কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় মা-মেয়ে নিহত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার যাত্রী মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের ঘুন্টিঘর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভূরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের মাহিগঞ্জ চান্দনীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে মুন্নী আক্তার।
স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে ভুরুঙ্গামারীর দিকে যাওয়ার সময় সোনাহাট স্থলবন্দরগামী একটি ট্রাকের চাপায় দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় ভেতরে থাকা যাত্রীরা আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুন্নিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক-পিকআপ-মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের রংপুর স্থানান্তর করা হলে সেখানে যাওয়ার পথে মোমেনা বেগমের মৃত্যু হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম বলেন, লাশগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি, শীতবস্ত্রের দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্র দাপট ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট ও প্রকৃতি। এ অবস্থায় শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘের আড়ালেই থাকছে। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে নিম্নগামী হতে থাকে তাপমাত্রা। এ সময় তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
এছাড়া চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার তিন শতাধিক চর ও দ্বীপচরের হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমোহন বলেন, ‘ ঠান্ডায় খুব কষ্টে আছি। কাজও করতে পারছি না সময় মতো। সোমবার থেকে ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। আবার রাতেও বিছানায় খুব কষ্ট হয়। আমরা তো গরিব মানুষ ২ থেকে ১টা কম্বল পাইলে খুব উপকার হতো।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের মাঝামাঝি নাগাদ শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
১ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় ৬ জেলে আটক
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বড়ভিটার চর এলাকায় ইলেকট্রিক শক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার সময় ছয় জেলেকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দুটি ইলেকট্রিক মেশিন জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে আটক জেলেদের চিলমারী মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে নৌবন্দর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের পরিদর্শক ইমতিয়াজ কবির।
আরও পড়ুন: নৌকাসহ ১৮ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে মিয়ানমার
আটকরা হলেন- চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়ারী এলাকার শ্রী শ্রী মিলন চন্দ্র দাশ (৪১), নয়ন চন্দ্র দাশ (৩২), একই ইউনিয়নের ফকিরেরভিটা এলাকার মিলন মিয়া (৩৫) ওই ইউনিয়নের শিমুলতলি বাধ এলাকার আবু বকর সিদ্দিক (২৪) ফকিরেরভিটা এলাকার সাদ্দামসহ (৩০) ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বড়ভিটা জেলে পাড়া এলাকার শ্রী চন্দন কুমার বিশ্বাস (৩২)।
এর আগে রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান চালিয়ে ছয়জন জেলেকে আটক করে। এ সময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মেশিনও জব্দ করা হয়।
চিলমারী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব সজীব জানান, আটক ছয় জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা সম্পন্ন হলে আসামিদের কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৬ জেলেকে আটক
২ সপ্তাহ আগে
ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরও কমায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৭ ডিগ্রি থেকে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পুরো এলাকা।
শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেড-লাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে ক্ষেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। অপর দিকে, শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী ৪০৫টি চর ও দ্বীপ চরের হত দরিদ্র মানুষগুলো।
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহের রুহুল আমিন (৪০)বলেন, ৫ থেকে ৬ দিন ধরে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরেও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।
ওই এলাকার দিনমজুর আবু বক্কর (৫২)বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বের হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
৪ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
কুড়িগ্রামে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ অঞ্চলের শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বিভিন্ন রুটে যানবাহনগুলো বিলম্বে যাতায়াত করছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। পরে দিনের বেলা তাপমাত্রার কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে মধ্যরাত থেকে শীতের তীব্রতা অনুভূত হতে থাকে।
শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি,জ্বর,শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঠের পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘দুইদিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেকটা বাড়ছে। সারারাত বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’
ওই ইউনিয়নের রিকশা চালক রহমত বলেন, ‘সকালে যখন গাড়ি চালাই, তখন কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হয়। এখনি যে কুয়াশা, কয়দিন পরে কি হবে।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বর্তমানে শীতের সঙ্গে ঠান্ডার প্রকোপ কম থাকলেও আগামী সপ্তাহে হিমেল হাওয়া শুরু হতে পারে তখন আরও নিম্নগামী হতে পারে জেলার তাপমাত্রা।’
আরও পড়ুন: কম খরচে শীতকালীন ফসলের জাতভেদে ফলন বাড়ানো সম্ভব: বাকৃবি অধ্যাপক হারুন
৪ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুড়িগ্রামে বাসচাপায় মো. শামসুল আলম (৩২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় মসাইকেলে থাকা মো. আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে পৌর শহরের পচা মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত দুইজন সম্পর্কে আপন ভাই বলে জানা গেছে। তারা ওই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, শামসুল আলম ও তার ভাই আবুল কাশেম মোটরসাইকেলে নিজেদের কাজে যাচ্ছিলেন। রবিবার সকালে শহরের নাজিরা পচার মসজিদ এলাকায় পৌঁছলে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় চিলমারীগামী এস এন পরিবহনের একটি বাসের নিচে চলে যায় মোটলসাইকেলটি। এতে মোটরসাইকেল চালক শামসুল আলম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং সঙ্গে থাকা আবুল কাশেম আহত হন।
এরপর সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে বাসটি সরিয়ে নিলে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছি। কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। শুনেছি দুইপক্ষই স্থানীয়ভাবে বসে মিমাংসার চেষ্টা করছে।’
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে আ. লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
হত্যা মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে নুর তানু এবং উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টায় কুড়িগ্রাম শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু (৬০) কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী।
আহসান হাবিব রানা (৬১) একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উলিপুর উপজেলার এল.কে আমিন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: যুবদলের ২ কর্মী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
তবে গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু ও আহসান হাবিব রানা এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নন বলেও জানা গেছে।
ওসি নাজমুল আলম জানান, গ্রেপ্তার দুই আওয়ামী লীগ নেতা মামলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত আসামি। তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় তানু ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সোমবার (২৭ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
আরও পড়ুন: নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশিকের মৃত্যু: আওয়ামী লীগের ১০৪ জনের নামে মামলা
চলতি বছরের ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জমায়েতে ‘হামলায় আহত’ শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১০৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি করেন। রুহুল আমিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার গ্রামের বাসিন্দা এবং কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দায়েরকৃত মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে শহরের ভোকেশনাল মোড়ের বাসিন্দা এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা সাইদ হাসান লোবান, রাশেদুজ্জামান বাবু, জিল্লুর রহমান টিটু, কুড়িগ্রাম পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলাম, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল, আনিছুর রহমান চাঁদ, মোমিনুর রহমান মুমিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন নয়ন, সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম (আইয়ুব), কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিটন মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১০৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় হত্যা, শিক্ষার্থীদের আহত এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট জেলা শহরের ঘোষপাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জমায়েতের ওপর ধারালো ও ভোতা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিরা হামলা করে। তারা হত্যার উদ্দেশে মারপিট করে সাধারণ ও গুরুতর জখম করে।
তাদের কয়েকজনের হামলায় আন্দোলনের অংশ নেওয়া আশিকুর রহমান আশিক মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। পরে গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর ও ওসি সুকুমারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নিহত আশিক উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী মৃত্যুর সাত মাস আগে বিয়ে করেছিলেন।
ওসি নাজমুল আলম বলেন, ‘মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত এক জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।’
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার জমায়েত চেষ্টাকালে শহরে প্রবেশের বিভিন্ন পথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। শহরের শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জড়ো হয়।
অন্যদিকে শহরের দাদামোড়ে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর ও ওসি সুকুমারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২ মাস আগে
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
কুড়িগ্রামে বৃষ্টি ও উজানের ঢল কমে আসায় তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতির অনেটাই উন্নতি হয়েছে। তিস্তার পানি গত ২৫ ঘণ্টায় ৩৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও তলিয়ে আছে শতশত হেক্টর জমির আমন খেত।
এসব এলাকার কৃষকরা জানান, আকস্মিক বন্যায় আমন খেত তলিয়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলমান বন্যায় জেলার ৪৩১ হেক্টর জমির আমন খেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় এসব ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
অন্যদিকে পানি বাড়া-কমার সঙ্গে তীব্র হয়ে উঠছে তিস্তা পাড়ের ভাঙন।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, ব্রহ্মপু্ত্রের ভাঙনে ওই ইউনিয়নের খুদির কুটি গ্রামে তার নিজের বসতভিটাসহ ৬০টি পরিবারের বসতভিটা গত তিন দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ওই এলাকার আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়, দোতলা বিশিষ্ট বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ওই স্থাপনাগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, পানি কমার সঙ্গে ভাঙন শুরু হলেও কোনো ব্যবস্থা নেই প্রতিরোধে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাজারহাট উপজেলার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তার অববাহিকার আব্দুল মজিদ নামের একজন বলেন, ‘দুই দিনের বন্যায় আমাদের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। মরিচের আবাদ তো শেষ। এছাড়াও তিস্তা নদী ভাঙছে। আমরা খুব দুঃশ্চিন্তায় আছি।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বন্যার পানিতে প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত। এর মধ্যে রোপা আমনের ক্ষতি কম হলেও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘এখন সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে ভাঙন রোধে জরুরি কাজের অনুমতি না থাকার কারণে কাজ করতে পারছি না। অনুমতি পেলে ভাঙনকবলিত এলাকায় কাজ করা হবে।’
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বেড়েছে ১৬টি নদ-নদীর পানি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। কিছু এলাকায় ধান, বাদাম ও মরিচ খেত তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় কুড়িগ্রামবাসী।
ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাড়তে পারে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। তবে অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, রবিবার থেকে পানি কমতে পারে। তিস্তা বাদে সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং কাঁচা সড়ক ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে নদ-নদীর পানি, ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম বলেন, তার উপজেলায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি অফিসের তথ্যমতে, তিন শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমি ফসলের খেত পানির নিচে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন খেত তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিপৎসীমার নিচে গোমতী নদীর পানি, কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
২ মাস আগে