ট্রেন
উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যৌথ উদ্বোধনের এক মাস পরেও খুলনা-মোংলা রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।
চলাচল শুরু হলে খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার এই পথ দিয়ে পণ্য পরিবহন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেলপথটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মোংলা বন্দর থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পরিবহন সহজতর করবে এবং প্রতিবেশি দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে সহজ করবে। এতে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
উচ্চ প্রত্যাশা সত্ত্বেও, এই নবনির্মিত ট্র্যাকে ট্রেন পরিষেবা এখনও শুরু হয়নি। ট্রেন চলাচল শুরুর সঠিক তারিখ এখনও অনিশ্চিত, কারণ কর্তৃপক্ষ এখনও বিস্তারিত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এই লাইনে আটটি নবনির্মিত স্টেশন রয়েছে, যেখানে বর্তমানে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাব রয়েছে। উপরন্তু, এই স্টেশন এবং রেলক্রসিংগুলোর জন্য কর্মীদের কাজ শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইন উদ্বোধন ১ নভেম্বর
টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনের কাজও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। এ ছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, ‘খুলনা-মোংলা রেললাইনে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল, এখন সেগুলো করা হচ্ছে। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে। তবে ট্রেন চলাচল শুরুর তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।’
প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।
এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণকাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। ৯টি স্থানে আন্ডারপাস (রেললাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। আন্ডারপাসের কারণে ট্রেনগুলোকে ক্রসিংয়ে থামতে হবে না। দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না।
এই রেলপথের আটটি স্টেশন হলো– ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দিগরাজ, কাটাখালী, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘সবার দাবি দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে সুন্দরবন যেতে পারবেন।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এই রেলপথে মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কনটেইনার পরিবহন সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য বন্দরে আনা-নেওয়ায় গতি আসবে। বন্দরে আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক জাহাজ ভিড়বে।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর: রেলপথমন্ত্রী
পাবনায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন
পাবনার ঈশ্বরদী জংশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এবিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, বেসরকারিভাবে পরিচালিত ঢাকা মেইল ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে ওয়াশের (ধোয়া-মোছা) জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। আগামীকাল এটি ঢাকার উদ্দেশ্যে স্টেশন ছেড়ে যাবে। কিন্তু আজ (২৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে কে বা কারা রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়।
আরও পড়ুন: বিমানের স্টাফ বাসে আগুন: আহত কর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা
তিনি আরও বলেন, এতে ট্রেনের ‘ছ’ বগির কয়েকটি সিট পুড়ে যায়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।
মনিরুল ইসলাম জানান, ‘কারা আগুন দিয়েছে এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলবে। অভিযান চলছে, দোষীরদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আগুন নিয়ন্ত্রেণ আনতে সক্ষম হই। এতে ট্রেনটির ১৫টি সিট পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- নাশকতার জন্য কেউ কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাসে আগুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন
১৮ ঘণ্টা পর ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাভাবিক হয় ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে গচিহাটা রেলস্টেশনে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হলে ময়মনসিংহ-ভৈরব রেলপথ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে।
পরে, শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে দুইটি উদ্ধার ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ইঞ্জিনসহ ট্রেন লাইনচ্যুত, ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির গচিহাটা স্টেশনে অপেক্ষামান থাকার সময় ঢাকা অভিমুখী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সে সময় ক্রসিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রসিংয়ের জন্য পয়েন্ট লাইন পরিবর্তনের সময় 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের ইঞ্জিন ও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
ফলে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনেই কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রয়ে যায়। এতে, গচিহাটা স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে। এ পরিস্থিতিতে ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কিশোরগঞ্জ স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ট্রেন লাইনচ্যুতির চেষ্টা নস্যাৎ করল পুলিশ
কিশোরগঞ্জে ইঞ্জিনসহ ট্রেন লাইনচ্যুত, ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গচিহাটা রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এরপর ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় কিশোরগঞ্জ থেকে 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাওয়ার পর ৪টা ২০মিনিটে কটিয়াদীর গচিহাটা রেলস্টেশন পয়েন্টে ট্রেনটি ঢোকার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে, এই ঘটনায় এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে 'বিজয় এক্সপ্রেস' ট্রেনটি গচিহাটা স্টেশনে থেমে থাকার সময় ঢাকা অভিমুখী 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের সঙ্গে ক্রসিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রসিংয়ের জন্য পয়েন্ট লাইন পরিবর্তনের সময় 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
ফলে 'বিজয় এক্সপ্রেস' ট্রেনের লাইনেই কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রয়ে যায়। এতে, গচিহাটা স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। এতে ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, উদ্ধারকারী ট্রেনের জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন আসার পর উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ইঞ্জিন ও বগিগুলো লাইনে উঠানোর পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত: তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত, চলাচল আংশিক ব্যাহত
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে ট্রেনের ধাক্কায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাতের দিকে উপজেলার পাচ্চর গোলচত্বর আন্ডারপাস এলাকায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্র ইব্রাহিম (১৫) শিবচরের মাদবরের চর ১ নম্বর ওয়ার্ডের হিরু খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কানে হেডফোন, ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল কিশোরের
স্থানীয়রা জানান, ইব্রাহিম ও তার দুই বন্ধু মিলে খিচুড়ি খাওয়ার উদ্দেশ্যে রেললাইন ধরে রেস্টুরেন্টে যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
দিনাজপুরে ট্রাক ও ট্রেনের ধাক্কায় ২ জনের মৃত্যু
সিলেটে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ট্রেনের তাপানুকূল চেয়ার (খ) বগিতে আগুন লাগে। সেখানে অন্তত ২৩টি সিট আগুনে পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ট্রেন লাইনচ্যুতির চেষ্টা নস্যাৎ করল পুলিশ
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আমাদের লোকজন ও দমকল কর্মীরা আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে বড় কোনো দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা পায়। ’
আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখলাম, তাতে অবশ্যই নাশকতা। যারাই এটা করেছে অবরোধের নামে নাশকতা করছে। তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রেলের ক্ষতি করছে, জনগণকে হয়রানি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদেরকে ধরে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
আরও পড়ুন: জামালপুরে ট্রেনের বগি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা
ঝড়ে রেললাইনে ভেঙে পড়ল গাছ, ঢাকা থেকে চট্টগাম-সিলেটগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ
নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ট্রেন লাইনচ্যুতির চেষ্টা নস্যাৎ করল পুলিশ
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধকে সামনে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ফতুল্লায় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার কোতালেরবাগের হক বাজার সংলগ্ন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সারাদেশের সঙ্গে খুলনার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, দুর্বৃত্তরা ফতুল্লার কোতালেরবাগে রেললাইনে একটি ভারী লোহার পাত লাগিয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইন থেকে লোহার পাতটি সরিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, নাশকতার চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত: তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত, চলাচল আংশিক ব্যাহত
আগামী ১ ডিসেম্বর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন
ঢাকা-বুড়িমারী রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বলে সোমবার (২০ নভেম্বর) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পর্যটক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজনের চলাচল সহজ করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন সার্ভিস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতোমধ্যে দুই দফায় ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের পাঁচটি বগি রবিবার ও সোমবার লালমনিরহাটে পৌঁছেছে।
লালমনিরহাটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর পাটগ্রাম জসিম উদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালুর অঙ্গীকার করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, লালমনিরহাট থেকে একটি ট্রেন ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ জেলায় চলাচল করলেও তা বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
জেলার চার উপজেলার বাসিন্দা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াতকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন সেবা থেকে বঞ্চিত। ফলে তাদের যোগাযোগের জন্য বাসের ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার চট্টগ্রামে উম্মোচন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
বুড়িমারী চিলার বাজারের বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু হলে মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে।
নিয়মিত ভারতে যাতায়াতকারী সুমন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অনেক পাসপোর্টধারী ও ব্যবসায়ী এই রুটটি ব্যবহার করেন এবং ট্রেন সার্ভিস দুই দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
লালমনিরহাট রেলওয়ের সহকারী কমার্শিয়াল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইতোমধ্যে ট্রেনের পাঁচটি বগি লালমনিরহাট স্টেশনে পৌঁছেছে এবং বাকিগুলো শিগগিরই চলে আসবে।
বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসে ককটেল হামলা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বিআরটিসির বাস
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুরের ট্রেনে কাটা পড়ে একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার অম্বিকাপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শ্রবণ প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ আহমদ শেখ অম্বিকাপুর এলাকায় থাকতেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, আহমদ শেখ সকালে অম্বিকাপুর রেললাইনের পাশে যায়। সেখানে ঘোরাফেরা করে রেললাইন পার হওয়ার সময় ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহাবুব জানান, ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস ভাঙ্গা থেকে রাজবাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। অম্বিকাপুর এসে পৌঁছালে এক বৃদ্ধকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ফিলিপ বাড়ই নামে এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পার্বতীপুর-দিনাজপুর রেল পথের ল্যাম্ব হাসপাতালের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মালিবাগে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
নিহত ফিলিপ বাড়ই পার্বতীপুরে মন্মথপুর ইউনিয়নের রাজাবাসর গ্রামের মৃত নিরঞ্জন বাড়ইয়ের ছেলে। তিনি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পার্বতীপুর-দিনাজপুর রেল লাইনের উপর দিয়ে দিনাজপুরের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন ফিলিফ। এ সময় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী কাঞ্চন মেইল ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে চাকার নিচে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন।
রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল চন্দ্র রায় জানান, প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ট্রেনের শব্দ টের না পাওয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ফিলিপ বাড়ই।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে স্টেশন মাস্টারের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু