তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে নিতে এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত গণশুনানির সমাপ্তি বক্তব্যে ড. কামাল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘...এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। ৩০ ডিসেম্বর সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে, দেশের জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, সংবিধান লংঘন করেছে এবং গণতন্ত্রকে কলংকিত করেছে।’
দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অনিয়মের চিত্র’ তুলে ধরতে শুক্রবার গণশুনানি আয়োজন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
গণশুনানিতে ৪২ প্রার্থীর জবানবন্দির বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘এখানে আপনারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সারা দেশের একই চিত্র উঠে এসেছে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হয় সেজন্য সরকার সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিল।’
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, এই দাবি ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিক।
গণশুনানিতে ড. কামাল সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন।
বিচারক প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন-অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, সাবেক বিচারক আ ক ম আনিসুর রহমান খান, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও আইনজীবী মহসিন রশিদ।
গণশুনানিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা এবং বিভিন্ন জোটের কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন।