নদী
নদীতে গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরের বুড়ি তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে মীম (১১) ও হাসি (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের বাগচির খামার ইন্দারারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিংড়ায় আত্রাই নদীতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
নিহত মীম উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের বাগচির খামার ইন্দারারপাড় এলাকায় মোন্নাফ মিয়া এবং হাসি একই এলাকার হাবিবুর রহমানে মেয়ে।
উলিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলক চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘বুড়ি তিস্তা নদীতে শুক্রবার দুপুরে দাদি হাসেনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে হাসি ও মীম গোসল করতে যায়। গোসলের উদ্দেশ্যে দুই শিশু পানিতে ডুব দেয়। ১৫ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পরও তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে তাদের দাদির চিৎকারে লোকজন এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে নদী থেকে হাসি ও মীমের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ধলেশ্বরী নদীতে পিকনিকের নৌকা ডুবে কিশোরের মৃত্যু, নিখোঁজ ২
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে পিকনিকের নৌকা ডুবে লিমন হোসেন (১৪) নামে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুইজন ও আহত হয়েছেন চারজন।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার কুসুন্ডা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা মুন্নু মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিলের পানিতে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
নিহত লিমন হোসেন মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলার ধানকুরা ইউনিয়নের সাহেব আলির ছেলে। নিখোঁজ দুইজন হলেন, একই এলাকার দানেজ আলির ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫) এবং উত্তর কাউনার গ্রামের মৃত সেলিমের ছেলে রাসেল (১৪)।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার যমুনা সেতু দেখতে ৬০ জন ট্রলার করে নৌভ্রমণে যান। ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়।
এ সময় ট্রলার চালকসহ ভ্রমণকারী ৫৮ জন নদীর পারে উঠতে পারলেও দুইজন নিখোঁজ হন এবং পাঁচজন আহত হন। পরে আহতদের হাসপাতালে নিলে ডাক্তার লিমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির দল।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩
কর্ণফুলীতে নৌকায় ফেরির ধাক্কা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতিসহ ২ যাত্রী নিখোঁজ
লালপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে ৩ শিশু নিখোঁজ
নাটোরের লালপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই ভাইসহ তিন শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস নদীতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিখোঁজ দুই শিশু দিপু (১১) ও ওপু (১০) মহেষপুর গ্রামের কালাম সরদারের এবং সরদারের ছেলে জয় (১০)।
এলাকাবাসী জানায়, দুপুরে চার শিশু রামকৃষ্ণপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে এক শিশু উঠে আসলেও দিপু, ও ওপু নিখোঁজ হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবিরি দলকে তলব করা হয়েছে বলে জানান লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ।
তিস্তা নদী থেকে হাত বাঁধা যুবকের লাশ উদ্ধার
লামনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় তিস্তা নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের হাত বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরের দিকে মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ এলাকার বালুচর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, স্থানীয়রা মহিষখোচা তিস্তা সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ এলাকায় লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রাথমিক অবস্থায় লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তবে স্থানীয়দের ধারণা, লাশটি উজান থেকে ভেসে এসেছে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, ‘লাশটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিল থেকে সাবেক কাউন্সিলরের ভাসমান লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ২ দিন পর শরীয়তপুর হাসপাতালের বাথরুম থেকে রোগীর লাশ উদ্ধার
আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
আসামি ধরতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সলংগা থানার ধোপাকান্দি এলাকার স্বরস্বতী নদীতে আসামিকে ধরতে ঝাঁপ দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রেজাউল নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামের তোজাম্মেল হক শাহর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যান চাপায় বিএনপি নেতার মৃত্যু
তার স্ত্রী নাজমা উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে সিরাজগঞ্জ পুলিশ কোর্টে দায়িত্বে রয়েছেন এবং তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ডাকাতির মামলার আসামি নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার জন্য এসআই রেজাউল ফোর্সসহ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাজমুল স্বরস্বতী নদীতে ঝাঁপ দিলে তাকে ধরতে রেজাউলও নদীতে ঝাঁপ দেন। আসামি সাঁতরে নদী পার হলেও রেজাউল উঠতে পারেনি। পানির স্রোতে ডুবে যান তিনি।’
ওসি আরও বলেন, ‘পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আসামিকে ধরতে এরই মধ্যে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসআই রেজাউলের মৃত্যুতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ জনের মৃত্যু
মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ সংকট, বিপাকে জেলেরা
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলেরা হতাশ হয়ে ফিরছেন নদী থেকে। তাদের অধিকাংশই ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জেলেরা জানান, ইলিশের আশায় তারা নদীতে গেলেও তাদের খরচের টাকা উঠছে না। উপরন্তু বাড়ছে এনজিও ও মহাজনের ঋণের বোঝা। এছাড়া এ পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, নদীর পানি আরেকটু বাড়লে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাবে।
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী থেকে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ইলিশ আহরণ করা হলেও এবার ভরা বর্ষায় জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে তা দিয়ে ট্রলারের ইঞ্জিনের তেলের দামসহ অন্যন্য খরচও উঠে না।
ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা ও তুলাতুলি মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদারদের মাছের বাক্সগুলো খাঁ খাঁ করছে। জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট বড় ঘাটের এখন এমন অবস্থা। জেলেদের পাশপাশি আড়তদাররাও রয়েছেন বিপাকে।
মাছের আড়তদাররা জানান, জেলেসহ তারাও বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন। নদীতে ইলিশের সংকট থাকায় তারাও দেনায় জড়িয়ে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
টাঙ্গন নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কলেজছাত্র রায়হান ইসলামের (১৭) লাশ দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুরে শাহপাড়া এলাকা থেকে বুধবার (১০ জুলাই) রায়হানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
রায়হান ইসলাম মুজিবনগর গ্রামের শহিদের ছেলে ও স্কলার্স কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
রায়হান ইসলামের বড় বোন রুমি আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায় এ কথা কেউ জানায়নি। পরের দিন ৯ জুলাই সকালে জানতে পেরে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।’
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার সকালে উদ্ধার কাজ শুরু করে রংপুর থেকে আসা ডুবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিস। দুই ঘণ্টা পর খবর আসে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ওই শিক্ষার্থীর লাশ ভেসে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে শাহপাড়া নদীর ঘাটের মোহনা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
বিপৎসীমার ওপরে মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা এলাকায় বুধবার (৩ জুলাই) সকালে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টায় শহরের মনু সেতুর কাছে চাঁদনীঘাটে মনু নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং সদর উপজেলার শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এ এলাকায় কুশিয়ারার স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নেই। গ্রামীণ সড়কটিই প্রতিরক্ষা বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নতুন করে ভাঙনের ফলে আশপাশের গ্রামগুলো বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপরে বইছে ১৬ নদীর পানি
কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। এর মধ্যে বুধবার সকালের দিকে হামরকোনা মসজিদের কাছে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে গ্রামের ভেতর পানি প্রবেশ করছে।
ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জুড়ী নদীর পানি অনেক দিন ধরেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার ৯টায় জুড়ীর পানি বিপৎসীমার ১৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনার ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২০ ফুট জায়গা ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের দিকে পানি ঢুকছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পানিপ্রবাহ বন্ধ করা না গেলে হামরকোনা, ব্রাহ্মণগ্রাম ও শেরপুর বাজারের একাংশ প্লাবিত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকে মৌলভীবাজারে মনু, কুশিয়ারাসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। মনুর পানি মৌলভীবাজার শহরের মনু সেতুর কাছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। একই জায়গায় বুধবার সকালে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে সদর উপজেলার শেরপুরে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল ৮ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার বা বিপৎসীমার নিচে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেখানে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলপুর ইউনিয়নের যেদিকে বাঁধ ভেঙে কুশিয়ারা নদীর পানি গ্রামে ঢুকছে, সে এলাকায় পাউবোর কোনো বাঁধ নেই। একসময় প্রতিরক্ষা বাঁধ হলেও এটি এখন মূলত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি গ্রামীণ সড়ক। কুশিয়ারা নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠলে বাঁধটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করে।
পাউবো মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘কুশিয়ারায় পানি বাড়লে মনুর পানি কমবে না। কুশিয়ারা নদীর খলিলপুর এলাকায় পাউবোর স্থায়ী কোনো বেড়িবাঁধ নেই। হামরকোনায় এলজিইডির রাস্তা ভেঙে খলিলপুর ইউনিয়নে পানি ঢুকছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৬০০০ মানুষ পানিবন্দি
সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা
নদীতে পড়ে আদিবাসী শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঢেপা নদীর পানিতে পড়ে বিশাল হেম্রম নামে এক আদিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) ঢেপা নদীর পাড়ে খেলা করার সময় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় আরেকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বিশাল উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের খামার খড়িকদম গ্রামের অনিল হেম্রমের ছেলে। জীবিত উদ্ধার হয়েছে বৈঠক হেম্রমের ছেলে লয়েন হেম্রম।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ঢেপা নদীর পাড়ে খেলার সময় শিশু বিশাল ও লয়েন পানিতে পড়ে গিয়েছিল। স্হানীয়রা লয়েনকে উদ্ধার করতে পারলেও মারা গেছে বিশাল হেম্রম।
তিনি বলেন, পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বগুড়ায় মুরগির খামারিকে ড্রেনের পানিতে চুবিয়ে হত্যা
বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুন: ১ জনের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় ১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ড হয়। দুপুরে সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
এর আগে দুপুর ২টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ট্রলার থেকে পুড়ে যাওয়াএক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত আরেক শ্রমিককে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা একজনের লাশ উদ্ধার করেছি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে নদীর তীর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার