সিটি করপোরেশন
‘ফুল টাইম’ প্রশাসক পাচ্ছে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভা
জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের পর দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের সেবার কথা মাথায় নিয়ে এবার এসব প্রতিষ্ঠানে ‘ফুল টাইম’ প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।’
সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রশাসক দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বিলম্ব (সেবার ক্ষেত্রে) হয় লোকবলের অভাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেখানেও চিন্তাভাবনা করেছি। অতি শিগগিরই আপনারা দেখতে পারবেন এখানে আমরা ফুল টাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সাময়িক একজন প্রশাসক দিয়ে এত বড় সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার সেবাগুলো দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। সেগুলো পালনে সার্বক্ষণিক একজন প্রশাসকের প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। অতি শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন।’
বিএসআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অফিস খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
সিটি করপোরেশনগুলোর আইনগত ও আর্থিক অসঙ্গতি দূর করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, জনগণ যাতে সহজে ও ভোগান্তিমুক্ত পরিবেশে সেবা পায় সেজন্য আমরা সবাই কাজ করছি।
তিনি বলেন, জনগণের সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই দেশের সব সিটি করপোরেশন আর্থিকভাবে শক্তিশালী এবং আইনগত অসঙ্গতিগুলো দূর করে যাতে সুষ্ঠুভাবে জনগণকে সেবা দিতে পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ ও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কাজ করতে গেলে নানা রকমের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা আসবেই, সে সমস্ত সমস্যাকে সমাধান করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়ররা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রকার অসহযোগিতা পেলে সেক্ষেত্রে সব বাধা দূর করা হবে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের তথ্য আগে থেকে সিটি করপোরেশন জানলে সমন্বয়টা ভালো হয় এবং সবাই তাদের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাবে যাতে ভোগান্তি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সমন্বয়হীনতা দূর করে নির্বিঘ্নে সেবা প্রাপ্তির পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জায়েদা খাতুন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তফা, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত মেয়র কুমিল্লা হাবিবুর আল-আমিন।
আরও পড়ুন: ভর্তুকি হ্রাস করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৮ মাস আগে
দ্বিতীয়বারের মতো ময়মনসিংহের মেয়র নির্বাচিত ইকরামুল হক টিটু
শনিবার অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে ইকরামুল হক টিটুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দিয়ে টিটু আবারও মসিক মেয়র নির্বাচিত হলেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।
টিটু পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আইনজীবী সাদেকুল হক খান মিল্কি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট।
অপর প্রার্থী এহতেশামুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৩৩ ভোট, রেজাউল পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ ভোট ও জাতীয় পার্টির শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট।
সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
এছাড়া ৩২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ও ১১টি সংরক্ষিত নারী আসনে ১৪৯ জন কাউন্সিলর ও ৬৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবারের উপনির্বাচনে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ময়মনসিংহ সিটির ভোট গ্রহণ চলছে
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের পাশে গুলিবিদ্ধ ২ জন
৮ মাস আগে
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার প্রকোপ কমাতে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনগুলোতে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রচারণায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৬ মার্চ) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কার্যক্রম বিষয়ে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ শতাংশ হাতিয়ার, আর বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল বা ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেত কিন্তু গত বছর থেকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এখন ঢাকার বাইরেও তা ছড়িয়েছে। সেজন্য জেলা শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে টিভিসি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এছাড়া পরিবেশ সুরক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণে ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।গ্রামীণ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একই রাস্তায় দুইবার বরাদ্দরোধে আইডি দেখে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
জলাশয় ও পানির সংরক্ষণ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলাশয়গুলো সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
৮ মাস আগে
ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স (বাণিজ্যিক অনুমতি) নিতেই হবে। এছাড়া কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের রাজস্ব মেলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রাজস্ব আদায়ে আমাদের অভিযানগুলো আরও কঠোর করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষের প্রতিষ্ঠান, নামকরা মার্কেট বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা; যাই হোক না কেন, কেউ যদি ট্রেড লাইসেন্স না করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাহলে প্রয়োজনে সেসব স্থাপনা-মার্কেট সিলগালা করে দিতে হবে, ক্রোক করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজস্ব আদায়ের সার্বিক পর্যালোচনা সভা ‘রাজস্ব সম্মেলন’ এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করা হলে বাকিরাও নড়েচড়ে বসবে। সেজন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে আরও কঠোরতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিচ্ছি। বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া আমরা কাউকে ঢাকা শহরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দিবো না।
মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায়ে একটি বড় বিষয় হলো আপনার আচরণ ও ব্যবহার। এক্ষেত্রে আপনার দপ্তরে যারা সেবা নিতে আসছেন, তাদের সঙ্গে ভালো ও সুন্দর ব্যবহার করবেন।
তিনি বলেন, সেবা নিতে এসে একজন ব্যক্তির যেন আপনার দপ্তরে তিনবার, চারবার আসা না লাগে। সেটা কাম্যও নয়। যেদিন এসেছেন, সেদিনই তাকে সেবা দিবেন। প্রয়োজনে একটু বিলম্ব হলেও সেদিনই সেবা দেবেন। তাকে কালকে আসেন, পরশু আসেন, তিনদিন পরে আসেন, দশ দিন পরে আসেন- এসব বলা যাবে না।
শেখ তাপস বলেন, এতে করে সে ব্যক্তি কর দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন। আপনার আচরণগত কারণে বা তাকে যথাযথ সেবা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করার কারণে একজন আগ্রহী করদাতাও করখেলাপি হয়ে যেতে পারেন। সুতরাং কোনো আগ্রহী করদাতাকে করখেলাপি বানাবেন না।
এ সময় হয়রানি ছাড়া জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কঠোরতা দেখানো হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
তিনি বলেন, এখানে থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি, অবহেলার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
যাত্রাবাড়ীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নারী নিহত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় রিকশা আরোহী এক নারী নিহত হয়েছেন। শনিবার (৫ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তার নাম নাজমা বেগম। তার বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার উখিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় নারী নিহত
তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শনির আখড়ার দিকে যাওয়ার সময় ম্যানহোলের ঢাকনার সঙ্গে রিকশাটির ধাক্কা লাগে। এতে রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।
তখন পেছন থেকে সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রাইভেটকার চাপায় নারী নিহত
সিরাজগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানচাপায় নারী নিহত
১ বছর আগে
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জরিমানা করেই দায় সারছে দুই সিটি করপোরেশন
সারা দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। বিশেষ করে রাজধানীতে এর প্রভাব খুবই বেশি। প্রতিদিন নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে দুই সিটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি শুধু জরিমানা করেই দায় সারছে।
এডিস মশার প্রজনন মৌসুমে মশার প্রজনন বন্ধে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্হা এবং এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে তাদের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।
এ কারণে কোনো সুফল মিলছে না। দিন দিন শনাক্তের হার বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারা বছর কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার এখনো তেমন কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি।
তাই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় মশা নিধন কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কোথাও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। তাই জরিমানা করে ও লোক দেখানো কিছু কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
তারা বলছেন, একবার এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পর সেখানে আবার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। লার্ভা শনাক্তে দুই সিটিতে কোনো গবেষণাগারও নেই। নেই কোনো কীটতত্ত্ববিদও। এ কারণে ডেঙ্গু রোধে লোক দেখানো কার্যক্রম ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুই সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দাবি করছে, সর্বোচ্চ চেষ্টার মধ্যেও প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা।
এ ছাড়া দায়িত্বশীলদের লোক দেখানো অভিযান আর মশক নিধন কার্যক্রম পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।
আরও পড়ুন: খরচ ও শ্রম কমাতে চীনা বর্ষজীবী ধান চাষ করতে পারে বাংলাদেশ
এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারা বছর কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ যখন কম থাকে তখনই কাজ শুরু করা উচিত। মৌসুমের আগে যেসব জায়গায় মশার উপদ্রব বেশি থাকে সেখানে মশা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা দরকার।
যেন মৌসুমের শুরুতে এডিস মশা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ কারো নেই।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জরিমানার সিস্টেম বিভিন্ন দেশে থাকলেও আমাদের দেশে এ সিস্টেম চালু করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না। যেভাবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সে অনুযায়ী কাজ করছে না রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন।
তিনি বলেন, ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি যেসব দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে তা অবৈজ্ঞানিক ও ভুল। এ কারণে এসব নির্দেশনা ও কার্যক্রম কোনো কাজে আসছে না।
এ ছাড়া দুই সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল নেই। মনগড়া ও উলটাপালটা পরামর্শ নিয়ে তারা কাজ করছে। এতে কোনো সুফল বয়ে আনবে না। মশা মারতে তারা ফগিং ব্যবহার করছে-অথচ এতে মশা মরে না।
ডেঙ্গু সংক্রমণ কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না, জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে তার একটি প্রধান অংশই হচ্ছে প্রদর্শনবাদিতা।
অর্থাৎ তারা যতটা দেখায় ততটা কার্যকরি কাজ তারা করে না।
দ্বিতীয়ত হলো- সিটি করপোরেশন কিছু কাজ করলেও তাদের পক্ষে একা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। একসঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: ‘আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কীটতত্ত্ব কারিগরি দক্ষতা নেই। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখছি না।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে পর্যাপ্ত কীটতত্ত্ববিদ ও সহকারী কীটতত্ত্ববিদ প্রয়োজন। উত্তর সিটিতে একজন কীটতত্ত্ববিদকে ডেপুটেশনে আনা হয়েছে।
দক্ষিণ সিটিতে একজনও কীটতত্ত্ববিদ নেই। পাশাপাশি এ বিষয়ে গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরি দরকার। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় দরকার।
এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ দূর করা যাবে না। বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শ মেনে এবং তাদের নেতৃত্বেই ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখনো তেমন কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি। তাই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় মশা নিধন কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
কোথাও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। তাই জরিমানা করে ও লোক দেখানো কিছু কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
তারা বলছেন, একবার এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পর সেখানে আবার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তারা তো প্রজননস্থল ধ্বংসে কার্যকরী কোনো ভূমিকা নেই। ডেঙ্গু যখন বৃদ্ধি শুধু অভিযান করলে হবে না।
ডেঙ্গু প্রজননস্থল ধ্বংসে কার্যকরী ব্যবস্হা নিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
আর এই প্রক্রিয়াতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনসাধারণকেও সরাসরি সম্পৃক্ত হতে হবে।
আগামী দুই মাস হটস্পট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রমও চালাতে হবে।
ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কথা বলে জানা যায়, মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কোনো কোনো জায়গায় মশকনিধনকর্মীর দেখাই মেলেনি, আবার কোথাও টাকা দিলে ঘরের ভেতরে গিয়েও ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। আবার কোথাও কোথাও ওষুধ ছিটালেও মশা যায় না।
মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতি বছর বড় অংকের টাকা ব্যয় করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশন খরচ করেছে ১২৮ কোটি টাকা।
এরমধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তুলনায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যয় প্রায় চার গুণ বেশি। কিন্তু ফলাফল অনেকটাই শূন্য।
তাদের ব্যর্থতায় ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার বিস্তার এখন দেশজুড়ে। ডেঙ্গু এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা।
মশক নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৭৫টি ওয়ার্ডে কাজ করছে। মশক নিয়ন্ত্রণে ১০৯ দশমিক ২৫ বর্গকিলোমিটারের ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০ কোটি ২ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩১ কোটি ২ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৫৪টি ওয়ার্ডে মশক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ১৯৬ দশমিক ২২ বর্গকিলোমিটারের উত্তর সিটিতে মশক নিয়ন্ত্রণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৭০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৫ কোটি ৫০ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে নতুন রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে ভাবছে চীনা কফি উৎপাদনকারীরা
১ বছর আগে
রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ হতাশাজনক: টিআইবি
রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ হতাশাজনক বলে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অ-লাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শনিবার (৮ জুলাই) দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে, এ জাতীয় সতর্কবার্তা ছিল। তবুও রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ হতাশাজনক।’
আরও পড়ুন: আরপিও সংশোধনী বিল মড়ার ওপর খাড়ার ঘা: টিআইবির উদ্বেগ
সংস্থাটি দাবি করেছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহের সমন্বয়হীনতা, যথাযথ পরিকল্পনা, পূর্বপ্রস্তুতি ও কার্যকর বাস্তবায়নের ঘাটতির কারণেই ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বড় সিটি করপোরেশনগুলোর কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিক্ষিপ্তভাবে অকার্যকর কার্যক্রম গ্রহণ করার ফলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত 'ঢাকা শহরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়'-শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত ১৫ দফা সুপারিশ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছে পুনরায় পাঠিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিকে জনস্বাস্থ্য সংকট ঘোষণা করে জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত রোডম্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
নির্বাহী পরিচালক বলেন, উল্লিখিত গবেষণাপ্রসূত পলিসি ব্রিফকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট খাতে বিশেষজ্ঞজনকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা ও সমন্বিত প্রচেষ্টা যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছিল না, তা বলাই বাহুল্য।
তিনি বলেন, আর যেটুকু উদ্যোগ দেখা গেছে তা পরিস্থিতি বিবেচনায় যে অপ্রতুল কিংবা লোক দেখানো প্রচারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, তা-ও না বললেই চলে। রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি রোধ করার যে সম্ভাবনা ছিল, সেদিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি বাস্তবে কতটুকু ছিল, তা প্রশ্নবিদ্ধ।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে মুনাফাভিত্তিক কীটনাশক নির্ভরতার ঊর্ধ্বে গিয়ে অন্যান্য সকল প্রকার পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিত করে দুই সিটি করপোরেশনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
কোভিড সংকটের অভিজ্ঞতার আলোকে সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞজনকে সম্পৃক্ত করে পরামর্শক প্যানেল গঠন ও যথাযথ গুরুত্বসহকারে নিয়মিতভাবে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, মশক নিধনে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ বছরব্যাপী এ কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সম্ভাব্য সব মাধ্যমে এডিস মশা ও এর লার্ভা, ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ ও দ্রুত চিকিৎসার বিষয়ে জনসচেতনতা ও সতর্কতামূলক বার্তার কার্যকর প্রচার বাড়ানো জরুরি।
তা ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করাসহ যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে জরুরিভিত্তিতে। এক্ষেত্রে রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবীসহ আগ্রহী অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু রাজধানীই নয়, সারাদেশেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
তাই এটিকে জরুরি জনস্বাস্থ্য সংকট ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পর্যায় থেকে সমন্বিতভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ঢাকার বাইরের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে মশক নিধনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষমতার ঘাটতি জরুরি ভিত্তিতে চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে বহুগুণ।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে পুনরায় যাতে এ জাতীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেই লক্ষ্যে উল্লেখিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় পর্যায়ে এডিশ মশাসহ অন্যান্য মশা নিয়ন্ত্রণে কৌশল ও কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি বাস্তবায়নকারী সব সংস্থার দায়িত্ব ও কর্তব্য সুস্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৮৮৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে করপোরেশনের আন্দরকিল্লার কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এই বাজেট ঘোষণা দেন তিনি।
এবারের বাজেট নিজস্ব উৎসে সর্বোচ্চ ৯৫০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট ছিল অনুদান নির্ভর।
আরও পড়ুন: ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন
নতুন অর্থবছরের বাজেটের পাশাপাশি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়।
ওই অর্থ বছরে মোট ২১৬১ কোটি ২৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে তিন ধরনের কর বাবদ মোট আয় ধরা হয়েছে ৬৪০ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বকেয়া কর ও অভিকর খাতে সর্বোচ্চ ২২২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।
হাল কর ও অভিকর খাতে ২২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য কর বাবদ ১৯৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) তিন ধরনের করে মোট আয় ধরা হয়েছিল ৫৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুসারে ওই তিন ধরনের আয়কর বাবদ চসিকের আয় হয়েছে ৩৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন অনুদান খাতে ৮৯৪ কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে ৩৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়।
ঘোষিত বাজেটে নগরের উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ৯৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) বাজেটে উন্নয়ন খাতে ১২৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও খরচ হয়েছে ৬৪৩ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এবারের বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে বেতন, ভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে ৩১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বাজেট উপস্থাপনকালে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ঠিকাদার ও অন্যান্য বকেয়া থোক বরাদ্দ খাতে ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা সহ প্রায় ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
৭০ কোটি ২৭ লাখ টাকা আয়কর ও ৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্য সংযোজন কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
চসিকের ২ লাখ ৬ হাজার ১৪৯টি হোল্ডিং রয়েছে। বহদ্দারহাট বারইপাড়া খালের ৪ হাজার ৫০০ ফুট প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ, ২৫০০ ফুট ড্রেন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
সরকারের ভিশন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ। এই রূপকল্পের ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার।
সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বেশিরভাগ কার্যক্রম এখন অনলাইন ভিত্তিক করা হচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে করপোরেশনের প্রশাসনিক সব কাজ ইলেকট্রনিক সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল।
এ সময় সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২৯ মার্চ
চসিকের প্রশাসক পদে নিয়োগ পেলেন আ’লীগ নেতা সুজন
১ বছর আগে
সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজশাহী ও সিলেটে ভোটগ্রহণ চলছে
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ (বুধবার)। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
দুই নির্বাচনেই সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মানুষদের।
সিলেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ আট মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ চার মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
সিলেটে নিরাপত্তা
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তত ২ হাজার ৬০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া সহিংসতার ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ৪২টি ওয়ার্ডে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪২টি ভ্রাম্যমাণ দল, তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতিটি থানায় ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ২২ সদস্যের একটি দল এবং এক প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ওই ওয়ার্ডগুলোতে টহল দিতে প্রস্তুত।
এছাড়া ৪২টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত নারী ১৪টি আসনে ৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এখানে ১৯০টি ভোটকেন্দ্র ও ১ হাজার ৩৬৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
১৯ জুন মধ্যরাত থেকে ২২ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ২০ জুন মধ্যরাত থেকে ২১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন বিজয়ী
রাজশাহীতে নিরাপত্তা
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নগরীতে র্যাবের ২৫০ সদস্য ও ১০ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে।
এছাড়া ৩ হাজার ৫১৪ জন পুলিশ সদস্য ও ৯৩৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৩ হাজার ৬১৪ জন নির্বাচন কর্মকর্তা, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
মোট ১ হাজার ৫৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ৩০ হাজার ১৫৭ জন নতুন ভোটারসহ মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ
১ বছর আগে