শনিবার এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আয়শা খানম আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচমেট এবং অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আশির দশকের শেষের দিকে এবং নব্বই দশকের প্রথম দিকে নারী ও শিশু পাচার রোধে আমরা একসাথে কাজ করেছিলাম।’
মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক আয়শা খানমের মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট নারী নেতৃকে হারালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সবশেষে, ড. মোমেন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
নারীনেত্রী আয়েশা খানম মারা গেছেন
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর নেত্রকোনা ও দুর্গাপুরের মাঝখানে গাবড়াগাতি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন আয়েশা খানম৷ তার বাবার নাম গোলাম আলী খান এবং মাতা জামাতুন্নেসা খানম৷
হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পর্ক আয়েশার৷ তবে ১৯৬৬ সাল থেকে ছাত্র আন্দোলনে পুরোপুরি সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ ফলে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে এগিয়ে যেতে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল সেসবগুলোতেই তিনি সামনের সারিতে ছিলেন৷
১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং সংগ্রামী নেত্রী আয়েশা খানম৷ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি৷
নারী সমাজ একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে হারাল: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া রোকেয়া হলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ ফলে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ঢাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠিত করার দায়িত্ব ছিল মূলত আয়েশা এবং তার সহকর্মী ছাত্র নেতাদের উপর৷
পাশাপাশি, ছাত্র নেতা হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধিকার আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ও সচেতনতার কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন আয়েশা খানম৷
এদিকে, নারীনেত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়েশা খানমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই নারী নেত্রীর মৃত্যুতে দেশের নারী সমাজ একজন অকৃত্রিম বন্ধু ও সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালো।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।