গবেষণা অনুযায়ী, ফেসবুক অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আমাদের মূল্যবান সময়, মানসিক শান্তি এবং শারীরিক স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। তবে সব কিছুর ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই রয়েছে। সচেতনতার অভাবে আমরা হয়তো খারাপ কাজেই বেশির ভাগ সময় ফেসবুককে ব্যবহার করছি, কিন্তু যারা অনলাইন প্রফেশনাল, তারা ফেসবুককে বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ মনে করেন। বিশ্বব্যাপী প্রায় দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে। সঠিক কৌশল অনুসরণ করতে পারলে ফেসবুকও হতে পারে অর্থ উপার্জনের একটি স্থায়ী মাধ্যম।
চলুন জেনে নেয়া যাক ফেসবুক থেকে কীভাবে অর্থ উপার্জন সম্ভব।
কীভাবে ফেসবুক থেকে অর্থ আয়ের সম্ভাবনা তৈরি করবেন
চাইলেই রাতারাতি ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করার আশা করতে পারেন না। ফেসবুক থেকে ভালো উপার্জন করতে চাইলে আপনাকে পরিকল্পিত উপায়ে কিছু কাজ করতে হবে। আয়ের আগে আপনাকে আয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে হবে। কীভাবে ফেসবুক থেকে নগদ অর্থ উপার্জন করা যায় তার কিছু কৌশল নিচে তুলে ধরা হলো।
নিজেকে উপযুক্ত হিসেবে তৈরি করা
ফেসবুক থেকে উপার্জনের প্রথম পদক্ষেপটি হবে নিজেকে যথাযোগ্য তথা মানানসই হিসেবে তৈরি করা বা উপস্থাপন করা। আপনার উপস্থাপনা আবেগ বা দক্ষতা যেমন লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন বা কোনো ধরনের স্থানীয় ব্যবসায় যেমন বুটিক, হোম ডেলিভারির মতো বিষয়গুলো হতে পারে। যখন আপনি এ বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা বা কৌশলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হবেন তখন এ মাধ্যমটির মাধ্যমে আপনার অর্থ উপর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ তৈরি করা
ফেসবুক থেকে আয়ের জন্য প্রথমেই একটি পেজ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার নিজের আগ্রহের পাশাপাশি অন্যদের আগ্রহকেও প্রাধান্য দেয়া উচিত। ফেসবুক পেজ হতে পারে যেকোনো ধরনের। যেমন- ফুড রিভিউ, ট্রাভেল পেজ, নিউজ পোর্টাল কিংবা ট্রেন্ডি কোনো ট্রল পেজ। ট্রল পেজের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেন এটি কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে আঘাত না করে বা কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করে।
অডিয়েন্স তৈরি
পেজ তৈরির পর আপনার প্রথম কাজই হচ্ছে অন্যান্য ফেসবুক ইউজারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এর জন্য আপনাকে মানসম্মত কনটেন্ট পোস্ট করে যত বেশি সম্ভব পেজটাকে অ্যাংগেজ রাখতে হবে। যখনই আপনার পেজটি ভালো সাড়া পেতে শুরু করবে, অর্থাৎ আশানুরূপ লাইক, কমেন্ট, শেয়ার হবে, তখনি আপনি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তত হবেন। আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে থাকুন এবং আর্টিকেলগুলো ফেসবুক পেজে নিয়মিত পোস্ট করুন।
ফেসবুক থেকে আয়ের জন্য আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে এবং কিছুতেই কোনো আর্টিকেল কোথাও থেকে কপি করতে পারবেন না। কপি করা আর্টিকেল দিয়ে কোনো দিনই আপনি সফলতা পাবেন না।
ইনফ্লুয়েন্সার হোন
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে আপনার সাধারণ ফেসবুক প্রোফাইল থেকেই আয় করতে পারেন। ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার বিষয়টা অনেকটা আধুনিক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের মত। নামকরা কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা প্রচারণার জন্য স্বনামধন্য ও খ্যাতিমান ব্যক্তিদেরকে তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত করে। ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার হতে হলে প্রথমেই আপনাকে প্রোফাইলে মানসম্মত কিছু কন্টেন্ট ও যথেষ্ট সংখ্যক ফ্যান-ফলোয়ার থাকতে হবে। অবশ্যই আপনার ফেসবুক এক্টিভিটিতে সার্বিকভাবে ফলোয়ারদের সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া থাকা উচিত। এরপর Hireinfluence, BlogMint, Fromote এর মতো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেট এজেন্সির ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই আপনি কোনো এক ব্র্যান্ডের প্রতিটি পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করবেন এবং পরবর্তীতে ওইসব ব্র্যান্ডের পোস্ট প্রচার করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।
দক্ষতা শিখুন
আপনার যদি স্থানীয় কোনো ব্যবসা না থাকে এবং আপনি এখনও ফেসবুকের সাহায্যে উপার্জন করতে চান তবে অবশ্যই গ্রাফিক ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, কনটেন্ট লেখা, প্রোগ্রামিং প্রভৃতি নির্দিষ্ট বিষয়গুলোর প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে। যাতে আপনার তৈরি করা কনটেন্টগুলো সবার কাছে আকৃষ্ট হয়।
কীভাবে ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করবেন
যখন আপনি আপনার ফেসবুক পেজে নির্দিষ্ট কিছু শ্রোতা তৈরি করতে পেরেছেন তখন আপনি ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য প্রস্তুত। আসুন এবার ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জনের কিছু পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।
পণ্য বিক্রয়
অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার জন্য ফেসবুক একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্যের ছবি, সাইজ, দাম দিয়ে সহজেই বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক থেকে আয়ের জন্য এটি অত্যন্ত সহজ এবং সুলভ একটি পদ্ধতি। অনলাইনে এমন অনেক গ্রুপ আছে যারা নিজেদের ব্যবসার প্রসার বা পরিচিতির জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম কনটেন্ট দিয়ে থাকে। এদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে নিজের গ্রুপ, পেজ, পণ্য বা কোম্পানির পরিচিতি বাড়ানো। কারণ ফেসবুকে বিনামূল্যে ভিজিটর পাওয়া যায় এবং ভাইরাল হওয়ার মতো একটা অপশন তো আছেই!
এ সমস্ত কনটেন্টে আপনার কাজ হবে সর্বোচ্চ সংখ্যক বন্ধুদের ট্যাগ দেয়া, ইনভাইট করা, লাইক-কমেন্ট-শেয়ার করা। অর্থাৎ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় প্রচার কাজটি সম্পন্ন করা। আপনার পারফরমেন্সের ওপর আপনাকে কনটেন্ট উইনার ঘোষণা করা হবে এবং এখান থেকে প্রাইজ হিসেবে আপনি আয় করতে পারেন। বেশি ফলোয়ার, বেশি লাইক ও অধিক গ্রুপ মেম্বার সমৃদ্ধ যেকোনো কিছু আপনি অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনাকে সম্পূর্ণ ইউনিক আইডি এবং অন্যান্য মার্কেটিং মেটেরিয়াল প্রদান করবে। আপনার বিজনেস জেনারেটরের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে আপনি অর্থ পাবেন। সুতরাং, এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট খুঁজে নেয়া জরুরি।
আপনি যদি একজন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে কোনো কোম্পানির মার্কেটিং করতে চান, তবে কোম্পানির সাইট সার্চ দিয়ে রিকয়্যারমেন্ট ফর্ম পূরণ করুন। এটা আপনি ফ্রি এবং অল্প সময়েই করতে পারবেন।
প্রত্যেকটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য আলাদা আলাদা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলুন। এতে কোনো ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক একটি পেজ থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন খুঁজে বের করতে হবে না। বরং নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনোটাকে ফলো করতে পারবে।
প্রতিদিন পোস্ট করুন এবং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করুন নিখুঁতভাবে। ফলোয়ার বাড়ানোর মাধ্যমেই প্রচার বাড়ানো সম্ভব। যখন কেউ আপনার পোস্টে ক্লিক করবে এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট থেকে কিছু কিনবে, তখন আপনি আয় করবেন।
ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
কোনো বিষয়ে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে অনলাইনে মানুষের ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে পারাকেই ইনফ্লুয়েন্সার বলে। ইনফ্লুয়েন্সার হলে মার্কেটিং করার কষ্ট কমে যায়। অল্প কষ্টে বেশি লাভ করা যায়। ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার টেকনিক জানা থাকতে হবে।
যদি আপনার ওয়ালের পোস্টগুলোতে মানসম্মত লাইক-কমেন্ট-শেয়ার থাকে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ফেসবুক থেকে আয় করা আপনার জন্য সহজ হবে। এমনকি আপনার যদি যথেষ্ট ফ্যান-ফলোয়ার থাকে এবং আপনার নিজস্ব প্রোফাইলে তাদের সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তবে BlogMint অথবা Fromote এ ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাকাউন্টে সাইন আপ করে আয় করতে পারেন সহজেই। সাইন আপ করার পর আপনার প্রোফাইলের তথ্য দিয়ে একটা ফর্ম পূরণ করবেন এবং ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজস্ব প্রাইস নির্ধারণ করে দেবেন।
ফেসবুকে ক্রয় বিক্রয়
বাসায় অব্যবহৃত একটি ফোন পড়ে আছে? সময়ের অভাবে আপনার প্লেস্টেশনটি চালানো হচ্ছে না? পুরাতন ডিজিটাল ক্যামেরাটা বিক্রি করে নতুন একটি ডিএসএলআর কিনতে ইচ্ছুক? এরকম হাজারো খুঁটিনাটি জিনিস কিন্তু আমরা চাইলেই ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে পারি। ফেসবুকে কেনাবেচার (Buy and Sell) অসংখ্য গ্রুপ রয়েছে। কোনো কোনো গ্রুপ নির্দিষ্ট পণ্য কেনাবেচার জন্য, আবার কোনোটিতে পণ্য বিক্রি সম্পর্কে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। এসব গ্রুপে আপনার অব্যবহৃত যেকোনো পণ্যের জন্য সহজেই সঠিক ক্রেতা খুঁজে পেতে পারেন। তবে অনলাইনে এসব ক্রয় বিক্রয়ের সময় সতর্ক থাকতে হয়, যেকোনো লেনদেনের পূর্বে ক্রেতা সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য নিশ্চিত করতে হবে, একইসাথে নিশ্চিত করতে হবে টাকা আদান-প্রদানের সুরক্ষিত মাধ্যমও। কম সময়ে বেশি লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুক পেজ বুস্টিংয়ের মাধ্যমেও অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন তৈরি করার সময় ভৌগলিক অবস্থান, বয়স, লিঙ্গ প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়গুলোর উপর খেয়াল রাখতে হবে।
ফেসবুক মার্কেটিং হিসেবে কাজ করুন
ব্যবসায়িক পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে যে কোনো বিজনেসের সাধারণ ফরমূলাটা অনেকটা এরকম ‘প্রোডাক্টটাকে যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে, তত বেশি সেল জেনারেট করা যাবে।’ তাই ফেসবুক মার্কেটিংয়ের প্রথম লক্ষ্য হবে কীভাবে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। কী ধরনের কনটেন্ট তৈরি করলে রিচ বেশি হবে। ফেসবুকের এলগরিদম এংগেইজমেন্ট নির্ভর। অর্থাৎ একজনের কনটেন্টে যদি আপনি কমেন্ট করেন তাহলে আপনার বন্ধুদের নিউজফিডেও সেই কনটেন্ট শো হবে। এভাবে যত এংগেইজমেন্ট জেনারেট করা যাবে, তত ভিজিবিলিটি বাড়বে। যত ভিজিবিলিটি বাড়বে, তত বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করুন
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রোপাইটর হন তবে আপনি এটিকে একটি পেশা হিসেবে নিতে পারেন (যাকে বলে ‘সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার’) এবং বেতন পেতে পারেন। কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব হলো করপোরেট সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর (যেমন ফেসবুক) অ্যাকাউন্টগুলো পোস্ট করার সময়সূচী অন্তর্ভুক্ত করা, শ্রোতা তৈরি করা, প্রচারের সাফল্য পর্যবেক্ষণ করা, গ্রাফিক্স তৈরি করা ইত্যাদি। অনেক ব্র্যান্ড এবং সংস্থাগুলো ব্র্যান্ড প্রচারের জন্য পেশাদার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দেয় এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে থাকে।
ফেসবুকে বিনিয়োগ করুন
আপনি হয়তো জানেন যে ফেসবুককে ন্যাসডাক কম্পোজিটে (Nasdaq Composite) একটি সার্বজনীনভাবে পরিচালিত সংস্থা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। অন্য শেয়ার বাজারের বিনিয়োগের মতো আপনি ফেসবুকের স্টক শেয়ার ‘এফবি’ কিনে আয় করতে পারবেন। তবে, এফবি স্টকের দাম প্রতিদিন ওঠানামা করতে পারে, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে বিনিয়োগ করতে হবে।
অন্যান্য
এতক্ষণ ফেসবুক থেকে আয় করার কিছু উপায় হাইলাইট করা হয়েছে। এগুলো ছাড়াও ফেসবুক ব্যবহার করে আরও কিছু মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ আছে। অনেক কোম্পানি এবং ব্র্যান্ড তাদের পোস্ট অন্য ফেসবুক পেজে শেয়ার করে থাকে। এসব ক্ষেত্রেও আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন। সেখান থেকেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পরেবেন।
এছাড়াও যে কোনো ফেসবুক ফ্যান পেজ বা গ্রুপে বেশি পরমিাণ ফলোয়ার থাকলে বিক্রয়যোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সুতরাং, আপনার সেরকম ফেসবুক পেজ থাকলে বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনেকে আবার ফেসবুক লাইক বিক্রি করেও আয় করে থাকেন যদিও অনেকে এটাকে ভালো চোখে দেখে না। এছাড়াও ব্যক্তিগত ইমেজ, চাকরি খোঁজাসহ নানান কাজে ফেসবুক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সবশেষ ভাবনা
ফেসবুক একটি আপগ্রেডিং সামাজিক মিডিয়া প্লাটফর্ম যার কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই। এর মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো সময় যে কারো কাছে ছবি, ভিডিও, বিজ্ঞাপন এবং পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
তবে, স্থায়ী উপায়ে ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে আপনার ফ্যান বা ফলোয়ারদের জীবনকে পণ্য হিসেবে মনে না করে তাদের বন্ধু, পরামর্শদাতা এবং সহযোগী হিসেবে মনে করে কাজ করতে থাকুন।
মনে রাখতে হবে, ফেসবুকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু আইটেম যেমন, তামাক, অ্যালকোহল জাতীয়, অবৈধ ওষুধ, অস্ত্র, জুয়াড় সামগ্রী, বন্য প্রাণী প্রভৃতি পণ্যগুলো বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ নেই। সবমিলিয়ে আপনি যদি দক্ষতার সাথে কৌশলগতভাবে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটি হতে আপনার অর্থ উপার্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম।
শুভ ফেসবুকিং!
আরও পড়ুন: ব্লগ থেকে টাকা আয় করবেন যেভাবে