পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্রীড়াক্ষেত্রে মণিপুরীরা সুনামের সঙ্গে অবদান রাখছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্রীড়াক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মণিপুরীরা সুনামের সঙ্গে অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
একই সঙ্গে তাদের ক্রীড়ানৈপুণ্য ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) তিনি সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে মাহা বাংলাদেশ আন্তঃ মণিপুরী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মণিপুরী স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটে চারটি খেলার মাঠ বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে দুটি মাঠের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
কারণ বাংলাদেশি পণ্যগুলো তার গুণমান, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য ও সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার কারণে মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার পায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা খুবই স্মার্ট ও সক্রিয়। আমাদের গতিশীল বেসরকারি খাতের ওপর আমার আস্থা আছে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির একটি প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের বেসরকারি খাত তৈরি পোশাক রপ্তানি করে এবং মার্কিন বেসরকারি খাত বাংলাদেশি পণ্য কেনে।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের পণ্য কেনে কারণ আমাদের পণ্যগুলো উচ্চ মানসম্পন্ন, দামে সস্তা ও সময়মতো পৌঁছে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, এমনকি আপনি মার্কিন স্টোরগুলোতে অনেক চীনা পণ্যও পাবেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শিরোনামের স্মারকলিপি নিয়ে বাংলাদেশের ‘শঙ্কিত হওয়ার’ অনেক কারণ রয়েছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া এই মার্কিন উদ্যোগ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দূতাবাস এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘স্মারকলিপিতে শ্রম অধিকার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্মারকলিপিটি ১৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘যারা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের, শ্রম অধিকার রক্ষাকারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়, ভয় দেখায় এবং হামলা করে তাদের জবাবদিহি করা হবে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা ও ভিসা বিধিনিষেধের’ মতো পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে তারা কাজ করবে।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়েছে ‘স্মারকলিপিটি’ বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত। কারণ শ্রম সমস্যার অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে বর্ণিত যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। ‘স্মারকলিপিটি বাংলাদেশের পোশাক খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র পুরো শ্রম খাতের জন্য উদ্যোগ নিলে তারা অবশ্যই স্বাগত জানাবে।
মোমেন বলেন, ‘তারা যদি একটি ভালো নীতি গ্রহণ করে তাহলে সেটা হবে একটি মহৎ উদ্যোগ। আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র ধনী দেশ হওয়ায় জলবায়ু ও অভিবাসন বিষয়ে ভালো উদ্যোগ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইতিবাচক কর্মসূচি নিয়ে আসে, আমরা অবশ্যই এটাকে স্বাগত জানাব।’ বাংলাদেশ দেখতে চায় সব শ্রমিক ভালোভাবে জীবনযাপন করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন জানান, তিনি চিঠির বিষয়ে জানেন না।
কিছু লোকের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশ দেখতে চায় না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছুটি থেকে ফেরার পর এটি রুটিন বৈঠক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি যে তিনি ফিরে এসেছেন। নতুন কিছু নয়। শুধু রুটিন মিটিং।’
রাষ্ট্রদূত হাস বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত হাস এবং পররাষ্ট্র সচিব মোমেন একটি রুটিন বৈঠক করেছেন।
বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে ৩০ মিনিট চলে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানও উপস্থিত ছিলেন।
হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বৈঠকস্থলের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
ছুটি কাটিয়ে সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সিলেট পৌঁছে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এসময় তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।
সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এসময় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবার উদ্দেশ্যে বলেন, দল ও আমার সভানেত্রী আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন। আমি আপনাদের দোয়া চাই, যাতে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সিলেটবাসীর সেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করতে পারি।
এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সহসভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া, সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ, অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
বিমান বন্দর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) মাজারে যান। সেখানে মাজার জিয়ারত ও দোয়া প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের এমডি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত বেলালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা (মার্কিন) আমাদের সঙ্গে আছে। আমরাও তাদের সঙ্গে আছি।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বেশি কিছু চায় না এবং তারা শুধু বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ‘আমরাও চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বরং আমি তাদের বলব, যারা ভোট বানচালের চেষ্টা করছেন তাদের মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আনতে।’
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই একটি বাস্তববাদী দেশ। এটি বাস্তবতায় বিশ্বাস করে এবং যখন বাস্তব কিছু করা হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাতে সমর্থন দেয়।
উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, আমেরিকা সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ১৯৭১ সালে গণহত্যাকারী পাকিস্তানি বাহিনীর পাশে ছিল। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর যখন বাংলাদেশ তার বিজয় দিবস পালন করে, তখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করে। ‘আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই আমাদের বিরুদ্ধে যায়নি। এর মানে কী? যেহেতু একটি দেশ হয়ে গেছে, তারা তখন সেই দেশটার সঙ্গে থাকে।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে চায় না। ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
তিনি জানান, তাদের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হতে পারে, তা বিশ্বকে দেখাতে চান তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, জনগণের কল্যাণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ গঠনমূলক পরামর্শকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলো আমাদের সুপারিশ করে এবং যদি তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করে তবে আমরা সেগুলোকে স্বাগত জানাই।’
সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজন সবার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা।
মোমেন জানান, তারা উন্নত দেশগুলোকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি পরাশক্তি। আমরা তাদের অগ্রাহ্য করতে পারি না।"
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। বাংলাদেশে সাধারণত ৫০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দেন।
মোমেন বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের আমলে বাংলাদেশে একটি মাত্র নির্বাচন হয়েছিল, যা ভোটারবিহীন ছিল।
র্যাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, র্যাব অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান এবং দুর্নীতিমুক্ত হওয়ায় জনগণ একে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর সংগঠন। র্যাব থাকাতে আমরা সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটন করেছি এবং মাদক ও মানব পাচারও অনেক কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের দ্বারা প্রশিক্ষিত হওয়ায় তারা খুবই স্মার্ট। ‘তাদের আবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা আরও ভালো করবে।’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন সরকার পরিণত এবং আমরা সবসময় আশাবাদী এই এলিট ফোর্সের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা কোনো চাপ অনুভব করছেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি মানে অগ্নিসংযোগ করা নয়, মানুষ হত্যা নয়, দেশের উন্নয়নে বাধা দেওয়া এবং অবরোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে বাধাগ্রস্ত করা নয়। রাজনীতি হতে হবে জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে। তাহলে জনগণ তাদের গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধে সব দলকে আন্তরিক হতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পারস্পরিক সহমর্মিতা-বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: মোমেন
পারস্পরিক সহমর্মিতা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, সব মানুষ এক মহান সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন ২০২৩- এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, মানবতাকে আমাদের সবকিছুর উপরে স্থান দিতে হবে।
এক ধর্ম সম্পর্কে অন্য ধর্মের অনুসারীদের জানা ও বোঝার চেষ্টা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে মোমেন বলেন, এই দেশ সবার। আমরা সবাইকে নিয়েই বঙ্গবন্ধুর উন্নত সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে চাই।
ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক শিখা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ দাশ, হিন্দু কল্যাণ বোর্ডের ট্রাস্টি অশোক মাধব রায় ও ইঞ্জিনিয়ার পি. কে. চৌধুরী এবং হিন্দু কল্যাণ বোর্ডের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধে সব দলকে আন্তরিক হতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত কায়সার মোর্শেদের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত কায়সার মোর্শেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত কায়সার মোর্শেদ একজন মর্যাদাসম্পন্ন ভদ্রলোক ছিলেন। তার মতো অসাধারণ জ্ঞানী আর নম্র ব্যক্তি খুবই বিরল।
একজন পেশাদার দক্ষ কূটনৈতিকের পাশাপাশি তিনি একজন আইনজ্ঞ হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন বলে ড. মোমেন শোকবার্তায় উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত কায়সার মোর্শেদ ২২ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি ২ মেয়ে, ১ ছেলে ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ড. সালিমুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
ড. সালিমুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের এমডি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত বেলালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল টানা দ্বিতীয় মেয়াদে কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের (সিএফসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে ভোটে বিজয়ী হওয়ায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জন্য আরও কাজ করার সুযোগ পাবেন রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল।
তার নেতৃত্বে সিএফসি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
উল্লেখ্য, বুধবার (২২ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাষ্ট্রদূত বেলাল একমাত্র প্রতিপক্ষ ইতালির ড. মাসিমিলানো ফাবিয়ানের বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (৬৮ দশমিক ০১ শতাংশ ভোট) পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
বুধবার প্রতিষ্ঠানটির ৩৫তম বার্ষিক গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সদস্যগণ গোপন ব্যালটে তাদের ভোট প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত বেলাল ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ৪ বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে কমন সিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির ৩১তম বার্ষিক গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় রাষ্ট্রদূত বেলাল সর্বসম্মতিক্রমে ৪ বছরের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন।
সিএফসি একটি জাতিসংঘ অনুমোদিত আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা। এটি তার সদস্য দেশগুলোতে পণ্যমূল্য চেইনের সঙ্গে জড়িত প্রকল্পগুলোতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সংস্থার লক্ষ্য হলো- পণ্য উৎপাদন ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যবসা, সমবায় এবং প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিয়ে টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখা।
মোহাম্মদ বেলাল মার্চ ২০১৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় একই সঙ্গে তিনি ক্রোয়েশিয়া এবং বসনিয়া ও হারজেগভিনারও দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২০ নভেম্বর) বলেছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। সেখানে রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হবে কিনা এক প্রতিবেদকের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক, যেখানে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক দেশের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) করি। এটা একটা রুটিন ব্যাপার।’
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তার ভারতীয় সমকক্ষ বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে ২৩ বা ২৪ নভেম্বর ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নির্মাণশ্রমিক নিতে আগ্রহী স্কটল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রীকে স্কটিশ প্রতিনিধি দল
চলতি বছরে দুই দেশের মধ্যে এটি দ্বিতীয় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য উভয় দেশই তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে, দুই দেশ সাধারণত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে, যাতে সব সেক্টরের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আজ একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
লন্ডনে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, দুই দেশ স্থল সীমানা ও সামুদ্রিক সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে।
জয়শঙ্কর সংযোগ সহযোগিতা, জ্বালানি সরবরাহ এবং বন্দরের ব্যবহার তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মডেল সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা পেছানো হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সর্বত্র উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এবং দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।
মোমেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী দল ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারে।
তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল কীভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় সেই ইতিহাস দেখাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ইসি কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না তাই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় আছে। সেটি হচ্ছে নির্বাচন।’
তিনি বলেন, বিএনপি নানা অজুহাত দেখাচ্ছে।
মোমেন বলেন, যারা মানুষের জানমাল নষ্ট করবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। ‘এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের উচিত মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিদিন কথা বলে।
তিনি বলেন, তাদের ‘অ্যাম্বাসেডরস পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত এবং যদি তারা গ্যারান্টি দেয় যে যারা অ্যাম্বাসেডর পার্টির পক্ষে ভোট দেবে তারা তাদের দেশে নিয়ে যাবে, তাহলে কিছু মানুষ তাদের ভোট দিতেও পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
ঢাকা-দিল্লি বন্ধন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হয়েছে: জয়শঙ্কর
নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধে সব দলকে আন্তরিক হতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা কমছে, সহিংসতা বন্ধে সব দলকে ইচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা কাউকে নির্বাচনে বাধা দিতে দেব না। আমরা আশা করি, সহিংসতা বন্ধে সব দলের ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো সংলাপে পিছপা হয়নি। আওয়ামী লীগ মনে করে সংলাপ ভাল। আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরে দেশে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছেন। মোটামুটিভাবে অধিকাংশ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, এক-দুইটিতে হয়তো অনিয়ম হয়েছে। তবে সেই নির্বাচনগুলো বানচালও হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। আর এই নির্বাচনে যদি কোনো বন্ধু রাষ্ট্র সহায়কের ভূমিকা পালন করে, তাহলে তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাব।
ড. মোমেন বলেন,আমাদের বিরোধী দল বিএনপি ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু , সেখানে তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও করা। যারা কোনো দলের না বিচারকদের বাসভবনে জ্বালাও-পোড়াও করল। হাসপাতালেও জ্বালাও পোড়াও করল। সাধারণ জনগণের প্রায় ১৫৪টি বাস পোড়াল। বাসের মালিক তো সরকার না।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, আমরা আশা করব, যে বিপদগামী দলগুলো আছে তারা পরিপক্কতা অর্জন করে নির্বাচনমুখী হবে। যাতে আমরা শান্তিপূর্ণ মডেল নির্বাচন করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং বাংলাদেশেরও একই প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য আসছে, কারণ কিছু বাংলাদেশি সাংবাদিক জোর করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: কার সঙ্গে সংলাপ হবে, জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে তারা নিজেদের দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
ড. মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, পেছনের দরজা দিয়ে আসেনি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস স্পাউজ অ্যাসোসিয়েশন (এফওএসএ) আয়োজিত 'ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার'-এ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
এ সময় ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কেউ বাধা দিতে পারবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী