কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুড়িগ্রামে বাসচাপায় মো. শামসুল আলম (৩২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় মসাইকেলে থাকা মো. আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে পৌর শহরের পচা মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত দুইজন সম্পর্কে আপন ভাই বলে জানা গেছে। তারা ওই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, শামসুল আলম ও তার ভাই আবুল কাশেম মোটরসাইকেলে নিজেদের কাজে যাচ্ছিলেন। রবিবার সকালে শহরের নাজিরা পচার মসজিদ এলাকায় পৌঁছলে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় চিলমারীগামী এস এন পরিবহনের একটি বাসের নিচে চলে যায় মোটলসাইকেলটি। এতে মোটরসাইকেল চালক শামসুল আলম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং সঙ্গে থাকা আবুল কাশেম আহত হন।
এরপর সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে বাসটি সরিয়ে নিলে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছি। কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। শুনেছি দুইপক্ষই স্থানীয়ভাবে বসে মিমাংসার চেষ্টা করছে।’
১ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে আ. লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
হত্যা মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে নুর তানু এবং উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টায় কুড়িগ্রাম শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু (৬০) কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী।
আহসান হাবিব রানা (৬১) একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উলিপুর উপজেলার এল.কে আমিন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: যুবদলের ২ কর্মী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
তবে গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু ও আহসান হাবিব রানা এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নন বলেও জানা গেছে।
ওসি নাজমুল আলম জানান, গ্রেপ্তার দুই আওয়ামী লীগ নেতা মামলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত আসামি। তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় তানু ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সোমবার (২৭ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
আরও পড়ুন: নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
৩ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশিকের মৃত্যু: আওয়ামী লীগের ১০৪ জনের নামে মামলা
চলতি বছরের ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জমায়েতে ‘হামলায় আহত’ শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১০৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি করেন। রুহুল আমিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার গ্রামের বাসিন্দা এবং কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দায়েরকৃত মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে শহরের ভোকেশনাল মোড়ের বাসিন্দা এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা সাইদ হাসান লোবান, রাশেদুজ্জামান বাবু, জিল্লুর রহমান টিটু, কুড়িগ্রাম পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলাম, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল, আনিছুর রহমান চাঁদ, মোমিনুর রহমান মুমিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন নয়ন, সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম (আইয়ুব), কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিটন মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১০৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় হত্যা, শিক্ষার্থীদের আহত এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট জেলা শহরের ঘোষপাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জমায়েতের ওপর ধারালো ও ভোতা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিরা হামলা করে। তারা হত্যার উদ্দেশে মারপিট করে সাধারণ ও গুরুতর জখম করে।
তাদের কয়েকজনের হামলায় আন্দোলনের অংশ নেওয়া আশিকুর রহমান আশিক মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। পরে গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর ও ওসি সুকুমারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নিহত আশিক উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী মৃত্যুর সাত মাস আগে বিয়ে করেছিলেন।
ওসি নাজমুল আলম বলেন, ‘মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত এক জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।’
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার জমায়েত চেষ্টাকালে শহরে প্রবেশের বিভিন্ন পথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। শহরের শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জড়ো হয়।
অন্যদিকে শহরের দাদামোড়ে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর ও ওসি সুকুমারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
১ মাস আগে
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
কুড়িগ্রামে বৃষ্টি ও উজানের ঢল কমে আসায় তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতির অনেটাই উন্নতি হয়েছে। তিস্তার পানি গত ২৫ ঘণ্টায় ৩৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও তলিয়ে আছে শতশত হেক্টর জমির আমন খেত।
এসব এলাকার কৃষকরা জানান, আকস্মিক বন্যায় আমন খেত তলিয়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলমান বন্যায় জেলার ৪৩১ হেক্টর জমির আমন খেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় এসব ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
অন্যদিকে পানি বাড়া-কমার সঙ্গে তীব্র হয়ে উঠছে তিস্তা পাড়ের ভাঙন।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, ব্রহ্মপু্ত্রের ভাঙনে ওই ইউনিয়নের খুদির কুটি গ্রামে তার নিজের বসতভিটাসহ ৬০টি পরিবারের বসতভিটা গত তিন দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ওই এলাকার আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়, দোতলা বিশিষ্ট বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ওই স্থাপনাগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, পানি কমার সঙ্গে ভাঙন শুরু হলেও কোনো ব্যবস্থা নেই প্রতিরোধে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাজারহাট উপজেলার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তার অববাহিকার আব্দুল মজিদ নামের একজন বলেন, ‘দুই দিনের বন্যায় আমাদের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। মরিচের আবাদ তো শেষ। এছাড়াও তিস্তা নদী ভাঙছে। আমরা খুব দুঃশ্চিন্তায় আছি।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বন্যার পানিতে প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত। এর মধ্যে রোপা আমনের ক্ষতি কম হলেও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘এখন সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে ভাঙন রোধে জরুরি কাজের অনুমতি না থাকার কারণে কাজ করতে পারছি না। অনুমতি পেলে ভাঙনকবলিত এলাকায় কাজ করা হবে।’
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বেড়েছে ১৬টি নদ-নদীর পানি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। কিছু এলাকায় ধান, বাদাম ও মরিচ খেত তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় কুড়িগ্রামবাসী।
ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাড়তে পারে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। তবে অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, রবিবার থেকে পানি কমতে পারে। তিস্তা বাদে সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং কাঁচা সড়ক ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে নদ-নদীর পানি, ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম বলেন, তার উপজেলায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি অফিসের তথ্যমতে, তিন শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমি ফসলের খেত পানির নিচে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন খেত তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিপৎসীমার নিচে গোমতী নদীর পানি, কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মো. আশরাফ আলী (৫০) ও আইনুল ইসলাম (৩৮) নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা মাঝের চর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ২ দিনমজুরের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, বিকাল ৪টার দিকে আশরাফ ও আইনুল গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে নিহত হন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা আইনুল ও আশরাফের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে নিহত কৃষকদের খবর পেয়েছি। থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু, আহত ১
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে মাইক্রোবাস চাপায় মেয়ে নিহত, বাবা আহত
কুড়িগ্রামে মাইক্রোবাস চাপায় আয়শা আক্তার (১৯) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তার বাবা আনিছুর রহমান।
কোচিংয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বাবার সঙ্গে রংপুরে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।
আয়শা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী শিমুলতলা এলাকার পল্লি চিকিৎসক আনিছুরের মেয়ে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
আয়শা নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
আয়শার চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাবা আনিছুর মেয়ে আয়শাকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের নব্দীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আয়শার মৃত্যু হয়। আহত হন আনিছুর। স্থানীয়রা আনিছুরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব সজিব বলেন, রংপুর যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ফুলবাড়ী উপজেলার এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে বার্তা এখনও আসেনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ে নিহত
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা-খরায় পাটে ক্ষতি ৫৬ কোটি টাকা
খরা,অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কুড়িগ্রামের কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে পাট, আমন বীজতলা,শাক সবজি ও আউশসহ বিভিন্ন ফসলের হাজার হাজার হেক্টর জমির আবাদ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের পাটের আবাদ। তথ্যমতে জেলায় এবার কৃষিতে ১০৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর এই ক্ষতির পরিমাণের অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে পাটে।
ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর ও জিঞ্জিরাম এই পাঁচ আন্তঃসীমান্ত নদীসহ ১৬ নদ নদীর জেলা কুড়িগ্রাম। যার ফলে বন্যাসহ নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে লেগেই থাকে। এ বছর এপ্রিল ও মে মাসে বৃষ্টি হয়নি। খরার তীব্রতাও ছিল বেশি। এরপর পুরো জুন মাস ধরে অতিবৃষ্টি হয়েছে। যার পরিমাণ ১ হাজার ১০০ মিলিমিটার বলে জানিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস। পরের মাস জুলাইয়ের প্রথম থেকে শুরু হয়েছে বন্যা। দুই সপ্তাহ ধরে বন্যা চললেও এখন পর্যন্ত নিম্নাঞ্চল থেকে পুরোপুরি পানি নেমে যায়নি।
আরও পড়ুন: খরায় পুড়ছে আম, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষীরা
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সোনালি আঁশখ্যাত পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও খরার কারণে তা অর্জিত হয়নি। আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ২৫৬ হেক্টর জমিতে। এরপর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ২ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমির পাট সম্পূর্ণরুপে নষ্ট হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের কারণে বিচ্ছিন্ন যাত্রাপুর এবং ধরলা নদীর কারণে বিচ্ছিন্ন পাঁচগাছী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানিতে ডুবে থাকায় অনেক জমির পাট গাছ মরে গেছে। চাষিরা সেই পাট গাছ কেটে এনে পাটখড়ি হিসেবে ব্যবহারের জন্য শুকাচ্ছেন। কিছু কিছু চাষি পাট জাগ দিয়ে ফসল ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। তবে যেসব ক্ষেত থেকে পাট পাওয়া গেছে তার উৎপাদন ও মান ভালো হয়নি। ফলে লাভ তো দূরে থাক, আবাদ খরচ তোলা নিয়ে দুঃশ্চিতায় পড়েছেন পাটচাষিরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র পাড়ের ঘন শ্যামপুর এলাকার রহিমুদ্দিন নামের একজন কৃষক বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে পাট কাটা যেত। এর মধ্যে বন্যায় পাট তলিয়ে সব গাছ মরে গেছে। এখন খড়ি করা ছাড়া কোন উপায় নাই। তাই পাট কেটে খড়ি হিসেবে শুকাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান জানান, জেলায় এবার ২১ হাজার ৩৪৬ জন কৃষকের ১০ হাজার ২৪০ মেট্রিকটন পাট উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৫৬ কোটি টাকার মতো বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নিম্নাঞ্চল থেকে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রোপা আমন আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি দেরিতে নামলে আগাম রবি ফসল আবাদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: ডক্টর আবেদ চৌধুরীর পঞ্চব্রীহি ধান: উদ্ভাবন, চাষ পদ্ধতি ও সম্ভাবনা
৩ মাস আগে
কুড়িগ্রাম শহর পরিষ্কার ও যানজট নিরসনে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
কুড়িগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও যানজট নিরসনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) দাদামোড়, ঘোষপাড়া, পৌরবাজার, কলেজমোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় তাদের।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল
পাশাপাশি পৌরসভার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলমান না থাকায় শিক্ষার্থীরা কোমর বেঁধে ঝাড়ু হাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছে।
অটোচালক খয়বর বলেন, ‘বাচ্চাগুলো গরমের মধ্যে খুব কষ্ট করে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। দেখে ভালো লাগছে।’
অটোযাত্রী নাজমা বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের জন্য গর্ব হচ্ছে। তারা ঘরে ঠিকমতো কাজ করে কি না জানি না। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কার ও শহর পরিচ্ছন্নতায় তারা অনন্য অবদান রাখছে।’
সড়কে দায়িত্ব পালন করা ও পরিচ্ছন্নতা কাজে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী নাহিদ, মিলন, রিয়া, রুহি ও রাকিব জানায়, তারা পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। পাশাপাশি সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। যারা হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন তাদেরও সচেতন করছেন।’
এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনে শিক্ষার্থীরা
৩ মাস আগে
নদীতে গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরের বুড়ি তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে মীম (১১) ও হাসি (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের বাগচির খামার ইন্দারারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিংড়ায় আত্রাই নদীতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
নিহত মীম উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের বাগচির খামার ইন্দারারপাড় এলাকায় মোন্নাফ মিয়া এবং হাসি একই এলাকার হাবিবুর রহমানে মেয়ে।
উলিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলক চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘বুড়ি তিস্তা নদীতে শুক্রবার দুপুরে দাদি হাসেনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে হাসি ও মীম গোসল করতে যায়। গোসলের উদ্দেশ্যে দুই শিশু পানিতে ডুব দেয়। ১৫ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পরও তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে তাদের দাদির চিৎকারে লোকজন এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে নদী থেকে হাসি ও মীমের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
৩ মাস আগে