সিলেট
সিলেট সীমান্তে ৭০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
সিলেট সীমান্তে বিজিবির পৃথক অভিযানে ৭০ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানান।
এতে বলা হয়, বুধবার (২০ নভেম্বর) বিজিবি সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি রসুন, সুপারি, ভারতীয় মোটসাইকেল এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী নৌকাসহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্য আটক করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৩ হাজার ৯০০ টাকা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতীয় কসমেটিক্সসহ ৫০ লাখ টাকার পণ্য জব্দ
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি'র আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান চালিয়ে চোরাচালানের মালামাল জব্দ করা হয়।
আটক চোরাচালানের মালামালের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাংনীতে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, ইউপি সদস্য আটক
১ দিন আগে
সিলেটে ভারতীয় কসমেটিক্সসহ ৫০ লাখ টাকার পণ্য জব্দ
সিলেট সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় কসমেটিক্স, গরু, চিনি ও মাদকসহ অর্ধকোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
সোমবার ও মঙ্গলবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব ভারতীয় পণ্য জব্দ করেন বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
মঙ্গলবার বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: গাংনীতে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, ইউপি সদস্য আটক
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তের শূন্য লাইনের নিকটবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার ২৫০ পিস ভারতীয় স্কিন শাইন ক্রিম, চারটি গরু ও ২০০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়। জব্দ করা এই পণ্যগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
অন্যদিকে সোমবার জৈন্তাপুর, সুরইঘাট, লোভাছড়া ও ডোনা বিওপির বিজিবি সদস্যরা জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ বোতল ভারতীয় মদ, ২৫ ক্যান বিয়ার, ৯টি গরু ও মহিষ, ৫৮৫ কেজি চা পাতা ও ৪০০ কেজি চিনি জব্দ করে। জব্দ করা ভারতীয় পণ্য ও পশুর মূল্য ১১ লাখ ২০ হাজার ৭৫০ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: যৌথবাহিনীর অভিযানে ২৪৬০ কেজি পলিথিন জব্দ, ৩ কারখানা সিলগালা
২ দিন আগে
সিলেটে ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী আটক
সিলেটে ঝটিকা মিছিলকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে র্যাব ও পুলিশ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে নগরের মধুশহীদ ও এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সিলেট এয়ারপোর্ট থানা শাখার সহসভাপতি রাকিবুল হাসান ও তার এক সহযোগী।
এছাড়া মধুশহীদ এলাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হন অনিক দেবনাথ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। তিনি নগরের জিন্দাবাজার রাধাগোবিন্দ মন্দিরের মানিক চন্দ্রনাথের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাংনীতে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, ইউপি সদস্য আটক
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল।
অনিক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে নিশ্চিত করেন এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক।
র্যাব ও কোতোয়ালি পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে হঠাৎ করে সিলেট নগরীতে ঝটিকা মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ঝটিকা মিছিলের প্রধান আহ্বায়ক ছিলেন সিলেট এয়ারপোর্ট থানার সহসভাপতি রাকিবুল হাসান। তার নেতৃত্বে সোমবার দরগাহ গেইট এলাকা থেকে ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টের আগেই ছত্রভঙ্গ হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় মিছিলকারীদের হাতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা একটি ব্যানার ছিল।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি টিপু আটক
২ দিন আগে
সিলেটের সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক সংস্কারে 'রাস্তার পেট কেটে' মাটি ভরাটের অভিযোগ
গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও, তোয়াকুল, রুস্তুমপুর, বিছনাকান্দি, পশ্চিম জাফলং, গোয়াইনঘাট সদর, লেঙ্গুড়া ও মধ্য জাফলং ইউনিয়নবাসীর একমাত্র চলাচলের রাস্তা সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা উপজেলা সদর ও জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমও এ সড়ক।
এলাকাবাসীর পাশাপাশি এ সড়ক দিয়ে দেশ-বিদেশি হাজার হাজার ভ্রমণ পিয়াসু পর্যটক বিছনাকান্দি ও পান্তুমাই বেড়াতে আসেন।
সড়কটি সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসিএল অ্যান্ড এমডিএইচের (জেভি) বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও এবারে প্রকাশ্যে উঠে এসেছে ‘সড়কের পেট কেটে’ রাস্তা ভরাটের অভিযোগ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে এ অভিযোগের সত্যথা পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় সড়কের পাশ থেকেই এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা ভরাট করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে গাজীপুর: গবেষণা
স্থানীয় বাসিন্দা নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আফতাব আলী, নিজাম উদ্দিন, সমাজসেবী আব্দুল হাসিম চৌধুরী জানান, সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ হচ্ছে দশগাঁও মসজিদের বাজার থেকে সালুটিকর বাজার পর্যন্ত। সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ এ অংশ প্রতি বছর বন্যার পানিতে বেশ কয়েকবার তলিয়ে যায় এবং এ অংশে পানির স্রোত বেশি থাকে। বর্তমানে দামারী বিল এলাকায় এক্সকেভেটর দিয়ে রাস্তার পেট কেটে ভরাট করা হচ্ছে বৃষ্টি হলেই সেখানে রাস্তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
রাস্তার পাশ থেকে এভাবে মাটি কাটার দৃশ্য দেখে পথচারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর থেকে সালুটিকর বাজার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের জন্য ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। মূলত রাস্তায় মাটি ভরাট করার কথা অন্য কোনো স্থান থেকে মাটি এনে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা না করে রাস্তার পাশ থেকেই মাটি কেটে ভরাট করছেন। এটি নিয়মবহির্ভূত।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসিএল অ্যান্ড এমডিএইচের (জেভি) স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তার পেট কেটে মাটি ভরাটের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
এ সড়ক সংস্কার কাজে এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী আজমীর শরীফ বলেন, রাস্তার পেট কেটে মাটি ভরাট করতে আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধ করেছি। কিন্তু উনারা আমাদের কথা না শুনে তাদের মতো কাজ করছেন।এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পেট কেটে মাটি ভরাট করতে আমরা নিষেধ করেছি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য এই প্রতিবেদক সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জেএম ফারুকের মোবাইলে ফোন করলে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, রাস্তার পেট কেটে মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাটের প্রশ্নই আসে না। রাস্তা নিরাপদ রেখে মাটি কাটার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
২ দিন আগে
সিলেটে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ডোবার পানিতে ডুবে মিম আক্তার (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের টুকইর যথনাথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিম আক্তার উপজেলার টুকইর যথনাথা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, মিম দুপুরে খেলতে গিয়ে সবার চোখের আড়ালে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে যায়। স্বজনরা ডোবার পানি থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুই বছরের শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
২ দিন আগে
সিলেটে মজুরি-রেশন পরিশোধের দাবিতে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল
সরকারি মালিকানার ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) ১২টি চা-বাগানসহ সকল চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি-রেশন অবিলম্বে পরিশোধ ও পিএফ চাঁদা জমা দেওয়ার দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেবাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ২টায় নগরীর ক্বিন ব্রিজ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে মিছিল শুরু করে জিন্দাবাজার প্রদক্ষিণ করে তারা।
এসময় মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস যাবত সরকারি মালিকানার এনটিসির ১২টি বাগানের প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক মজুরি-রেশন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শ্রমিকরা অন্তবর্তী সরকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে দাবি জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে গত ২৬ দিন যাবত লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন। কিন্ত তাতেও সরকারের টনক নড়ছে না।
তারা বলেন, মজুরি-রেশন না পেয়ে এনটিসির বাগানসমূহের প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ আজ অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির সময়ে দৈনিক মাত্র ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে এমনিতেই চা-শ্রমিকদের অর্ধাহার-অনাহারে কাটাতে হয়। তার উপর যদি শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে শ্রমিকদের কি অবস্থায় পড়তে হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শুধু এনটিসির বাগানই নয়, সমগ্র চা-শিল্পের শ্রমিকরা আজ কঠিন সময় পার করছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর চা-শ্রমিকদের মজুরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হতে চললেও ২০২৩-২৪ সালের মজুরি নির্ধারণ করা হয়নি। এব্যাপারে অতীতের ন্যায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বিকার। অনেক বাগানে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রায়ই আটকে রাখা হচ্ছে।
এনটিসি, দেউন্দি টি কোম্পানি, সিলেট টি কোম্পানিসহ তারাপুর, ফুলতলা, ইমাম-বাওয়ানী, মোমিনছড়াসহ ব্যক্তিমালিকাধীন চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন ঠিক মতো পরিশোধ করা হচ্ছে না। আবার মাসের পর মাস চা-শ্রমিকদের পিএফ চাঁদাও ফান্ড অফিসে জমা দেওয়া হচ্ছে না। মজুরি পরিশোধের ক্ষেত্রে চা-শ্রমিকরা নানা রকম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আইন অনুযায়ী ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের মজুরি স্থায়ী শ্রমিকের সমান হলেও অনেক বাগানে কম মজুরি দেওয়া হচ্ছে এবং উৎসব বোনাস সকল শ্রমিকের সমান হলেও হাজিরার উপর নির্ভর করে বোনাস দিয়ে শ্রমিকদের ঠকানো হচ্ছে। চা-শ্রমিকদের এই সকল বঞ্চনার ব্যাপারে মালিক-সরকার ও দালাল নেতারা নির্বিকার। তাই চা-শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার এই কঠিন সময়ে অতীতের শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হতে হবে।
সিলেট জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিনারায়ন হাজরা, নারী চা-শ্রমিক লক্ষ্মী রানী বাক্তি, হোটেল শ্রমিকনেতা সাদেক মিয়া, স’মিল শ্রমিকনেতা রুহুল আমিন, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে চা-শ্রমিক নেতারা সুস্থভাবে বেঁচে থাকা ও উৎপাদনে সক্রিয় থাকার প্রয়োজনে বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে ৬ সদস্যের পরিবারে ভরণ পোষণের খরচ হিসাব করে ২০২৩-২০২৪ মেয়াদের জন্য নিন্মতম মজুরি নির্ধারণ এবং একটি পরিবারের সাপ্তাহিক প্রয়োজনের অনুপাতে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, চা-পাতাসহ পূর্ণ রেশন প্রদান, ভূমির অধিকার প্রদান, চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রম আইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ করে শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান, বকেয়া মজুরিসহ নিয়মিত সকল চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি-রেশন পরিশোধ, প্রতি মাসের পিএফ চাঁদা ফান্ড অফিসে জমা দেওয়া এবং ৯০ দিন কাজ করলেই সকল শ্রমিককে স্থায়ী করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতারা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি, উৎপাদনে ধস
৫ দিন আগে
সিলেটে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনসহ ২১৩ জনের নামে মামলা
সিলেটে বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন ও সেলিনা মোমেনসহ ২১৩ জনকে অসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারের জালালপুরের সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত তফুর আলীর ছেলে মো. আলাল মিয়া মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন ছাড়াও সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫০), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৬১), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খানসহ ১৫৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলায় খায়রুন ভবনের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান রামদা ছিটা, গুলি চাইনিজ কুড়াল ককটেল পেট্রোল বোমা সাউন্ড গ্রেনেডসহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে।
আন্দোলনকারীদের মারধর করে ককটেল বোমা, সাউন্ড গ্রেনেড, পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বাদী পেশাগত কাজ শেষে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। গুরুতর জখম অবস্থায় বাদীকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। চিকিৎসাধীন থাকার কারণে মামলা দায়েরে দেরি হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৩ জন রিমান্ডে
৬ দিন আগে
সিলেটে ৬৪ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৪ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্ধার করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে ৪০৩টি শাড়ি এবং ২ হাজার ৪১টি সানগ্লাস। এছাড়া, সিলেটের একটি কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত তিনটি বারকি নৌকাও জব্দ করেছে বিজিবি।
বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, জব্দ করা ভারতীয় পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় ৬৪ লাখ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১ সপ্তাহ আগে
সিলেটে ভাইয়ের সঙ্গে জমির বিরোধে খুনের অভিযোগ
সিলেটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সুলতান আহমদ নামের এক যুবক আপন চাচাতো ভাই হুসেন আহমদকে গলাকেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বাউরভাগ নয়াগাউ গ্রামে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে গ্রামবাসী সুলতানকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে হুসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সুলতান ও তার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে সুলতান ধারালো অস্ত্র দিয়ে আপন চাচাতো ভাই হুসেনকে গলকেটে হত্যা করে।
এসময় সুলতানকে গ্রামবাসীরা আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং সুলতানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুলতানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুনের অভিযোগ
১ সপ্তাহ আগে
সিলেটের হরিপুর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
৩০ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ৭ নম্বর গ্যাসকূপ। তারপর চলতি বছর এই কূপে পুনর্খনন করে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার পর এবার জাতীয় গ্রিড লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে সঞ্চালন শুরু হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টায় জাতীয় সঞ্চালন লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করা হয় এই কূপ। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। এবার আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়লো।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ১৯৮৬ সালে এই কূপ খনন করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০০ মিটার গভীরে তেল পাওয়া যায়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উৎপন্ন করা হয়। এরপর ২০০৪ সালে ওয়ার্ক ওভার করে ১৯০০ মিটার গভীরে গ্যাস মেলে। গত জুন মাসে এটি বন্ধ হয়ে যায়। জুলাইয়ে ফের ওয়ার্ক ওভারে গেলে ১২০০ মিটার গভীরে ৯০ থেকে ৯৫ বিলিয়ন কিউসেক ঘনফুট গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়। এ গ্যাস আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের এমডি আরও বলেন, সিলেট-৭ নম্বর কূপ পেট্রোবাংলার ১৫তম গ্যাসক্ষেত্র। কূপ থেকে দৈনিক ৫০ কোটি টাকার গ্যাস ও ৪ লাখ টাকার কনডেনসেট উত্তোলন করা হবে।
গত ২২ অক্টোবর সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর তেলের পুরনো কূপ (সিলেট-৭ নম্বর কূপ) সংস্কার করতে গিয়ে দুই স্তরে নতুন গ্যাসের স্তরের সন্ধান মেলে। দুই দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক হাজার ২০০০ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, পুরনো গ্যাস কূপে জুলাই মাস থেকে অনুসন্ধান চলে। গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২০১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে।
এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে। এই টেস্ট হিসেবে এক সপ্তাহ গ্যাস উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এখান থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৮৬ সালে জৈন্তাপুরের হরিপুর সিলেট-৭ নম্বর কূপে তেল উত্তোলন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এবার পুরনো কূপে দুটি লেয়ারে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। সিলেট থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। এখন সেটি আরও বাড়ছে।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে সিলেটে ১৪টি কূপে খনন ও গ্যাস উত্তোলন করে দেশীয় তেল গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানি বাপেক্স। এরমধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে দুটি কূপে, গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলার তিনটিতে, রশিদপুরে সাতটি, বিয়ানীবাজারের দুটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে সরকার
২ সপ্তাহ আগে