%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
গোয়ালন্দে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা মাঠে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলা অবস্থায় পড়ে গিয়ে মারা যান পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান মুন্সী (৫৯)।
রাতেই তার লাশ রাজবাড়ীর পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল গ্রামের মৃত আসত মুন্সীর ছেলে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, রবিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই মো. মনিরুজ্জামান মুন্সীসহ থানা পুলিশের আরো ২ জন এসআই এবং একজন কনস্টেবল থানার মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। খেলায় বিপরীত পক্ষের ছোড়া বল ঠেকাতে গিয়ে তিনি পেছনের দিকে ঘুরতেই পা পিছলে মাঠে পড়ে যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে সহকর্মীরা তার মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ্য করার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় তিনি (উত্তম কুমার ঘোষ) তার কার্যালয়ে বসে কাজ করতে ছিলেন। সহকর্মীদের চিৎকার শুনে তিনি দৌড়ে মাঠে গিয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শরীফুল ইসলাম জানান, রাত ৯টার দিকে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে বোঝা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি রাজবাড়ী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। মনিরুজ্জামানের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মনিরুজ্জামান মুন্সীর মার্চে অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তার স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় মিলল গৃহকর্মীর লাশ
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মাগুরায় দুই ভাইয়ের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় দুই ভাইয়ের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের মঞ্জুর আলীর ছেলে সবুর আলী (৩০) ও তার ছোট ভাই হৃদয় আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান আলী জানান, গ্রামের একটি জমির মালিকানা নিয়ে নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশির মধ্যে বিরোধ চলছিল।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে কেউ তাদের বাড়িতে গিয়ে দুই ভাইকে বের হতে বলে। এরপর তারা বাড়ি ফেরেননি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রেসার কুকার বিস্ফোরণে ৩ জন আহত
ওসি বলেন, পরে স্থানীয়রা তাদের বাড়ি থেকে অল্প দূরে একটি ফসলের খেতে দুই ভাইয়ের লাশ দেখতে পান। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলা কাটা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা না গেলেও জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় ভ্যানচালকসহ নিহত ২
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ৫ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
বছরের শেষ দিনে ঘন কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে সোয়া ৫ ঘণ্টার মতো বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ৩টা থেকে আজ রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করেনি।
মাঝ নদীতে কুয়াশার কারণে আটকা ছিল দুটি ফেরি। বাকি সব ফেরি দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া ঘাটে নোঙরে ছিল। দুর্ভোগের শিকার হন চালক ও যাত্রী সাধারণ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানিয়েছে, ৩ দিন বিরতির পর ২০২৩ সালের শেষ দিন শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশা পড়তে থাকে। অতিমাত্রায় কুয়াশা পড়তে থাকলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে রাত সাড়ে ৩টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চতুর্থ দিনের মতো ফেরি চলাচল ব্যাহত
এর আগে রো রো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামীদুর রহমান এবং কেটাইপ (মাঝারি) ফেরি করবী মাঝ নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে আটকা ছিল বলে জানান তিনি।
এ সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, ভাষা শহীদ বরকত, ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা, কেরামত আলী, শাহ পরান, ফরিদপুর, হাসনা হেনা ও বনলতা নামক ৮টি এবং পাটুরিয়া প্রান্তে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, এনায়েতপুরী এবং রজনীগন্ধ্যা নামক ৩টি ফেরি যানবাহনবোঝাই করে নোঙরে ছিল। প্রায় সোয়া ৫ ঘণ্টা পর আজ রবিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে কুয়াশা কমতে থাকলে ফেরিগুলো ঘাট ছাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ঘন কুয়াশায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চলতে শুরু করেছে ফেরি
এর আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এই শীত মৌসুমে ২৩ ডিসেম্বর সকালে আকস্মিক ঘন কুয়াশায় দেড় ঘণ্টার মতো ফেরি বন্ধ থাকে। এরপর ২৪ ডিসেম্বর প্রায় ৮ ঘণ্টা, ২৫ ডিসেম্বর ৬ ঘণ্টা, ২৬ ডিসেম্বর ৬ ঘণ্টা এবং ২৭ ডিসেম্বর প্রায় ৪ ঘণ্টাসহ মোট সাড়ে ২৫ ঘণ্টার মতো এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ দিনে কুয়াশায় নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। শনিবার দিবাগত মধ্য রাত থেকে সোয়া পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল।’
আরও পড়ুন: চালু হতে না হতেই চিলমারী নৌ-বন্দরের ফেরি সার্ভিসে বিপত্তি
বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে দু’দেশের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে তারা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়। এ সময় বিএসএফ দল তাদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন।
ঘটনার পরদির রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যান।
ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফের কাছে চিঠি দিলেও বিএসএফ তাতে সারা না দেওয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
এদিকে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ৮২ পিলারের কাছে কৃষ্ণনগর থানার ওসি বিপেন সরকার লাশ হস্তান্তর করলে আমি দর্শনা থানা ওসি হিসেবে লাশ দুটি গ্রহণ করি। সন্ধ্যার পর লাশ তাদের পরিবারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এর এডি মো. হায়দার ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেস নারায়ন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
রামেক হাসপাতাল থেকে ‘ভুয়া চিকিৎসক’ আটক
এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থেকে সামিউর রহমান (২৫) নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আটক সামিউর নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপভদ্রা এলাকার রাশেদুর রহমানের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সামিউর চিকিৎসক সেজে হাসপাতালের ওটিতে প্রবেশ করেন। এরপর জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এর ফলে দায়িত্বরত কর্মীদের সন্দেহ হয়।
খবর পেয়ে সেখানে যান হাসপাতালের আনসার বাহিনীর ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে তার আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। পরে পরিচালকের নির্দেশে পুলিশে সোপর্দ করা হয় তাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ জানান, সামিউর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ছাত্র ছিলেন। একসময় রামেক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এ কারণে হাসপাতালের কোথায় কী আছে তিনি জানেন।
তিনি বলেন, সামিউর চিকিৎসকের ভুয়া কার্ড তৈরি করে হাসপাতালে এসেছিলেন। তার কাছ থেকে দুটি ভুয়া আইডি কার্ড এবং একটি জ্বর পরীক্ষা করার যন্ত্র পাওয়া গেছে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, ভুয়া চিকিৎসক সামিউরকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎপৃষ্টে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বীরঘোষপালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জামাল উদ্দিন ও তার মা আনোয়ারা বেগম, শিশু কন্যা আনিকা আক্তার (৪) ও ফাইজা (৬)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বীরঘোষপালা গ্রামে জামাল উদ্দিন অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিজের বসতঘরেই অটোরিকশাটি চার্জ দিতেন।
শনিবার বিকালে জামাল উদ্দিন ঘর থেকে অটোরিকশা বের করতে যান। অসাবধানতায় অটোরিকশাটি বিদ্যুতায়িত হয়ে জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। এতে জামাল উদ্দিন চিৎকার দিলে তার মেয়ে আনিকা ও ফাইজা দৌড়ে বাবার কাছে গেলে তারাও বিদ্যুতায়িত হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
এসময় জামাল উদ্দিনের মা আনোয়ারা বেগম দৌড়ে গিয়ে ছেলে ও নাতিদের ধরতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
এসময় মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।
চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, অটোরিকশা চার্জ দেওয়া অবস্থায় ছিল। যেকোনোভাবে সেটি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। অটো বের করতে গেলে এমন হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ২
ফরিদপুরে বাঁশবাগান থেকে ৩৪০ গুলি উদ্ধার
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি বাঁশবাগান থেকে ৩৪০টি মরিচা ধরা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মান্নান শরীফের বাঁশ বাগান থেকে গুলিগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
চতুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মান্নান শরীফের বাঁশবাগানে ওই এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান একটি গাছ কাটতে যান। এ সময় গাছ কাটার জন্য পিত্তরাজ গাছের গোড়ার মাটি খোঁড়ার সময় একটি লোহার বাক্স দেখতে পান এবং পরে তার ভেতরে গুলি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩৪০টি গুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গুলি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের লাভাঙ্গা সুন্দরপুর এলাকা থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং ককটেলগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে কাছে আম বাগানে র্যাব-৫ (রাজশাহী) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে র্যাবের একটি দল ওই এলাকার পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে লাল রঙের ৭টি বালতি থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করে।
তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মারুফুল ইসলাম ও কোম্পানি উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ১৮টি ককটেল উদ্ধার র্যাবের
রাজশাহী-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ
শিবসা নদীতে ফ্লাইঅ্যাশবোঝাই জাহাজডুবি, ১২ নাবিক উদ্ধার
খুলনার শিবসা নদীতে তলা ভেটে ১ হাজার ৪২২ মেট্রিক টন ফ্লাই-অ্যাশ বোঝাই লাইটার জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এমভি গায়েহেরা-৪ নামক ওই লাইটার জাহাজটির তলা ফেটে এ ঘটনা ঘটে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। জাহাজে থাকা ১২ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেছে নলিয়ান নৌ থানা পুলিশ।
নলিয়ান নৌ থানার পুলিশ পরিদর্শক তারক চন্দ্র নাথ বলেন, এমভি গায়েহেরা-৪ নামক লাইটার জাহাজটি শিবসা নদীর নলিয়ান এলাকায় ডুবোচরে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে তিনিসহ নৌ পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে নাবিকদের উদ্ধার করেন।
শিবসা নদীতে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
লাইটার জাহাজটি ভারতের ভজভজ এলাকা থেকে ১ হাজার ৪২২ মেট্রিক টন ফ্লাই-অ্যাশ (সিমেন্টর কাঁচামাল) বোঝাই করে বাংলাদেশের ঘোড়াশাল এলাকায় অবস্থিত একটি সিমেন্ট কারখানায় যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
নওগাঁ-২ আসনের ভোট বাতিল; নতুন তফসিলের পর ভোট গ্রহণ
নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের (৮০) মৃত্যুর কারণে সেখানকার নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. গোলাম মওলা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বৈঠক করে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
বৈঠক শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচন বাতিল করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন। পরে ওই আসনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এখনকার বাকি বৈধ প্রার্থীরা তখনও প্রার্থী হিসেবে থাকবেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এ বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে বৈধ প্রার্থী মারা গেলে তা বাতিল করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. গোলাম মওলা বলেন, 'মারা যাওয়া ওই প্রার্থীর মৃত্যু সনদ পাওয়ার পর ওই আসনের নির্বাচন কার্যক্রম বাতিল করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরে ওই আসনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।'
শুক্রবার ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা যান। তার প্রতীক ছিল ঈগল।
আমিনুল হক ২০০৬ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন।
তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিকবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আমিনুল হকের ছেলে আছিফুল হক বলেন, আমিনুল হক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত সোমবার থেকে ঢাকায় যান। ঢাকায় যাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে চেয়ে আমিনুল হক দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গগতি তুলে ধরে তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়। পরে আমিনুল হক হাইকোর্টে রিট করে বুধবার প্রার্থিতা ফিরে পান। বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ দেয়। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর দিনই তার মৃত্যু হলো।