সেই সাথে তিনি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এডিস মশার মতো কিউলিক্স ও অ্যানোফিলিসসহ অন্যান্য প্রজাতির মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য অষ্টম আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন তিনি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর ওষুধ, জনবল ও যন্ত্রপাতিসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগের ফলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তবে এখন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্যান্য প্রজাতির মশা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।’
একই কীটনাশক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে মশা সেটাতে সহনশীল হয়ে যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ ক্রয়ের পাশাপাশি তদারকি বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
এলজিআরডিমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মশা আছে। ওই সব দেশ যেভাবে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করে মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এনেছে আমরাও সেভাবে কাজ করছি এবং অনেকটাই সফল হয়েছি। দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে করা সব ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’
ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এবং খালের দায়িত্ব ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়ার পর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু এবং মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে দুই মেয়রের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, নগরীর খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে নগরবাসী একদিকে যেমন এর সুফল পাবে, অন্যদিকে এডিস মশাসহ অন্যান্য প্রজাতির মশার প্রজননস্থল বিনষ্ট হওয়ায় মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
তিনি বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের স্বার্থে ওপরের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে স্ব স্ব দায়িত্ব নিজ উদ্যোগে পালন করতে হবে। সবাই মিলে একত্রে কাজ করলে কোনো কাজই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না এবং আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় এই অনলাইন সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সব সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশ নেন।