরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি চান এই শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি বা কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা অবরোধ তুলে নেব।’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজের ছাত্র রাহাতুল ইসলাম বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি, কিন্তু আমাদের দাবির প্রতি কেউ নজর দেয়নি। এই প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সড়ক অবরোধের কারণে অনেক মানুষ ও পথচারী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু এর জন্য আমরা দায়ী নই। এই জনদুর্ভোগের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও ঢাবি উপাচার্য দায়ী।’
অবরোধের কারণে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
১৭৭ দিন আগে
যবিপ্রবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিউক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কার্যালয়ে তিনি যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এর আগে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেছেন যবিপ্রবির উপাচার্য
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার প্রাণহানি এবং এখনও অনেকে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।
যবিপ্রবিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের সময় নষ্ট করা যাবে না, সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে স্নাতক, ১৯৯৫ সালে স্নাতকোত্তর ও ২০০৩ সালে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের টোটরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
অধ্যাপক আব্দুল মজিদ ২০০১ সালে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০০৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১০ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
আরও পড়ুন: পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
২০৪ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে আজ
আজ থেকেই হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি সোনালী দলের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া হলগুলোর সেবা অব্যাহত রাখা এবং শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন:নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না, জানা যাবে বুধবার
২৫৩ দিন আগে
কোটা আন্দোলন: তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে তারা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে শাহবাগ মোড়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, সমাবেশে যোগ দিতে মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে বের হওয়ার সময় তাদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে গেটে তালা লাগিয়ে দেয় হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মূল মিছিলটি সূর্যসেন হলে গিয়ে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে।
আরও পড়ুন: কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, প্রয়োজনে রক্ত ঝরাবেন তবু তারা তাদের দাবি আদায় করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবার কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে রাজধানীর প্রধান প্রধান মহাসড়ক ও মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আজ (৪ জুলাই) সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের
২৮৬ দিন আগে