উপজেলার রমনা মিয়া পাড়া এলাকার বাঁধেই ছিল তার ছোট্ট সংসার। উচ্ছেদ অভিযানে ঘর হারিয়ে এখন বাধ্য হয়ে বাঁধের পাশেই ছোট্ট ছাপরায় কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। কষ্টের ওপর কষ্ট এখন করোনার থাবা। আতঙ্ক এখন গ্রামে গ্রামে। অন্ধ এ বৃদ্ধাও আর বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাহায্য চাইতে যেতে পারছেন না। দিন যত যাচ্ছে বাড়ছে কষ্ট, তবুও কেউ তার খবর নেয়নি। ভাগ্যে জোটেনি একটু সাহায্য।
কষ্টে ভরা মন নিয়ে বৃদ্ধা জাহেনারা বলেন, ‘বাবারে হামরা গরিব মানুষ, হামার দেহি কেডা দেহে, যামরা পায় তামরাই সব সময় পায়।’
একই এলাকার বোলা বেওয়া ৬ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। নেই ছেলেমেয়ে। বাঁধের ওপর বাস করতেন তিনিও। তবে ঘর হারিয়ে এখন রয়েছেন রাস্তার পাশে। হাত পেতেই দিন চলত তার। কিন্তু করোনায় ভয়ে ধনীরা গেটে তালা দিয়েছেন। আর তাই বোলা বেওয়াও বের হতে পারছেন না খিদা মেটাতে। সরকারের ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি এক মুঠো চাল।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু জাহেনারা বা বোলা বেওয়াই কষ্টে নেই, তাদের মতো বাঁধের নিচে আশ্রয় নেয়া শত শত মানুষ করোনার ভয়ে ভীত। একই সাথে খাবারের অভাবে বড় কষ্টে দিন পার করেছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এডব্লিউএম রায়হান শাহ বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।