চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে দু’দেশের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে তারা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়। এ সময় বিএসএফ দল তাদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন।
ঘটনার পরদির রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যান।
ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফের কাছে চিঠি দিলেও বিএসএফ তাতে সারা না দেওয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
এদিকে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ৮২ পিলারের কাছে কৃষ্ণনগর থানার ওসি বিপেন সরকার লাশ হস্তান্তর করলে আমি দর্শনা থানা ওসি হিসেবে লাশ দুটি গ্রহণ করি। সন্ধ্যার পর লাশ তাদের পরিবারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এর এডি মো. হায়দার ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেস নারায়ন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ