ঢাকা
ঈদযাত্রায় ঢাকার গণপরিবহনে ৮৩২ কোটির অধিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় চলচলকারী গণপরিবহনগুলোতে বকশিশ হিসেবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যার পরিমাণ ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকায় দাঁড়াবে বলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পর্যবেক্ষণ এই তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। তাছাড়াও ঈদবাজারসহ নানান প্রয়োজনে বিভিন্ন গণপরিবহনে বাড়তি ট্রিপ সম্পন্ন হবে। এসব যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নানামুখী তৎপরতার মধ্যেও এবারে ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপকমিটির সদস্যরা গত ২০ মার্চ থেকে ঢাকা মহানগরীতে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীসেবার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে আজ সকালে এমন তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
সংগঠনটির পর্যবেক্ষণে অনুযায়ী, সরকার বাস-লঞ্চ ও বিভিন্ন গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে চালক, সহকারীর বেতন-ভাতা ও দুই ঈদের বোনাস প্রতিদিনের আদায়কৃত ভাড়ায় ধার্য্য থাকলেও দেশের কোনো পরিবহনে তা কার্যকর নেই। ফলে এবারের ঈদে ৯৮ শতাংশ গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঈদ কেন্দ্রিক পরিবহনে চাঁদাবাজি বৃদ্ধি, পরিবহন কোম্পানিগুলোর বাড়তি খরচের যোগান দেওয়া, পরিবহনের মালিক-চালক-সহকারী ও অন্যান্য সহায়ক কর্মচারীদের ঈদ বোনাস তুলে নেওয়া। পরিবহন মালিকেরা বাড়তি মুনাফা লুফে নেওয়াসহ নানাকারণে বিভিন্ন শ্রেণির গণপরিবহন ও ভাড়ায়চালিত প্রাইভেট পরিবহনগুলো একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
সড়ক ও নৌ পথের পরিবহন মালিকদের নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিং ভিজিল্যান্স টিম থাকলেও এসব টিমে যাত্রী প্রতিনিধি না রাখায় যাত্রীর স্বার্থ কেউ দেখছেন না বলেও পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌপথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদী-বন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে ২০০টি ছোট-বড় নৌযানে প্রায় ৪০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত শ্রেণিভেদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।
রাজধানীতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারী ২০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় প্রায় ৩০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ৬০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, প্যাডেলচালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় ৮ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশায় ৮ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ১৬০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার হিউম্যান হলারে কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।
প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাস ২০ হাজার, যেখানে ৬০ হাজার ট্রিপে গড়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ২১ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
এবারের ঈদে ঢাকা থেকে দুরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে দুরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।
প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি বাস সার্ভিসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোন গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৩ হাজার সিটি বাসে ৪০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১২ কোটি টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।
গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ২৫ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছে। কেবলমাত্র ঢাকা মহানগরীর ৫ লাখ রাইডশেয়ারিং মোটরসাইকেলে যাত্রী প্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১০০ টাকার বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে ২ কোটি ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছে ২৫০ কোটি বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
প্রতিবছর ঈদে ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে নানান ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও বিপুল সংখ্যক নিম্নআয়ের লোকজন কম খরচে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করে থাকে। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ৮০ হাজার যাত্রী ট্রেনের ছাদে করে বাড়ি যাবে। তাদের প্রত্যেককে গড়ে কমপক্ষে ১০০ টাকা হারে ৮০ লাখ টাকা রেলে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ঘুস দিতে হবে। খাবার গাড়ি, ইঞ্জিন, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরো প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী। ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি ষ্টুয়ার্ড, বেসরকারি ক্যান্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।
আকাশপথে সরকারি-বেসরকারি উড়োজাহাজে ঈদের ১০দিন আগে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মহোৎসব চলছে। কোনো কোনো পথে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় হচ্ছে। এই ঈদে কমপক্ষে ১ লাখ যাত্রী অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশপথ ব্যবহারে যাত্রী প্রতি গড়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বাড়তি ভাড়া নিলে ৩৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে।
সদরঘাট নদীবন্দরসহ বিভিন্ন লঞ্চ ও খেয়াঘাটে নৌ-পথে যাতায়াত ও খেয়া পারাপারের যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে ঈদ উপলক্ষে ৫ টাকার মাসুল ঘাট ইজারাদারের লোকজন ১০ থেকে ২০ টাকা হারে আদায় করে থাকে। এসময়ে পণ্য নিয়ে খেয়া পারাপার বা লঞ্চে আরোহণে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত কুলি মজুরি বাবদ দাবি করা হয়। খেয়া পারাপারে ঈদবাজারের প্যাকেট প্রতি মাসুল দাবি করা হয়। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের আশেপাশে খেয়া পারাপারে ১০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হবে। এসব যাত্রীর মাথাপিছু ১০ টাকা হারে বাড়তি হিসেবে ১০০ কোটি টাকা বাড়তি ঘাট মাসুল আদায় করে লুটপাট করে ইচ্ছে মতো যাত্রী হয়রানি করছে, বেসরকারি ইজারাদার, বিআইডাব্লিউটিএর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এসব লুটপাটের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ঢাকা শহরে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ও ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদযাত্রায় কেবল ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। আন্তঃজেলাসহ সারাদেশে সকল মহানগর হিসাবে আনলে তা দশগুন বাড়বে। এহেন অতিরিক্ত ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে দ্রব্যমূল্য, চাঁদাবাজি, সামাজিক অস্থিরতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। নিম্ন আয়ের লোকজন ভোগান্তিতে পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণে গণপরিবহনে ডিজিটাল ভাড়া আদায় চালু করা, নগদ টাকার লেনদেন বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়কে সিসি ক্যামরা পদ্ধতিতে প্রসিকিউশন চালু করা, আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহমদ, অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ।
২৩ ঘণ্টা আগে
মার্চের শেষে ঢাকায় চালু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার
চলতি মার্চ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ' সই অনুষ্ঠান শেষে জ্যেষ্ঠ সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আমরা চাই পুলিশ কোমর সোজা করে দাঁড়াক: নাসিমুল গনি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারটা বাংলাদেশের বাইরে ছিল। বাংলাদেশিদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রক্রিয়াটি এতদিন নয়া দিল্লি থেকে হয়ে আসছিল। তারা এই মাসের শেষ থেকে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করবে। ঈদের পরপরই হয়তো চালু হয়ে যাবে।'
৩ দিন আগে
ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
অবশেষে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার সূচকের পতনের ধারা কাটিয়ে উত্থানের মুখ দেখলেও দুই বাজারেই কমেছে মোট শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনের পরিমাণ। তবে লেনদেন কমলেও দুই বাজারে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ এর সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
গতদিন ডিএসই'র লেনদেন ৫০৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন এসে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৬, কমেছে ১৫৬ এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং বি ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও, দাম কমেছে জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির।
জেড ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯, কমেছে ৩৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টিরই দাম বেড়েছে। বাকি কোম্পানির মধ্যে অপরিবর্তিত ৩ এবং দাম কমেছে একটির।
ব্লক মার্কেটে ২০ কোম্পানির শেয়ার ৩১ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও সূচকের উত্থান
সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২০৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসই'র শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসি।
৮ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকায় সূচকের পতন, চট্টগ্রামে উত্থান
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকার বাজারে সূচকের পতন হলেও বেড়েছে চট্টগ্রামে। একইভাবে ঢাকায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও, দাম বেড়েছে চট্টগ্রামের বাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (১৬ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস ১ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৩, কমেছে ১৯০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে তিন ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১২ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ৪০ কোম্পানির ১৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরা ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসইতে ৪৪৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: ক্ষুদ্র কোম্পানির উত্থান ভালো, হোঁচট খেল ব্যাংক খাত
অন্যদিকে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড।
চট্টগ্রামে উত্থান
ডিএসইতে পতন হলেও সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্টে।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। মোট ১৮১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৬৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
রোববার সিএসইতে মোট ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক এবং ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম কমে তলানিতে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।
১১ দিন আগে
ঢাকায় ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন করলেন গুতেরেস
রাজধানীর গুলশানে ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে এই উদ্বোধন শেষে ভবনটি পরিদর্শন করেন মহাসচিব।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা এমন তথ্য দিয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন গুতেরেস।
তিনি জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। পরে তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল নিশ্চিতে সবকিছু করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে একটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন গুতেরেস।
এ বৈঠক শেষে তরুণ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। রবিবার (১৫ মার্চ) সকালে ঢাকা ছাড়বেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস।
১২ দিন আগে
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর, দূষণে তৃতীয়
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হয়ে চলেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকার ঢাকার বাতাস ১৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।
বায়ুদূষণে ঢাকা যেখানে সবসময় বিশ্বে এক কিংবা দুই নম্বরে থাকে, সেখানে আজ (শুক্রবার) তৃতীয় স্থানে।
আইকিউএয়ারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২৩৮ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ২৩১ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরেই অবস্থান ভারতের দিল্লির, আর ১৬৩ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘ভালো’ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এরপর একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, দূষণে ষষ্ঠ
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২০ দিন আগে
আবারও পতনে পুঁজিবাজার, কমেছে সূচক ঢাকা-চট্টগ্রামে
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সূচকের পতনের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে লেনদেন কমেছে দুই বাজারেই।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (৩ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৫ পয়েন্ট।
ডিএসইতে মোট লেনদেন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮১ কোটি টাকায়, যা গতদিন ছিল ৪২১ কোটি টাকা। টানা দুই দিনের পতনে আবারও ইউনিট এবং শেয়ারের লেনদেন নেমে এসেছে ৩০০ কোটিতে, যা গত ১৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৮, কমেছে ২৩০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ,বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল তলানিতে।
এর বাইরে ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র তিন কোম্পানির। দাম কমেছে ১৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৩ কোম্পানির ৬৮ লাখ শেয়ার ২২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে প্রাইম ব্যাংক একাই ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
গত সপ্তাহজুড়ে টানা পতনের পর কিছুটা সূচক বেড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারের এসএমই সূচকে। সারাদিনের লেনদেনে ৪ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২, কমেছে ১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে গতদিন লেনদেনের তলানিতে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসের দাম ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে উঠে এসেছে শীর্ষে। অন্যদিকে সাড়ে ৬ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে সুরইউদ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড (Shurwid Industries Limited)।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১, কমেছে ১১১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমার পাশাপাশি গতদিনের তুলনায় লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে শুরু রমজানের লেনদেন
২৩ দিন আগে
আজ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, দূষণে পঞ্চম
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে। রবিবার (২ মার্চ) সকাল ৯টায় সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে শহরটির একিউআই স্কোর ১৬৫।
অর্থাৎ ঢাকার আজকের বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর। এতে বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। আজ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, পাকিস্তানের লাহোর ও উজবেকিস্তানের তাসখন্দ যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তাদের স্কোর হলো ২০৪, ১৮৪ ও ১৮০।
একদিন আগে শনিবার ৩০৪ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষণে বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছিল ঢাকা। এদিন বায়ুর গুণমান ও দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষে উঠে এলো ঢাকা
২৫ দিন আগে
বৃহস্পতিবার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
গত দুদিনের তুলনায় ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি হয়েছে। ঢাকার আজকের বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যা গত দুদিন ছিল তৃতীয় স্থানে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি আবারও বাড়িয়েছে।
ভারতের দিল্লি, ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং চীনের সাংহাই শহর যথাক্রমে ২২৭, ১৮৯ এবং ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।ি
আরও পড়ুন: বিশ্বে বায়ুদূষণে তৃতীয় শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২৮ দিন আগে
বিশ্বে বায়ুদূষণে তৃতীয় শহর ঢাকা
দূষিত বাতাস নিয়ে বিশ্বে আজও তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে একিউআই স্কোর ২১৭ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় এই অবস্থানে রয়েছে এটি।
একিউআই সূচকে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা উল্লেখ করে শহরটির আজকের বাতাস 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
সেনেগালের ডাকার, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ২৫৮, ২৫০ ও ১৮১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় শহর ঢাকা
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২৯ দিন আগে