শনিবার দুপুর সোয়া ২টা থেকে বিভিন্ন স্টেশনে আটকাপড়া ট্রেনগুলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
এর আগে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস শ্রীমঙ্গলে এসে দাঁড়িয়ে ছিল। আরেকটি লোকাল ট্রেনও স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল।
ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস সিলেট থেকে ছেড়ে আটকে ছিল বরমচাল ভাঙা ব্রিজের পাশে। আটকে ছিল সিলেট থেকে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসও।
বরমচাল স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল থেকে সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। বরমচালে খালে ছিটকে পড়া উপবন ট্রেনের বগি উদ্ধারের কাজ চলছিল, তাই এই লাইনে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। উদ্ধার কাজ শেষ হলে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এদিকে কুলাউড়ার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মুহিব উদ্দিন আহমদ জানান, খালে রেলের বগি থাকায় পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। যার ফলে ঝুঁকি বাড়ছে সেতুটির। তাই দ্রুত উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকার কাছেই সেতু ভেঙে আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কয়েকটি বগি খালে পড়ে যায়। এছাড়া আরও তিনটি বগি স্থলভাগের সীমানায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। মোট পাঁচটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় লোকজনও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
এ ঘটনায় নিহত হন চারজন এবং আহত হন শতাধিক যাত্রী। এ দুর্ঘটনার কারণে ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকে সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ।