সিলেট
অপহরণের পর বিবস্ত্র করে মুক্তিপণ আদায়, সিলেটে গ্রেপ্তার ২
সিলেটে এক ব্যক্তিকে অপহরণ পরবর্তীতে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন—র্যাব-৯।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের একটি দল সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন— ওই এলাকার বাসিন্দা আহমদ হোসেন মাহিন (৩০) এবং শরীয়তপুর জেলার নাড়িয়া থানার হালইসার এলাকার বাসিন্দা সুহেল আহমদ (২৪)। আর ভুক্তভোগী সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সোনারখেওড় এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে ভুক্তভোগী সিলেট আদালতে একটি মামলায় হাজিরা শেষে বাসে চড়ে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। অপহরণকারীরা দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলী ওভার ব্রিজের পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর চলন্ত বাসের গতিরোধ করে একটি মাইক্রোবাসে করে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান। মাইক্রোবাসে তুলে তারা তার দুই চোখ কাপড় দিয়ে এবং দুই হাত পেছনের দিকে বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তারা ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে নির্যাতনের ভিডিও তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীর স্বজনরা তাকে বাঁচানোর জন্য ৮ লাখ টাকার মধ্যে পৃথকভাবে ৫ লাখ টাকা ও ৩ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রকে পাঠান। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সিলেটের তালতলা এলাকায় ভুক্তভোগীকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
১ দিন আগে
সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের তেরমাইল নামক স্থানে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই একজন এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর অন্যজন মারা যান। এ ছাড়াও আরও দুইজন মোটরসাইকেলআরোহী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন— গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়াসপুর গ্রামের আব্দুল আহাদ (৪২) এবং রানাপিং ছত্রিশ গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সাব্বির আহমদ (২১)।
আহতরা হলেন— উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজিল পুর গ্রামের মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে আরিফুল হক জয় (৩৫) এবং জুড়ি উপজেলার বাছিরপুর গ্রামের বাছিরপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে জাকির আহমদ (২০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল দুটি একই দিক থেকে যাচ্ছিল। উপজেলার গোয়াসপুর এলাকায় পৌঁছানোমাত্র পেছন থেকে আসা মোটরসাইকেলটি সামনের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুইটি মোটরসাইকেলের চালকসহ চারজন আরোহীই ছিটকে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম।
১ দিন আগে
সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিন্দাবাজার এলাকার পাঁচ পীরের মাজারের ভেতরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, জিন্দাবাজার এলাকায় পাঁচ পীরের মাজারের ভেতরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
৩ দিন আগে
সন্তানের অভাব পূরণে শিশু চুরি, ৪৮ দিন পর যুবক আটক
সিলেটের হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারের নারী ইবাদতখানার সামনে থেকে শিশু চুরির ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধরা পড়ার পর নিজেদের সন্তান নেই, তাই শিশুটিকে প্রতিপালনের জন্য চুরি করেছিলেন বলে সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।
গত ২৮ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার বাল্লা গ্রামের শাকিল আহমদের দেড় বছরের মেয়ে সিনহা আক্তার তাবাসসুমকে চুরি করে নিয়ে যান মো. আলী (২৭)। এরপর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মাজার এলাকা থেকেই তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. আলী (২৭) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা। তবে কাজের সুবাদে তিনি হবিগঞ্জে থাকেন।
এদিকে, মেয়েকে হারিয়ে ঘর ভাঙার উপক্রম শিশুটির মা রেহানা বেগমের (২৮)।
তিনি জানান, আরও কয়েকটা বাচ্চার সঙ্গে খেলার জন্য নিজের মেয়েটিকে তিনি কোল থেকে নামিয়ে দেন। একপর্যায়ে খেয়াল করেন, তার মেয়েটিকে কোলে নিয়ে এক যুবক দ্রুত হাঁটছেন। তিনিও দ্রুত হেঁটে তাকে ধরতে গেলে মুহুর্তের মধ্যে ভিড়ের মধ্যে লোকটিকে হারিয়ে ফেলেন তিনি।
এরপর রেহানার জীবনে নেমে আসে নরক যন্ত্রণা। মেয়েকে হারিয়ে বাড়ি ফেরায় তার স্বামী তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। মানসিক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ঘুরতে থাকেন রাস্তায় রাস্তায়। তার পর থেকে হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার প্রাঙ্গণ ও গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জে দৌড়াদৌড়ি করেই তার দিন পার হচ্ছিল। তবে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় অধিকাংশ সময় তিনি মাজার প্রাঙ্গণেই পড়ে থাকতেন। শিশুটিকে হারানোর পর সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন তিনি।
রেহানা বলেন, মেয়েকে হারিয়েছি ৪৮ দিন হয়ে গেছে। গতকালও (সোমবার) দরগাহ প্রাঙ্গণে হাঁটছিলাম। সেখানে হঠাৎ সেই যুবককে দেখতে পাই, যে আমার মেয়েকে নিয়ে হাওয়া হয়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয়দের জানালে সবাই মিলে তাকে আটক করে। এরপর জিডির তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন করলে তিনি এসে লোকটিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মো. আলী স্বীকার করেছে যে, মেয়েটি তার স্ত্রীর কাছে আছে। তাদের কোনো সন্তান নেই। তাই লালন-পালন করতেই ওকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে রেহানা বলেন, ‘তার বাচ্চা নেই, তাই বলে আমার মেয়েকে নেবে কেন?’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল জাকির বলেন, আলী আমাদের হেফাজতে আছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
৩ দিন আগে
শাবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার উদ্ভাবিত ‘আপন অ্যাপ’-এ হাতের মুঠোয় স্বাস্থ্যসেবা
জরুরি মুহুর্তে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ‘আপন অ্যাপ’ নামে একটি ওয়েব অ্যাপ পরিষেবা উদ্ভাবন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাহাত জামান নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এই ওয়েব অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই রক্তদাতার খোঁজ, ডাক্তারের চেম্বার ও নিকটস্থ অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে অ্যাপে আছে বিশেষ গ্যামিফিকেশন ব্যাজ। একইসঙ্গে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ফি ও রেটিং দেখে সহজেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নির্বাচন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অ্যাপটির ব্যবহার সম্পর্কে রাহাত জামান বলেন, ‘আপন অ্যাপ’ ব্যবহার করার জন্য আগে অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর ব্যবহারকারী যদি রক্তদাতা হন, তাহলে তিনি নিজের নাম ও ঠিকানা অ্যাপে যোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি ব্যবহারকারী চাইলে তার এলাকার ভালো চিকিৎসকদের চেম্বারের তথ্যও ম্যাপে যুক্ত করতে পারবেন, যাতে অন্য ব্যবহারকারীরা সহজে সেসব চিকিৎসকদের খুঁজে পান।
গুগল সার্চ বারে গিয়ে Apon.help লিখলেই এই ওয়েব অ্যাপটি খুঁজে পাবে বলে জানান উদ্ভাবক।
তিনি আরও বলেন, জরুরি অবস্থায় এক মিনিটের অপেক্ষা মানে জীবনের ঝুঁকি। সেই কঠিন সময়ে রোগীর পাশে থাকার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি একটি ম্যাপভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবা অ্যাপ। রোগীদের জন্য এটি হবে একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। আশা করি, মানুষ এই প্লাটফর্ম থেকে সুবিধা পাবে।
৪ দিন আগে
সিলেটে বিজিবি সদস্যদের ওপর মাদক কারবারিদের হামলা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে মাদক কারবারিদের হামলার মুখে পড়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে সে সময় বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, বিজিবি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ছয় থেকে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৬ থেকে ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চার রাস্তার মোড় ট্রলির লাইন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বিজিবি সূত্র জানায়, মাদক পাচারের সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় টহলে যান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া দিলে চালক মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যান। পরে সেখানে পড়ে থাকা ১৬৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির দাবি, তার অল্প সময়ের মধ্যেই ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে অতর্কিত হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এরপর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
বিজিবি-৪৮ সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, মাদক কারবারিদের ধরতে গিয়ে বিজিবি সদস্যরা হামলার শিকার হন। আত্মরক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ থেকে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৫ দিন আগে
মধ্যরাতে সিলেট অঞ্চলে দুইবার ভূমিকম্প
সিলেট ও মৌলভীবাজারে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে এবং এর পাঁচ মিনিট পর ২টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক অবজারভেটরির তথ্যমতে, রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৫ এবং উৎপত্তিস্থল সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায়। পরের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৩.৩ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বিয়ানীবাজারের পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসেন সিসমিক সেন্টারের বরাতে এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ভূমিকম্পের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ঢাকায় চারজন, নরসিংদীতে পাঁচজন ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় কয়েকশ’ মানুষ আহত হন।
৮ দিন আগে
সিলেটে সিআইডি কর্মকর্তাকে ছুরি মেরে পালাল আসামি
সিলেট নগরীর সাগরদীঘির পাড় এলাকায় সাইবার মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা খুরশেদ আলম আহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত খুরশেদ আলম সিলেট সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতরাতেই তার অস্ত্রোপাচার করা হয়।
জানা গেছে, সাগরদীঘির পাড় এলাকায় সোমবার রাতে একটি সাইবার মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে সাদাপোশাকে অভিযান চালায় সিআইডির একটি দল। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে এসআই খুরশেদ আলম আসামিকে ধরতে যান। তখন আসামি তার বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে খুরশেদ আলমকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিআইডি সিলেটের পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, সাইবার মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছে আসামি। আহত পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাঈনুল জাকির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
১০ দিন আগে
লন্ডন পাঠানোর নামে সিলেটে প্রতারণা, যশোরে ‘দম্পতি’ গ্রেপ্তার
লন্ডন পাঠানোর নামে সিলেটের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কথিত এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের কোতোয়ালী থানার সেক্টর ৭-এর ৬ নম্বর বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতারণার শিকার তরুণ-তরুণীরা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মুকিত মিয়া।
গ্রেপ্তাররা হলেন ঢাকার কদমতলী থানার রায়েরবাগ মিরজানগর সি ব্লকের বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিন আদিল (৩৫) ও তার কথিত স্ত্রী ফারজানা শারমীন সোমা (৩৭)।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) তাদের সিলেট নিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা জানান, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের এলিগেন্ট মার্কেটের এস আই ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ট্রাভেলসের মালিক ওই দম্পতি। সম্প্রতি তাদের প্রচারে আকৃষ্ট হয়ে লন্ডন যাওয়ার জন্য আইইএলটিএস সম্পন্ন করা অনেক তরুণ-তরুণী নিজেদের গহনা, জায়গা-জমি বিক্রি করে তাদের টাকা দেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে দেওয়ার নামে তারা জনপ্রতি ১৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।
এক তরুণী বলেন, অনেক কষ্ট করে, গহনা বিক্রি করে আমরা উনাদের টাকা দিয়েছি, কিন্তু পরে দেখি সবকিছু ভুয়া। আমরা এর ন্যায়বিচার এবং টাকা ফেরত চাই।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতারকরা বেশ কৌশলী ছিলেন। ভিসা হয়ে গেছে, এমন ছবি দেখিয়ে টাকা আদায় করেছেন তারা। পরে দেখা গেছে, ভিসা সঠিক নয়। এরপর অফিসে গেলে তা খোলা পাওয়া যায়নি। এমনকি তারা তাদের মোবাইলও বন্ধ করে দেন। হতাশায় জর্জরিত ভুক্তভোগীরা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যশোর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
১১ দিন আগে
বিয়ানীবাজারের সবুজ দুনিয়া সংকুচিত, অতিথি পাখি উধাও
শীতের মৌসুম চলে এলেও সিলেটের বিয়ানীবাজারে এবার কোথাও অতিথি পাখির দেখা মিলছে না। জলাশয়, জলাধার, খালবিল, নদীনালা—কোথাও এ বছর অতিথি পাখির কলরব নেই।
১০ বছর আগেও উপজেলার বিভিন্ন বিল, ঝিল, নদীনালা ও খালগুলোতে শীতের মৌসুম আসতে না আসতেই নানা জাতির ও আকৃতির অতিথি পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠত পুরো উপজেলা। কিন্তু অরণ্যাঞ্চল সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় পরিযায়ী পাখিরা তাদের গন্তব্য বদলেছে।
বিয়ানীবাজারে গত কয়েক বছর ধরেই বনভূমি উজাড়ের মহোৎসব চলছে। কংক্রিটের ভারে হারিয়ে যেতে বসেছে গাছগাছালি। ফসলের খেতে কীটনাশক ও ঘাস মারার বিষ প্রয়োগের ফলে ঘাসজমির দেখা পাওয়াও এখন অনেকটা দুর্লভ। ফলে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য হারিয়ে পাখিদের কোলাহল ক্রমেই কমে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, এখানকার গ্রামাঞ্চলে এখন আর আগের মতো পাখির ডাকে মানুষের ঘুম ভাঙে না। বাড়ির আঙিনায় পাখিদের কিচিরমিচির ডাক, গাছের ডালে ডালে ঝাঁক বেঁধে উড়ে আসা পাখিদের সেই কলকাকলি আর নেই। অথচ একসময় ছিল যখন গাছে গাছে, ঝোপ-ঝাড়ে, মাঠ-ঘাটে, বিলে-ঝিলে, বাগানে কিংবা বাড়ির আঙিনায় দোয়েল, টিয়া, ঘুঘু, কাক, কোকিলসহ বিভিন্ন দেশি প্রজাতির পাখির বিচরণ চোখে পড়ত।
শীতের আমেজ শুরু হলেই উপজেলার মুড়িয়ার হাওরসহ ছোট-বড় বিলে আগে বিভিন্ন অতিথি পাখির ঢল নামত। আশ্বিন মাসের শেষের দিকে হাওর ও বিলের পানি শুকাতে শুরু করলে সেখানে পুঁটিসহ ছোট ছোট মাছ খেতে ঝাঁকে ঝাঁকে নামত দেশি বকসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে শীতের ছোঁয়া গায়ে লাগিয়ে বসন্তে আবারও নিজ দেশে পাড়ি জমাত অতিথি পাখিরা। কিন্তু উপজেলার চিরচেনা অভয়ারণ্যগুলোতেও এবার পাখির বিচরণ নেই। অতিথি পাখি আসার হার আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
১২ দিন আগে