সিলেট
সিলেটে ‘ডেভিল হান্টে’ সাত মাসে গ্রেপ্তার ৭১০
সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় এখন পর্যন্ত মোট ৭১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক সহিংসতা, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুরু হয় অপারেশন ডেভিল হান্ট।
সিলেট মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রায় সাত মাসে বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৭১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে ৩৪১ জন এবং ৩৬৯ জনকে অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: খুলনায় আটক ১৮
তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া অনেকে আগেই বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। আবার কেউ কেউ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা, আগুন-সন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যও এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অপরাধে যুক্ত যেকোনো ব্যক্তিকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
অভিযান অব্যাহত রয়েছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৬৩ দিন আগে
সাদাপাথর লুটকাণ্ডে একযোগে ২২ পুলিশ সদস্যকে বদলি
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে পাথর লুটপাটের পর একযোগে পুলিশের ২২ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার আলোচিত ১১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত ২২ সদস্যকে রদবদল করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানানো গেছে। বদলি হওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৩ জন এসআই, ৭ জন এএসআই এবং ২ জন কনস্টেবল।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলার ২২ পুলিশ সদস্যকে নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই বদলি করা হয়েছে। বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাদাপাথর পরিদর্শনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার তিনজন এসআই ও একজন এএসআই এবং গোয়াইনঘাট থানার চারজন এসআই ও তিনজন এএসআইকে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া অন্যরা বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার থানা এবং গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও সিলেটের মোটরযান শাখার কর্মরত পুলিশ সদস্য।
কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানা থেকে ১১ জনকে অন্যত্র বদলি করার পাশাপাশি জেলার অন্য থানা থেকে এ দুটি থানায় নয়জনকে বদলি করা হয়েছে । এর মধ্যে তিনজনকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এবং ছয়জনকে গোয়াইনঘাট থানায় যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ১৩ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের পর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদাপাথর এলাকায় পাথর লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগের ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। এ ছাড়া প্রতিবেদনে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্যের অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বদলি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হলেও সাম্প্রতিক পাথর লুটকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার ১১ পুলিশ সদস্যকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ওই দুটি থানার আরও কিছু কর্মকর্তার বদলি হতে পারে বলেও জানা গেছে।
৭২ দিন আগে
সিলেটে সাদাপাথর পরিদর্শনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি
সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন স্পট পরিদর্শন করেছে পাথর লুটের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যদের দলটি সাদাপাথর এলাকায় যান।
এসময় তারা সাদাপপাথর এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গ। তদন্ত কমিটির সদস্যরা লুট হওয়া সাদাপাথরের বেশ কয়েকটি স্থান সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।
এর আগে প্রথমে রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। এসময় সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমের কাছে কোনো বক্তব্য দেননি তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিটির প্রধান জাহেদা পারভীন জানান, আমরা আরও একদিন সিলেটে থাকব। আজ সারাদিন আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলব, আগামীকাল (বুধবার) আমরা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব।
গত ২০ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
কমিটিতে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত আছেন। কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে।
এদিকে, পাথর ফেরত দিতে জেলা প্রশাসনের ৩ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে সোমবার।
প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপনের জন্য ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাট এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ৭ লাখ ঘনফুট পাথর।
পর্যায়ক্রমে উদ্ধারকৃত পাথরগুলো সাদাপাথর পর্যটন স্পটে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সাদা পাথরে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। চলতি আগস্টে পাথরহীন সাদাপাথরের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সাদাপাথর ফেরত দিতে প্রশাসনের ৩ দিনের আল্টিমেটাম
গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি টিম সাদাপাথর পরিদর্শন করে। এরপর তারা ১৬ আগস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও যোগসাজশ ছিল।
সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইতোমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে ওএসডি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে।
সাদাপাথর লুট নিয়ে গত ১৭ আগস্ট পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এখানে যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছে, এর বিপরীতে প্রশাসনের হয় যোগসাজশ করেছে, নতুবা নীরব থেকেছে অথবা দুটোই ঘটেছে। এজন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং দ্রুতই নেব।’
৭৩ দিন আগে
মরদেহ নিয়ে মায়ের মহাসড়ক অবরোধ: সেই ছেলে জীবিত উদ্ধার
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করা হলেও ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) নামের ওই কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার-সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল। গত ২৬ জুলাই ওই রেস্তোরাঁ থেকে নিখোঁজ হয় সে। এরপর গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করে এবং পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
সে সময় রবিউলের পরিবারের অভিযোগ ছিল, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাদের ছেলে রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছেন।
লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু লাশ দাফন করা হলেও গেল শুক্রবার (২২ আগস্ট) সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ, নিখোঁজের ১৭ দিন পর রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি। রবিউল তার নানার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। শুক্রবার হঠাৎ তার পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে কুলাউড়া থানাপুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠায়। ঠিক কি কারণে সে আত্মগোপনে ছিল, তা সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছে।
পুলিশের ধারণা, রেস্তোরাঁর মালিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে সে আত্মগোপনে ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছেলের মরদেহ নিয়ে মহাসড়কে মায়ের বিচার দাবি
এদিকে, কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের ডোবা থেকে যে কিশোরের লাশ উদ্ধার করে সেটি রবিউলের বলে করে দাফন করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ওই কিশোরের পরিবার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়নি। তবে যদি কেউ ওই কিশোরের খোঁজ নিতে আসেন, কিংবা দাবি করেন, তাহলে আগের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার লাশ পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক কওমি বলেছেন, রবিউলের পরিবার থেকে যে মামলাটি করা হয়েছে তা হয়তো নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। যেহেতু এটি হত্যা মামলা ছিল এবং এখন রবিউলকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগের লাশ উদ্ধার ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৭৬ দিন আগে
সিলেটে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিলেটে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী আইএলটিএস পরীক্ষার্থী তাহমিদুর সোহাগ (২০) নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) ভোরে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোহাগ জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই–বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই যুক্তরাজ্যে থাকেন এবং ছোট বোন সিলেটে পড়াশোনা করছেন।
আরও পড়ুন: ১০ মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
২০২৪ সালে এইচএসসি পাস করা সোহাগ আগামী ৩০ আগস্ট আইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
প্রতিবেশী ও চাচা মো. নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোহাগ এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে উমনপুর টার্নিং এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় সিলেটগামী একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দিলে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোহাগকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।
তার সঙ্গে থাকা বন্ধু সাফির হাত ভেঙে গেছে। বর্তমানে তিনি নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সোহাগের মৃত্যুর এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
৭৯ দিন আগে
সিলেটে মাইক্রোবাস চাপায় অটোরিকশাচালক নিহত
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় মাইক্রোবাসের চাপায় এহিয়া (৩০) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাওনপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এহিয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত জাহিদ মিয়ার ছেলে।
পুশিল জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা অটোরিকশা ও বিশ্বনাথ থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাসটি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বাওনপুর এলাকায় পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশা-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে অটোচালকের মাথায় একটি বড় রড ঢুকে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি; আহত হন আরও তিন জন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ।
এই দুর্ঘটনায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বাওনপুর নামক স্থানে সিএনজি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
৮০ দিন আগে
পাথর লুটে যোগসাজশ ছিল প্রশাসনের, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান। রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাকে এটা বুঝতে হবে উপদেষ্টারা কোন পর্যন্ত যেতে পারেন। একটা সভায় কোন বক্তব্যগুলো যাবে, আমরা সেই পর্যন্ত কথা বলতে পারি। কিন্তু কোন প্লেট-গ্লাসে খাওয়া দিবে, আমরা সেই কথাটা বলি না। এটা আমাদের বলার কথা নয়। মাইক্রোম্যানেজমেন্ট আমাদের করার কথা নয়। কিন্তু আমরা পাথর লুটপাট যাতে বন্ধ হয়, সেজন্যই তো ফিল্ডে (সিলেটে) গিয়েছিলাম। ফিল্ডে যাওয়ার একমাত্র কারণ ছিল, যারা লুটপাট করে তাদের একটা বার্তা দেওয়া যে আমরা এটা করেছি। আপনি আমাকে বলেন তো, গত ১০/২০ বছরে পাথর লুটের বিরুদ্ধে কোন মন্ত্রীকে স্পটে যেতে দেখেছেন? একটা উদাহরণ আমাকে দেন। কোন মন্ত্রীকে আক্রান্ত হতে দেখেছেন, একটা উদাহরণ আমাকে দেন।’
তিনি বলেন, ‘তার মানে এখানে যে ঐক্যটা গড়ে উঠেছে, সেই ঐক্যটার বিপরীতে প্রশাসন হয়তো যোগসাজশ করেছে, নতুবা নিরব থেকেছে, বা দুটোই করেছে। সেজন্য প্রশাসনের ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব কিনা, দ্রুতই দেখতে পাবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের কাজ নীতিমালা প্রণয়ন করা, আমরা কিন্তু সেই নীতিটি ঠিকই প্রণয়ন করেছি—যে এই ১৭টিতে পাথর উত্তোলন করা যাবে না। পাথর আদৌ উত্তোলন হচ্ছে কিনা, এটি দেখবে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন। আমরা বারবার প্রশাসনকে বলেছি, লিখেছি।’
আরও পড়ুন: মূল ভূখণ্ডের ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বনভূমি: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন দেখলাম প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না, তাদেরকে সাহস দেওয়ার জন্য আমি এবং ফাওজুল ভাই (উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান) দুই জনই ফিল্ডে গেলাম। যখন আমরা ফেরত আসলাম, তখন আমাদের গাড়ি ঘিরে যে অশ্লীল বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলো এবং পরবর্তী সময় সেই বিক্ষোভের জের ধরে একটি রাজনৈতিক দল নেতাদের বহিষ্কার এবং সাসপেন্ডও করল। সেই সময় যদি প্রতিবাদটা খুব জোরালো হতো না, তাহলে আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন হতো।’
তিনি বলেন, ‘যা হোক, বেটার লেট দ্যান নেভার। আমি জনগণকে ধন্যবাদ জানাই, তারা যে লোকেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছে। যার ফলে আজকে যে অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে, এতে ভবিষ্যতে পাথর লুটবার আগে দুইবার চিন্তা করবে।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘পাথর কতটুকু তুলল, লুট হলো, নিয়ে গেল—এটি আমার মন্ত্রণালয়ের দেখার কথা নয়। যেহেতু আমি একজন পরিবেশ কর্মী এবং সরকারে আছি, আমি দায়িত্ব নেব, কিন্তু পাথর লুট হয়ে যাওয়ার দায়টা আমাকে দেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে তারা মামলা করছে, সেখানে আদৌ যারা দোষী তাদের কতটুকু তালিকাভুক্ত করছেন, সেটা আমাদেরকে দেখতে হবে।’
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন আমরা দুই উপদেষ্টা সেখানে গেলাম এবং আক্রান্ত হলাম, তারপর আমরা চলে আসলাম, তারপরে কিন্তু তিন দিনব্যাপী ব্যাপক অভিযান হলো। সব পাথর ভাঙ্গার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলো। কিন্তু তার চার-পাঁচ দিন পর সব রাজনৈতিক দল এক হয়ে চাপ প্রয়োগ করলো, তারা সেখানে ঘোষণা দিলেন যে পাথর তুলতে দিতে হবে। পরিবহন মালিকরা বললেন যে তারা ধর্মঘট করবেন। এই ধর্মঘট কিন্তু তাদের নতুন নয়। যখন ২০২০ সালে পাথর তোলা বন্ধ করে দেওয়া হলো, সেই সময় করোনার মধ্যে তারা দুইবার পরিবহন ধর্মঘট করেছেন। তাদের যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য বিন্দুমাত্র মায়া থাকত, করোনার এমন সংকটের মুহূর্তে নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য ধর্মঘট ডাকতে পারতেন?’
তিনি বলেন, ‘সেই সময় আমরাও সোচ্চার ছিলাম, প্রশাসনকে আমাদের সঙ্গে আনতে পেরেছিলাম। এবার হলো কি—সর্বদলীয় ঐক্যের কথা যে আমি বলেছিলাম, সর্বদলীয় ঐক্যের কারণে প্রশাসন নিশ্চয়ই যোগসাজশে ছিল। তাহলে তারা এখন বের করতে পারে কিভাবে পাথরগুলো কোথায়? আবার নিরবতাও ছিল। তারা হয়তো অতটা ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে মানুষ তার শক্তি দেখিয়েছে। লুটেরা চক্রের বিরুদ্ধে যখন মানুষ দাঁড়ায়, তখন যতই রাজনৈতিক শক্তি ওটাকে সাপোর্ট করুক না কেন, মানুষের শক্তিটাই আসলে জয়ী হয়ে আসবে।’
৮২ দিন আগে
মসজিদের পাশে যাত্রী ছাউনি নিয়ে সিলেটে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় মসজিদের পাশে যাত্রী ছাউনি থাকবে কি না, তা নিয়ে সৃষ্ট তর্কবিতর্ককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে একটি রেস্তোরাঁ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, লালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফাত এবং স্থানীয় ‘পাপড়ি রেস্টুরেন্ট’ নামের একটি রেস্তোরাঁর মালিক ও বিএনপি নেতা জুবায়ের আহমদ লিটনের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। গতকাল (শুক্রবার) রাত ৯টার দিকে লালাবাজারের মসজিদের যাত্রী ছাউনি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপক্ষ যাত্রী ছাউনিটি সেখান থেকে সরিয়ে ফেলতে এবং আরেক পক্ষ সেখানেই রাখার বিষয়ে মত দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়, একপর্যায়ে যা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
আরও পড়ুন: বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
তারা আরও জানান, ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন খান বলেন, ‘সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে।’
৮৩ দিন আগে
সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুটের ঘটনায় মামলা করেছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএমডি মহাপরিচালক আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা কিছু দুষ্কৃতিকারীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গেজেভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পাথর লুটপাটে অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। সরকারের গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে লুট বা চুরি এ ধরনের কর্মকাণ্ড খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা ২০১২-এর বিধি ৯৩ (১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মৌখিক নির্দেশনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৭৯ নম্বর ধারা ও ৪৩১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি স্বার্থে ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় দায়ী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাদাপাথর-জাফলংয়ে লুট: দুই দিনে ১ লাখ ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন এবং লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরপর সিলেটসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র্যাব, পুলিশসহ যৌথবাহিনী। গত তিন দিনে জাফলং ও সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে অবশ্য নারায়ণগঞ্জ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ৪০ হাজার টন পাথরও রয়েছে।
সর্বশেষ সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন আসাম পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে র্যাব। র্যাব-৯-এর টহল দল, সাদা পোশাকধারী সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসাম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
৮৩ দিন আগে
সিলেটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সিলেটে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা পাথরগুলো সাদাপাথর ও জাফলং এলাকার নদীতে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে ও বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিনভর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়। এতে সেনাবাহিনীও অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবারের অভিযানে প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে ৭০টি ট্রাকে থাকা প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়।
এর আগে, বুধবার সাদাপাথর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ফুট পাথর জব্দ করা হয়। এগুলো রাতে সাদাপাথরে পুনঃস্থাপন করা হয় বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া পাথরের বড় অংশ ধলাই নদীতে ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে যাতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা যায়। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই পাথর লুটের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ বাঁচাতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, মজুদ বা পাচারে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও জানান, চেকপোস্টে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। এ সময় ৭০টি গাড়িতে সাদাপাথর এলাকার পাথর শনাক্ত হলে সেগুলো জব্দ করে পুনরায় প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিন সদস্যের তদন্ত একটি কমিটি গঠন করে সিলেট জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে ১৭ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮৪ দিন আগে