‘৩-সি’ নম্বর এই স্প্যান মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৫-১৬ নম্বর পিলারে স্থাপন করা হয়। এর আগে প্রথমে বৃহস্পতিবার এবং পরে শুক্রবার স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল। পিলারের কাছে পলি জমার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
পরে ড্রেজিং করার পর বিশাল ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি যথাস্থানে নোঙ্গর সম্ভব হয়। স্প্যান বসানো সম্পূর্ণ হওয়ার পর শনিবার বিকালে দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা এটি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওয়ানা দিয়ে ১৫ নম্বর খুঁটির কিছু কাছে নোঙর করে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে এটি রওনা হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দুপুরে রওনা হয়। পরে বৃহস্পতি এবং শুক্র এই দুদিন নোঙ্গর অবস্থায় পদ্মায় অবস্থান করে স্প্যানবাহী জাহাজটি।
ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে যায় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি খুঁটির মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯টি খুঁটি সম্পন্ন হয়েছে। ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯০টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৪টি স্প্যান বসেছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।