পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রতিটি হামলার বিচার হবে, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাম্প্রতিক নাশকতার প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে। আন্দোলনকারী প্রকৃত শিক্ষার্থীদের কোনো হয়রানি করা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, যারা গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের পিএসকে এবং ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলে দিয়েছে, মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং বিটিভিতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে- তাদের কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দুর্জয় শপথ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৩-১৪ সালে নাশকতার পর অনেকের বিচার হয়েছে, কেউ কেউ আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে গেছেন। এবার সেটি হবে না। প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
'রাষ্ট্রের ওপর হামলা বিএনপির তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। সে বলছে- বড় হামলা করলে বড় পদ, কারফিউ ভঙ্গ কর, না হলে পদ ছাড়। বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন-তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি কর। ছাত্রলীগের কর্মী মারলে ৫ হাজার, পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের স্বীকারোক্তি তারাই দিয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক দল? এটি একটি দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন।'
আরও পড়ুন: রাজাকারের পক্ষে স্লোগানদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রতিক নাশকতার চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু গত ৬০ বছরে বিটিভিতে কখনো হামলা ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু কখনো বিটিভিতে হামলা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগকালে মানুষ যেখানে ছুটে যায়, সেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ঢাকাবাসী ও দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেলের স্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারের আইডি হ্যাক করে ভুল বার্তা পোস্ট করা হয়েছে।
মন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য্য ধরত, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না।
ড. হাছান বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী মানুষ হত্যা বা জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তির ওপর হামলা চালাতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে তোমাদের কেউ যেন ব্যবহার না করতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কূটনীতিকরা স্তম্ভিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ মাস আগে
তিন হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে ইইউভুক্ত চার দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার দেশ- ইতালি, জার্মানি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার কর্মী নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান জানান, এ তিন হাজার কর্মীর দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরও কর্মী নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও বাংলাদেশ যেন ২০৩২ সাল পর্যন্ত পণ্য রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা পায় সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, ইইউ থেকে জিএসপি বা শুল্ক হ্রাস সুবিধাসহ এখন বাংলাদেশ যেসব সুবিধা পাচ্ছে সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে কখনো সহিংসতা চাই না: ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না, কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ মাস আগে
রাজনীতিতে কখনো সহিংসতা চাই না: ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি সমাবেশে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমাদের দেশে যেমন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, মানুষের সম্পত্তি পোড়ানো হয় সেটি কখনো কাম্য নয়। এটি অনভিপ্রেত, আইনবিরোধী।’
রবিবার (১৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ট্রাম্পের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কখনো ভায়োলেন্স ছিল না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ হামলায় আমরা চিন্তিত ও নিন্দা জানাই। রাজনীতিতে ভায়োলেন্স থাকা উচিত নয়।’
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, ‘কোটার বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে এসেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর সহানুভূতিশীল হয়ে পুরো কোটাই বাতিল করে দিয়েছিল। হাইকোর্ট সেটি পুনর্বহাল করেছিল, সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করেছে। কোটা আদালতের একটি বিচারাধীন বিষয়। সে কারণে এর ওপর সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে। আদালতের মাধ্যমেই এর সমাধান হতে হবে।
কোটা আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সেটির কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। এটি আসলে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিও বটে। কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। যেমন অনেক জেলা থেকে অনেক ক্যাডারে কেউ সুযোগ পাচ্ছে না, মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে গেছে -এসব সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
কোটা আন্দোলন থেকে বিএনপি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বিএনপি তো সবসময় চায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে। বিএনপি কোটা আন্দোলন থেকেও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ সরকার যে কোটা বাতিল করেছিল, সেটিই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও যখন আন্দোলন হয় বুঝতে হবে এটির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়েছে।’
গত ১১-১২ জুলাই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহায়তা এবং নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ শক্তি ব্যবহার বাড়ানো বিষয়ে রিট্রিটে কথা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।
রিট্রিটের সাইডলাইনে ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী হাছান জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য পচনশীল পণ্য আমদানিতে কোটা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা বিষয়ে কারিগরি দল পাঠানো, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তি ও জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ড. হাছান আরও জানান, মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সেটি রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর।
৪ মাস আগে
আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫৭তম সম্মেলন ২১-২৭ জুলাই
আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫৭তম সম্মেলনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে লাওস। অতিথিদের আবাসন, পরিবহন এবং যোগাযোগসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর (আসিয়ান) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অ্যাসোসিয়েশনের ৫৭তম সম্মেলনের (এএমএম) পূর্ণ প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করছে দেশটি।
আগামী ২১ থেকে ২৭ জুলাই লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে ৫৭তম এএমএম ও সংশ্লিষ্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার(১২ জুলাই) উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালুমক্সে কোমাসিথকে উদ্ধৃত করে লাও নিউজ এজেন্সি বলেছে, ‘লাওস এবং এই অঞ্চলের জাতীয় স্বার্থের সুবিধার্থে আমরা আসিয়ানের সভাপতিত্বের প্রতিপাদ্যটি অনুধাবন করার জন্য ৯টি অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
সালেমক্সে ৫৭তম এএমএমের প্রস্তুতির অগ্রগতি তুলে ধরেন। যা আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিবৃতি গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাসঙ্গিক ওয়ার্কিং গ্রুপ খসড়া বিবৃতির আলোচনায় ভাল অগ্রগতি করেছে।
বৈঠকে আসিয়ান কমিউনিটি ভিশন ২০২৫ বাস্তবায়ন এবং এ সংক্রান্ত কৌশলগত পরিকল্পনার খসড়া তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
আরও পড়ুন: মৎস্য খাতে আসিয়ান-বাংলাদেশের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ পর্বের উদ্বোধন
৪ মাস আগে
বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা চীনা প্রধানমন্ত্রীর: হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
বুধবার (১০ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে চীন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ২১টি সহযোগিতা নথি সই
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সব বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও জানান, ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছয়টি সফরের মধ্য দিয়ে যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল তা স্মরণ করে লি কিয়াং বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে আগামী বছর বাংলাদেশ সফরের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথভাবে উদযাপনের ওপর দুই নেতাই গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: এফটিএ সম্ভাব্যতা যাচাই শেষসহ ৭টি ফলাফল ঘোষণা ঢাকা-বেইজিংয়ের
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও তিনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জবাবে চীনে আরও বাংলাদেশি পণ্য আমদানির কথা বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
এসময় চীনের প্রধানমন্ত্রীকে চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ওষুধ পণ্য ও সিরামিক পণ্য আমদানির অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা।
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বজুড়ে মানবতা সমুন্নত রাখতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বরাদ্দ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও চীনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়াও ব্রিকসে যেকোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
এই অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সমর্থনের আশ্বাস দেন চীনের প্রধানমন্ত্রী।
২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে আনুষ্ঠানিক উত্তরণের পর বাংলাদেশ যাতে কমপক্ষে তিন বছর এলডিসি সুবিধা লাভ করতে পারে এ বিষয়ে চীনের সহযোগিতা চান শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সংক্ষিপ্ত হয়নি, কর্মসূচি অপরিবর্তিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক দেখে বিএনপি’র গাত্রদাহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতিটাই অনুসরণ করে চলেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। সেজন্য তারা উল্টাপাল্টা বলা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, 'ভারত থেকে আসার পর বিএনপি বলতে শুরু করেছে, আমরা নাকি দেশটা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। এখন চীন থেকে আসার পর তারা বলে কিনা, চীনের কাছেও দেশটা বিক্রি করে দিয়েছি। যেখানেই যাই তারা বলছে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। বিএনপির কাছে আমার আমার প্রশ্ন, দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায় ?'
শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিভাগ এটির আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা অত্যন্ত সফলভাবে সেটি করে চলেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন সেখান থেকে এসে কিছুদিনের বিরতিতে তিনি এখন চীন সফরে যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে ভারতের সঙ্গে যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, চীনের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত চমৎকার ও ভালো সম্পর্ক।আরও পড়ুন: রাজনীতিতে পরজীবী হয়ে গেছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা নিকট প্রতিবেশী ভারত যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছে, তাদের সঙ্গে যেমন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছি, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের পাশে ছিল না তারাও আমাদেরকে সহায়তা করছে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছে, আমাদের উন্নয়নে অবদান রাখছে। এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সফলতা। এটি বিএনপিসহ অনেকেই বুঝেও না বোঝার ভান করে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকার মাথা উঁচু করে চলে। শেখ হাসিনা কারো কাছে মাথা নোয়াবার নয়, এটি মনে রাখতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খেপাটে মেজাজের রিজভী কী বলল, ঢুলঢুলে মেজাজে গয়েশ্বর বাবু কী বলল, শিক্ষিত হয়েও মির্জা ফখরুল অশিক্ষিতের মতো কথা বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা করে, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সেটিই করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
রওনক জাহানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের মহাপরিচালক ও তার একান্ত সচিব আরিফ নাজমুল হাসানের মা রওনক জাহানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৫ জুলাই) এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: শফি আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
৭০ বছর বয়সে রওনক জাহান মারা যান। রওনক জাহান এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। তার স্বামী মরহুম বীর প্রতীক নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের নিখোঁজ সংসদ সদস্যের লাশ উদ্ধার, প্রধানমন্ত্রীর শোক
৫ মাস আগে
বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘যেই বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে, সেই বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়।’
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি ও সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে অবান্তর উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কী দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করছি, এতে কি ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সঙ্গেও কানেক্টিভিটি হবে।
আরও পড়ুন: অপশক্তিকে রুখে দিতে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান কাদেরের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও অর্থাৎ আমরা 'রিজিওনাল কানেক্টিভিটি' বাড়ানোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এই কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না, বোঝার কথাও নয়।
তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমদের মূল শক্তি হচ্ছে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও শেখ হাসিনা। তার দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা, সমস্ত সংকটে অবিচল থেকে সেটিকে মোকাবিলা করা।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের ক্ষমতা, দলীয় ঐক্য ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অগাধ আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন রয়েছে। আর তাদের মেধা ও শ্রমের কারণেই পরপর চারবার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মোট পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: ‘যেমন নেত্রী তার তেমন সভাসদ’: বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরপর চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আলস্য এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল এবং এর সবচেয়ে বড় কারণ, সংগঠন শক্তিশালী ছিল- উল্লেখ করেন ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ও তাদের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক চক্র উন্মুখ হয়ে বসেছিল যে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়। শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমিশনসহ ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট টানা চারবার নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি লিখেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও সফুরা বেগম রুমি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে পরজীবী হয়ে গেছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই বড় কৌতুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই সবচেয়ে বড় কৌতুক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ-সৌদি আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে 'পলিটিক্যাল কনসালটেশন' শেষে রিয়াদ থেকে বুধবার দুপুরে দেশে ফিরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশনা ও ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
আরও পড়ুন: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে বিএনপির মন্তব্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উভয়েই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপির শাসনামলে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সুতরাং তাদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে বক্তৃতা বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে কথা বলা -এটিই সবচেয়ে বড় কৌতুক।’
সৌদি বিনিয়োগ ও শ্রমশক্তি রপ্তানি
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ও বিনিয়োগ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে শ্রমশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক বহু আগেই উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগসহ বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। দেশে সৌদি বিনিয়োগ আছে এবং তারা আরও বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব বাংলাদেশে ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের বিনিয়োগ আছে, বে-টার্মিনালেও তারা বিনিয়োগ করতে চায়, পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত অফশোর ব্যাংকিংসহ আমাদের এখানে ফিন্যান্সিয়াল উইন্ডো যেগুলো রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রেও তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরবকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তারা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের মিরের সরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনও করেছে।’
মন্ত্রী এ সময় শ্রমশক্তি রপ্তানির তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ‘সৌদি আরবে এখন প্রায় ৩১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। করোনার সময় লাখ লাখ কর্মী ফেরত এসেছিলেন। কিন্তু গত তিন বছরে আবার প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি সৌদিতে গেছেন। সৌদি আরব এক্ষেত্রে খুব সহায়ক ছিল। এই শ্রমজীবীদের সঙ্গে দুই দেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাতে প্রতারণা না করতে পারে, সেজন্য আমাদের উভয়পক্ষের প্রস্তাব ও সম্মতিতে যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে সেখানে বাংলাদেশিদের নিজেদের নামে ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তারা রেমিটেন্স পাঠাতে পারে না। সেই অসুবিধা দূর করতে আমরা বাংলাদেশিদের ব্যবসা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি, তারা এটা বিবেচনায় নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর
আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দেশের কূটনীতির মূলমন্ত্র 'সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের কথাও হয়েছে। চীন আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরটিও আমাদের উন্নয়নকে বেগবান করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে তিনি একাডেমির ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন। এ সময় একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, বিনিয়োগের সম্ভাবনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
৫ মাস আগে
সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় কাজ করবে যৌথ টাস্কফোর্স: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চাকরিসূত্রে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ টাস্কফোর্স কাজ করবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরও স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাসীদের ব্যাপক অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর প্রণোদনা, অনলাইন অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সর্বজনীন পেনশন সুবিধা ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণসহ সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।
পাশাপাশি প্রবাসীদের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলা এবং দেশবিরোধী প্রচারণার বিরুদ্ধে সতর্ক ও তৎপর থাকা এবং দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার মান উন্নয়ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, বিনিয়োগের সম্ভাবনা
এ সময় সৌদি আরবে আরও দক্ষ বাংলাদেশি পেশাজীবী নিয়োগ, আকামা নবায়ন সহজীকরণ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, চট্টগ্রাম থেকে রিয়াদ সরাসরি বিমান ফ্লাইট চালু, ওয়েজ আর্নারস বন্ড, প্রবাসীদের স্বাস্থ্যবীমা, মৃত প্রবাসীদের লাশ ফেরত আনার সুব্যবস্থা, আইনি সহায়তা, দূতাবাসের মাধ্যমে পাসপোর্ট নবায়ন, এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন, পরিবারের ভিসা নবায়নের বিষয়ে প্রবাসীদের দাবি-দাওয়া সমাধানের আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান তার বক্তৃতায় বলেন, 'স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অভাবনীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, সমগ্র বিশ্ব তার প্রশংসা করছে, সৌদি সরকারও ভূয়সী প্রশংসা করেছে।'
সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংসহ বিনিয়োগের বিভিন্ন সম্ভাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সৌদি আরব গমনেচ্ছু বাংলাদেশিরা যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সৌদি আরব গমনের পূর্বে আগ্রহী বাংলাদেশিদের নিয়োগকারীর যথার্থতা যাচাই করা প্রয়োজন।
সৌদিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. জাবেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন- অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মু. নজরুল ইসলাম, মন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দূতাবাসের প্রতিনিধি, প্রবাসী শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা।
আরও পড়ুন: সৌদির সঙ্গে অফশোর ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে